উত্তর : উক্ত রোগের কারণে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করবে (আবূ দাঊদ, হা/৩৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৮১৩, ১৭৮৪৫; ইরওয়াউল গালীল, হা/১৫৪; তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব, ১/৩৬; ফাৎহুল ক্বাদীর, ১/১২৪-১২৫, ১৩৪; আল-ইনছাফ, ১/১৯৩; আল-মুগনী, ১/১৮৯, ১৯২ পৃ.)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি শরীরে কোন ক্ষত থাকে কিংবা নাকে কোন কোল্ড এলার্জি বা ঘা থাকে অথবা চর্মরোগ থাকে, সেক্ষেত্রে সম্ভবপর হলে ওযূর সময় ক্ষতস্থান ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ধৌত করবে এবং আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গগুলোর উপর সিক্ত হস্তে মাসাহ করবে। আর যদি সম্ভবপর না হয় তবে তার জন্য ওযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা বৈধ (শারহুল ঊমদাহ, ১/৪৩৩-৪৩৪; আশ-শারহুল মুমতি‘, ১/১৭২, ২১০, ৩৭৮-৩৭৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৯৩৫)। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا ‘আল্লাহ কাউকেই তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮৬)। অন্যত্র তিনি বলেন, فَاتَّقُوا اللّٰهَ مَا اسۡتَطَعۡتُمۡ ‘তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর’ (সূরা আত-তাগাবূন : ১৬)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ ‘আর যদি আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ে আদেশ করি তাহলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭২৮৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৩৭)।
প্রশ্নকারী : মাহমুদুল হাসান, বগুড়া।