মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

 অমিয় বাণী

-হাফেয আবূ তাহের বিন মজিবুর রহমান


 عَنِ الضَّحّاكِ قالَ الْأمْرُ بِالمَعْرُوْفِ والنَّهْيُ عَنِ المُنْكَرِ مِنْ فَرائِضِ اللهِ تَبارَكَ وَتَعَالَى

১. যাহ্হাক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজে বাধা দেয়া আল্লাহ তা‘আলার ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত’।[১]
------
عَنْ أبِيْ سَعِيْدٍ الخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قالَ يَأْتِيْ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ خَيْرُهُمْ لَا يَأْمُرُ بِالمَعْرُوْفِ وَلَا يَنْهى عَنِ المُنْكَرِ

২. আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘লোকদের নিকট এমন এক সময় আসবে তাদের মধ্যে উত্তম হবে তারা যারা সৎ কাজের আদেশ দেয় না এবং অসৎ কাজে বাধা দেয় না’।[২]
------
عَنْ أبِي الدَّرْداءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قالَ إنِّيْ لَآمُرُ بِالْأمْرِ وَلَا أفْعَلُهُ وَلَكِنْ أرْجُوْ مِنَ الله تَعَالَي أنْ أُوْجَرَ عَلَيْهِ

৩. আবূ দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমি যদি কোন কাজের নির্দেশ দিই আর তা পালন করতে না পারি তবুও আমি আল্লাহর কাছে এর প্রতিদানের আশা করি’।[৩]
------
يَحْيى بْنُ عُثْمانَ الحَرْبِيُّ قالَ سَمِعْتُ بِشْرَ بْنَ الحارِثِ يَقُوْلُ لَا يَنْبَغِيْ أنْ يَأْمُرَ بِالمَعْرُوْفِ ويَنْهى عَنِ المُنْكَرِ إلَّا مَن يَصْبِرُ عَلَى الَأَذَى

৪. ইয়াহইয়া ইবনু উছমান আল-হারবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি বিশর বিন হারেছ (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কষ্টে ধৈর্যধারণ করতে পারবে না তার উচিত নয়, সৎ কাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা’।[৪]
------
عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ قِيلَ لِحُذَيْفَةَ : (مَا مَيِّتُ الْأَحْيَاءِ؟ قَالَ) مَنْ لَمْ يَعْرِفِ الْمَعْرُوفَ بِقَلْبِهِ، وَيُنْكِرِ الْمُنْكَرَ بِقَلْبِهِ

৫. আবূ ত্বুফাইল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযাইফা (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলা হল, জীবীতদের মধ্যে মৃত কারা? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সৎ কাজকে তার অন্তর থেকে ভালো মনে করে না, এবং অসৎ কাজকে তার অন্তর থেকে অপছন্দ করে না।[৫]
------
أبُوْ كَعْبٍ الْأزْدِيَّ قالَ سَمِعْتُ الحَسَنَ يَقُوْلُ إِذَا كُنْتَ آمِرًا بِالمَعْرُوْفِ فَكُنْ مَن أخَذَ النّاسُ بِهِ وإلّا هَلَكْتَ وإذا كُنْتَ مِمَّنْ يَنْهى عَنِ المُنْكَرِ فَكُنْ مَن أنْكَرَ النّاسُ لَهُ وإلّا هَلَكْتَ

৬. আবূ কা‘ব আল-আযদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি হাসান বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, যদি তুমি সৎকাজের আদেশকারী হও, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম তা গ্রহণকারী হোয়ো, অন্যথা তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি তুমি অসৎ কাজ থেকে নিষেধকারী হও, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সেসব কাজকে সর্বাধিক অপসন্দকারী হও, অন্যথা তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।[৬]
------
عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِعَبْدِ اللهِ هَلَكَ مَنْ لَمْ يَأْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَلَمْ يَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بَلْ هَلَكَ مَنْ لَمْ يَعْرِفِ الْمَعْرُوْفَ بِقَلْبِهِ وَيُنْكِرِ الْمُنْكَرَ بِقَلْبِهِ

৭. ত্বারেক্ব বিন শিহাব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি আব্দুল্লাহকে বললেন, যে ব্যক্তি সৎ কাজের আদেশ দিবে না ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে না সে ধ্বংস হয়ে যাবে, অতঃপর আব্দুল্লাহ বললেন, বরং সে ব্যক্তি ধ্বংস যে সৎ কাজকে তার অন্তর থেকে ভালো জানল না এবং অসৎ কাজকে তার অন্তর থেকে খারাপ জানল না।[৭]

৯. عَنْ أبِي البَخْتَرِيِّ قالَ قِيْلَ لِحُذَيْفَةَ أَلَا نَأْمُرُ بِالمَعْرُوْفِ ونَنْهى عَنِ المُنْكَرِ؟ قالَ إنَّهُ لَحَسَنٌ ولَكِنْ لَيْسَ مِنَ السُّنَّةِ أنْ تَرْفَعَ السِّلَاحَ عَلى إمامِكَ.

৮. আবুল বাখতারী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হুযাইফা (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বলা হল, আমরা কি সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করব?  তিনি বলেন, নিশ্চয় তা উত্তম কাজ, আর এটা সুন্নাত নয় যে তুমি তোমার শাসকের উপর অস্ত্র উত্তোলন করবে।[৮]

قالَ سُلَيْمانُ الخَوّاصُ مَن وَعَظَ أَخَاهُ فِيْمَا بَيْنَهُ وبَيْنَهُ فَهِيَ نَصِيْحَةٌ وَمَنْ وَعَظَهُ عَلى رُءُوْسِ النَّاسِ فَإنَّما فَضَحَهُ

৯. সুলাইমান আল-খাউওয়াছ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইকে উপদেশ দেয় নিজের ও তার মাঝে (একাকী) তাহলে সেটা হবে নছীহত। আর যে ব্যক্তি তাকে জনসম্মুখে উপদেশ দেয় তাহলে যেন তাকে লাঞ্ছিত করল।[৯]
------
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ مَنْ لَمْ تَأْمُرْهُ الصَّلَاةُ بِالْمَعْرُوْفِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْمُنْكَرِ لَمْ يَزْدَدْ بِهَا إِلَّا بُعْدًا 

১০. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছেন, যে ব্যক্তিকে তার ছালাত সৎকাজের আদেশ করে না এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করে না, ছালাতের প্রতি তার কেবল দূরত্বই তৈরি হয়।[১০]


তথ্যসূত্র :
[১]. আল-আমরু বিল মা‘রূফ ওয়ান নাহয়ু ‘আনিল মুনকার লি ইবনি আবীদ দুনইয়া, হা/ ৩৭, পৃ. ৮৩।
[২]. কানযুল উম্মাল, হা/৮৪৭২।
[৩]. জামি‘ঊল আহাদীছ, হা/৪১৫৪৮, ৩৮তম খ-, পৃ. ৩১১।
[৪]. হায়াতুল আউলিয়া, ৮ম খ-, পৃ. ৩৩৭।
[৫]. ইবনু আবী শাইবা, হা/৩৭৫৭৭।
[৬]. কিতাবুয যুহুদ, হা/১৪৫৭।
[৭]. হায়াতুস সালাফি বাইনাল ক্বওলি ওয়াল আমাল, পৃ. ৯৩।
[৮]. ইবনু আবী শাইবা, হা/৩৭৬১৩।
[৯]. আল-আমরু বিল মা‘রূফ ওয়ান নাহয়ু ‘আনিল মুনকার, হা/৬১, পৃ. ৯৯।
[১০]. কিতাবুয যুহুদ, হা/৮৭৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: অমিয় বাণী

ফেসবুক পেজ