বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত রোগের কারণে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করবে (আবূ দাঊদ, হা/৩৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৮১৩, ১৭৮৪৫; ইরওয়াউল গালীল, হা/১৫৪; তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব, ১/৩৬; ফাৎহুল ক্বাদীর, ১/১২৪-১২৫, ১৩৪; আল-ইনছাফ, ১/১৯৩; আল-মুগনী, ১/১৮৯, ১৯২ পৃ.)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি শরীরে কোন ক্ষত থাকে কিংবা নাকে কোন কোল্ড এলার্জি বা ঘা থাকে অথবা চর্মরোগ থাকে, সেক্ষেত্রে সম্ভবপর হলে ওযূর সময় ক্ষতস্থান ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ধৌত করবে এবং আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গগুলোর উপর সিক্ত হস্তে মাসাহ করবে। আর যদি সম্ভবপর না হয় তবে তার জন্য ওযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা বৈধ (শারহুল ঊমদাহ, ১/৪৩৩-৪৩৪; আশ-শারহুল মুমতি‘, ১/১৭২, ২১০, ৩৭৮-৩৭৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৯৩৫)। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا ‘আল্লাহ কাউকেই তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮৬)‌‌। অন্যত্র তিনি বলেন, فَاتَّقُوا اللّٰهَ مَا اسۡتَطَعۡتُمۡ ‘তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর’ (সূরা আত-তাগাবূন : ১৬)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ ‘আর যদি আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ে আদেশ করি তাহলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭২৮৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৩৭)।

প্রশ্নকারী : মাহমুদুল হাসান, বগুড়া।





প্রশ্ন (২২) : জনৈক আলেম لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ এই আয়াত সম্পর্কে বলেন যে, এর ব্যাখ্যা হল নিম্নে দু‘আ- لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، وَسُبْحَانَ اللهِ، وَبِحَمْدِهِ، وَأَسْتَغْفِرُ اللهَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আর এর ফযীলত হল, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে উক্ত আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ছয়টি ফযীলত রয়েছে- (ক) সে শয়তান ও তার সহযোগীদের থেকে রক্ষা পাবে। (খ) তাকে এক কিনতার (অঢেল মাপ) পরিমাণ নেকী দেয়া হবে। (গ) তার জন্য জান্নাতে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। (ঘ) তার সাথে চোখ জুড়ানো হুরদের বিবাহ দেয়া হবে। (ঙ) তার নিকট দশজন ফেরেশতা উপস্থিত থাকবে। (চ) কুরআন, তাওরাত, ইঞ্জীল ও যাবূর তেলাওয়াত করার মত নেকী দেওয়া হবে। বিশেষ করে সে একটি কবুল হজ্জ ও ওমরার নেকী পাবে। যদি সে ঐ দিন মারা যায় তবে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বিবাহিত পুরুষ কুমারী মেয়ের সাথে যেনা করলে ইসলামী শরী‘আতে তার শাস্তি কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মসজিদের ইমাম যদি বিশ্বাস করে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নূর থেকে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সৃষ্টি করেছেন, তাহলে সেই ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ওযূতে মোজার উপর মাসাহ করতে হবে, না-কি জুতার উপর? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জ্যোতিষী ও গণকদের বই-পুস্তক ও প্রবন্ধ পড়ার হুকুম কী? তাদের কথা বিশ্বাস করলে কি ৪০ দিনের ছালাত কবুল হবে না? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ২৭ শে রামাযানের রাত্রিকে সারা বিশ্বে ক্বদরের রাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। এ ব্যাপারে ইসলামের পরিষ্কার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : যে ঘরে কুরআন আছে, সে ঘরে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে কাপড় পরিবর্তন করা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : প্রচলিত আছে যে, ‘জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, পৃথিবীতে বৃষ্টি হলে কত ফোটা পানি পড়ে, আমি তা গুণতে পারি, কিন্তু যৌবনের ইবাদতের ছওয়াব গুণে শেষ করতে পারি না’। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : যারা রাসূল (ﷺ)-কে গালি দেয়, তাদের হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : কেক ও চকলেটের উপর ‘আল্লাহ’ লেখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : দর্শনীয় কোন স্থানের ছবি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তোলা অথবা সেই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে নিজের ছবি তোলা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : জামা‘আতে ছালাত আদায় করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ