সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

ফাযায়েলে ছালাত

– মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
– তাহক্বীক্ব : ইমাম মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী
– অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


(১১তম কিস্তি)

আযানের ফযীলতের বর্ণনা

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مَنۡ اَحۡسَنُ قَوۡلًا مِّمَّنۡ دَعَاۤ اِلَی اللّٰہِ وَ عَمِلَ صَالِحًا وَّ قَالَ اِنَّنِیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

‘আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম? যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা হা-মীম আস-সাজদাহ : ৩৩)। মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّا سَخَّرۡنَا الۡجِبَالَ مَعَہٗ یُسَبِّحۡنَ بِالۡعَشِیِّ وَالۡاِشۡرَاقِ ‘আমরা পর্বতমালাকে তার (দাঊদ (আলাইহিস সালাম)-এর) অনুগত করেছিলাম, এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত’ (সূরা ছোয়াদ : ১৮)। মহান আল্লাহ বলেন,

اُتۡلُ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ  وَ الۡمُنۡکَرِ  وَ لَذِکۡرُ اللّٰہِ اَکۡبَرُ  وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُوۡنَ

‘তোমার প্রতি যে কিতাব অহি করা হয়েছে, তা থেকে তেলাওয়াত কর এবং ছালাত কায়েম কর। নিশ্চয় ছালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন, যা তোমরা কর’ (সূরা আল-আনকাবূত : ৪৫)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ جَعَلۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ  اَکِنَّۃً  اَنۡ یَّفۡقَہُوۡہُ  وَ فِیۡۤ  اٰذَانِہِمۡ وَقۡرًا  وَ وَّ اِذَا ذَکَرۡتَ رَبَّکَ فِی الۡقُرۡاٰنِ وَحۡدَہٗ  وَلَّوۡا عَلٰۤی  اَدۡبَارِہِمۡ  نُفُوۡرًا

‘আর আমরা তাদের অন্তরের উপর ঢাকনা রেখে দিয়েছি, যাতে তারা তা বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে দিয়েছি বধিরতা। আর যখন আপনি কুরআনে আপনার একক রবকে স্মরণ করেন তখন তারা মুখ ফিরিয়ে সরে পড়ে’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৪৬)। মহান আল্লাহ বলেন,

فَمَا لَہُمۡ عَنِ التَّذۡکِرَۃِ  مُعۡرِضِیۡنَ – کَاَنَّہُمۡ حُمُرٌ مُّسۡتَنۡفِرَۃٌ

আর তাদের কী হয়েছে যে, তারা উপদেশ বাণী হতে বিমূখ? তারা যেন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পলায়নরত বন্য গাধা’ (সূরা আল-মুদ্দাছির : ৪৯-৫১)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ  یَاۡتُوۡکَ  رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ  عَمِیۡقٍ

‘এবং মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’ (সূরা আল-হাজ্জ : ২৭)।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا فَرَغَ إِبْرَاهِيْمُ مِنْ بِنَاءِ الْبَيْتِ قَالَ رَبِّ قَدْ فَرَغْتُ فَقَالَ أَذِّنِ فِي النَّاسَ بِالْحَجِّ قَالَ رَبِّ وَمَا يَبْلُغُ صَوْتِيْ؟ قَالَ أَذِّنْ وَعَلَيَّ الْبَلَاغُ قَالَ رَبِّ كَيْفَ أَقُوْلُ؟ قَالَ “قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْحَجُّ حَجُّ الْبَيْتِ الْعَتِيْقِ فَسَمِعَهُ مَنْ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَلَا تَرَى أَنَّهُمْ يَجِيْئُوْنَ مِنْ أَقْصَى الْأَرْضِ يُلَبُّوْنَ

১). ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বায়তুল্লাহ নির্মাণ সম্পন্ন করলেন, তখন বললেন, হে আমার রব! আমি আমার কাজ সম্পন্ন করেছি। মহান আল্লাহ বললেন, তুমি মানুষদের মাঝে হজ্জের ঘোষণা দাও। তিনি বললেন, হে আমার রব! কিভাবে আমার ধ্বনি মানুষদের মাঝে পৌঁছবে? আল্লাহ বললেন, তুমি ঘোষণা দাও, পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। তিনি বললেন, হে আমার রব! আমি কিভাবে ঘোষণা দিব? মহান আল্লাহ বললেন, তুমি বল (হে ইবরাহীম), (হে মানুষ সকল!) তোমাদের উপর হজ্জকে ফরয করা হয়েছে। অতঃপর বায়তুল্লাতে হজ্জ করার কথা আসমান ও যমীনের সকলেই শুনতে পেল। তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, পৃথিবীর আনাচে কানাচে থেকে সেখানে এসে তালবিয়াহ পাঠ করে’।[১]

——

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا بَنَى إِبْرَاهِيْمُ الْبَيْتَ أَوْحَى اللهُ إِلَيْهِ أَنْ أَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ قَالَ فَقَالَ إِبْرَاهِيْمُ أَلَا إِنَّ رَبَّكُمْ قَدِ اتَّخَذَ بَيْتًا وَأَمَرَكُمْ أَنْ تَحُجُّوْهُ فَاسْتَجَابَ لَهُ مَا سَمِعَهُ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ أَكَمَةٍ أَوْ تُرَابٍ لَبَّيْكَ اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ

২). ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বায়তুল্লাহ নির্মাণ করলেন, তখন মহান আল্লাহ তার নিকটে মানুষের মাঝে ঘোষণা দাও মর্মে অহি করলেন। রাবী বলেন, অতঃপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বললেন, নিশ্চয় তোমাদের রব তোমাদেরকে একটি ঘরকে নির্দিষ্ট করে সেখানে হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পাথর, গাছ, মাটি যারাই এ ঘোষণা শুনল, তারা বলে উঠল, لَبَّيْكَ اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ তোমার দরবারে উপস্থিত’।[২]

——

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِيْ صَعْصَعَةَ الأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ إِنِّيْ أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِيْ غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ بِالصَّلَاةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لَا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلَا إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

৩). আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আবী ছা‘ছা‘আ আল-আনসারী মাযিনী (রাহিমাহুল্লাহ) তার পিতার সত্র বর্ণনা করেছেন যে, আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁকে বললেন, আমি দেখছি তুমি বকরী চরানো এবং বন-জঙ্গলকে ভালবাস। তাই তুমি যখন বকরী নিয়ে থাক, বা বন-জঙ্গলে থাক এবং ছালাতের জন্য আযান দাও, তখন উচ্চকণ্ঠে আযান দাও। কেননা, জিন, ইনসান বা যে কোন বস্তুই যতদূর পর্যন্ত মুয়াযযিনের আওয়াজ শুনবে, সে ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, এ কথা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছি।[৩]

——

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِى النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلَّا أَنْ يَّسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوْا وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِى التَّهْجِيْرِ لَاسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِىْ الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا

৪). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘মানুষ যদি জানত আযান দেয়া এবং ছালাতের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে কী পরিমাণ নেকি রয়েছে, তাহলে তারা এর জন্য প্রয়োজনে লটারী করত। আর যদি তারা জানত প্রথম সময়ে ছালাত আদায় করাতে কী পরিমাণ নেকী রয়েছে, তাহলে তারা অন্যের আগে পৌঁছানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করত। আর যদি তারা জানত এশা ও ফজর ছালাতের মধ্যে কী পরিমাণ নেকী রয়েছে, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ছালাতে আসত।[৪]

——

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذا نُوْدِيَ لِلصَّلَاةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ التَّأْذِيْنَ فَإِذَا قُضِىَ النِّدَاءُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِىَ التَّثْوِيْبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُوْلُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ لَا يَدْرِيْ كَمْ صَلَّى

৫). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন ছালাতের জন্য আযান দেয়া হতে থাকে, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে থাকে ও পিঠ ফিরে পালাতে থাকে। যাতে সে আযান শুনতে না পায়। অতঃপর যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে ফিরে আসে। আবার যখন ইক্বামত শুরু হয়, তখন সে পিঠ ফিরে পালাতে থাকে। আর যখন ইক্বামত শেষ হয়ে যায়, পুনরায় ফিরে আসে এবং মানুষের অন্তরে খটকা তৈরি করে। সে বলে, অমুক বিষয় স্মরণ কর, অমুক বিষয় স্মরণ কর, যেসকল বিষয় তার মনে ছিল না। অবশেষে মানুষ এরূপ হয়ে যায় যে, সে বলতে পারে না কত রাক‘আত ছালাত আদায় করেছে।[৫]

——

عَنْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُوْنَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ قَالَ الرَّاوِيْ وَالرَّوْحَاءُ مَنَ الْمَدِيْنَةِ عَلَي سِتَّةِ وَّثَلَاثِيْنَ مَيْلًا

৬). জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘শয়তান যখন ছালাতের আযান শুনে, তখন সে ভাগতে থাকে যতক্ষণ না রাওহা পর্যন্ত পৌঁছে’। রাবী বলেন, রাওহা হল মদীনা হতে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত।[৬]

——

عَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ الْمُؤَذِّنُوْنَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ

৭). মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন মুওয়ায্যিনগণ সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবেন’।[৭]

বিরান ভূমিতে আযান ও ছালাত আদায়ের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন, فَالتّٰلِیٰتِ ذِکۡرًا ‘আর উপদেশ-গ্রন্থ (আসমানী কিতাব) তেলাওয়াতকারীদের’ (সূরা আছ-ছাফফাত : ৩)।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِنَّ لِلهِ مَلَائِكَةً سَيَّارَةً فُضْلًا يَبْتَغُونَ مَجَالِسَ الذِّكْرِ ‘আল্লাহ তা‘আলার এক গ্রুপ ভ্রাম্যমান বর্ধিত ফেরেশতা রয়েছে। তারা যিকিরের বৈঠকসমূহ সন্ধান করে’।[৮]

عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ بِأَرْضِ قِيٍّ فَحَانَتِ الصَّلَاةُ فَلْيَتَوَضَّأْ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ مَاءً فَلْيَتَيَمَّمْ فَإِنْ أَقَامَ صَلَّى مَعَهُ مَلَكَاهُ وَإِنْ أَذَّنَ وَأَقَامَ صَلَّى خَلْفَهُ مِنْ جُنُوْدِ اللهِ مَا لَا يُرَى طَرَفَاهُ

৮). সালমান ফারসী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি মসৃণ সমতল কোন ভূমিতে অবস্থান করা অবস্থায় ছালাতের সময় হয়, তাহলে সে যেন ওযূ করে, আর পানি না পেলে তায়াম্মুম করে নেয়। অতঃপর যদি সে ছালাত আদায় করে, তাহলে তার সাথে অবস্থানরত ফেরেশতাদ্বয় তার সাথে শরীক হয়। আর যদি সে আযান ও ইক্বামত দিয়ে ছালাতে দাড়ায়, তাহলে তার পিছনে আল্লাহর এক বিশাল বাহিনী (ফেরেশতামণ্ডলী) ছালাতে দাড়ায়, যাদেরকে সে দেখতে পায় না’।[৯]

——

মুওয়াযযিনের আযানের উত্তর দেয়া এবং কী শব্দে উত্তর দেয়া হবে এবং আযানের পর তিনি কী বলবেন তার বর্ণনা

মহান আল্লাহ বলেন,

الَّذِیۡنَ  یَسۡتَمِعُوۡنَ الۡقَوۡلَ فَیَتَّبِعُوۡنَ اَحۡسَنَہٗ  اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ ہَدٰىہُمُ  اللّٰہُ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ  اُولُوا  الۡاَلۡبَابِ

‘যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর এর যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হেদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান’ (সূরা আয-যুমার : ১৮)। মহান আল্লাহ বলেন, وَ ہُدُوۡۤا اِلٰی الطَّیِّبِ مِنَ الۡقَوۡلِ وَ ہُدُوۡۤا  اِلَی  صِرَاطِ  الۡحَمِیۡدِ  ‘তাদেরকে পবিত্র বাণীর দিকে পরিচালনা করা হয়েছিল এবং তাদেরকে মহা প্রশংসিত আল্লাহর পথ দেখানো হয়েছিল’ (সূরা আল-হাজ্জ : ২৪)। মহান আল্লাহ বলেন,

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ یَبۡتَغُوۡنَ  اِلٰی رَبِّہِمُ الۡوَسِیۡلَۃَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ وَ یَرۡجُوۡنَ رَحۡمَتَہٗ وَ یَخَافُوۡنَ عَذَابَہٗ  اِنَّ عَذَابَ  رَبِّکَ  کَانَ  مَحۡذُوۡرًا

‘তারা যাদেরকে ডাকে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের কাছে নৈকট্যের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে তাঁর নিকটতর। আর তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে। নিশ্চয় তোমার রবের আযাব ভীতিকর’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৫৭)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مِنَ الَّیۡلِ فَتَہَجَّدۡ بِہٖ نَافِلَۃً  لَّکَ عَسٰۤی اَنۡ  یَّبۡعَثَکَ رَبُّکَ مَقَامًا مَّحۡمُوۡدًا

‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায় তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৭৯)।

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّرَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُوْلُوْا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ المُؤَذِّنُ

৯). আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তাই বলবে’।[১০]

——

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُوْلُوْا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ ثُمَّ صَلُّوْا عَلَيَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللهَ لِيَ الْوَسِيْلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِى الْجَنَّةِ لَا تَنْبَغِي إِلَّا لِعَبْدٍ مِّنْ عِبَادِ اللهِ وَأَرْجُوْ أَنْ أَكُوْنَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيْلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ

১০). আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, ‘যখন তোমরা মুওয়ায্যিনকে আযান দিতে শুনবে, তখন তার জবাবে তাই বল মুওয়াযযিন যা বলে। অতঃপর আমার উপর দরূদ পড়। কেননা যে আমার উপর একবার দরূদ পড়ে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। তারপর আমার জন্য আল্লাহর নিকট ‘ওয়াসীলা’ প্রার্থনা কর। আর তা হচ্ছে জান্নাতের একটি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে মাত্র একজন বান্দার জন্য উপযোগী। আমি আশা করি আমিই সেই বান্দা। অতএব যে ব্যক্তি আমার জন্য ‘ওয়াসীলা’ চাইবে তার জন্য আমার শাফা‘আত আবশ্যক হয়ে যাবে।[১১]

——

عَنْ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ثُمَّ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ ثُمَّ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ

১১). ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন মুওয়াযযিন বলে, ‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার’, তখন যদি তোমাদের কেউ বলে ‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার’, অতঃপর যখন মুওয়াযযিন বলে ‘আশহাদু আন-লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ সেও বলে ‘আশহাদু আন-লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’, মুওয়াযযিন বলে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ সেও বলে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’, এরপর মুওয়াযযিন বলে, ‘হাইয়্যা ‘আলাছ ছালাহ’ সে বলে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, পুনরায় যখন মুওয়াযযিন বলে ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’ সে বলে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, পরে যখন মুওয়াযযিন বলে ‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার’ সেও বলে ‘আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার’। অতঃপর যখন মুওয়াযযিন বলে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ সেও বলে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’। আর এই বাক্যগুলো যদি সে মনে-প্রাণে বলে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে।[১২]

——

عَنْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَالَ حِيْنَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

১২). জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে বলবে,

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُوْدًا الَّذِيْ وَعَدْتَهُ

(হে আল্লাহ! এই পূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত ছালাতের প্রতিপালক, আপনি মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং প্রশংসনীয় স্থানে তাঁকে অধিষ্ঠিত করুন। যার ওয়াদা আপনি করেছেন) তাহলে ক্বিয়ামতের দিন তাঁর জন্য আমার শাফা‘আত আবশ্যক হয়ে যাবে’।[১৩]

——

عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِىْ وَقَّاصٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ قَالَ حِيْنَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا وَّبِالْإِسْلَامِ دِيْنًا غُفِرَ لَهُ ذَنْبِهِ

১৩). সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াককাছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়াযযিনের আযান শুনে বলবে,

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا وَّبِالْإِسْلَامِ دِيْنًا

(আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে প্রতিপালকরূপে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাসূলরূপে এবং ইসলামকে দ্বীনরূপে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি) তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে’।[১৪]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)


* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. মুসতাদরাক হাকেম, হা/৩৪৬৪, সনদ ছহীহ।
[২]. মুসতাদরাক হাকেম, হা/৪০২৬, সনদ ছহীহ।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৬০৯।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৭; মিশকাত, হা/৬২৮।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৬০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৯; মিশকাত, হা/৬৫৫।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৮; মিশকাত, হা/৬৭৪।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৭; ইবনু মাজাহ, হা/৪২৫; মিশকাত, হা/৬৫৪।
[৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৮৯।
[৯]. মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হা/১৯৫৫, সনদ ছহীহ।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১১; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৩।
[১১]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৪; আবূ দাঊদ, হা/৫২৩; তিরমিযী, হা/৩৬১৪; মিশকাত, ৬৫৭।
[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৫; আবূ দাঊদ, হা/৫২৭; মিশকাত, হা/৬৫৮।
[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১৪, ৪৭১৯।
[১৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৬; ছহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪২২; মিশকাত, হা/৬৬১।





প্রসঙ্গসমূহ »: ছালাত আমল
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
যিলহজ্জ মাসের আমল ও ফযীলত - মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১২ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল: ফাযায়েলে তাওহীদ (৭ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৫তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ