শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

অমিয় বাণী

-হাফেয আবূ তাহের বিন মজিবুর রহমান



 عَنْ زَافِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ قَالَ لُقْمَانُ الْحَكِيْمُ حَقِيْقَةُ الْيَقِيْنِ الصَّبْرُ، وَحَقِيْقَةُ الْعَمَلِ النِّيَّةُ

১. যাফির ইবনু সুলাইমান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘লুক্বমান হাকীম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘প্রকৃত বিশ্বাস হচ্ছে ধৈর্যধারণ এবং প্রকৃত আমল হচ্ছে নিয়ত’ (ইবনু আবীদ দুনইয়া, আছ-ছাবরু ওয়াছ ছাওয়াবু আলাইহি, হা/৪১, পৃ. ৪১)।
-----
عَنْ مَالِكِ بْنِ دِيْنَارٍ قَالَ قَالَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ خَشْيَةُ اللهِ، وَحُبُّ الْفِرْدَوْسِ يُبَاعِدَانِ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا، وَيُوَرِّثَانِ الصَّبْرَ عَلَى الْمَشَقَّةِ

২. মালিক ইবনু দীনার (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ঈসা ইবনু মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয় এবং জান্নাতুল ফেরদাউসের প্রতি ভালোবাসা দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে দূরে রাখে এবং কষ্টের সময় ধৈর্যধারণের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেয়’ (ঐ, হা/৪২, পৃ. ৪১)।
-----

 عَنِ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ كُلُّ عَمَلٍلَهُ ثَوَابٌ يُعْرَفُ إِلَّا الصَّبْرَ قَالَ اللهُ ﴿ اِنَّمَایُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ  اَجۡرَہُمۡبِغَیۡرِ حِسَابٍ .


৩. ইবনু ‘আউন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ধৈর্য ব্যতীত প্রত্যেক আমলের ছাওয়াব জানা যায়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই’ (সূরা যুমার: ১০; ঐ, হা/৫৮, পৃ. ৪৯)।
-----
 عَنْ سُفْيَانَ قَالَ كَانَ يُقَالُ يَحْتَاجُ الْمُؤْمِنُ إِلَى الصَّبْرِ كَمَا يَحْتَاجُ إِلَى الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ

৪. সুফিয়ান ছাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে মুমিনের ধৈর্য ঐরকমভাবে প্রয়োজন যেমনিভাবে পানাহারের প্রয়োজন’ (ঐ, হা/৪১, পৃ. ৪১)।
-----
 عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَوْ كَانَ الصَّبْرُ وَالشُّكْرُ بَعِيْرَيْنِ، مَا بَالَيْتُ أَيُّهُمَا رَكِبْتُ

৫. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার য বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব প বলেছেন, ‘যদি ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা হয় দু’টি উট, তাহলে আমি দু’টির যে কোনটিতে আরোহণ করতে পরোয়া করব না’ (ঐ, হা/৭, পৃ. ২৪)।
-----
 قَالَ حَوْشَبٌ كَانَ الْحَسَنُ يَقُوْلُ ابْنَ آدَمَ لَا تُؤْذِ وَإِنْ أُوْذِيْتَ فَاصْبِرْ

৬. হাওশাব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি কষ্ট দিও না আর যদি তোমাকে কষ্ট দেয়া হয় তাহলে ধৈর্যধারণ কর’ (ঐ, হা/১১, পৃ. ২৬)।
-----
 عَنْ غَالِبٍ الْقَطَّانِ قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُوْلُ الصَّبْرُ كَنْزٌ مِنْ كُنُوْزِ الْخَيْرِ، لَا يُعْطِيْهِ اللهُ إِلَّا لِعَبْدٍ كَرِيْمٍ عَلَيْهِ

৭. গালিব আল-কাত্ত্বান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, ‘ধৈর্য হলো কল্যাণের ধন ভাণ্ডারের একটি ভাণ্ডার, আল্লাহ তার সম্মানিত বান্দা ছাড়া তা দেন না’ (ঐ, হা/১৬, পৃ. ২৭)।
-----
عَنِ الْحَسَنِ قَالَ إِنَّمَا يُصِيْبُ الْإِنْسَانُ الْخَيْرَ فِيْ صَبْرِ سَاعَةٍ

৮. হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে মানুষের নিকট কল্যাণ পৌঁছে যায়’ (ঐ, হা/১০৭, পৃ. ৮১)।
-----
 قَالَ عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ أَبِيْ رَوَّادٍ، كَانَ يُقَالُ الْقَوْلُ بِالْحَقِّ وَالصَّبْرُ عَلَيْهِ يُعْدَلُ بِأَعْمَالِ الشُّهَدَاءِ

৯. আব্দুল আযীয ইবনু আবী রাউওয়াদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, সত্য কথা বলা এবং তার উপরে ধৈর্যধারণ করা শহীদদের আমলের ন্যায়’ (ঐ, হা/১৭২, পৃ. ১১৬)।
-----
 قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ أَلَا إِنَّ الصَّبْرَ مِنَ الْإِيْمَانِ بِمَنْزِلَةِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ، فَإِذَا قُطِعَ الرَّأْسُ بَادَ الْجَسَدُ، ثُمَّ رَفَعَ صَوْتَهُ فَقَالَ أَلَا إِنَّهُ لَا إِيْمَانَ لِمَنْ لَا صَبْرَ لَهُ

১০. আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘জেনে রেখো! নিশ্চয় ধৈর্য ঈমানের অংশ যেমনিভাবে মাথা শরীরের মূল অংশ, যদি মাথা কেটে ফেলা হয় তাহলে শরীর ধ্বংস হয়ে যায়। অতঃপর তিনি আওয়াজ তুলে বললেন, দেখ, যার ধৈর্য নেই তার ঈমান নেই (অর্থাৎ ঈমান পূর্ণ নয়)’ (ঐ, হা/৮, পৃ. ২৪)।
-----
 قَالَ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْأَشْعَثَ، سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُوْلُ لَمْ يُعْطَ الْعِبَادُ أَفْضَلَ مِنَ الصَّبْرِ، بِهِ دَخَلُوا الْجَنَّةَ

১১. ইবরাহীম ইবনু আশ‘‌আছ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি সুফিয়ান ইবনু উয়াইনার (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, ‘বান্দাকে ধৈর্য অপেক্ষা অধিক কিছু দেয়া হয়নি, যার দ্বারা তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (ঐ, হা/৬০, পৃ. ৫০)।
-----
 قَالَ أَبُوْ مُسْهِرٍ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيْزِ قَالَ إِذَا رَأَيْتَ أَمْرًا لَا تَسْتَطِيْعُ غَيْرَهُ، فَاصْبِرْ وَانْتَظِرْ فَرَجَ اللهِ


১২. আবূ মুসহির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনু আব্দুল আযীয (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘যখন তুমি এমন বিষয় দেখবে যা তুমি পরিবর্তন করতে সক্ষম ন‌ও, তখন তুমি ধৈর্যধারণ করবে এবং আল্লাহর স্বস্তির জন্য অপেক্ষা করবে’ (ঐ, হা/৮৭, পৃ. ৬৪)।




প্রসঙ্গসমূহ »: অমিয় বাণী

ফেসবুক পেজ