সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন
ফাযায়েলে তাওহীদ
-শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-উবাইলান

তাওহীদ অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ বিষয়। কেননা তা জান্নাতের চাবি ও সৃষ্টিজগতের রক্ষাকবচ, আশ্রয় ও সাহায্যস্থল
মহান আল্লাহ বলেন, شَہِدَ اللّٰہُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الۡعِلۡمِ قَآئِمًۢا بِالۡقِسۡطِ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৮)।

মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّنِیۡۤ اَنَا اللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدۡنِیۡ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِذِکۡرِیۡ ‘আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। অতএব তোমরা আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে ছালাত কায়েম কর’ (সূরা ত্বো-হা : ১৪)।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَاِذَا رَکِبُوۡا فِی الۡفُلۡکِ دَعَوُا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ فَلَمَّا نَجّٰہُمۡ اِلَی الۡبَرِّ اِذَا ہُمۡ یُشۡرِکُوۡنَ ‘তারা যখন জলযানে আরোহণ করে, তখন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে এনে তাদেরকে উদ্ধার করেন, তখনই তারা শরীক করতে থাকে’ (সূরা আল-‘আনকাবূত : ৬৫)। আল্লাহ বলেন,

وَ ذَاالنُّوۡنِ اِذۡ ذَّہَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنۡ لَّنۡ نَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنۡ لَّاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ

‘এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহ্বান করলেন, আপনি ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই; আপনি পবিত্র আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৭)।

মহান আল্লাহ আরো বলেন, مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَہٗ خَیۡرٌ مِّنۡہَا وَ ہُمۡ مِّنۡ فَزَعٍ یَّوۡمَئِذٍ اٰمِنُوۡنَ ‘যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান পাবে এবং সেদিন তারা গুরুতর অস্থিরতা থেকে নিরাপদ থাকবে’ (সূরা আন-নামল : ৮৯)। মহান আল্লাহ বলেন,

قُلۡ ہَلۡ مِنۡ شُرَکَآئِکُمۡ مَّنۡ یَّہۡدِیۡ اِلَی الۡحَقِّ قُلِ اللّٰہُ یَہۡدِیۡ لِلۡحَقِّ اَفَمَنۡ یَّہۡدِیۡ اِلَی الۡحَقِّ اَحَقُّ اَنۡ یُّتَّبَعَ اَمَّنۡ لَّا یَہِدِّیۡ اِلَّاۤ اَنۡ یُّہۡدٰی فَمَا لَکُمۡ کَیۡفَ تَحۡکُمُوۡنَ

‘(হে নবী!) আপনি বলুন, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মধ্যে যে সঠিক পথ প্রদর্শন করবে? (হে নবী!) আপনি বলুন, আল্লাহই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সুতরাং এমন লোক যে সঠিক পথ দেখাবে তার কথা মান্য করা কিংবা যে লোক নিজে নিজে পথ খুঁজে পায় না, তাকে পথ দেখানো কর্তব্য। অতএব তোমাদের কী হল, কেমন তোমাদের বিচার?’ (সূরা ইউনুস : ৩৫)। আল্লাহ বলেন, ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡحَقُّ وَ اَنَّ مَا یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِ الۡبَاطِلُ وَ اَنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡکَبِیۡرُ ‘এটাই প্রমাণ যে, আল্লাহই সত্য এবং আল্লাহ ব্যতীত তারা যাদের পূজা করে তারা সব মিথ্যা। আল্লাহ সর্বোচ্চ, সুমহান’ (সূরা লুক্বমান : ৩০)।

(১) عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الإِيْمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُوْنَ شُعْبَةً فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيْقِ وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِّنَ الْإِيْمَانِ

(১) আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানের ৭০টিরও অধিক শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাধিক উত্তম হল, ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু’ তথা আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই বলে সাক্ষ্য প্রদান করা। আর সর্বনিম্ন হল, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। লজ্জাশীলতাও ঈমানের অন্যতম শাখা’।[১]

(২) عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم {مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَہٗ خَیۡرٌ مِّنۡہَا وَ ہُمۡ مِّنۡ فَزَعٍ یَّوۡمَئِذٍ اٰمِنُوۡنَ } قَالَ هِيَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ { وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَکُبَّتۡ وُجُوۡہُہُمۡ فِی النَّارِ } وَهِيَ الشِّرْكُ

(২) আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মহান আল্লাহর বাণী, ‘যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে আসবে, সে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান পাবে এবং সেদিন তারা গুরুতর অস্থিরতা থেকে নিরাপদ থাকবে’ (সূরা আন-নামল : ৮৯)। এটা হল লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু। মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘এবং যে মন্দ কাজ নিয়ে আসবে, তাকে অগ্নিতে অধঃমুখে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা করেছিলে, তারই প্রতিফল তোমরা পাবে’ (সূরা আন-নামল : ৯০)। আর তা হল- শিরক।[২]

(৩) عَنْ مُعَاذٍ رضى الله عنه قَالَ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ لَيْسَ بَيْنِىْ وَبَيْنَهُ إِلَّا مُؤْخِرَةُ الرَّجْلِ فَقَالَ يَا مُعَاذُ هَلْ تَدْرِىْ حَقَّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوْهُ وَلاَ يُشْرِكُوْا بِهِ شَيْئًا وَحَقَّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لَا يُعَذِّبَ مَنْ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلَا أُبَشِّرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ لَا تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوْا

(৩) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি একই গাধার পিঠে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে আরোহী ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ও তাঁর মধ্যে হাওদার হেলান কাঠ ব্যতীত অন্য কিছুই ব্যবধান ছিল না। এমন সময় তিনি বললেন, ‘হে মু‘আয! তুমি কি জান বান্দার উপরে আল্লাহর কী অধিকার রয়েছে এবং আল্লাহর উপর বান্দার কী অধিকার রয়েছে’? আমি বললাল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক অবগত’। তিনি বললেন, ‘বান্দাদের উপরে আল্লাহ অধিকার এই যে, তারা কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। অতঃপর আল্লাহর উপরে বান্দার অধিকার এই যে, আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে শাস্তি দিবেন না, যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে না’। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ্র রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি কি লোকদের এ বিষয়ে সুসংবাদ শুনিয়ে দেব না’? তিনি বললেন, ‘না। তুমি তাদের এ সুসংবাদ দিয়ো না। তাহলে ওরা (সুসংবাদের উপরে) নির্ভরশীল হয়ে পড়বে (আমল করবে না)’।[৩]

(৪) আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের একজনকে সমস্ত সৃষ্টির সামনে আলাদা করে উপস্থিত করবেন। তিনি তার সামনে নিরানব্বইটি আমলনামার খাতা খুলে ধরবেন। প্রতিটি খাতা দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তারপর তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি কি এগুলো হতে কোন একটি (গুনাহ) অস্বীকার করতে পার? আমার লেখক ফেরেশতারা কি তোমার উপর যুল্‌ম করেছে? সে বলবে, না, হে প্রভু! তিনি আবার প্রশ্ন করবেন, তোমার কোন অভিযোগ আছে কি? সে বলবে, না, হে আমার প্রভু! তিনি বলবেন, আমার নিকট তোমার একটি ছওয়াব আছে। আজ তোমার উপর এতটুকু যুল্মও করা হবে না। তখন ছোট একটি কাগজের টুকরা বের করা হবে। তাতে লেখা থাকবে, ‘আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিই যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও তাঁর রাসূল’। তিনি তাকে বলবেন, দাঁড়িপাল্লার সামনে যাও। সে বলবে, হে প্রভু! এতগুলো খাতার বিপরীতে এই সামান্য কাগজটুকুর কী আর ওযন হবে? তিনি বলবেন, তোমার উপর কোন যুল্ম করা হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর খাতাগুলো এক পাল্লায় রাখা হবে এবং উক্ত টুকরাটি আরেক পাল্লায় রাখা হবে। ওযনে খাতাগুলোর পাল্লা হালকা হবে এবং কাগজের টুকরার পাল্লা ভারী হবে। আর আল্লাহ তা‘আলার নামের বিপরীতে কোন কিছুই ভারী হতে পারে না।[৪]

(৫) ‘উক্ববাহ‌ ইবনু ‘আমির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ওপর উট চরানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকালে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তাঁর এ কথা শুনতে পেলাম, ‘যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযূ করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। ‘উক্ববাহ‌ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলাম, বাহ! হাদীছটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এই মাত্র এসেছ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযূ করে এ দু‘আ পড়বে- ‘আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ’, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’।[৫]

আল্লাহকে ইবাদত ও সাহায্য কামনার ক্ষেত্রে এক বলে স্বীকৃতি দেয়ার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন, وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ حُنَفَآءَ وَ یُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ذٰلِکَ دِیۡنُ الۡقَیِّمَۃِ ‘তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, ছালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক দ্বীন’ (সূরা আল-বাইয়্যিনাহ : ৫)।

মহান আল্লাহ বলেন, اِنِّیۡ وَجَّہۡتُ وَجۡہِیَ لِلَّذِیۡ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ حَنِیۡفًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ‘আমার মুখম-লকে আমি সনিষ্ঠভাবে সেই মহান সত্তার দিকে ফিরাচ্ছি, যিনি নভোম-ল ও ভূ-ম-ল সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (সূরা আল-আন‘আম : ৭৯)। মহান আল্লাহ আরো বলেন,

وَ مَنۡ اَحۡسَنُ دِیۡنًا مِّمَّنۡ اَسۡلَمَ وَجۡہَہٗ لِلّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ وَّ اتَّبَعَ مِلَّۃَ اِبۡرٰہِیۡمَ حَنِیۡفًا وَ اتَّخَذَ اللّٰہُ اِبۡرٰہِیۡمَ خَلِیۡلًا

‘যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইবরাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইবরাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন’ (সূরা আন-নিসা : ১২৫)।

মহান আল্লাহ বলেন, وَ مَنۡ یُّسۡلِمۡ وَجۡہَہٗ اِلَی اللّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی وَ اِلَی اللّٰہِ عَاقِبَۃُ الۡاُمُوۡرِ ‘যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখম-লকে আল্লাহ অভিমুখী করে, সে এক মযবুত হাতল ধারণ করে, সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে’ (সূরা লুক্বমান : ২২)। মহান আল্লাহ বলেন,

لَاۤ اِکۡرَاہَ فِی الدِّیۡنِ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَ یُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی لَا انۡفِصَامَ لَہَا وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ

‘দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। সুতরাং যে ‘ত্বাগূত’কে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৫৬)। মহান আল্লাহ বলেন,

کَذٰلِکَ اَرۡسَلۡنٰکَ فِیۡۤ اُمَّۃٍ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہَاۤ اُمَمٌ لِّتَتۡلُوَا۠ عَلَیۡہِمُ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ وَ ہُمۡ یَکۡفُرُوۡنَ بِالرَّحۡمٰنِ قُلۡ ہُوَ رَبِّیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡتُ وَ اِلَیۡہِ مَتَابِ

‘এমনিভাবে আমি আপনাকে একটি উম্মতের মধ্যে প্রেরণ করেছি। তাদের পূর্বে অনেক উম্মত অতিক্রান্ত হয়েছে। যাতে আপনি তাদেরকে ঐ নির্দেশ শুনিয়ে দেন, যা আমি আপনার কাছে প্রেরণ করেছি। তথাপি তারা দয়াময়কে অস্বীকার করে। (হে নবী!) আপনি বলুন, তিনিই আমার পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কারও ইবাদত নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করেছি এবং তাঁর দিকেই আমার প্রত্যাবর্তন’ (সূরা আর-রা‘আদ : ৩০)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ عَلَی الثَّلٰثَۃِ الَّذِیۡنَ خُلِّفُوۡا حَتّٰۤی اِذَا ضَاقَتۡ عَلَیۡہِمُ الۡاَرۡضُ بِمَا رَحُبَتۡ وَ ضَاقَتۡ عَلَیۡہِمۡ اَنۡفُسُہُمۡ وَ ظَنُّوۡۤا اَنۡ لَّا مَلۡجَاَ مِنَ اللّٰہِ اِلَّاۤ اِلَیۡہِ ثُمَّ تَابَ عَلَیۡہِمۡ لِیَتُوۡبُوۡا اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ 

‘এবং অপর তিনজনকে যাদেরকে পেছনে রাখা হয়েছিল, যখন পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য সঙ্কুচিত হয়ে গেল এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠল; আর তারা বুঝতে পারল যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন আশ্রয়স্থল নেই-অতঃপর তিনি সদয় হলেন তাদের প্রতি, যাতে তারা ফিরে আসে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ দয়াময় করুণাশীল’ (সূরা আত-তওবাহ : ১১৮)।

মহান আল্লাহ বলেন, فَفِرُّوۡۤا اِلَی اللّٰہِ اِنِّیۡ لَکُمۡ مِّنۡہُ نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ ‘অতএব আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তাঁর তরফ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী’ (সূরা আয-যারিয়াত : ৫০)। মহান আল্লাহ বলেন, اِنِّیۡ تَوَکَّلۡتُ عَلَی اللّٰہِ رَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ اِلَّا ہُوَ اٰخِذٌ بِنَاصِیَتِہَا اِنَّ رَبِّیۡ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ‘আমি আল্লাহর উপর নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই, যা তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালনকর্তা সরল পথে কোন সন্দেহ নেই’ (সূরা হূদ : ৫৬)।

(৬) আমির (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি ‘ইমরান ইবনু হুছাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বদ-নযর কিংবা বিষাক্ত দংশন ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর এ হাদীছ আমি সা‘ঈদ ইবনু যুবাইর (রাহিমাহুল্লাহ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আমাদের নিকট ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার সামনে সকল উম্মতকে পেশ করা হয়েছিল। (তখন আমি দেখেছি) দু’একজন নবী পথ চলতে লাগলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁদের সঙ্গে একজনও নেই। অবশেষে আমার সামনে তুলে ধরা হল এক বিশাল দল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কী? এ কি আমার উম্মত? উত্তর দেয়া হল, না, ইনি মূসা (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর কওম। আমাকে বলা হল, আপনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে তাকান। তখন দেখলাম, বিশাল একটি দল, যা দিগন্তকে ঢেকে রেখেছে। তারপর আমাকে বলা হল, আকাশের দিগন্তসমূহ ঢেকে দিয়েছে এমন একটি বিশাল দলের প্রতি লক্ষ্য করুন। তখন বলা হল, এরা হল আপনার উম্মত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে চলে গেলেন। উপস্থিতদের কাছে কথাটির কোন ব্যাখ্যা প্রদান করলেন না। (যে বিনা হিসাবের লোক কারা হবে?) ফলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হল। তারা বলল, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করে থাকি। সুতরাং আমরাই তাদের অন্তর্ভুক্ত। কিংবা তারা হল আমাদের সে সকল সন্তান-সন্ততি, যারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহণ করেছে। আর আমাদের জন্ম হয়েছে জাহিলী যুগে। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন, তারা হল সে সব লোক, যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তো তাদের রবের উপরই ভরসা করে থাকে। তখন ‘উক্কাশাহ ইবনু মিহছান (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাদের মধ্যে কি আমি আছি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন আরেকজন দাঁড়িয়ে বলল, তাদের মধ্যে কি আমিও আছি? তিনি বললেন, ‘উক্কাশাহ এ সুযোগ তোমার আগেই নিয়ে নিয়েছে।[৬]

(৭) عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَصْبَحَ قَالَ أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ وَكَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ وَدِيْنِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَمِلَّةِ أَبِيْنَا إِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

(৭) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু আবযা থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সকাল করতেন তখন বলতেন, আমরা সকালে উঠলাম ইসলামের জন্মগত স্বভাবের উপর, তাওহীদের কালেমা সহকারে। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দ্বীনের উপর এবং আমাদের পিতা একনিষ্ঠ মুসলিম ইবরাহীমের মিল্লাতের উপর। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।[৭]

(৮) ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে ছিলাম। তিনি বললেন, হে তরুণ! তুমি আল্লাহর বিধি-নিষেধের রক্ষা করবে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখবে, আল্লাহকে তুমি কাছে পাবে। তোমার কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহর নিকট চাও। আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহর নিকটেই কর। আর জেনে রেখ, যদি সকল উম্মতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তা‘আলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল উম্মত তোমার কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতিই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার তাক্বদীরে লিখে রেখেছেন। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে। [৮][৯]

(৯) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিছানায় পেলাম না। আমি তাঁকে খোঁজ করতে লাগলাম। হঠাৎ আমার হাত তাঁর উভয় পায়ের তালুতে গিয়ে ঠেকল। তিনি সিজদায় ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টো দাঁড় করানো ছিল। এ অবস্থায় তিনি বলেছেন,

اَللّٰهُمَّ أَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِيْ ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

উচ্চারণ : ‘আল্ল-হুম্মা আ’উযু বিরিযা-কা মিন্‌ সাখাতিকা ওয়াবি মু‘আ-ফা-তিকা মিন্‌ ‘উকূবাতিকা ওয়া আ‘উযুবিকা মিনকা লা-উহ্‌ছি ছানা-আন্‌ ‘আলাইকা আংতা কামা- আছ‌নাইতা ‘আল- নাফসিকা’।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আপনার অসন্তোষ হতে পানাহ চাই, আপনার ক্ষমার দ্বারা আপনার আযাব হতে মুক্তি চাই এবং আপনার কাছে আপনার রহমতের ওয়াসীলায় আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! আপনি আপনার যেরূপ প্রশংসা করেছেন, আপনার সেরূপ প্রশংসা করার সাধ্য আমি রাখি না’।[১০]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫।

[২]. ইবনু জারীর, হা/২৭১৩০, সনদ জাইয়্যিদ; তাফসীরে ত্বাবারী, ১৯তম খ-, পৃ. ৫০৭; মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনু রাহওয়াইহ, হা/১৯২।

[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/২৮৫৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৩০।

[৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৯৯৪; তিরমিযী, হা/২৬৩৯; ইবনু মাজাহ, হা/৪৩০০; ইবনু হিব্বান, হা/২২৫, সনদ ছহীহ।

[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৪; আবূ দাঊদ, হা/১৬৯; মিশকাত, হা/২৮৯।

[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৭০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮, ২২০; মিশকাত, হা/৫২৯৫।

[৭]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৩৯৭; নাসাঈ, কুবরা হা/৯৭৪৩; দারেমী হা/২৬৮৮, সনদ জাইয়েদ।

[৮]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৬৯; তিরমিযী, হা/২৫১৬, সনদ ছহীহ।

[৯]. তিরমিযী, হা/২৫১৬; ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এই হাদীছটি হাসান ছহীহ; মিশকাত, হা/৫৩০২, সনদ ছহীহ।

[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৬; আবূ দাঊদ, হা/৮৭৯, ১৪২৭; মিশকাত, হা/৮৯৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: তাওহীদ আমল
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৪র্থ কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৪তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৩তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৩য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল: ফাযায়েলে তাওহীদ (৭ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ