সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন

ফাযায়েলে ছালাত

মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান

অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


(১২তম কিস্তি)

প্রয়োজনীয় জায়গায় মসজিদ নির্মাণের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اِذۡ یَرۡفَعُ  اِبۡرٰہٖمُ  الۡقَوَاعِدَ مِنَ الۡبَیۡتِ وَ اِسۡمٰعِیۡلُ ؕ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ.

‘আর যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কা‘বার ভিত্তি উত্তোলন করছিলেন, (তখন তারা বলছিলেন) হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১২৭)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَاَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰی وَاَخِیۡہِ اَنۡ تَبَوَّاٰ لِقَوۡمِکُمَا بِمِصۡرَ بُیُوۡتًا وَّ اجۡعَلُوۡا بُیُوۡتَکُمۡ قِبۡلَۃً  وَّ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ؕ وَ بَشِّرِ  الۡمُؤۡمِنِیۡنَ.

‘এবং আমরা মূসা ও তার ভাইয়ের কাছে অহি পাঠালাম যে, তোমরা তোমাদের কওমের জন্য মিসরে গৃহ তৈরী কর এবং তোমাদের গৃহগুলোকে ক্বিবলা বানাও এবং ছালাত কায়েম কর, আর মুমিনদের সুসংবাদ দাও’ (সূরা ইউনুস : ৮৭)।

عَنْ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ عِنْدَ قَوْلِ النَّاسِ فِيْهِ حِيْنَ بَنَى مَسْجِدَ الرَّسُوْلِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكُمْ أَكْثَرْتُمْ وَإِنِّيْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ "مَنْ بَنَى مَسْجِدًا يَبْتَغِيْ بِهِ وَجْهَ اللهِ بَنَى اللهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ" وَفِيْ رِوَايَةٍ- بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
১৪). ওছমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি যখন মসজিদে নববী নির্মাণ করেছিলেন, তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, ‘তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করবেন’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন’।[১]

عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "مَنْ بَنَى لِلهِ مَسْجِدًا وَلَوْ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
১৫). আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, যদিও তা টিড্ডির ঢিবির[২] ন্যায় (অতি ক্ষুদ্র) হয়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’।[৩]

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا يُذْكَرُ فِيْهِ اسْمُ اللهُ بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
১৬). ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নামের যিকিরের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন’।[৪]

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَفَرَ مَاءً لَمْ يَشْرَبْ مِنْهُ كَبِدٌ حَرِيٌّ مِنْ جِنٍّ وَلَا إِنْسٍ وَلَا طَائِرٍ إِلَّا آجَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ بَنَى مَسْجِدًا كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ أَوْ أَصْغَرَ بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
১৭). জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পানির কুপ খনন করল এবং সেখান থেকে জিন, মানুষ, পশু-পাখির মতো যত প্রাণিকুলই পানি পান করবে, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে এর প্রতিদান প্রদান করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য টিড্ডির ঢিবির ন্যায় বা তার চাইতেও ক্ষুদ্র একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’।[৫]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا عَلَّمَهُ وَنَشَرَهُ وَوَلَدًا صَالِحًا تَرَكَهُ وَمُصْحَفًا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِاِبْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَّالِهِ فِىْ صِحَّتِهِ وَحَيَاتِهِ يَلْحَقُهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ.
১৮). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘মুমিনের মৃত্যুর পরও তার যে আমল ও নেক কাজসমূহের ছওয়াব তার নিকট পৌঁছতে থাকবে তা হচ্ছে- (১) ইলম, যা সে শিক্ষা করেছে অতঃপর তা বিস্তার করেছে (২) নেক সন্তান, যাকে সে দুনিয়ায় রেখে গিয়েছে (৩) কুরআন, যা মীরাছরূপে রেখে গিয়েছে (৪) মসজিদ, যা সে নির্মাণ করে গিয়েছে (৫) মুসাফিরখানা, যা সে মুসাফিরদের জন্য তৈরি করে গিয়েছে (৬) খাল, (কূপ, পুকুর প্রভৃতি) যা সে খনন করে গিয়েছে (৭) দান, যা সে সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় তাঁর ধন-সম্পদ থেকে দান করে গেছে। তাঁর মৃত্যুর পরও এসব নেক কাজের ছওয়াব তাঁর নিকট পৌঁছতে থাকবে’।[৬]

মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ফযীলত ও তা সুসজ্জিত করা প্রসঙ্গে

মহান আল্লাহ বলেন,

فِیۡ  بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰہُ  اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡہَا اسۡمُہٗ ۙ یُسَبِّحُ لَہٗ  فِیۡہَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَالِ.

‘সেসব ঘরে যাকে সমুন্নত করতে এবং যেখানে আল্লাহর নাম যিক্র করতে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে সকাল ও সন্ধায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করে’ (সূরা আন-নূর : ৩৬)।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ امْرَأَةً سَوْدَاءَ كَانَتْ تَقُمُّ الْمَسْجِدَ أَوْ شَابٌّ فَفَقَدَهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَ عَنْهَا أَوْ عَنْهُ فَقَالُوْا مَاتَ قَالَ أَفَلَا كُنْتُمْ آذَنْتُمُوْنِيْ؟ قَالَ فَكَأَنَّهُمْ صَغَّرُوْا أَمْرَهَا أَوْ أَمْرَهُ فَقَالَ دُلُّوْنِيْ عَلٰى قَبْرِهِ فَدَلُّوْهُ فَصَلَّى عَلَيْهَا قَالَ إِنَّ هَذِهِ الْقُبُوْرَ مَمْلُوْءَةٌ ظُلْمَةً عَلٰى أَهْلِهَا وَإِنَّ اللهَ يُنَوِّرُهَا لَهُمْ بِصَلَاتِيْ عَلَيْهِمْ.
১৯). আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, একজন কালো মহিলা অথবা একজন যুবক মসজিদে নববী ঝাড়– দিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুপস্থিত পেলেন। তিনি ঐ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন অথবা যুবক সম্পর্কে। ছাহাবীগণ বললেন, তিনি ইন্তেকাল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা আমাকে সংবাদ দিলে না কেন? আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ছাহাবীগণ যেন মহিলা বা যুবকের ব্যাপারকে তুচ্ছ মনে করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। সুতরাং তারা তাকে দেখিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযা পড়লেন। তিনি বললেন, এ কবরসমূহ কবরবাসীদের জন্য ঘন অন্ধকারে পূর্ণ ছিল। আর আল্লাহ তা‘আলা আমার ছালাতের মাধ্যমে তাদের জন্য তাদের কবরসমূহকে আলোকিত করে দিয়েছেন।[৭]

عَنْ سَمُرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى ابْنِهِ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُنَا بِالْمَسَاجِدِ أَنْ نَصْنَعَهَا فِيْ دِيَارِنَا وَنُصْلِحَ صَنْعَتَهَا وَنُطَهِّرَهَا.
২০). সামুরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি তার সন্তানদের উদ্দেশ্যে এ মর্মে পত্র লিখেন যে, অতঃপর জেনে রাখ! রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন এলাকায় এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করি এবং তা ঠিকঠাক ও পরিচ্ছন্ন রাখি’।[৮]

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبِنَاءِ المَسَاجِدِ فِي الدُّورِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ.
২১). আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুগন্ধমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন’।[৯]

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ بَيْنَمَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ يَوْمًا إِذْ رَأَى نُخَامَةً فِيْ قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ فَتَغَيَّظَ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ حَكَّهَا قَالَ وَأَحْسَبُهُ قَالَ فَدَعَا بِزَعْفَرَانٍ فَلَطَّخَهُ بِهِ وَقَالَ إِنَّ اللهَ قِبَلَ وَجْهِ أَحَدِكُمْ إِذَا صَلَّى فَلَا يَبْزُقْ بَيْنَ يَدَيْهِ.
২২). ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্ববাহ দানকালে মসজিদের ক্বিবলার দিকে কফ দেখতে পেয়ে তিনি লোকদের উপর অসন্তুষ্ট হন এবং পরে তিনি তা তুলে ফেলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, পরে তিনি জাফরান আনিয়ে সেখানে তা লাগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘ছালাত আদায়কালে মহান আল্লাহ তোমাদের সামনেই থাকেন। কাজেই ছালাত আদায়ের সময় কেউ যেন সামনে থু থু না ফেলে’।[১০]

২৩). আবূ সাহলা আস-সাইব ইবনু খাল্লাদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি ছিলেন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ছাহাবী। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের ইমামতিকালে ক্বিবলার দিকে থু থু ফেললে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা লক্ষ্য করলেন। লোকটি ছালাত শেষ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (উপস্থিত লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে) বললেন, এ ব্যক্তি তোমাদের ছালাত আদায় করাবে না (আর ইমামতি করবে না)। পরবর্তীতে লোকটি তাদের ইমামতি করতে চাইলে তারা তাকে নিষেধ করে এবং তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উক্তিও অবহিত করে। অতঃপর লোকটি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাও বলেছেন, ‘তুমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছ’।[১১]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র : 
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৩৩।
[২]. ঢিবি বলতে বুঝায় মাটিতে খননকৃত ডিম পাড়ার গর্ত বা থাকার জায়গা। যেখানে টিড্ডি অবস্থান করে এবং ডিম পাড়ে। টিড্ডি হল ঘুঘু, কবুতর, কপোত বা পায়রা জাতীয় পাখি।
[৩]. ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৬১০; ইবনু মাজাহ, হা/৭৩৮।
[৪]. ইবনু মাজাহ, হা/৭৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৭৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৬০৮, সনদ ছহীহ।
[৫]. ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/১২৯২, সনদ ছহীহ।
[৬]. ইবনু মাজাহ, হা/২৪২; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৪৪৮; ইবনু খুযায়মাহ, হা/২৪৯০; মিশকাত, হা/২৫৪।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৫৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৫৬; মিশকাত, হা/১৬৫৯।
[৮]. আবূ দাউদ, হা/৪৫৬, সনদ ছহীহ; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩১৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৭২৪।
[৯]. আবূ দাঊদ, হা/৪৫৫; তিরমিযী, হা/৫৯৪, সনদ ছহীহ।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৭৫৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৪৭; আবূ দাউদ, হা/৪৭৯।
[১১]. আবূ দাউদ, হা/৪৮১, সনদ হাসান; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৬৩৬।





প্রসঙ্গসমূহ »: আমল
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৪তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে হজ্জ ও ওমরাহ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : শাস্তি প্রয়োগ ও অন্যান্য বিধান - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৫তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ