শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক। ফের‘আউনের লাশ ক্বিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত থাকবে এই ব্যাখ্যা সঠিক নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজ তোমরা দেহকে সংরক্ষণ করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো’ (সূরা ইউনুস ৯২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

أَيْ نُلْقِيكَ عَلَى نَجْوَةٍ مِنَ الْأَرْضِ. وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يُصَدِّقُوا أَنَّ فِرْعَوْنَ غَرِقَ.

‘অর্থাৎ আমরা তোমার দেহকে যমীনের উঁচু স্থানে নিক্ষেপ করব। এর কারণ হল, বানী ইসরাঈলের লোকেরা বিশ্বাস করেনি যে, ফের‘আউন ডুবে মরেছে’ (তাফসীরে কুরতুবী ৮/৩৭৯ পৃ.)। ইমাম ইবনে কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

لِتَكُونَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ دَلِيلًا عَلَى مَوْتِكَ وَهَلَاكِكَ.

‘তোমার মৃত্যু ও ধ্বংস যেন বানী ইসরাঈলদের জন্য প্রমাণ হিসাবে কাজ করে’ (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৪/২৯৪ পৃ.)। প্রায় সব মুফাসসিরের বক্তব্য একই।

স্পষ্ট হল যে, এটা বানী ইসরাঈলদের জন্য নিদর্শন ছিল। কারণ তাদের মধ্যে যারা ফেরাউনের মৃত্যুকে অস্বীকার করেছিল তাদের জন্য আল্লাহ ফেরাঊনের মৃত দেহকে সাগরের তীরে উপস্থাপন করেছিলেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত রাখার জন্য নয়। কারণ আয়াতে এমনটি বলা হয়নি। ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) স্পষ্ট করে বলেন,

فَلَمَّا رَأَتْهُ بَنُو إِسْرَائِيلَ قَالُوا نَعَمْ! يَا مُوسَى هَذَا فِرْعَوْنُ وَقَدْ غَرِقَ، فَخَرَجَ الشَّكُّ مِنْ قُلُوبِهِمْ وَابْتَلَعَ الْبَحْرُ فِرْعَوْنَ كَمَا كَانَ

বানী ইসরাইলের লোকেরা যখন ফেরাউনের মৃত লাশ দেখল, তখন তারা বলল, হে মূসা (আলাইহিস সালাম) এটা ফের‘আউন ডুবে মরেছে। এভাবে তাদের অন্তর থেকে যখন সন্দেহ দূর হয়ে গেল, তখন সাগর আবার ফেরাউনকে গিলে ফেলল (তাফসীরে কুরতুবী ৮/৩৮০ পৃ.)। শাইখ ফাওযান বলেন, যারা ধারণা করে ফেরাউনের লাশ এখনো মিশরে আছে তারা মূর্খ। ফেরাউনের মৃত দেহ ক্ষণিকের জন্য যমীনের উপর তুলার উদ্দেশ্যে ছিল  ফেরাউনের মৃত্যু সম্পর্কে বনী ইসরাইলের লোকেদের বিশ্বাস করানো। লাশ দেখার পর তারা বিশ্বাস করে নিয়েছে আর উদ্দেশ্যেও পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে (আল-মুন্তাক্বা ১/২১৩ পৃ.)।

ইমাম মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

هم الذين يقولون إن فرعون صاحب موسى موجود في الأهرامات، هذا كذب وكلام لا أصل له.

যারা বলেন, ফের‘আউনের লাশ এখনো পিরামিডে আছে, এটা তাদের মিথ্যাচার; এটা এমন কথা যার কোন ভিত্তি নেই (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ ১৮৩/২৫)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ তাহসীন, রংপুর।





প্রশ্ন (৪): আদম সন্তানের বীর্য কি পবিত্র? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : জনৈক মহিলার সাধারণত ৭ম দিনে হায়েয শেষ হয়। কিন্তু মাঝে ১/২ দিন স্রাব সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। প্রশ্ন হল- উক্ত এক বা দুই দিন সে ছলাত/ছিয়াম পালন করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জুতা পরা ও খুলার সময় কোন্ পা আগে দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : জনৈক ব্যক্তি পীরের মুরীদ। তার বিশ্বাস হল- পীর সবকিছু করে দিবে। মুরীদ না হলে মৃত্যুর সময় শয়তান এসে ঈমান লুটে নিবে। উক্ত আক্বীদা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১): শিল্পী ও নর্তকীদের উপার্জন কি হালাল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : অনেকে জ্বর এবং যাবতীয় বেদনার জন্য নিম্নের দু‘আটি আমল করেন- بِسْمِ اللهِ الْكَبِيْرِ أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَّمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ  ‘মহান আল্লাহ্র নামে, মর্যাদাবান আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাচ্ছি সমস্ত রক্তপূর্ণ শিরার অপকার হতে এবং জাহান্নামের উত্তাপ হতে’। এই দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : কারো নাম কি মাছুমা বিলকীস কিংবা শুধু মাছুমা রাখা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : টিকটিকি মারার ফযীলত সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। অনেকেই বলে, তা টিকটিকি নয়, বরং তা গিরগিটি কিংবা কাঁকলাস মারতে হবে। এর সঠিক অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : গীবতকারীর আমল যার নামে গীবত করা হয়েছে তার আমলনামায় চলে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কিছু কিছু মসজিদে ক্বিবলার দিক নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কম্পাস অনুযায়ী ঠিক ক্বিবলার দিকে পড়ে না। এক্ষণে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যে ব্যক্তি চারের অধিক বিয়ে করেছে, ইসলামে তার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : পালিত পুত্র-কন্যা কি পালক পিতা-মাতার জন্য এবং তাদের প্রকৃত সন্তানদের ক্ষেত্রে মাহরাম হিসাবে গণ্য হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ