আল-কুরআনে নারী কেন্দ্রিক আলোচনা ও শিক্ষনীয় বিষয়সমূহ
-ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন*
আল-কুরআন সকল জ্ঞানের উৎসধারা। মানবীয় জীবনধারার সকল নীতিমালা সেখানে বিদ্যমান। আল-কুরআনে সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, গাছ-গাছালী, জীব-জন্তু ইত্যাদি সম্পর্কে যেমন পরিপূর্ণ আলোচনা রয়েছে, তেমনি মানবজাতির প্রয়োজনীয় সকল বিষয়েরও বর্ণনা উল্লিখিত হয়েছে। পৃথিবীতে পুরুষ ও নারী উভয় শ্রেণীর মানবের উপস্থিতি ব্যাপকহারে দৃশ্যমান। মূলত এই শ্রেণীর মানুষের মাধ্যমেই পৃথিবী পরিচালিত হচ্ছে। আর উভয়ের জীবন পরিচালনার মানদণ্ড ও আল-কুরআনে বিস্তারিত আকারে বিবরণ এসেছে। অত্র প্রবন্ধে আল-কুরআনে নারী কেন্দ্রিক আলোচনা ও তার শিক্ষণীয় বিষয়সমূহের বর্ণনা পেশ করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
আলোচনার ধরন
আল-কুরআনে নারী কেন্দ্রিক আলোচনা মূলত দুই ধরনের। ক. ঈমানদার নারী। তাদের গুণাবলী, বৈশিষ্ট্য ও ঘটনাবলী ইত্যাদি। খ. কাফির নারী। তাদের বদ বৈশিষ্ট্য ও ঘটনাবলী ইত্যাদি।
ক. ঈমানদার নারী
আল-কুরআনে ঈমানদার নারীর অনেক গুণ তুলে ধরা হয়েছে। নারীরা যদি তাদের জীবনে সে গুণগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারেন, তাহলে ইহ-পরকালে তারা ঈমানদার নারী হিসাবে সফলতা লাভ করবে। তাদের জীবন হয়ে উঠবে আনন্দ, সুখ ও সমৃদ্ধিময় এক অনাবিল আবহ। যা তাকে দুনিয়া ও পরকালে সম্মানের আসনে আসীন করে। কয়েকটি গুণ নিম্নরূপ :
গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য
১. দ্বীনদার বা নেককার : কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা صَالِحَاتُ তথা দ্বীনদার বা নেককার গুণের অধিকারী হিসাবে নারীকে উল্লেখ করেছেন (সূরা আন-নিসা : ৩৪)। উক্ত শব্দের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, المستقيمات الدين، العاملات بالخير ‘দ্বীনের সঠিক অনুসরণকারিণী ও সৎকর্মশীল নারীগণ’।[১]
২. বিশ্বস্ত ও অনুগত হওয়া : আল-কুআনুল কারীমে قَانِتَاتٌ শব্দ (সূরা আন-নিসা : ৩৪) দ্বারা مطيعات لله ولأزواجهن ‘আল্লাহ তা‘আলা ও তাদের স্বামীর অনুগত হওয়া’ বোঝানো হয়েছে।[২] ইসলামী শরী‘আত অনুমোদিত বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করতে এবং সুখে-দুঃখে তার পাশে থেকে সাহস জোগাতে বলা হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা আইয়ূব (আলাইহিস সালাম)-এর স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, যিনি চরম অসুস্থতা ও দরিদ্রতার মধ্যেও স্বামীর পাশে ছিলেন এবং অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ কর, আমার বান্দা আইয়ূবকে, যখন সে তাঁর প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর। এই তো গোসলের সুশীতল পানি ও পানীয়। আমি তাকে দান করেছিলাম তাঁর পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরো, আমার অনুগ্রহস্বরূপ এবং বোধসম্পন্ন মানুষের জন্য উপদেশস্বরূপ’ (সূরা ছোয়াদ : ৪১-৪৩)।
৩. সতীত্ব ও সম্পদের হেফাযত করা : আল-কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, حٰفِظٰتٌ لِّلۡغَیۡبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰہُ ‘নিজের সতীত্বের হেফাযত করা এবং স্বামীর (অনুপস্থিতিতে তার) ধন-সম্পদ হেফাযত করা’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪)। এ অংশের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নারীগণ তাদের স্বামীর অবর্তমানে নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাযত করবে এবং এক্ষেত্রে কোন ধরনের খেয়ানত করবে না। আর স্বামীর ধন-সম্পদ সংরক্ষণ করবে। তাদের উপর এ দায়িত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকেই আরোপিত’।[৩] আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তোমাকে আনন্দিত করে, আদেশ করলে আনুগত্য করে, তুমি দূরে থাকলে তার নিজের ব্যাপারে এবং তোমার সম্পদের ব্যাপারে তোমার অধিকার রক্ষা করে। তারপর তিনি কুরআনের এ আয়াতের اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ সম্পূর্ণ তেলাওয়াত করেন’।[৪]
৪. পবিত্র ও চরিত্রবান হওয়া : এ গুণ সম্পর্কে কুরআনুল কারীমে এক আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ الطَّیِّبٰتُ لِلطَّیِّبِیۡنَ وَ الطَّیِّبُوۡنَ لِلطَّیِّبٰتِ ‘পবিত্র নারীরা পবিত্র পুরুষদের উপযুক্ত আর পবিত্র পুরুষরা পবিত্র নারীদের উপযুক্ত’ (সূরা আন-নূর : ২৬)।
৫. নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী হওয়া : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, مُحۡصَنٰتٍ غَیۡرَ مُسٰفِحٰتٍ وَّ لَا مُتَّخِذٰتِ اَخۡدَانٍ ‘তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চারিত্রিক পবিত্রতাসম্পন্ন হবে, ব্যভিচারিনী হবে না এবং গোপনে কোন অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারিণী হবে না’ (সূরা আন-নিসা : ২৫)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘চারিত্রিক নিষ্কলুষতার অধিকারিণী নারীগণ, যারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ব্যভিচারিণী হবে না এবং সঙ্গোপনে অবৈধ বন্ধু গ্রহণকারিণী হবে না’। তিনি আরো বলেন, ‘জাহিলী যুগের লোকেরা প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হারাম মনে করত, কিন্তু গোপনে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হালাল মনে করত। এই প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করলেন যে, ‘তোমরা প্রকাশ্যে হোক, অপ্রকাশ্যে হোক কোন রকম অশ্লীল কাজের কাছেও যেও না’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৫১)।[৫]
৬. সরলমনা হওয়া : মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা সম্পর্কিত আয়াতে আল্লাহ বলেন, اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۪ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ‘যারা নেককার, সরলমনা ও বিশ্বাসী নারীর প্রতি (যিনার) অপবাদ আরোপ করে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি’ (সূরা আন-নূর : ২৩)। উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সরলমনা হওয়াকে বিশেষ গুণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
৭. ঘরে অবস্থানকারী নারী : মহান আল্লাহ বলেন, وَ قَرۡنَ فِیۡ بُیُوۡتِکُنَّ وَ لَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ الۡجَاہِلِیَّۃِ الۡاُوۡلٰی ‘এবং তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে; প্রাচীন জাহিলী যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না’ (সূরা আল-আহযাব : ৩৩)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থানকে অবধারিত করে নাও। প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থেকে বের হবে না’।[৬]
৮. লজ্জা ও শালীনতা : আল-কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা একজন নারীর শালীন আচরণের প্রশংসা করে বলেছেন, فَجَآءَتۡہُ اِحۡدٰىہُمَا تَمۡشِیۡ عَلَی اسۡتِحۡیَآءٍ ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পায়ে তার কাছে এলো’ (সূরা আল-ক্বাছাছ : ২৫)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَ لَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِہِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِہِنَّ ؕ وَ تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ جَمِیۡعًا اَیُّہَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ‘তারা যেন তাদের গোপন আবরণ প্রকাশের জন্য সজোরে পা না ফেলে। হে মুমিনরা! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। যেন তোমরা সফল হও’ (সূরা আন-নূর : ৩১)।
৯. মার্জিত ভাষা : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে নারীদের মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে বলেছেন। যা অস্পষ্টতা, জড়তা ও পাপের ইঙ্গিতবহ হবে না। ইরশাদ হয়েছে, وَّ قُلۡنَ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا ‘আর তোমরা ন্যায়সংগতভাবে কথা বল’ (সূরা আল-আহযাব : ৩২)। উক্ত বাক্যের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছেন, مِنْ غَيْرِ رَفْعِ صَوْتٍ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ مَأْمُورَةٌ بِخَفْضِ الْكَلَامِ ‘নারীরা অনুচ্চ ভাষায় এমনভাবে কথা বলবে, যা শরী‘আত নিষেধ করেনি এবং মানুষের কাছেও তা শুনতে খারাপ মনে হয় না’।[৭] ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, قولا حسنًا جميلا معروفًا في الخير ‘নারীরা সুন্দর, মার্জিত ও কল্যাণবহ কথা বলবে’।[৮]
১০. জাত্যভিমান : বহু নারী নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ ভাবতে পসন্দ করে। এমনকি নিজের ও নিজ পরিবারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। কুরআনে এমন অহঙ্কারের ব্যাপারে নারীকে সতর্ক করা হয়েছে। মহানবী (ﷺ) জয়নব বিনতে জাহাস (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে যায়েদ বিন হারিসা (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইলে তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। কেননা তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের আর যায়েদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আগে দাস ছিলেন। এই জাত্যভিমানের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা নিম্নের আয়াত নাযিল করেন। তিনি বলেন, وَ مَا کَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّ لَا مُؤۡمِنَۃٍ اِذَا قَضَی اللّٰہُ وَ رَسُوۡلُہٗۤ اَمۡرًا اَنۡ یَّکُوۡنَ لَہُمُ الۡخِیَرَۃُ مِنۡ اَمۡرِہِمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیۡنًا ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ বা কোন মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে’ (সূরা আল-আহযাব : ৩৬)।[৯]
১১. মোহনীয় বাকভঙ্গি : আল-কুরআনে নারীর কথার জাদুময়তার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنِ اتَّقَیۡتُنَّ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِالۡقَوۡلِ فَیَطۡمَعَ الَّذِیۡ فِیۡ قَلۡبِہٖ مَرَضٌ ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বল না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়’ (সূরা আল-আহযাব : ৩২)। মুফাসসিরগণ এই আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, ‘কথার এই কোমলতা ও মোহনীয় ভঙ্গি নারীর বিশেষ গুণ। যা তার স্বামী ও আপনজনের জন্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি দুর্বল ঈমানের পুরুষদের প্রলুব্ধ হওয়ার ভয় আছে তার সামনে তা প্রকাশ করা নিন্দনীয়’।[১০]
১২. জিহ্বার ব্যাধি : মানুষের জবান বা কথার ১৪টি ব্যাধি রয়েছে। যেমন অর্থহীন কথা, পরচর্চা, পরনিন্দা, রুক্ষতা, অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ, অভিশাপ, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ, উপহাস, গোপনীয়তা প্রকাশ, মিথ্যা কথা ও মিথ্যা আশ্বাস ইত্যাদি। এর কোন কোনটি নারীর ভেতর বেশি পাওয়া যায়, আবার কোন কোনটি পুরুষের ভেতর। তাই আল্লাহ তা‘আলা নারী-পুরুষের উভয়কেই এসব ব্যাধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡہُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡہُنَّ ‘হে মুমিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে বিদ্রƒপ না করে; কেননা তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর কোন নারীকেও যেন বিদ্রƒপ না করে; কেননা সে তাদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে’ (সূরা আল-হুজুরাত : ১১)।
১৩. দ্বীন পালনে পুরুষের সহযোগী : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু। তারা সৎকাজে আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, তারা ছালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। আল্লাহ তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আত-তাওবাহ : ৭১)।
১৪. পুরুষের মানসিক আশ্রয় : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ مِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ خَلَقَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا لِّتَسۡکُنُوۡۤا اِلَیۡہَا وَ جَعَلَ بَیۡنَکُمۡ مَّوَدَّۃً وَّ رَحۡمَۃً ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ ‘আল্লাহর নিদর্শন হল তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের ভেতর থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে বহু নিদর্শন রয়েছে’ (সূরা আর-রূম : ২১)।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
তথ্যসূত্র :
[১]. ইমাম ত্বাবারী, জামিঊল বায়ান ফী তা’বীলিল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ২৯৩।
[২]. জামিঊল বায়ান ফী তা’বীলিল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ২৯৪।
[৩]. প্রাগুক্ত, ৮ম খণ্ড, পৃ. ২৯৫।
[৪]. মুসনাদে বাযযার, হা/৮৫৩৭।
[৫]. জামিঊল বায়ান ফী তা’বীলিল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৯৩।
[৬]. ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪০৯।
[৭]. ইমাম কুরতুবী, আল-জামি‘ঊ লি আহকামিল কুরআন, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ১৭৮।
[৮]. ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪০৯।
[৯]. ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪২১।
[১০]. প্রাগুক্ত, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪০৮।
[১১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫; মাজমাঊয যাওয়ায়েদ, হা/১১৫২৯; বিস্তারিত দ্র. : সীরাতুর রাসূল (ছাঃ), মার্চ ২০১৫, পৃ. ৯৫-৯৬।