সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

ফাযায়েলে ত্বাহারাত

-মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
-অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


(১০ম কিস্তি)

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِّنَ الذُّنُوْبِ

৮). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন কোন মুসলিম অথবা মুমিন বান্দা ওযূ করে অতঃপর মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন তার মুখমণ্ডল হতে পানির সাথে অর্থাৎ পানির শেষ বিন্দুর সাথে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তাঁর দু’চোখ দেখেছে। যখন দু’হাত ধৌত করে, তখন পানির সাথে অর্থাৎ পানির শেষ বিন্দুর সাথে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তাঁর দু’হাত দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। যখন পা ধৌত করে, তখন পানির সাথে অর্থাৎ পানির শেষ বিন্দুর সাথে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যে পাপের কারণে তাঁর পা চলেছে। শেষ পর্যন্ত সে গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যায়’।[১]
-----
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَىْ مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا بَلَىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَى إِلَىْ الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَذَالِكُمُ الرِّبَاطُ

৯). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কি তোমাদের বলে দিব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের গুনাহসমূহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ১. কষ্ট সত্ত্বেও পূর্ণভাবে ওযূ করা ২. মসজিদসমূহের দিকে অধিক পদচারণা ৩. এক ছালাতের পর পরবর্তী ছালাতের প্রতীক্ষায় থাকা। আর এটিই হচ্ছে রিবাত বা প্রহরী।[২]
-----
ওযূতে তিনবার ধৌত করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন, وَ اتَّبِعُوۡۤا  اَحۡسَنَ مَاۤ   اُنۡزِلَ  اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً  وَّ  اَنۡتُمۡ  لَا  تَشۡعُرُوۡنَ ‘আর অনুসরণ কর উত্তম যা নাযিল করা হয়েছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে আযাব আসার পূর্বে। অথচ তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না’ (সূরা আয-যুমার : ৫৫)।

عَنْ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ دَعَا بِوَضُوْءٍ فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِيْ هَذَا ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوْئِيْ هَذَا ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ فِيْهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

১০). ওছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর গোলাম হুমরান থেকে বর্ণিত, একবার ওছমান ইবনু ‘আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার কাছে ওযূর পানি চাইলেন। অতঃপর তিনি ওযূ করতে আরম্ভ করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), তিনি [ওছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)] তিনবার তাঁর হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুলেন, এরপর কুলি করলেন এবং নাক ঝাড়লেন। এরপর তিনবার তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন এবং ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর বাম হাত অনুরূপভাবে ধুলেন। অতঃপর তিনি মাথা মাসাহ করলেন। এরপর তাঁর ডান পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, অতঃপর তদ্রুপভাবে বাম পা ধুলেন তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার এ ওযূর করার ন্যায় ওযূ করতে দেখেছি এবং ওযূ শেষে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ ওযূর ন্যায় ওযূ করবে এবং একান্ত মনোযোগের সাথে দুই রাকা‘আত ছালাত আদায় করবে, সে ব্যক্তির পিছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’।[৩]

ওযূ সংরক্ষণ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

یَوۡمَ تَرَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ یَسۡعٰی نُوۡرُہُمۡ بَیۡنَ  اَیۡدِیۡہِمۡ وَ بِاَیۡمَانِہِمۡ  بُشۡرٰىکُمُ  الۡیَوۡمَ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ذٰلِکَ ہُوَ  الۡفَوۡزُ  الۡعَظِیۡمُ

‘সেদিন তুমি মুমিন পুরুষদের ও মুমিন নারীদের দেখতে পাবে যে, তাদের সামনে ও তাদের ডান পার্শ্বে তাদের নূর ছুটতে থাকবে। (বলা হবে) আজ তোমাদের সুসংবাদ হল জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তথায় তোমরা স্থায়ী হবে। এটাই হল মহা সাফল্য’ (সূরা আল-হাদীদ : ১২)।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ إِنَّ أُمَّتِيْ يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِيْنَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوْءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُّطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيفْعَلْ

১১). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে আহ্বান করা হবে ওযূর উজ্জ্বল শুভ্রতার চিহ্ন‎ দেখে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাঁর শুভ্রতার চিহ্ন দীর্ঘ করতে সক্ষম, সে যেন তাই করে’।[৪]
----
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ عِنْدَ صَلَاةِ الْغَدَاةِ يَا بِلَالُ حَدِّثْنِيْ بِأَرْجَى عَمَلٍ عَمِلْتَهُ عِنْدَكَ فِي الْإِسْلَامِ مَنْفَعَةً فَإِنِّيْ سَمِعْتُ اللَّيْلَةَ خَشْفَ نَعْلَيْكَ بَيْنَ يَدَيَّ فِي الْجَنَّةِ قَالَ بِلَالٌ مَا عَمِلْتُ عَمَلًا فِي الْإِسْلَامِ أَرْجَى عِنْدِيْ مَنْفَعَةً مِنْ أَنِّيْ لَا أَتَطَهَّرُ طُهُوْرًا تَامًّا فِيْ سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ وَلَا نَهَارٍ إِلَّا صَلَّيْتُ بِذَلِكَ الطُّهُوْرِ مَا كَتَبَ اللهُ لِيْ أَنْ أُصَلِّيَ

১২). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরের ছালাতের সময় বিলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললেন, হে বিলাল! আমাকে বল, ইসলামের মধ্যে তুমি এমন কোন্ ‘আমল করেছ, যার উপকারের বিষয়ে তোমার অধিক প্রত্যাশা। কারণ আজ রাতে আমি জান্নাতে আমার সম্মুখে তোমার জুতার শব্দ শুনেছি। রাবী বলেন, বিলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ইসলামের মাঝে এর চেয়ে অধিক লাভের প্রত্যাশা আমি অন্য কোন ‘আমলে করতে পারি না যে, আমি দিনে বা রাতে যখনই পূর্ণ ওযূ করি তখনই আল্লাহ তা‘আলা আমার ভাগ্যে যতক্ষণ লিখেছেন ততক্ষণ ঐ ওযূ দিয়ে ছালাত আদায় করে থাকি’।[৫]
-----
عَنْ ثَوْبَانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِسْتَقِيْمُوْا وَلَنْ تُحْصُوْا وَاعْلَمُوْا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلَاةُ وَلَا يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوْءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ

১৩). ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা যথাযথভাবে দ্বীনের উপর অবিচল থাকবে। কিন্তু কখনোই তোমরা তা যথাযথভাবে করতে পারবে না। তবে জেনে রেখ, তোমাদের সকল কাজের মধ্যে ছালাত সর্বোত্তম। আর ওযূর নিয়ম মুমিন ব্যতীত অন্য কেউ হেফাযত করে না’।[৬]

ওযূর পর যিকির ও ছালাত আদায়ের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ  وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাহকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২২২)। মহান আল্লাহ বলেন,

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یُرِدِ اللّٰہُ اَنۡ یُّطَہِّرَ قُلُوۡبَہُمۡ  لَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا خِزۡیٌ وَّ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ  عَذَابٌ  عَظِیۡمٌ

‘এরাই হচ্ছে তারা, যাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৪১)।

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الْإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِيْ فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ ثُمَّ يَقُوْمُ فَيُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَيَّ يَقُوْلُ الَّتِيْ قَبْلَهَا أَجْوَدُ فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّيْ قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ أَوْ فَيُسْبِغُ الْوَضُوْءَ ثُمَّ يَقُوْلُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ

১৪). ওক্ববাহ ইবনু ‘আমির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ওপর উট চরানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তাঁর এ কথা শুনতে পেলাম, ‘যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযূ করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। ওক্ববাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলাম, বাহ! হাদীছটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযূ করে এ দু‘আ পড়বে- ‘আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহূ’। তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’।[৭]
-----
عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ فَفَرَغَ مِنْ وَضُوْئِهِ ثُمَّ قَالَ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ طَبَعَ اللهُ عَلَيْهَا بِطَابَعٍ ثُمَّ رُفِعَتْ تَحْتَ الْعَرْشِ فَلَمْ تُكْسَرْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ

১৫). আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ওযু শেষে বলে, ‘সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আন্ লা ইলা-হা ইল্লা আংতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’, আল্লাহ তা‘আলা সেই ওযূর উপর সীল মেরে দেন, তা আরশের নিচে উঠানো হয় এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তা আর মিটিয়ে দেয়া হয় না।[৮]
-----
নাপাকীর গোসলের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

اِذۡ یُغَشِّیۡکُمُ النُّعَاسَ اَمَنَۃً مِّنۡہُ وَ یُنَزِّلُ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً  لِّیُطَہِّرَکُمۡ بِہٖ وَ یُذۡہِبَ عَنۡکُمۡ رِجۡزَ الشَّیۡطٰنِ وَ لِیَرۡبِطَ عَلٰی قُلُوۡبِکُمۡ وَ یُثَبِّتَ بِہِ  الۡاَقۡدَامَ

‘স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন তাঁর পক্ষ থেকে নিরাপত্তাস্বরূপ এবং আকাশ হতে তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর যাতে এর মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করেন, আর তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা দূর করেন, তোমাদের অন্তরসমূহ দৃঢ় রাখেন এবং এর মাধ্যমে তোমাদের পাপসমূহ স্থির রাখেন’ (সূরা আল-আনফাল : ১১)। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّا عَرَضۡنَا الۡاَمَانَۃَ عَلَی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ الۡجِبَالِ فَاَبَیۡنَ اَنۡ یَّحۡمِلۡنَہَا وَ اَشۡفَقۡنَ مِنۡہَا وَ حَمَلَہَا الۡاِنۡسَانُ اِنَّہٗ کَانَ ظَلُوۡمًا جَہُوۡلًا

‘নিশ্চয় আমরা আসমানসমূহ, যমীন ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত পেশ করেছি, অতঃপর তারা তা বহন করতে অস্বীকার করেছে এবং এতে ভীত হয়েছে। আর মানুষ তা বহন করেছে। নিশ্চয় সে ছিল অতিশয় যালিম, একান্তই অজ্ঞ’ (সূরা আল-আহযাব : ৭২)।

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسٌ مَّنْ جَاءَ بِهِنَّ مَعَ إِيْمَانٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ مَنْ حَافَظَ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ عَلَى وُضُوْئِهِنَّ وَرُكُوْعِهِنَّ وَسُجُوْدِهِنَّ وَمَوَاقِيْتِهِنَّ وَصَامَ رَمَضَانَ وَحَجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا وَأَعْطَى الزَّكَاةَ طَيِّبَةً بِهَا نَفْسُهُ وَأَدَّى الْأَمَانَةَ قَالُوْا يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ وَمَا أَدَاءُ الْأَمَانَةِ قَالَ الْغُسْلُ مِنَ الْجَنَابَةِ

১৬). আবূদ্দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে পাঁচটি কাজ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (১) যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ ও রুকূ‘-সিজদাহ সহকারে নির্ধারিত সময়ে ছালাত আদায় করবে, (২) রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করবে, (৩) পথ খরচের সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করবে, (৪) সন্তুষ্টচিত্তে যাকাত আদায় করবে এবং (৫) আমানত আদায় করবে’। লোকেরা বলল, হে আবূদ্দারদা! আমানত আদায়ের অর্থ কী? তিনি বললেন, অপবিত্র হলে গোসল করা।[৯]
-----
عَنِ الْبَرَاءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ { اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَہۡلِہَا} [النساء : ৫৮] قَالَ الْأَمَانَةُ فِي الصَّلَاةِ وَالْأَمَانَةُ فِي الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَاتِ وَالْأَمَانَةُ فِي الْكَيْلِ وَالْأَمَانَةُ فِي الْوَزْنِ وَأَعْظَمُ ذَلِكَ فِي الْوَدَائِعِ

১৭). বারা ইবনু আযেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দাও’ (সূরা আন-নিসা : ৫৮) উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আমানত আদায় হবে, ছালাতে, নাপাকীর গোসল থেকে পবিত্রতা অর্জনে ও পরিমাপের ক্ষেত্রে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল, কারো গচ্ছিত আমানত আদায় করা’।[১০]

জুমু‘আর দিন গোসল করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

يٰۤااَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ  اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ  اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ  اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا 

‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা ছালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসাহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর) এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালভাবে পবিত্র হও’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৬)। মহান আল্লাহ বলেন,

اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا  فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ   مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ  فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ  رَّحِیۡمٌ

‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নে‘মত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে পসন্দ করলাম। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৩)।

عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنْ الْإِمَامِ وَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا

১৮). আওস ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করাবে এবং নিজে গোসল করবে, সকাল সকাল প্রস্তুতি নিবে এবং সকালে মসজিদে যাবে, আরোহণ না করে পায়ে হেঁটে যাবে, মসজিদে ইমামের নিকটে বসবে, অতঃপর খুৎবা শুনবে এবং অনর্থক কিছু করবে না। তাহলে তার প্রত্যেক কদমে এক বছরের ছিয়াম পালন এবং তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের নেকী হবে’।[১১]
----
 عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الخَامِسَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ حَضَرَتِ المَلَائِكَةُ يَسْتَمِعُوْنَ الذِّكْرَ

১৯). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাতের গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং ছালাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল, সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতাগণ যিক্‌র শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে’।[১২]
-----
 عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنِ اغْتَسَلَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ ثُمَّ أَنْصَتَ حَتّٰى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ ثُمَّ يُصَلِّي مَعَهُ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى وَفَضْلُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ

২০). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গোসল করে জুমু‘আর ছালাত আদায় করতে যায়। অতঃপর যথাসম্ভব নফল ছালাত আদায় করে এবং ইমাম খুৎবা শেষ না করা পর্যন্ত চুপ থাকে। অতঃপর ইমামের সাথে ছালাত আদায় করে, তাহলে তাকে এক জুমু‘আহ হতে অপর জুমু‘আর মধ্যকার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। বরং আরও তিনদিনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়’।[১৩]
-----
নারীদের মধ্যে যে জুমু‘আর দিনে উপনীত হয় অথবা যে হয় না তার বর্ণনা

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلهِ تَعَالَى عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ حَقٌّ أَنْ يَغْتَسِلَ فِيْ كُلِّ سَبْعَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا

২১). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর আল্লাহর হক্ব রয়েছে যে, প্রতি সাতদিনে একবার সে যেন গোসল করে’।[১৪]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৪; মিশকাত, হা/২৮৫।
[২]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৫১; মিশকাত, হা/২৮২।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬; মিশকাত, হা/২৮২।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৩৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৬।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৫৮।
[৬]. ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/১০৩৭; মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৯০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৮৯; ইবনু মাজাহ, হা/২৭৭; দারেমী, হা/৬৫৫; সনদ ছহীহ।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৪।
[৮]. নাসাঈ কুবরা, হা/৯৮৩১; সনদ ছহীহ।
[৯]. আবূ দাঊদ, হা/২৩৪; সনদ হাসান, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৬৯।
[১০]. মুছান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, হা/৩৪৭৬৯, সনদ ছহীহ।
[১১]. আবূ দাঊদ, হা/৩৪৫; তিরমিযী, হা/৪৯৬; নাসাঈ, হা/১৩৮১; ইবনু মাজাহ, হা/১০৮৭; মিশকাত, হা/১৩৮৮, সনদ ছহীহ।
[১২]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৮১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫০।
[১৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫৭; মিশকাত, হা/১৩৮২।
[১৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৯৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৪৯।




প্রসঙ্গসমূহ »: তাহারাত-পবিত্রতা আমল
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে রামাযান - মুহাম্মাদ আবূ সাঈদ
ফাযায়েলে আমল: ফাযায়েলে তাওহীদ (৭ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
যিলহজ্জ মাসের আমল ও ফযীলত - মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ত্বাহারাত (৯ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ত্বাহারাত (১০ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৪তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ