বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক। ফের‘আউনের লাশ ক্বিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত থাকবে এই ব্যাখ্যা সঠিক নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজ তোমরা দেহকে সংরক্ষণ করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো’ (সূরা ইউনুস ৯২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

أَيْ نُلْقِيكَ عَلَى نَجْوَةٍ مِنَ الْأَرْضِ. وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يُصَدِّقُوا أَنَّ فِرْعَوْنَ غَرِقَ.

‘অর্থাৎ আমরা তোমার দেহকে যমীনের উঁচু স্থানে নিক্ষেপ করব। এর কারণ হল, বানী ইসরাঈলের লোকেরা বিশ্বাস করেনি যে, ফের‘আউন ডুবে মরেছে’ (তাফসীরে কুরতুবী ৮/৩৭৯ পৃ.)। ইমাম ইবনে কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

لِتَكُونَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ دَلِيلًا عَلَى مَوْتِكَ وَهَلَاكِكَ.

‘তোমার মৃত্যু ও ধ্বংস যেন বানী ইসরাঈলদের জন্য প্রমাণ হিসাবে কাজ করে’ (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৪/২৯৪ পৃ.)। প্রায় সব মুফাসসিরের বক্তব্য একই।

স্পষ্ট হল যে, এটা বানী ইসরাঈলদের জন্য নিদর্শন ছিল। কারণ তাদের মধ্যে যারা ফেরাউনের মৃত্যুকে অস্বীকার করেছিল তাদের জন্য আল্লাহ ফেরাঊনের মৃত দেহকে সাগরের তীরে উপস্থাপন করেছিলেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত রাখার জন্য নয়। কারণ আয়াতে এমনটি বলা হয়নি। ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) স্পষ্ট করে বলেন,

فَلَمَّا رَأَتْهُ بَنُو إِسْرَائِيلَ قَالُوا نَعَمْ! يَا مُوسَى هَذَا فِرْعَوْنُ وَقَدْ غَرِقَ، فَخَرَجَ الشَّكُّ مِنْ قُلُوبِهِمْ وَابْتَلَعَ الْبَحْرُ فِرْعَوْنَ كَمَا كَانَ

বানী ইসরাইলের লোকেরা যখন ফেরাউনের মৃত লাশ দেখল, তখন তারা বলল, হে মূসা (আলাইহিস সালাম) এটা ফের‘আউন ডুবে মরেছে। এভাবে তাদের অন্তর থেকে যখন সন্দেহ দূর হয়ে গেল, তখন সাগর আবার ফেরাউনকে গিলে ফেলল (তাফসীরে কুরতুবী ৮/৩৮০ পৃ.)। শাইখ ফাওযান বলেন, যারা ধারণা করে ফেরাউনের লাশ এখনো মিশরে আছে তারা মূর্খ। ফেরাউনের মৃত দেহ ক্ষণিকের জন্য যমীনের উপর তুলার উদ্দেশ্যে ছিল  ফেরাউনের মৃত্যু সম্পর্কে বনী ইসরাইলের লোকেদের বিশ্বাস করানো। লাশ দেখার পর তারা বিশ্বাস করে নিয়েছে আর উদ্দেশ্যেও পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে (আল-মুন্তাক্বা ১/২১৩ পৃ.)।

ইমাম মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

هم الذين يقولون إن فرعون صاحب موسى موجود في الأهرامات، هذا كذب وكلام لا أصل له.

যারা বলেন, ফের‘আউনের লাশ এখনো পিরামিডে আছে, এটা তাদের মিথ্যাচার; এটা এমন কথা যার কোন ভিত্তি নেই (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ ১৮৩/২৫)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ তাহসীন, রংপুর।





প্রশ্ন (৪৫) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতে আমি যদি ইমামের ৩য় বা ৪র্থ রাক‘আত পাই, তাহলে সেটা আমার কততম রাক‘আত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : যাকাত বা ওশরের টাকা মাদরাসায় দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : কোন অসুস্থ ব্যক্তি দু‘আ চাইলে শুক্রবারে জুমু‘আর ছালাতের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭): ন্যায়পরায়ণ মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : তারাবীহর ছালাত চলছে। এমতাবস্থায় এশার ফরয ছালাত আদায়ের নিয়ত করে তারাবীহর জামা‘আতে শরীক হওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : অনেকে বলেন, বিদ‘আত দুই প্রকার, এর দলীল হিসাবে আলেমের (ইমাম নববী রহ.) উক্তি দেন। বিদ‘আত কি আসলেই দু প্রকার? কোন সাহাবী তাবেঈ কি এরূপ ভাগ করতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং বলে, যা তোকে ছেড়ে দিলাম, ত্বালাক্ব, ত্বালাক্ব, ত্বালাক্ব বলে তিনবার উচ্চারণ করে। ভুল বুঝতে পেরে পরে ক্ষমা চায়। উক্ত ত্বালাক্ব কি সাব্যস্ত হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মাযহাবী মসজিদের ইমাম ছালাতে রাফঊল ইয়াদাইন করে না, আমীনও জোরে বলে না। এমতাবস্থায় কোন মুছল্লী যদি সেগুলো করে, তাহলে কি ইমামের অনুসরণ করাকে অমান্য করা হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মুনাজাতের পর মুখে হাত মাসাহ করা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুম‘আর দিন আমার উপর ৪০ বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ৪০ বছরের পাপ ক্ষমা করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে তার পক্ষ থেকে তা গ্রহণযোগ্য হবে এবং তার ৮০ বছরের পাপ আল্লাহ মাফ করে দিবেন (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃ. ৯০)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জন্ম নিবন্ধন প্রথমে সঠিক বয়স দিয়েই তৈরি করা ছিল। কিন্তু পরে ২ বছর কমিয়ে নতুন করে সংশোধন করা হয় এবং তার আলোকেই একাডেমিক সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট করা হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি এটা গুনাহের কাজ। কিন্তু সংশোধন করার কোন উপায় পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ