বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে এ সমস্ত ফেতনা থেকে হিফাযত করুন। এ সম্পর্কে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের যে দিকনির্দেশনা রয়েছে, মূলত সেটিই আহলুল হাদীছের আক্বীদাহ ও দৃষ্টিভঙ্গি। পীরতন্ত্র ও ছূফীবাদ দু’টিই কুফুরী আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত। ছূফীবাদের আদর্শ হল, চোখ বন্ধ করে, বিনা শর্তে ছূফী তরীকার পীর বা শায়েখের আনুগত্য করা। পীর ছাহেব মুরীদকে যা করতে বলবে কোন শর্ত ছাড়াই তা করতে বাধ্য থাকা। ভক্তরা পীরের হাতে সেরকম আটকা থাকবে, যেমন গোসল দাতার হাতে মৃত ব্যক্তি অসহায় থাকে। আর ছূফীবাদের মূল উদ্দেশ্য হল, মানুষকে আল্লাহতে পরিণত করা। অর্থাৎ আল্লাহ আর বান্দার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যেমন- ছূফীবাদ বা পীরতন্ত্রের দু’টি জঘন্য কুফরী আক্বীদা হল ‘হুলূল ও ইত্তিহাদ’। ‘আকীদাতুল হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদ’। (عقيدة الحلول والاتحاد) ওয়াহদাতুল উজুদ বা সর্বেশ্বরবাদ সংক্রান্ত পরিভাষার অন্তর্ভুক্ত। এটি ছূফী ও বাতিনীদের দাবী। একইভাবে এটি ব্রাহ্ম্যবাদ (হিন্দু), বৌদ্ধ ও অন্যান্য ভ্রান্ত ধর্মের গ্রন্থসমূহেও পাওয়া যায়।

(এক) হুলূল: (ক) সাধারণ পরিভাষায় এর অর্থ হচ্ছে দু’টি বস্তুর একটি অন্যটিতে প্রবেশ করা। জুরজানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পরিপূর্ণ হুলূল দ্বারা বোঝানো হয় দু’টি দেহ এমনভাবে একাকার হওয়া যে, এদের একটিকে ইশারা করা অন্যটিকে ইশারা করার সমান। যেমন একটি কমলার ভিতর তার রসের অবস্থান। অপরিপূর্ণ হুলূল দ্বারা বোঝানো হয় দুই দেহের একটি অন্যটির আধার বা পাত্র। যেমন জগের মাঝে পানি (আত-তা‘রীফাত, পৃ. ৯২)। হুলূল হচ্ছে দু’টি অস্তিত্বকে সাব্যস্ত করা, যার একটি অপরটির মাঝে বিদ্যমান রয়েছে। ছূফী ও অন্যান্যদের মধ্যে যারা এ (হুলূল) শব্দটি ব্যবহার করে তার অর্থ হচ্ছে সৃষ্টিকুল কিংবা কিছু সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ তা‘আলার অনুপ্রবেশ বা বিদ্যমান থাকা।

(খ) হুলূলের প্রকারভেদ: হুলূল দুই ভাগে বিভক্ত।
(১) ‘আম বা সাধারণ হুলূল: এটি হচ্ছে এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ সকল বস্তুর মাঝে বিদ্যমান রয়েছেন। তবে এই হুলূল হচ্ছে সেই ধারণার অনুরূপ যেখানে মানবদেহে ঈশ্বর প্রবেশ করেন বলে ধারণা করা হয়, যদিও দু’টি সত্তা অর্থাৎ স্রষ্টা ও সৃষ্টি আলাদা এবং স্বতন্ত্র বলে সাব্যস্ত করা হয়। অর্থাৎ তিনি যার মাঝে প্রবেশ করেছেন তার সাথে একাকার হয়ে যাননি। বরং তিনি সকল স্থানে বিচ্ছিন্নতা সহ বিরাজমান। এটি দুই পৃথক সত্তার সাব্যস্তকরণ। এটি জাহমিয়্যাহ ও তাদের অনুরূপদের বক্তব্য।
(২) খাছ বা নির্দিষ্ট হুলূল: এটি হচ্ছে এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিছু সৃষ্টির মাঝে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি এই বিশ্বাস রাখা যে, এখানে একজন হচ্ছেন স্রষ্টা এবং একজন হচ্ছেন সৃষ্টি। এটি হচ্ছে খ্রিষ্টানদের কিছু উপদলের বিশ্বাস যে, ঈশ্বর অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা মানবদেহে অর্থাৎ ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর মাঝে প্রবেশ করেছেন এবং ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর দু’টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য যখন তিনি অহীর মাধ্যমে কথা বলতেন এবং মানবিক বৈশিষ্ট্য যখন তাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। একইভাবে কিছু চরমপন্থী রাফিযী (শী‘আ) যেমন নুসাইরি সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তা‘আলা আলী ইবনু আবী ত্বালিবের মাঝে প্রবেশ করেছেন। তিনি (আলী) হচ্ছেন উপাস্য। ফলে তার মাঝে ঐশ্বরিকতা প্রবেশ করেছেন। এটি তাদের মৌলিক আক্বীদাগুলোর একটি।

(দুই) ইত্তিহাদ: (১) وأما الاتحاد فمعناه (عند الصوفية) أن عين المخلوقات هو عين الله تعالى: সৃষ্টি এবং স্রষ্টা একই জিনিস। অর্থাৎ সৃষ্টিজীব এবং আল্লাহ তা‘আলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, উভয়ই এক ও অভিন্ন। ইবনু আরাবী এ মতেরই সমর্থক ছিল। তার মতে পৃথিবীতে যা আছে সবই মা‘বূদ। অর্থাৎ সবই সৃষ্টি এবং সবই স্রষ্টা। এ অর্থে কুকুর, শূকর, বানর এবং অন্যান্য নাপাক সৃষ্টিও মা‘বূদ হতে কোন বাঁধা নেই। সুতরাং তার মতে যারা মূর্তি পূজা করে তারা আল্লাহরই ইবাদত করে। (নাউযুবিল্লাহ)। ইবনু আরাবীর মতে, إن العارف المكمل هو من يرى عبادة الله والأوثان شيء واحد ‘পরিপূর্ণ মা‘রিফাত হাসিলকারীর দৃষ্টিতে আল্লাহর ইবাদত ও মূর্তিপূজা একই জিনিস’। ইবনু আরাবী তার কবিতায় বলেন,

العبد رب والرب عبد * يا ليت شعري من المكلف

إن قلت عبد فذلك حق * أو قلت رب فأنى يكلف

‘বান্দাই প্রভু আর প্রভুই বান্দা। আফসোস! যদি আমি জানতাম, শরী‘আতের বিধান কার উপর প্রয়োগ হবে। যদি বলি আমি তাঁর বান্দা তাহলে তো ঠিকই। আর যদি বলি আমিই রব, তাহলে শরী‘আত মানার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? উপরিউক্ত কারণ এবং আরও অসংখ্য কারণে আলিমগণ ইবনু আরাবীকে গোমরাহ বলেছেন। সৃষ্টি এবং স্রষ্টা কখনই এক হতে পারে না। আল্লাহ ব্যতীত বাকী সকল বস্তু হচ্ছে সৃষ্টি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ اَنّٰی  یَکُوۡنُ  لَہٗ  وَلَدٌ وَّ لَمۡ تَکُنۡ لَّہٗ صَاحِبَۃٌ ؕ وَ خَلَقَ کُلَّ  شَیۡءٍ ۚ وَ ہُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ

‘তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তার কোন সঙ্গিনী নেই? তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ’ (সূরা আল-আন‘আম: ১০১)। কুরআন ও ছহীহ হাদীছে দিবালোকের মত পরিষ্কার করে বলা আছে যে, মহান আল্লাহ আরশের উপরে আছেন, তার গুণাগুণ সৃষ্টি জীবের গুণাবলী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। (২) ইত্তিহাদ এর অর্থ হচ্ছে দু’টি বস্তুর এক হয়ে যাওয়া। জুরজানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইত্তিহাদ হচ্ছে দু’টি বস্তুর মিশ্রণ, যাতে করে তা একটি বস্তুতে পরিণত হয়’ (আত-তা‘রীফাত, পৃ. ৯)। (৩) যারা এই ধারণায় বিশ্বাস করে তাদের পরিভাষা অনুযায়ী, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিকুল কিংবা কিছু সৃষ্টির সাথে একাকার হয়ে গেছেন এই অর্থে যে, সমস্ত সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব কিংবা তার কিছু অংশের অস্তিত্ব হল স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্ব।

(৪) ইত্তিহাদের প্রকারভেদ:
(ক) ‘আম বা সাধারণ ইত্তিহাদ, যা ওয়াহদাতুল উজুদ নামেও অভিহিত করা হয়। এটি এরূপ বিশ্বাস রাখা যে, অস্তিত্ব সম্পন্ন সকল কিছুই হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ। অপর ভাষায়, সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল সৃষ্টির সাথে একাকার হয়ে আছেন। এটিই ‘ওয়াহদাতুল উজুদে’র অর্থ। যারা এরূপ বিশ্বাস করে তাদেরকে ‘ইত্তিহাদিয়্যাহ’ বা ‘আহলে ওয়াহদাতুল উজুদ’ নামে অভিহিত করা হয়। যেমন ইবনুল ফারিদ, ইবনে আরাবী এবং অন্যরা।
(খ) খাছ বা নির্দিষ্ট ইত্তিহাদ: এটি হল এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তা‘আলা কিছু সৃষ্টির সাথে একাকার হয়েছেন, কিন্তু অন্যদের সাথে তা হননি। যারা এতে বিশ্বাস করে তারা তাঁকে বর্জ্য ও নিকৃষ্ট পদার্থের সাথে একাকার হওয়া থেকে পবিত্র বলে থাকে। তারা বলে, তিনি নবীগণ কিংবা ধার্মিক কিংবা দরবেশ কিংবা অন্যদের সাথে একাকার হয়েছেন। ফলে তারা স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এটি খ্রিষ্টানদের কিছু উপদলের ধারণার মত যারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর মানবদেহের সাথে একাকার হয়েছেন এবং উভয়ে একই জিনিসে পরিণত হয়েছেন। এটি হুলূলে বিশ্বাসীদের বিপরীত যারা বিশ্বাস করে যে, ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর দু’টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঐশ্বরিক ও মানবিক। যারা ইত্তিহাদে বিশ্বাস করে তাদের মতে একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে আর যারা হুলুলে বিশ্বাস করে তাদের মতে দু’টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

হুলূল ও ইত্তিহাদের মধ্যকার পার্থক্য: (১) হুলূল হচ্ছে দু’টি সত্তা সাব্যস্ত করা। অপরদিকে ইত্তিহাদ হচ্ছে একটি মাত্র সত্তা সাব্যস্ত করা। (২) হুলূলের মত অনুযায়ী দু’টি সত্তা বিচ্ছিন্ন হতে পারে, যেখানে ইত্তিহাদ এরূপ ধারণাকে স্বীকার করে না। (৩) হুলূল ও ইত্তিহাদের পার্থক্য স্পষ্টকারী অনেক উদাহরণই রয়েছে। যেমন চিনিকে যখন নাড়াচাড়া ব্যতিরেকে পানিতে রাখা হয় তখন এটি হুলূল (প্রবেশ)। কেননা এখানে দু’টি সত্তা আছে। তবে যখন একে পানিতে নাড়াচাড়া করা হয় তখন এটি ইত্তিহাদ (একাকার) হয়ে যায়। কেননা একে আবার বিচ্ছিন্ন করা যায় না। কিন্তু যদি পানিতে অন্য কিছু রাখা হয়, যেমন কাঠি রাখা হল। তবে একে হুলূল বলা হয়, ইত্তিহাদ নয়। কেননা কাঠি এক জিনিস, পানি আরেক জিনিস। এদের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতা প্রযোজ্য রয়েছে।

উক্ত আক্বীদাগুলোর বিধান এবং কোনটি বেশি মারাত্মক : কোন সন্দেহ নেই যে, হুলূল ও ইত্তিহাদের বক্তব্য সবচেয়ে মারাত্মক প্রকারের কুফর ও ইলহাদ বা ধর্মহীনতা। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তবে হুলূলের চেয়ে ইত্তিহাদ অধিক মারাত্মক। কেননা এটি হচ্ছে হুলূলের বিপরীতে একই সত্তা হয়ে যাওয়ার আক্বীদা। এরপর তিনি সকল কিছুতে একাকার হয়ে আছেন এই বক্তব্য, কিছু সৃষ্টির মাঝে ইত্তিহাদ করেছেন এই বক্তব্যের চেয়ে অধিক মারাত্মক। সংক্ষেপে হুলূল ও ইত্তিহাদের আক্বীদা প্রকাশ্য বাতিল। মানুষের মস্তিষ্ক থেকে এটি বিলুপ্ত করতে ইসলামের আগমন হয়েছে। কেননা এই আক্বীদা হিন্দুত্ববাদী, গ্রীক, ইয়াহুদী, খ্রিষ্টীয় ও অন্যদের মাযহাব ও দর্শন সমূহ থেকে গৃহীত। এই আক্বীদা প্রতারণা ও মিথ্যাচারের উপর দণ্ডায়মান (শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আল-হামাদ, মুছত্বালাহাত ফিল কুতুবিল আক্বাইদ, পৃ. ৪২-৪৭ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং ১৪৭৬৩৯)। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের বিরাট সংখ্যক মুসলিম ওয়াহ্দাতুল উজুদে বিশ্বাসী। তাবলীগী নিসাব এর ‘ফাযায়েলে আমাল’ বইয়ে গাঙ্গুহী তার মোরশেদ হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কীর খেদমতে লিখিত এক চিঠিতে বলেন, ‘---অধিক লেখা বে-আদবী মনে করিতেছি। হে আল্লাহ! ক্ষমা কর, হজরতের আদেশেই এই সব লিখিলাম, মিথ্যাবাদী, কিছুই নই, শুধু তোমারই ছায়া, আমি কিছুই নই, আমি যাহা কিছু সব তুমিই তুমি (ফাযায়েলে আমাল, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃ. ১৮৫)। এই কথাটি যে একটি কুফরী কথা তাতে কোন সন্দেহ নেই। যারা এ ধরনের আক্বীদা পোষণ করে তারা কাফের ও মুশরিক।


প্রশ্নকারী : কবি জসীমুদ্দীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।





প্রশ্ন (১৪) : জনৈক আলেম বলেন, ছোট বেলায় হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) জামার জন্য কাঁদতে থাকলে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁদের জন্য লাল ও সবুজ দু’টি জামা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছিলেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে দরিদ্রতা আসে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) :  জনৈক খত্বীব বলেন, জুম‘আর দিন হল গরীবের হজ্জের দিন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা হজ্জ করতে যেতে পারবে কি? বুদ্ধিমান বালক কি মাহরাম হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের নিকট দিয়ে কোন ইহুদী বা খ্রিস্টান বা মুসলিমের লাশ অতিক্রম করবে, তখন তোমরা তার জন্য দাঁড়াবে। এটা তার সম্মানে নয়, তোমরা মূলত ফেরেশতাদের সম্মানার্থে দাঁড়াও’ (মুসনাদে আহমাদ হা/১৯৫০৯) মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : সউদী আরবের স্থায়ী গবেষণা ও ফাতাওয়া বোর্ড মুনাজাতের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত দিয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : শুক্রবারে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং সেদিন কেউ মারা গেলে বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মানুষ রাতে ঘুমালে শয়তান তার গ্রীবাদেশে তিনটি গিরা দেয়। শয়তানের এই তিনটি গিরা খোলার উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : সর্বনিম্ন কত টাকা থাকলে যাকাত দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মুনাজাতের পর মুখে হাত মাসাহ করা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : মদীনায় একদিন রামাযানের ছিয়াম রাখা, অন্য শহরের এক হাযার রামাযানের চেয়ে উত্তম। মদীনায় একদিনের জুম‘আর ছালাত অন্য শহরে এক হাযার জুম‘আ পড়ার চেয়েও উত্তম’ (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর ১/৪৯৩ পৃঃ, হা/১১৪৪)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : ছালাতে রুকূ থেকে উঠে দুই হাত উত্তোলন করার পর হাত ছেড়ে দিতে হবে, না-কি আবার বুকে হাত বাঁধতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ