মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত

- মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
- অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


(১৪তম কিস্তি) 

عَنْ جَرِيْرِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ يَعْنِي الْبَدْرِ فَقَالَ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَا تُضَامُوْنَ فِيْ رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا تُغْلَبُوْا عَلَى صَلَاةٍ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوْبِهَا فَافْعَلُوْا ثُمَّ قَرَأَ (وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ قَبۡلَ طُلُوۡعِ الشَّمۡسِ وَ قَبۡلَ غُرُوۡبِہَا)
৪৯). জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বসেছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাত্রিতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমরা অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে যেমন তোমরা এই চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। আল্লাহকে দেখতে তোমরা কোন প্রকার বাধাপ্রাপ্ত হবে না। সুতরাং তোমরা সাধ্যমত চেষ্টা করবে সূর্যোদয়ের পূর্বের ছালাত সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বের ছালাত সূর্যাস্তের পূর্বে আদায় করতে যেন ব্যর্থ না হও। অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করলেন যে, ‘সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে তার প্রভুর পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা কর’ (সূরা ত্ব-হা : ১৩০)।[১]
------

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَلَائِكَةُ يَتَعَاقَبُوْنَ مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُوْنَ فِى صَلَاةِ الْفَجْرِ وَصَلَاةِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِيْنَ بَاتُوْا فِىْكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ فَيَقُوْلُ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِيْ فَيَقُوْلُوْنَ تَرَكْنَاهُمْ يُصَلُّوْنَ وَأَتَيْنَاهُمْ يُصَلُّوْنَ
৫০). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে একদল ফেরেশতা রাত্রিতে এবং একদল ফেরেশতা দিনে আগমন করেন। অতঃপর তারা উভয়ে মিলিত হয় ফজর ও আছরের ছালাতে। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যারা ছিল তারা উঠে যান। তখন আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন অথচ তিনি তাদের অবস্থা সম্পর্কে অধিক অবগত, অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে আসলে? উত্তরে তারা বলেন, আমরা তাদের ছেড়ে এসেছি ছালাতরত অবস্থায় এবং যখন পৌঁছলাম তখনও তাদেরকে ছালাতরত অবস্থায় দেখেছি’।[২]
------

وَعَنْ أَبِيْ بَكْرِ بْنِ أَبِىْ مُوْسَى عَنْ أَبِيْهِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
৫১). আবূ বকর ইবনু আবূ মূসা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর ও আছরের ছালাত আদায় করল, সে জান্নাতে যাবে।[৩]
------

وَعَنْ أَبِيْ زُهَيْرَةَ عُمَارَةَ بْنِ رُوَيْبَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَنْ يَّلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوْبِهَا يَعْنِي الْفَجْرَ وَالْعَصْرَ
৫২). আবূ যুহায়রা ওমারাহ ইবনু রুওয়াইবা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি কখনো জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বের ছালাত আদায় করে। তথা ফজর ও আছর ।[৪]
------

وَعَن جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِىْ ذِمَّةِ اللهِ فَلَا يَطْلُبَنَّكُمُ اللهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ فَيُدْرِكْهُ فَيَكُبُّهُ فِىْ نَارِ جَهَنَّمَ
৫৩). জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত আদায় করল সে আল্লাহর যিম্মায় চলে গেল। সুতরাং আল্লাহ যেন তাঁর দায়িত্বের কোন বিষয় সম্পর্কে তোমাদের বিপক্ষে বাদী না হন। (কেননা তিনি যার বিপক্ষে তাঁর দায়িত্বের কোন বিষয় সম্পর্কে বাদী হবেন,) তাকে অবশ্যই ধরতে পারবেন। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।[৫]

যোহর, মাগরিব ও এশার ছালাত সময় মত আদায়ের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন, وَ لَہُ الۡحَمۡدُ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ عَشِیًّا وَّ  حِیۡنَ  تُظۡہِرُوۡنَ  ‘আর অপরাহ্নে ও যোহরের সময়ে; আর আসমান ও যমীনে সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই’ (সূরা আর-রূম : ১৮)। মহান আল্লাহ বলেন,

فَاصۡبِرۡ عَلٰی مَا یَقُوۡلُوۡنَ وَ سَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ قَبۡلَ طُلُوۡعِ الشَّمۡسِ وَ قَبۡلَ غُرُوۡبِہَا ۚ وَ مِنۡ اٰنَآیِٔ الَّیۡلِ فَسَبِّحۡ وَ اَطۡرَافَ النَّہَارِ لَعَلَّکَ تَرۡضٰی

‘সুতরাং এরা যা বলে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাসবীহ পাঠ কর তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে, সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ কর রাতের কিছু অংশে ও দিনের  প্রান্তসমূহে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার’ (সূরা ত্ব-হা : ১৩০)। মহান আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ  یَبۡلُغُوا  الۡحُلُمَ  مِنۡکُمۡ  ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ  الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّہِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ

‘হে মুমিনগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন অবশ্যই তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে। ফজরের ছালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ এবং এশার ছালাতের পর’ (সূরা আন-নূর : ৫৮)।

মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ  مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُہَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ  لِلۡمُتَّقِیۡنَ   ‘আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাক্বীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩৩)।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِى النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّل ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلَّا أَنْ يَّسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوْا وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِى التَّهْجِيْرِ لَاسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِىْ الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
৫৪). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানুষ যদি জানত আযান দেয়া এবং ছালাতের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে কী পরিমাণ নেকী রয়েছে, তাহলে তারা এর জন্য প্রয়োজনে লটারী করত। আর যদি তারা জানত প্রথম সময়ে ছালাত আদায় করাতে কী পরিমাণ নেকী রয়েছে, তাহলে তারা অন্যের আগে পৌঁছানোর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর যদি তারা জানত এশা ও ফজর ছালাতের মধ্যে কী পরিমাণ নেকী রয়েছে, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ছালাতে আসত।[৬]
------

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ حَتَّى ذَهَبَ عَامَّةُ اللَّيْلِ وَحَتَّى نَامَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى فَقَالَ إِنَّهُ لَوَقْتُهَا لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي.
৫৫). আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক দিন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এশার ছালাত আদায় করতে অনেক রাত করলেন। এমনকি রাতের বড় একটা অংশ অতিবাহিত হয়ে গেল এবং মসজিদের লোকজনও ঘুমিয়ে পড়ল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন এবং ছালাত আদায় করে বললেন, এটাই এশার ছালাতের উত্তম সময়। তারপর তিনি বললেন, যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম (তাহলে এ সময়কে এশার ছালাতের সময় হিসাবে নির্দিষ্ট করতাম)।[৭]
------

وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ كُنَّا نُصَلِّي الْمَغْرِبَ مَعَ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَنْصَرِفُ أَحَدُنَا وَإِنَّهُ لَيُبْصِرُ مَوَاقِعَ نَبْلِهِ
৫৬). রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে মাগরিবের ছালাত আদায় করতাম। অতঃপর আমাদের কেউ তীর ছুঁড়ে তা পতিত হওয়ার জায়গা পর্যন্ত দেখতে পেত (অর্থাৎ ওয়াক্তের প্রথমেই শীঘ্রই শীঘ্রই ছালাত আদায় করা হত)’।[৮]
------

وَعَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُوْ أَيُّوْبَ غَازِيًا وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ يَوْمَئِذٍ عَلَى مِصْرَ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ فَقَامَ إِلَيْهِ أَبُوْ أَيُّوْبَ فَقَالَ مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ يَا عُقْبَةُ فَقَالَ شُغِلْنَا قَالَ أَمَا سَمِعْتَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَا تَزَالُ أُمَّتِيْ بِخَيْرٍ أَوْ قَالَ عَلَى الْفِطْرَةِ مَا لَمْ يُؤَخِّرُوْا الْمَغْرِبَ إِلَى أَنْ تَشْتَبِكَ النُّجُوْمُ
৫৭). মারছাদ ইবনু আব্দুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আবূ আইযূব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) জিহাদ হতে ফিরে আমাদের নিকট আসলেন, সে সময় উক্ববাহ ইবনু আমির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মিশরের শাসনকর্তা ছিলেন। তিনি মাগরিবের ছালাত আদায়ে বিলম্ব করলে আবূ আইয়ূব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) উক্ববাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, হে উক্ববাহ! এটা আবার কেমন ছালাত? উক্ববাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, আমরা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তিনি বললেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেননি, আমার উম্মাত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা তিনি বলেছেন, মূল অবস্থায় থাকবে যতদিন তারা মাগরিবের ছালাত আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে’।[৯]

ফরয ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করার জন্য মসজিদে গমনের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

فِیۡ  بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰہُ  اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡہَا اسۡمُہٗ ۙ یُسَبِّحُ لَہٗ  فِیۡہَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَالِ- رِجَالٌ ۙ لَّا تُلۡہِیۡہِمۡ تِجَارَۃٌ  وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ  اِقَامِ الصَّلٰوۃِ  وَ  اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡہِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ

‘সেসব ঘরে যাকে সমুন্নত করতে এবং যেখানে আল্লাহর নাম যিক্র করতে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন। সেখান সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করে। সেসব লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির, ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না। তারা সেদিনকে ভয় করে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে’ (সূরা আন-নূর : ৩৬-৩৭)। মহান আল্লাহ বলেন, 

اِنَّا نَحۡنُ نُحۡیِ الۡمَوۡتٰی وَ نَکۡتُبُ مَا قَدَّمُوۡا وَ اٰثَارَہُمۡ ؕؑ وَ کُلَّ شَیۡءٍ اَحۡصَیۡنٰہُ  فِیۡۤ   اِمَامٍ  مُّبِیۡنٍ

‘আমিই তো মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা পেছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি’ (সূরা ইয়াসীন : ১২)। মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰہِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ  وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰہَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُہۡتَدِیۡنَ

‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, ছালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সূরা আত-তাওবাহ : ১৮)। মহান আল্লাহ বলেন,

قُلۡ اَمَرَ رَبِّیۡ  بِالۡقِسۡطِ وَ اَقِیۡمُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ ادۡعُوۡہُ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ  الدِّیۡنَ ۬ؕ کَمَا بَدَاَکُمۡ تَعُوۡدُوۡنَ

‘(হে নবী) আপনি বলুন! আমার রব ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন আর তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় তোমাদের চেহারা সোজা রাখবে এবং তাঁরই ইবাদতের জন্য একনিষ্ট হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, সেভাবে তোমরা প্রথমে ফিরে আসবে’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ২৯)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَلَاةُ الجَمِيْعِ تَزِيْدُ عَلَى صَلَاتِهِ فِيْ بَيْتِهِ وَصَلَاتِهِ فِيْ سُوْقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِيْنَ دَرَجَةً فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وَأَتَى المَسْجِدَ لَا يُرِيْدُ إِلَّا الصَّلَاةَ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ خَطِيْئَةً حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ وَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِيْ صَلَاةٍ مَا كَانَتْ تَحْبِسُهُ وَتُصَلِّيْ يَعْنِيْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ مَا دَامَ فِيْ مَجْلِسِهِ الَّذِيْ يُصَلِّيْ فِيْهِ اللهم اغْفِرْ لَهُ اللهم ارْحَمْهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيْهِ
৫৮). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করলে ঘর বা বাজারে ছালাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ ছাওয়াব বৃদ্ধি পায়। কেননা তোমাদের কেউ যদি ভাল করে ওযূ করে কেবল ছালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যতবার কদম রাখে তার প্রতিটির বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তার মর্যাদা ক্রমান্বয়ে উন্নীত করবেন এবং তার এক একটি করে গুনাহ মাফ করবেন। আর মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত ছালাতের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ তাকে ছালাতেই গণ্য করা হয়। আর ছালাত শেষে সে যতক্ষণ ঐ স্থানে থাকে ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তার জন্য এ বলে দু‘আ করেন, হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ! তাকে রহম করুন- যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দেয়, ওযূ ভেঙ্গে যাওয়ার কোন কাজ সেখানে না করে’।[১০]
------

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ
৫৯). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে সকাল-বিকাল মসজিদে যাবে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে তার জন্য প্রত্যেকবারের পরিবর্তে একটি মেহমানী প্রস্তত করে রাখবেন। যত সকাল-বিকাল সে যাবে।[১১]
------

وَعَنْ أَبِىْ مُوْسَى رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِى الصَّلَاةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِىْ يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الْإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِّنَ الَّذِيْ يُصَلِّيْهَا ثُمَّ يَنَامُ
৬০). আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় ছালাতের ছওয়াবের ব্যাপারে সেই ব্যক্তিই সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক ছাওয়াবের অধিকারী, যে ব্যক্তি আগমনের ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা অধিক দূর হতে আগমনকারী। আর যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য অপেক্ষা করে ইমামের সাথে তা আদায় করে, সে ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক ছওয়াবের অধিকারী, যে তা একাকী সম্পাদন করে, অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ে।[১২]
------

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَّلْقَى اللهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلٰى هَؤُلَاءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَي شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِىْ بُيُوْتِكُمْ كَمَا يُصَلِّيْ هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِىْ بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُوْرَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلٰى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلَّا كَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ يَخْطُوْهَا حَسَنَةً وَّيَرَفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَّيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَّلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلَّا مُنَافِقٌ مَعْلُوْمُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِى الصَّفِّ
৬১). আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগামীকাল আল্লাহর সাথে পূর্ণ মুসলিম হিসাবে সাক্ষাৎ করে সন্তুষ্ট হতে চায়, সে যেন ঐ সকল ছালাতের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হয়, যে সকল ছালাতের আযান দেয়া হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তা তোমাদের নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য হেদায়াতের পথসমূহ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আর এই ছালাতসমূহ হেদায়াতের পথসমূহের অন্যতম একটি। যদি তোমরা তোমাদের ঘরে ছালাত আদায় কর, যেভাবে মুনাফিক্বরা তাদের ঘরে ছালাত আদায় করে, তাহলে অবশ্যই তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত পরিত্যাগ করলে। আর যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত পরিত্যাগ কর, তাহলে তোমরা অবশ্যই পথভ্রষ্ট হবে। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে অতঃপর ঐ মসজিদসমূহের মধ্যে কোন মসজিদের দিকে গমন করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতিটি পায়ের ধাপের বিনিময়ে একটি করে নেকী দান করবেন, তার মর্যাদা এক ধাপ উন্নত করবেন এবং তার একটি পাপ ক্ষমা করবেন। আমি আমাদের দেখেছি, জামা‘আতে ছালাত আদায় করা থেকে মুনাফিক্বরা ব্যতীত কেউ বিরত থাকত না, যাদের মুনাফিক্বী অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল। কোন লোককে দুই ব্যক্তির উপর ভর করে এনে ছালাতের সারিতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত।[১৩]
------

وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ لَا أَعْلَمُ أَحَدًا أَبْعَدَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْهُ وَكَانَتْ لَا تُخْطِئُهُ صَلَاةٌ فَقِيْلَ لَهُ لَوْ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الظَّلْمَاءِ وَفِي الرَّمْضَاءِ فَقَالَ مَا يَسُرُّنِيْ أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ يُكْتَبَ لِي مَمْشَايَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوْعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَمَعَ اللهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ
৬২). উবাই ইবনু কা‘ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একজন আনছারী ব্যক্তি সম্পর্কে জানি যার বাড়ী অপেক্ষা কারো বাড়ী মসজিদ থেকে অধিক দূরে ছিল বলে আমার জানা নেই। জামা‘আতের সাথে কোন ওয়াক্তের ছালাত আদায় করা তিনি ছাড়তেন না। তাকে বলা হল, যদি তুমি একটি গাধা কিনে নাও এবং তার পিঠে আরোহণ করে রাতের অন্ধকারে এবং রোদের মধ্যে ছালাত আদায় করতে আস তাহলে তো বেশ ভালই হয়। একথা শুনে সে বলল, আমার বাড়ী মসজিদের পাশে হোক তা আমি পসন্দ করি না। আমি চাই মসজিদে হেঁটে আসা এবং মসজিদে থেকে ঘরে আমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য (আমলনামায়) লিপিবদ্ধ হোক। তার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মহান আল্লাহ তা‘আলা তোমার জন্য অনুরূপ ছওয়াবই একত্রিত করে রেখেছেন।[১৪]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র : 
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩৩; মিশকাত, হা/৫৬৫৫।
[২]. ছহীহ বুখারী হা/৫৫৫, ৭৪২৯, ৭৪৮৬; ছহীহ মুসলিম হা/৬৩২; মিশকাত, হা/৬২৬।
[৩]. ছহীহ বুখারী হা/৫৭৪; ছহীহ মুসলিম হা/৬৩৫।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩৪; মিশকাত, হা/৬২৪।
[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৭; মিশকাত, হা/৬২৭।
[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৭; মিশকাত, হা/৬২৮।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৮।
[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৭।
[৯]. আবূ দাঊদ, হা/৪১৮; ইবনু খুযায়মাহ, হা/৩৩৯; সনদ হাসান ছহীহ।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৭৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৯।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৬২; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৬৯।
[১২]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৬২।
[১৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৪; মিশকাত, হা/১০৭২।
[১৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬৬৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: আমল আত্মশুদ্ধি
ফাযায়েলে আমল : বিবাহ ও এ সংক্রান্ত বিষয়াদীর ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৫তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল: ফাযায়েলে তাওহীদ (৭ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৪র্থ কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১২ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছাদাক্বাহ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ