সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

 ফাযায়েলে ছাদাক্বাহ

- মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
- অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*



ছাদাক্বাহ করার ফযীলত ও তাতে উৎসাহ দেয়ার বর্ণনা

মহান আল্লাহ বলেন,

یَمۡحَقُ اللّٰہُ الرِّبٰوا وَ یُرۡبِی الصَّدَقٰتِ وَ اللّٰہُ  لَا یُحِبُّ کُلَّ  کَفَّارٍ اَثِیۡمٍ

‘আল্লাহ সূদকে মিটিয়ে দেন এবং ছাদাক্বাকে বাড়িয়ে দেন, আর আল্লাহ প্রত্যেক অধিক কুফরকারী পাপীকে ভালোবাসেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৬)। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنۡ تُبۡدُوا الصَّدَقٰتِ فَنِعِمَّا ہِیَ وَ اِنۡ تُخۡفُوۡہَا وَ تُؤۡتُوۡہَا الۡفُقَرَآءَ فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ وَ یُکَفِّرُ عَنۡکُمۡ مِّنۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ

‘তোমরা যদি ছাদাক্বাহ প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তাও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭১)। মহান আল্লাহ বলেন,

اَلَمۡ  یَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ  یَقۡبَلُ التَّوۡبَۃَ عَنۡ عِبَادِہٖ وَ یَاۡخُذُ الصَّدَقٰتِ وَ اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ  التَّوَّابُ  الرَّحِیۡمُ

‘তারা কি জানে না যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং ছাদাক্বা গ্রহণ করেন। আর নিশ্চয় আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু’ (সূরা আত-তওবাহ : ১০৪)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اِنۡ کَانَ ذُوۡ عُسۡرَۃٍ فَنَظِرَۃٌ اِلٰی مَیۡسَرَۃٍ وَ اَنۡ تَصَدَّقُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ  کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ

‘আর যদি সে অসচ্ছল হয়, তাহলে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত তার অবকাশ। আর ছাদাক্বা করে দেয়া তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮০)। মহান আল্লাহ বলেন,

مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ وَ اللّٰہُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ  وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ

‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৬১)। মহান আল্লাহ বলেন,

اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ  اَنۡفَقُوۡا مَنًّا وَّ لَاۤ  اَذًی  لَّہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ  وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ  وَ لَا ہُمۡ  یَحۡزَنُوۡنَ

‘যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের সম্পদ ব্যয় করে, অতঃপর তারা যা ব্যয় করেছে, তার পেছনে খোঁটা দেয় না এবং কোন কষ্টও দেয় না, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান রয়েছে এবং তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা চিন্তিত হবে না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৬২)। মহান আল্লাহ বলেন,

لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ  عَلِیۡمٌ

‘তোমরা কখনো ছাওয়াব অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে, যা তোমরা ভালোবাস। আর যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত’ (সূরা আলি ‘ইমরান : ৯২)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمُ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ وَ تَثۡبِیۡتًا مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ کَمَثَلِ جَنَّۃٍۭ بِرَبۡوَۃٍ اَصَابَہَا وَابِلٌ فَاٰتَتۡ اُکُلَہَا ضِعۡفَیۡنِ فَاِنۡ لَّمۡ یُصِبۡہَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ  بَصِیۡرٌ

‘আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজেদেরকে সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা উঁচু ভূমিতে অবস্থিত বাগানের মত, যাতে পড়েছে প্রবল বৃষ্টি। ফলে তা দ্বিগুণ ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেছে। আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে হালকা বৃষ্টি (যথেষ্ট)। আর আল্লাহ তোমরা যা আমল কর, সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৬৫)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِّنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللهُ إِلَّا الطَّيِّبَ فَإِنَّ اللهَ يَقَبَّلُهَا بِيَمِيْنِهِ ثُمَّ يُرَبِّيْهَا لِصَاحِبِهَا كَمَا يُرَبِّيْ أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُوْنَ مِثْلَ الْجَبَلِ

১). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন হতে খেজুর পরিমান ছাদাক্বাহ করবে, আর আল্লাহ হালাল ব্যতীত গ্রহণ করেন না; নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তা আপন ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তাকে দাতার জন্য লালন-পালন করেন, যেভাবে তোমাদের কেউ আপন ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন-পালন করে, শেষ পর্যন্ত তা পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।[১] তিরমিযীর একটি ছহীহ বর্ণনায় এসেছে,

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ وَيَأْخُذُهَا بِيَمِيْنِهِ فَيُرَبِّيْهَا لِأَحَدِكُمْ كَمَا يُرَبِّيْ أَحَدُكُمْ مُهْرَهُ حَتَّى إِنَّ اللُّقْمَةَ لَتَصِيْرُ مِثْلَ أُحُدٍ وَتَصْدِيْقُ ذَلِكَ فِيْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ { اَلَمۡ  یَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ  یَقۡبَلُ التَّوۡبَۃَ عَنۡ عِبَادِہٖ وَ یَاۡخُذُ الصَّدَقٰتِ } [التوبة: ১০৪] وَ {يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ} [البقرة: ২৭৬]

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দান-খয়রাত কবুল করেন এবং তা ডান হাতে গ্রহণ করেন। সেগুলো প্রতিপালন করে তিনি তোমাদের কারো জন্য বাড়াতে থাকেন, যেভাবে তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে বড় করতে থাকে। (এ দানের) এক একটি গ্রাস বাড়তে বাড়তে উহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ হয়ে যায়। এর প্রমাণে আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে আছে, ‘তারা কি জানে না যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তওবাহ কবুল করেন এবং তাদের ছাদাক্বা গ্রহণ করেন’ (সূরা আত-তওবাহ : ১০৪)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সূদকে নির্মূল করেন এবং দান-ছাদাক্বাহ বাড়িয়ে দেন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৬)।[২]

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ঃ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِّنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ

২). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দান সম্পদকে হ্রাস করে না। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমার মাধ্যমে বান্দার সম্মান বৃদ্ধি করেন এবং যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তাকে উন্নত করেন।[৩]

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ الْعَبْدُ مَالِيْ مَالِيْ وَإِنَّمَا لَهُ مِنْ مَالِهِ ثَلَاثٌ مَا أَكَلَ فَأَفْنَى أَوْ لَبِسَ فَأَبْلَى أَوْ أَعْطَى فَاقْتَنَى وَمَا سِوَى ذَلِكَ فَهُوَ ذَاهِبٌ وَتَارِكُهُ لِلنَّاسِ

৩(. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, বান্দা বলে আমার সম্পদ, আমার সম্পদ। প্রকৃতপক্ষে তার সম্পদ হতে মাত্র তিনটি তার। যা সে খেয়ে শেষ করে দিয়েছে অথবা পরিধান করে ছিঁড়ে ফেলেছে অথবা দান করে সংরক্ষণ করেছে। এছাড়া যা আছে তা তার কাজে আসবে না এবং সে লোকদের তথা ওয়ারিছদের জন্য ছেড়ে চলে যাবে।[৪]

 وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّكُمْ مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ؟ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا مَالُهُ أَحَبُّ إِلَيْهِ قَالَ فَإِنَّ مَالَهُ مَا قَدَّمَ وَمَالَ وَارِثِهِ مَا أَخَّرَ

৪). আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে নিজের সম্পদের অপেক্ষা নিজ উত্তরাধিকারীদের সম্পদকে অধিক ভালোবাসে? তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে তার সম্পদ অপেক্ষা নিজ ওয়ারিছদের সম্পদকে বেশী ভালোবাসে। তিনি বললেন, যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছে সেটিই তার সম্পদ এবং যা সে পিছনে রেখে যায় সেটা তার ওয়ারিছের সম্পদ।[৫]

৫). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করে বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক ব্যক্তি মাঠে অবস্থান করছিল, এমন সময় মেঘের মধ্যে একটি শব্দ শুনতে পেল ‘অমুক ব্যক্তির বাগানে পানি দাও’। অতঃপর মেঘমালা সে দিকে সরে গেল এবং এক প্রস্তরময় স্থানে পানি বর্ষাল। তখন দেখা গেল সেখানকার নালাসমূহের এক নালা সমস্ত পানি নিজের মধ্যে পুরে নিল। তখন সে ব্যক্তি পানির অনুসরণ করল এবং দেখল যে, এক ব্যক্তি তার বাগানে দাঁড়িয়ে সেচনী দ্বারা পানি সেচছে। তখন সে তাকে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর বান্দা! তোমার নাম কী? সে বলল, আমার নাম অমুক, যে নাম সে মেঘের মধ্যে শুনেছিল। লোকটি বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি কেন আমার নাম জিজ্ঞেস করলে? সে বলল, এই পানি যে মেঘ থেকে হল আমি সেই মেঘের মধ্যে বলতে শুনলাম, সে তোমার নাম উল্লেখ করে বলেছে, অমুকের বাগানে পানি দাও! তুমি এমন কী কাজ কর? সে বলল, যখন তুমি তা বললে তখন শোন, তাতে যা ফলে তার প্রতি আমি লক্ষ্য করি। আমি তার এক তৃতীয়াংশ ছাদাক্বাহ করি, এক তৃতীয়াংশ আমি ও আমার পরিবার খাই, আর এক তৃতীয়াংশ তাতে লাগাই।[৬]

৬). ‘আদী ইবনু হাতেম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সাথে আল্লাহ সামনা-সামনি কথা বলবেন, ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহর মাঝে কোন অনুবাদক থাকবে না। সে তার ডানে তাকাবে তখন সে তার পূর্বে প্রেরিত আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। আবার বামে তাকাবে তখনও সে তার পূর্বে প্রেরিত আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। তারপর সামনের দিকে তাকালে তার সামনে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। সুতরাং তোমরা এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা কর। অপর বর্ণনায় এসেছে, তোমাদের কেউ যদি সক্ষম হয়, তবে সে যেন এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা  করে।[৭]

 وَعَنْ جَابِرِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لِكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ يَا كَعْبَ بْنَ عُجْرَةَ الصَّلَاةُ قُرْبَانٌ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيْئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ يَا كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ النَّاسُ غَادِيَانِ فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُوْثِقٌ رَقَبَتَهُ وَمُبْتَاعٌ نَفْسَهُ فِيْ عِتْقِ رَقَبَتِهِ

৭). জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কা‘ব ইবনু উজরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে উদ্দেশ্য করে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, হে কা‘ব ইবনু উজরাহ! ছালাত হল নৈকট্য, ছিয়াম হল ঢাল, ছাদাক্বাহ পাপকে মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। হে কা‘ব ইবনু উজরাহ! প্রত্যেক মানুষ সকালে উঠে এবং সে নিজেকে বিক্রয় করার মাধ্যমে ধ্বংস করে অথবা নিজেকে ক্রয় করার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে।[৮]

৮. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কৃপণ এবং দানশীল ব্যক্তির উদাহরণ সে দুই ব্যক্তির ন্যায়, যাদের শরীরে রয়েছে দু’টি লোহার বর্র্ম। তাদের দুই হাতই বুক ও ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে। দানশীল ব্যক্তি যখন দান করতে চায় তখন তার বর্মটি এমনভাবে সম্প্রসারিত হয় যে, তার পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এবং (প্রলম্বিত বর্মটি) তার পদচিহ্ন মুছে ফেলে। আর কৃপণ ব্যক্তি যখন দান করতে ইচ্ছা করে তা আরও সংকুচিত হয় এবং তার প্রত্যেক আংটা নিজ নিজ স্থান গ্রহণ করে। আবূ হুরায়রা বলেন, আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর আঙ্গুল এভাবে বুকের দিক দিয়ে খোলা অংশের মধ্যে রেখে বলতে দেখেছি, তুমি যদি তা দেখতে যে, তিনি তা প্রশস্ত করতে চাইলেন কিন্তু প্রশস্ত হল না।[৯]

৯). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (পূর্ব যমানার লোকদের মধ্যে) এক ব্যক্তি বলল, অবশ্যই আমি একটি ছাদাক্বাহ করব। অতঃপর সে তার ছাদাক্বাহ নিয়ে বের হল এবং তা এক চোরের হাতে দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করতে লাগল, এ রাতে একজন চোরকে দান করা হয়েছে। সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। অবশ্যই আমি ছাদাক্বাহ করব। সে তার ছাদাক্বাহ নিয়ে বের হল, অতঃপর সে তার ছাদাক্বাহ একজন পতিতার হাতে দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করতে লাগল, এ রাতে একজন পতিতাকে দান করা হয়েছে। তখন সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। (আমার ছাদাক্বাহ) পতিতার হাতে পৌঁছল! অবশ্যই আমি ছাদাক্বাহ করব। অতঃপর সে ছাদাক্বাহ নিয়ে বের হল এবং একজন ধনী লোকের হাতে দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করতে লাগল, এ রাতে একজন ধনী ব্যক্তিকে দান করা হয়েছে। সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। (আমার ছাদাক্বাহ) চোর, পতিতা এবং ধনীর হাতে পৌঁছল! অতঃপর তাকে স্বপ্নে দেখানো হল এবং বলা হল যে, তোমার চোরকে দান করাতে সম্ভবতঃ সে তা দ্বারা চুরি হতে বিরত থাকবে এবং পতিতা তার পতিতাবৃত্তি হতে বিরত থাকবে এবং ধনী ব্যক্তি সম্ভবত সে এটা হতে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ হতে ছাদাক্বাহ করবে।[১০]

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ كُلُّ امْرِئٍ فِيْ ظِلِّ صَدَقَتِهِ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ قَالَ يَزِيْدُ فَكَانَ أَبُو الْخَيْرِ مَرْثَد لَا يُخْطِئُهُ يَوْمٌ لَا يَتَصَدَّقُ فِيْهِ بِشَيْءٍ وَلَوْ بِكَعْكَةٍ أَوْ بَصَلَةٍ

১০). উক্ববাহ ইবনু ‘আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, প্রতিটি মানুষ তার ছাদাক্বাহর ছায়ায় থাকবে। যতক্ষণ না মানুষের মাঝে ফায়ছালার কাজ শেষ হয়। ইয়াযীদ বলেন, আবুল খাইর মারছাদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রতিদিন ছাদাক্বাহ করতেন, যদিও তা (সামান্য) কেক বা পেঁয়াজ দিয়ে হত।[১১]

 وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ঃ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ  صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ جُهْدُ الْمُقِلِّ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُوْلُ

১১). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, একদা তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কোন্ দান শ্রেষ্ঠ? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, গরিবের কষ্টের দান এবং তুমি তোমার পোষ্যদের মাধ্যমে দান শুরু করবে।[১২]

১২). আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক পাদ্রী তার গীর্জায় ষাট বছর আল্লাহর উপাসনা করে। একদিন তার কাছে একজন মহিলা আসে এবং তার বাহুর সাথে নিজেকে মেলে ধরে। অতঃপর সেই পাদ্রী ছয় রাত তার সাথে সহবাস করে। এরপর ভুল বুঝতে পেরে সেখান থেকে পলায়ন করে উপাসনালয়ে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে তিনদিন তিনরাত অনাহারে কাটায়। অতঃপর তাকে একটি রুটি দেয়া হয়। সে তার ডানের লোককে তার এক অর্ধেক এবং বামের লোককে বাকী অর্ধেক দিয়ে দেয়। অতঃপর মহান আল্লাহ তার কাছে মৃত্যুর ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং সে তার রূহ কবয করে। অতঃপর তার ষাট বছরের আমলকে এক পাল্লায় এবং ছয় দিনের পাপকে অন্য পাল্লায় রাখা হলে তার পাপের পাল্লা ভারি হয়ে যায়। অতঃপর তার রুটির নেকীকে উপস্থিত করা হলে তা ছয়দিনের পাপের পাল্লার চেয়ে ভারি হয়ে যায়।[১৩]

গোপনে ছাদাক্বাহ করার ফযীলত

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ لِّعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ یُنۡفِقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّ عَلَانِیَۃً مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ یَوۡمٌ  لَّا بَیۡعٌ  فِیۡہِ  وَ لَا  خِلٰلٌ

‘আমার বান্দাদের বল, যারা ঈমান এনেছে, যেন তারা ছালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে  রিয্ক দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন বেচা-কেনা থাকবে না এবং থাকবে না বন্ধুত্বও’ (সূরা ইবরাহীম : ৩১)। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنۡ تُبۡدُوا الصَّدَقٰتِ فَنِعِمَّا ہِیَ وَ اِنۡ تُخۡفُوۡہَا وَ تُؤۡتُوۡہَا الۡفُقَرَآءَ فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ وَ یُکَفِّرُ عَنۡکُمۡ مِّنۡ سَیِّاٰتِکُمۡ  وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ

‘তোমরা যদি ছাদাক্বাহ প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তাও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭১)। মহান আল্লাহ বলেন,

لَا  خَیۡرَ  فِیۡ  کَثِیۡرٍ  مِّنۡ نَّجۡوٰىہُمۡ  اِلَّا مَنۡ اَمَرَ بِصَدَقَۃٍ اَوۡ مَعۡرُوۡفٍ اَوۡ اِصۡلَاحٍۭ  بَیۡنَ النَّاسِ  وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِیۡـہِ اَجۡرًا عَظِیۡمًا

‘তাদের গোপন পরামর্শের অধিকাংশে কোন কল্যাণ নেই। তবে (কল্যাণ আছে) যে নির্দেশ দেয় ছাদাক্বাহ কিংবা ভালো কাজ অথবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার। আর যে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করবে তবে অচিরেই আমি তাকে মহা পুরস্কার দান করব’ (সূরা আন-নিসা : ১১৪)।

১৩). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা ছায়া দিবেন নিজের ছায়ায়, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না। (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক (২) সেই যুবক, যে আল্লাহর ইবাদতে সময় অতিবাহিত করে (৩) সেই ব্যক্তি, যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে ঝুলন্ত থাকে। সেখান হতে বের হয়ে অতঃপর ফিরে না আসা পর্যন্ত (৪) সেই দুই ব্যক্তি, যারা একে অন্যকে আল্লাহর জন্য ভালোবেসে একত্রিত হয় এবং পৃথক হয় (৫) সেই ব্যক্তি, যাকে কোন সম্ভ্রান্ত বংশের সুন্দরী নারী তার দিকে আহ্বান করে, আর সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি এবং (৬) সেই ব্যক্তি, যে দান করে, আর তা গোপন করে থাকে। এমনকি তার বাম হাত জানে না, তার ডান হাত কী দান করে। (৭) এমন ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দুই চক্ষু থেকে অশ্রু বিসর্জন দেয় [১৪]

 وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَائِعُ الْمَعْرُوْفِ تَقِيْ مَصَارِعَ السُّوْءِ وَصَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ وَصِلَةُ الرَّحِمِ تَزِيْدُ فِي الْعُمُرِ

১৪). আবূ উমামাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সৎ কাজ পাপের কাছে ধরাশায়ী হওয়া থেকে রক্ষা করে। গোপন ছাদাক্বাহ আল্লাহর ক্রোধকে মিটিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখা আয়ুকে বৃদ্ধি করে’।[১৫]

 وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ فِيْ قَوْلِهِ تَعَالَي {إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ} [البقرة: ২৭১] فَجَعَلَ اللهُ صَدَقَةَ السِّرِّ فِي التَّطَوُّعِ تَفْضُلُ عَلَانِيَتَهَا بِسَبْعِيْنَ ضِعْفًا

১৫). ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী “তোমরা যদি ছাদাক্বাহ প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তাও তোমাদের জন্য উত্তম” সম্পর্কে বর্ণিত আছে, (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭১)। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা গোপন নফল ছাদাক্বাহকে প্রকাশ্যের তুলনায় সত্তর গুণ বৃদ্ধি করে দেন।[১৬]



* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪১০, ৭৪৩০; ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৪; মিশকাত, হা/১৮৮৮; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৫৬।
[২]. তিরমিযী, হা/৬৬২, সনদ হাসান ছহীহ।
[৩]. ছহীহ মুসলিম হা/২৫৮৮; মিশকাত, হা/১৮৮৯; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৫৮।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৫৯; মিশকাত, হা/৫১৬৬; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬০।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৪২; মিশকাত, হা/৫১৬৮; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬১।
[৬]. ছহীহ মুসলিম হা/২৯৮৪; মিশকাত, হা/১৮৭৭; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬২।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৭৫১২; ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৬; মিশকাত, হা/৫৫৫০; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬৩।
[৮]. মুসনাদে আবী ইয়ালা, হা/১৯৯৯; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৫১৪; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬৬, সনদ ছহীহ।
[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১০২১; মিশকাত, হা/১৮৬৪; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৭০।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪২১; ছহীহ মুসলিম, হা/১০২২; মিশকাত, হা/১৮৭৬।
[১১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩৩৩; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/২৪৩১; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৩৩১০, সনদ ছহীহ।
[১২]. আবূ দাঊদ, হা/১৬৭৭; মিশকাত, হা/১৯৩৮, সনদ ছহীহ।
[১৩]. মুছান্নাফে ইবনু আবি শায়বাহ, হা/৯৮১৩; সনদ ছহীহ, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৮৫।
[১৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৮০৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৩১; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মিশকাত, হা/৭০১; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৮৭।
[১৫]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৮০১৪, সনদ হাসান।
[১৬]. তাফসীরে ইবনু জারীর, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৫, সনদ ছহীহ।




আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : শাস্তি প্রয়োগ ও অন্যান্য বিধান - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৩তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে হজ্জ ও ওমরাহ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : বিবাহ ও এ সংক্রান্ত বিষয়াদীর ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ