উত্তর : এগুলো রাখা শিরক। উক্ববাহ ইবনু আমীর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَن تَعَلَّقَ تَمِيْمَةً فَلَا أَتَمَّ اللهُ لَهُ وَمَنْ تَعَلَّقَ وَدَعَةً فَلَا وَدَّعَ اللهُ لَهُ ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলায় (পরিধান করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুক ঝুলায় তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪০৪, সনদ ছহীহ)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘জিন-পরী, শয়তান, বদনযর বা চোখ লাগা থেকে আরোগ্য লাভ করার জন্য বাচ্চাদের আশেপাশে রসূন, ম্যাচের কাঠি, শামুক, কড়ি, শঙ্খ ইত্যাদি রাখা, লটকানো বা পরিধান করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো পূর্ববর্তী মুশরিকদের আমলের ন্যায়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনি বায, ২৮/২৯২ পৃ.)।
উল্লেখ্য যে, জিন-শয়তান ও বদনযরের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য সকাল এবং সন্ধ্যায় পঠিতব্য যিকরগুলো পাঠ করতে হবে। বিশেষ করে সন্তান-সন্ততির নিরাপত্তার জন্য নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়তে হবে। নবী (ﷺ) হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর জন্য এই বলে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
‘আমি তোমাদের দু’জনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান, ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ ও বিষাক্ত প্রাণী থেকে এবং সকল প্রকার বদনযর থেকে মুক্তি চাইছি’ অতঃপর তিনি বলতেন, তোমাদের পিতাও (ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)) ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) এবং ইসহাক (আলাইহিস সালাম) উভয়ের জন্য এ দু‘আ পড়ে আশ্রয় চাইতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭১)। এছাড়াও সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব এবং সূরা নাস, আয়াতুল কুরসী পড়ে বাচ্চাকে ঝাড়ফুঁক করবে।
প্রশ্নকারী : সাকিবুল ইসলাম, লালবাগ, ঢাকা।