রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত

-মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
-অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


ক্রয়-বিক্রয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

মহান আল্লাহ বলেন,

‘যারা সূদ ভক্ষণ করে, তারা শয়তানের স্পর্শে মোহাবিষ্ট ব্যক্তির দণ্ডায়মান হওয়ার অনুরূপ ব্যতীত দণ্ডায়মান হবে না; এর কারণ এই যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সূদের অনুরূপ। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসা হালাল করেছেন; অতঃপর যার নিকট তার প্রভুর পক্ষ হতে উপদেশ সমাগত হয়, ফলে সে নিবৃত্ত হয়, সুতরাং যা অতীত হয়েছে; এবং যারা পুনঃ গ্রহণ করবে, তারাই হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল অবস্থান করবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫)। মহান আল্লাহ বলেন,

عَلِمَ  اَنۡ  سَیَکُوۡنُ مِنۡکُمۡ مَّرۡضٰی وَ اٰخَرُوۡنَ  یَضۡرِبُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ  یَبۡتَغُوۡنَ مِنۡ فَضۡلِ اللّٰہِ

‘তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে পৃথিবীতে ভ্রমণ করবে’ (সূরা আল-মুয্যাম্মিল : ২০)। মহান আল্লাহ বলেন,

لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ وَ اذۡکُرُوۡہُ  کَمَا ہَدٰىکُمۡ وَ اِنۡ  کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ  لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ

‘তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যে, তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে। সুতরাং যখন তোমরা ‘আরাফা থেকে বের হয়ে আসবে, তখন মাশ‘আরে হারামের নিকট আল্লাহকে স্মরণ কর এবং তাকে স্মরণ কর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও তোমরা এর পূর্বে অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৯৮)। মহান আল্লাহ বলেন,

فَاِذَا  قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ  فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَ ابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ اللّٰہِ وَ اذۡکُرُوا اللّٰہَ  کَثِیۡرًا  لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ

‘অতঃপর যখন ছালাত সমাপ্ত হবে তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহ হতে অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হতে পারো’ (সূরা আল-জুমু‘আহ : ১০)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ عَلَّمۡنٰہُ  صَنۡعَۃَ  لَبُوۡسٍ لَّکُمۡ لِتُحۡصِنَکُمۡ مِّنۡۢ بَاۡسِکُمۡ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ شٰکِرُوۡنَ

‘আর আমরাই তাকে তোমাদের জন্য বর্ম বানানো শিক্ষা দিয়েছিলাম। যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?’ (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮০)।

عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيْ كَرِبَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِّنْ أَنْ يَّأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ وَإِنَّ نَبِيَّ اللهِ دَاوُدَ হ كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ

১. মিক্বদাম ইবনু মা‘দী কারিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, নিজ হাতে উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার আর নেই। নিশ্চয় আল্লাহর নবী দাঊদ (আলাইহিস সালাম) নিজ হাতের কামাই খেতেন।[১]
------
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَأَنْ يَحْتَطِبَ أَحَدُكُمْ حُزْمَةً عَلَى ظَهْرِهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ أَحَدًا فَيُعْطِيَهُ أَوْ يَمْنَعَهُ

২. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কারো পক্ষে এক বোঝা লাকড়ী সংগ্রহ করে পিঠে বহন করে নেয়া উত্তম, কারো কাছে সাওয়াল করার চাইতে। (যার কাছে যাবে) সে দিতেও পারে অথবা নাও দিতে পারে।[২]
------
وَعَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَالَ لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ أَحْبُلَهُ فَيَأْتِيَ بِحُزْمَةِ مِنْ حَطَبٍ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيْعَهَا فَيَكُفَّ اللهُ بِهَا وَجْهَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ أَعْطَوْهُ أَمْ مَنَعُوْهُ

৩. যুবাইর ইবনু ‘আওয়াম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ রশি নিয়ে তার পিঠে কাঠের বোঝা বয়ে নিয়ে তা বিক্রি করা, ফলে আল্লাহ তার চেহারাকে (যাঞ্ছা করার অপমান থেকে) রক্ষা করেন। তা মানুষের কাছে সাওয়াল করার চাইতে উত্তম, চাই তারা দিক বা না দিক।[৩]
------
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَيُّ الْكَسْبِ أَفْضَلُ؟ قَالَ عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُوْرٍ

৪. ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কোন প্রকার উপার্জন উত্তম? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ব্যক্তির নিজ হাতের কাজ এবং হালাল ব্যবসার উপার্জন।[৪]
------
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ ﷺ رَجُلٌ فَرَأَى أَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ مِنْ جِلْدِهِ وَنَشَاطِهِ فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ لَوْ كَانَ هَذَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ؟ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى وَلَدِهِ صِغَارًا فَهُوَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَإِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى أَبَوَيْنِ شَيْخَيْنِ كَبِيْرَيْنِ فَهُوَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَإِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى نَفْسِهِ يُعِفُّهَا فَهُوَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَإِنْ كَانَ خَرَجَ رِيَاءً وَمُفَاخَرَةً فَهُوَ فِيْ سَبِيْلِ الشَّيْطَانِ.

৫. কা‘ব ইবনু ঊজরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একজন ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করল। ছাহাবীগণ তার শরীরের বেহাল অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! যদি এটি আল্লাহর রাস্তায় হত? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি সে তার নবজাতক সন্তানদের চাহিদা পূরণের জন্য বের হয়, তাহলেও সে আল্লাহর রাস্তায়। যদি সে বৃদ্ধ পিতা-মাতার চাহিদা পূরণের জন্য বের হয়, তাহলেও সে আল্লাহর রাস্তায়। যদি সে নিজের কষ্ট লাঘবের জন্য বের হয়, তাহলেও সে আল্লাহর রাস্তায়। তবে যদি সে লোক দেখানো মনোভাব নিয়ে ও অহংকার বশে বের হয়, তাহলে সে শয়তানের রাস্তায় বের হল।[৫]
------
প্রত্যুষে রূযী তালাশ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا وَ لَہُمۡ  رِزۡقُہُمۡ  فِیۡہَا بُکۡرَۃً  وَّ عَشِیًّا ‘তারা সেখানে ‘শান্তি’ ছাড়া কোন অর্থহীন কথা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধায় তাদের জন্য থাকবে তাদের রিযিক’ (সূরা মারইয়াম : ৬২)।

عَنْ صَخْرِ بْنِ وَدَاعَةَ الْغَامِدِيِّ الصَّحَابِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ اَللهم بَارِكْ لِأُمَّتِيْ فِيْ بُكُوْرِهَا وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ تَاجِرًا فَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ

৬. ছাখর ইবনু ওদা‘আহ আল-গামেদী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু‘আ করে বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য তাদের প্রভাতে বরকত দান করুন’। আর রাসূলুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) যখনই কোন ছোট বা বড় সেনাদল জিহাদে পাঠাতেন, তখন তা দিনের প্রথম ভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী ছাখর ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। সুতরাং তিনি তাঁর ব্যবসার মালামাল দিনের প্রথম ভাগে পাঠাতেন। ফলে তিনি ধনবান হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর মালও বেড়ে গিয়েছিল।[৬]

বাজার ও আল্লাহবিমুখতার জায়গাতে আল্লাহর যিকির করার ফযীলত

رِجَالٌ لَّا تُلۡہِیۡہِمۡ تِجَارَۃٌ  وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ  اِقَامِ الصَّلٰوۃِ  وَ  اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡہِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ

‘সেসব লোকেরা, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর যিকির, ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না। তারা সেদিনকে ভয় করে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে’ (সূরা আন-নূর : ৩৭)।

لِیَجۡزِیَہُمُ اللّٰہُ  اَحۡسَنَ مَا عَمِلُوۡا وَ یَزِیۡدَہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ وَ اللّٰہُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ  بِغَیۡرِ  حِسَابٍ

‘যাতে, তাদের কৃত উত্তম আমলের জন্য আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান দেন এবং তিনি স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন অপরিমিত রিযিক দান করেন’ (সূরা আন-নূর : ৩৮)।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, الْعِبَادَةُ فِيْ الْهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إِلَيَّ ‘ফিতনা-দুর্যোগের সময় ইবাদত করা আমার নিকট হিজরত করার সমতুল্য’।[৭]

৭. ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে বলে, لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَيٌّ لَّا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই,  তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই প্রশংসা, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দান করেন, তিনি চিরঞ্জীব, কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না। তাঁর হাতেই কল্যাণ এবং তিনি সমস্ত জিনিসের উপর ক্ষমতাবান’, তাহলে আল্লাহ তার জন্য দশ লক্ষ ছওয়াব লিখবেন, দশ লক্ষ পাপ মুছে দিবেন, অধিকন্তু তার দশ লক্ষ মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর প্রস্তুত করবেন।[৮]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/২০৭২।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/২০৭৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৪২।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪৭১।
[৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩০৪; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১৩৯৩৯, সনদ হাসান।
[৫]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/২৮২; সনদ হাসান, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯২।
[৬]. তিরমিযী, হা/১২১২; আবূ দাঊদ, হা/২৬০৬; দারেমী, হা/২৪৩৫, সনদ ছহীহ।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৪৮।
[৮]. তিরমিযী, হা/৩৪২৮; ইবনু মাজাহ, হা/২২৩৫, সনদ হাসান।




প্রসঙ্গসমূহ »: ব্যবসা-বানিজ্য আমল
ফাযায়েলে আমল : কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৪র্থ কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৪তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৫ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল: ফাযায়েলে তাওহীদ (৭ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ