অমিয় বাণী
-হাফেয আবূ তাহের বিন মজিবুর রহমান*
عَنْ عُمارَةَ بْنِ أَبِيْ حَفْصَةَ سَمِعَ أَبَا مِجْلَزٍ يَقُوْلُ قَالَ رَجُلٌ لِقَوْمِهِ عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإنَّهُ نَجاةٌ
১. উমারাহ ইবনু হাফছা (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি আবূ মিজলাযকে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি তার জাতিকে বললেন, ‘তোমরা সত্যের উপর অটল থাক। কেননা তাতেই মুক্তি রয়েছে’।[১]
----
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَرْبَعٌ مَّنْ كُنَّ فِيْهِ فَقَدْ رَبَحًَ الصِّدْقُ وَالحَيَاءُ وَحُسْنُ الْخُلُقِ وَالشُّكْرُ
২. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘যার মাঝে চারটি গুণ রয়েছে নিশ্চয় সে লাভবান। ১. সত্য, ২. লজ্জা, ৩. উত্তম চরিত্র ও ৪. কৃতজ্ঞতা’।[২]
----
قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَلَيْكَ بِالصِّدْقِ وَإِنْ قَتَلَكَ
৩. উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘তুমি সত্যের উপর অটল থাক যদিও তোমাকে হত্যা করা হয়’।[৩]
-----
عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قالَ رَأيْتُ ابْنَ عَبّاسٍ آخِذًا بِلِسانِهِ وهُوَ يَقُوْلُ بِاللِّسانِ قُلْ خَيْرًا تَغْنَمْ أوِ اصْمُتْ تَسْلَمْ قَبْلَ أنْ تَنَدَّمَ
৪. সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে দেখলাম তিনি নিজ জিভ ধরে জিহ্বা সম্পর্কে বললেন, ‘ভালো কথা বল সফলতা পাবে, চুপ থাক লাঞ্ছিত হওয়ার পূর্বে নিরাপত্তা পাবে’।[৪]
-----
قالَ الوَلِيْدُ بنُ مَزْيَدٍ سَمِعْتُ الْأوْزاعِيَّ يَقُوْلُ إنَّ المُؤْمِنَ يَقُوْلُ قَلِيْلًا ويَعمَلُ كَثِيْرًا وإنَّ المُنافِقَ يَتَكَلَّمُ كَثِيْرًا ويَعْمَلُ قَلِيْلًا.
৫. ওয়ালীদ ইবনু মাযইয়াদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আওযায়ী (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি কম কথা বলে ও বেশি আমল করে এবং মুনাফিক ব্যক্তি বেশি কথা বলে ও কম আমল করে।[৫]
----
عَنْ نَوْفَلٍ بْنِ أَبِيْ عَقْرَبَ قَالَ كَانَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَلِيْلَ الْكَلَامِ طَوِيْلَ السُّكُوْتِ
৬. নাওফিল ইবনু আবী ‘আক্বরাব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কম কথা বলতেন আর দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন’।[৬]
----
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النَّضْرِ الْحَارِثِيِّ قالَ كانَ يُقَالُ كَثْرَةُ الكَلَامِ تَذْهَبُ بِالوَقَارِ
৭. মুহাম্মাদ ইবনু নাযার আল-হারেছী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে বেশি কথা বললে মান-সম্মান/মর্যাদা চলে যায়’।[৭]
----
قَالَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا اَلْبَلَاءُ مُوَكَّلٌ بِالْقَوْلِ.
৮. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘বিপদাপদ কথার কারণেই অর্পিত হয়’।[৮]
----
عَنْ يُوْنُسَ بْنِ عُبَيْدٍ قالَ إنَّكَ تَعْرِفُ ورَعَ الرَّجُلِ فِيْ كَلامِهِ إذا تَكَلَّمَ
৯. ইউনুস ইবনু উবাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, নিশ্চয় তুমি কোন ব্যক্তির পরহেযগারী তার কথায় জানতে পারবে, যখন সে কথা বলবে।[৯]
----
قالَ عَبْدُ المَلِكِ بْنُ مَرْوانَ لِمُؤَدِّبِ ولَدِهِ عَلِّمْهُمُ الصِّدْقَ كَما تُعَلِّمُهُمُ القُرْآنَ
১০. আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান (রাহিমাহুল্লাহ) তার সন্তানদের শিক্ষককে বললেন, ‘আপনি তাদের সত্য শিক্ষা দিবেন যেমনিভাবে কুরআন শিক্ষা দেন’।[১০]
----
عَنِ الْغَزِيِّ بْنِ قَيْسٍ قَالَ مَا كَذَبْتُ مُنْذُ احْتَلَمْتُ
১১. গাযী ইবনু ক্বাইস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি সাবালক হওয়ার পর মিথ্যা কথা বলিনি’।[১১]
----
قَالَ الْأحَنْفُ بْنُ قَيْسٍ ما كَذَبْتُ مُنْذُ أسْلَمْتُ إلَّا مَرَّةً واحِدَةً
১২. আহনাফ ইবনু ক্বাইস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করার পরে মাত্র একবার মিথ্যা কথা বলেছি’।[১২]
----
عَن عُمَرَ بْنِ عَبْدِ العَزِيْزِ قَالَ ما كَذَبْتُ مُنْذُ عَلِمْتُ أنَّ الكَذِبَ يَضُرُّ أهْلَهُ
১৩. উমর ইবনু আব্দুল আযীয (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যেদিন থেকে আমি জেনেছি মিথ্যা মিথ্যুকের ক্ষতি করে সেদিন থেকে মিথ্যা কথা বলিনি’।[১৩]
* দাওরায়ে হাদীছ, মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবিয়্যাহ, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা; শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আল-ইসলামিয়্যাহ, খড়খড়ি, রাজশাহী।
তথ্যসূত্র :
[১]. মাকারিমুল আখলাক্ব, পৃ.৫২, হা/১৪২।
[২]. ইহইয়াউ ঊলূমুদ্দীন, ৪র্থ খ-, পৃ. ৩৮৭।
[৩]. আত-তাযকিরাতুল হামদুনিয়্যাহ, ৩য় খ-, পৃ. ৪৯।
[৪]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৩৮০।
[৫]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৭ম খ-, পৃ. ১২৫।
[৬]. তাওলিয়া, ১ম খ-, পৃ. ১৪৫; তারিখে দিমাশক, ১৮তম খ-, পৃ. ২২৪।
[৭]. আছ ছামতু লি ইবনে আবিদ দুনইয়া, হা/৫২, পৃ. ৬৭।
[৮]. আহমাদ ইবনু হাম্বাল, কিতাবুয যুহ্দ, হা/৮৯৫।
[৯]. হিলইয়াতুল আওলিয়া, ৩য় খ-, পৃ. ২০।
[১০]. আন-নাফাক্বাতুল আলাল ইয়াল, ১ম খ-, পৃ. ৫১৩।
[১১]. কিতাবু মিন আখবারিস সালাফিছ ছালিহ, পৃ. ৩৭৮।
[১২]. মাকারিমুল আখলাক্ব, হা/১৩১, পৃ. ৪৯।
[১৩]. হায়াতুত তাবেঈন, ১ম খ-, পৃ. ১৮৫৯।
প্রসঙ্গসমূহ »:
অমিয় বাণী