রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন

ফাযায়েলে হজ্জ ও ওমরাহ

-মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
-অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


 
মহান আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحِلُّوۡا شَعَآئِرَ اللّٰہِ وَ لَا الشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَ لَا الۡہَدۡیَ وَ لَا الۡقَلَآئِدَ وَ لَاۤ  آٰمِّیۡنَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ رِضۡوَانًا

‘হে মুমিনগণ! তোমরা অসম্মান কর না আল্লাহর নিদর্শনসমূহের, হারাম মাসের, হারামে প্রেরিত কুরবানীর পশুর, গলায় চি‎হ্ন দেয়া পশুর এবং আপন রবের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অনুসন্ধানে পবিত্র গৃহের অভিমুখীদের’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ২)। মহান আল্লাহ বলেন,

اَلۡحَجُّ اَشۡہُرٌ مَّعۡلُوۡمٰتٌ فَمَنۡ فَرَضَ فِیۡہِنَّ الۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَ لَا فُسُوۡقَ  وَ لَا جِدَالَ فِی الۡحَجِّ وَ مَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ  یَّعۡلَمۡہُ اللّٰہُ   وَ تَزَوَّدُوۡا فَاِنَّ خَیۡرَ الزَّادِ التَّقۡوٰی وَ اتَّقُوۡنِ یٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ

‘হজ্জের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ। অতএব এই মাসসমূহে যে নিজের উপর হজ্জ আরোপ করে নিল, তার জন্য হজ্জে অশ্লীল ও পাপ কাজ এবং ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। আর তোমরা ভালো কাজের যা কর, আল্লাহ তা জানেন। আর পাথেয় গ্রহণ কর, নিশ্চয় উত্তম পাথেয় তাক্বওয়া। আর হে বিবেক সম্পন্নগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৯৭)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ  یَاۡتُوۡکَ  رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ

‘এবং মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’ (সূরা আল-হজ্জ : ২৭)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اذۡکُرُوا اللّٰہَ فِیۡۤ  اَیَّامٍ  مَّعۡدُوۡدٰتٍ فَمَنۡ تَعَجَّلَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ وَ مَنۡ تَاَخَّرَ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ لِمَنِ اتَّقٰی وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ  اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ

‘আর আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। অতঃপর যে তাড়াহুড়ো করে দু’দিনে চলে আসবে। তার কোন পাপ নেই। আর যে বিলম্ব করবে, তারও কোন অপরাধ নেই। (এ বিধান) তার জন্য, যে তাক্বওয়া অবলম্বন করেছে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমাদেরকে তাঁরই কাছে সমবেত করা হবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২০৩)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ إِيْمَانٌ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ قِيْلَ ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ أَلْجِهَادُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ قِيْلَ  ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ حَجٌّ مَبْرُوْرٌ

১. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হল, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হল, তারপর কী? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হল, তারপর কী? তিনি বললেন, কবুলযোগ্য হজ্জ।[১]
-----

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ حَجَّ لِلهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ مِنْ ذُنُوْبِهِ كَيَوْمٍ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

২. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য হজ্জ করবে এবং এ হজ্জের মধ্যে কোন অশ্লীল কথা ও কর্মে লিপ্ত হবে না, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।[২]

-----
 عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلَّا الْجنَّةُ

৩. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক ওমরাহ হতে অপর ওমরাহ মধ্যবর্তী সময়ের কাফ্ফারা স্বরূপ। কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া কিছুই নয়।[৩] ‘আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছে এসেছে, তিনি বলেন,

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الْإِسْلَامَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ؟ وَأَنَّ الْهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا؟ وَأَنَّ الْحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ؟

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তুমি জান না আমর! ‘ইসলাম’ তার পূর্বেকার সকল কিছু বিদূরিত করে দেয়, ‘হিজরত’ তার পূর্বেকার সকল কিছুকে বিনাশ করে দেয় এবং ‘হজ্জ’ তার পূর্বের সবকিছুকে বিনষ্ট করে দেয়’।[৪]
-----

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْأَعْمَالِ أَفَلَا نُجَاهِدُ؟ فَقَالَ لَكِنَّ أَفْضَلَ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُوْرٌ

৪. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না? তিনি বললেন, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল- কবুল হজ্জ।[৫]
-----

 وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَابِعُوْا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوْبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيْرُ خَبَثَ الْحَدِيْدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُوْرَةِ ثَوَابٌ إِلَّا الْجَنَّةَ

৫. আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা হজ্জ ও ওমরাহ কাছাকাছি সময়ে কর। নিশ্চয় হজ্জ ও ওমরাহ এমনভাবে দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে যেভাবে কামারের হাঁপর লোহা ও সোনা-রূপার মরিচা দূর করে। কবুল হজ্জের ছাওয়াব জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়।[৬]
-----

 وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ مَسْجِدِ مِنًى فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ وَرَجُلٌ مِنْ ثَقِيْفٍ فَسَلَّمَا ثُمَّ قَالَا يَا رَسوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! جِئْنَا نَسْأَلُكَ فَقَالَ إِنْ شِئْتُمَا أَخْبَرْتُكُمَا بِمَا جِئْتُمَا تَسْأَلَانِيْ عَنْهُ فَعَلْتُ وَإنْ شِئْتُمَا أَنْ أُمْسِكَ وَتَسْأَلَانِيْ فَعَلْتُ فَقَالَا أَخْبِرْنَا يَا رَسوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! فَقَالَ الثَّقَفِيُّ لِلْأَنْصَارِيِّ سَلْ فَقَالَ أَخْبِرْنِيْ يَا رَسوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! فَقَالَ جِئْتَنِيْ تَسْأَلُنِيْ عَن مَخْرَجِكَ مِنْ بَيْتِكَ تَؤُمُّ الْبَيْتَ الْحَرَامَ وَمَا لَكَ فِيْهِ؟ وَعَنْ رَكْعَتَيْكِ بَعْدَ الطَّوَافِ وَمَا لَكَ فِيْهِمَا؟ وَعَنْ طَوَافِكَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَمَا لَكَ فِيْهِ وَعَنْ وُقُوْفِكَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ وَمَا لَكَ فِيْهِ؟ وَعَنْ رَمْيِكَ الْجِمَارَ وَمَا لَكَ فِيْهِ وَعَن نَحْرِكَ وَمَا لَكَ فِيْهِ مَعَ الْإِفَاضَةِ فَقَالَ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَعَنْ هَذَا جِئْتُ أَسْأَلُكَ قَالَ فَإِنَّكَ إِذَا خَرَجْتَ مِنْ بَيْتِكَ تَؤُمُّ الْبَيْتَ الْحَرَامَ لَا تَضَعْ نَاقَتُكَ خُفًّا وَلَا تَرْفَعُهُ إلَّا كَتَبَ اللهُ لَكَ بِهِ حَسَنَةً وَمَحَا عَنْكَ خَطِيْئَةً وَأَمَّا رَكْعَتَاكَ بَعْدَ الطَّوَافِ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ مِنْ بَنِيْ إِسْمَاعِيْلَ وَأَمَّا طَوَافُكَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ بَعْدَ ذَلِكَ كَعِتْقِ سَبْعِيْنَ رَقَبَةً وَأَمَّا وُقُوْفُكَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَهْبِطُ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِيْ بِكُمُ الْمَلَائِكَةَ يَقُوْلُ عِبَادِيْ جَاءُوْنِيْ شُعْثًا مِنْ كِلِّ فَجٍّ عَمِيْقٍ يَرْجُوْنَ جَنَّتِيْ فَلَوْ كَانَتْ ذُنُوْبُكُمْ كَعَدَدِ الرَّمْلِ أَوْ كَقَطْرِ الْمَطَرِ أَوْ كَزَبَدِ الْبَحْرِ لَغَفَرْتُهَا أَفِيْضُوْا عِبَادِيْ مَغْفُوْرًا لَكُمْ وَلِمَنْ شَفَعْتُمْ لَهُ وَأَمَّا رَمْيُكَ الْجِمَارِ فَلَكَ بِكُلِّ حَصَاةٍ رَمَيْتَهَا تَكْفِيْرَ كَبِيْرَةٍ مِنَ الْمُوْبِقَاتِ وَأَمَّا نَحْرُكَ فَمَذْخُوْرٌ لَكَ عِنْدَ رَبِّكَ وَأَمَّا حِلَاقُكَ رَأْسِكَ فَلَكَ بِكُلِّ شَعْرَةٍ حَلَقْتَهَا حَسَنَةٌ وَيُمْحَى عَنْكَ بِهَا خَطِيْئَةٌ وَأَمَّا طَوَافُكَ بِالْبَيْتِ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّكَ تَطُوْفُ وَلَا ذَنْبَ لَكَ يَأْتِيْ مَلَكٌ حَتَّى يَضَعَ يَدَيْهِ بَيْنَ كَتِفَيْكَ فَيَقُوْلُ اعْمَلْ فِيْمَا تَسْتَقْبِلُ فَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا مَضَى

৬. ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মিনার মসজিদে (খায়েফে) বসেছিলাম। এমন সময় জনৈক আনছারী এবং ছাক্বীফ গোত্রের একজন লোক আগমন করে সালাম দিয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা কিছু কথা জিজ্ঞেস করার জন্য আপনার নিকট এসেছি। তিনি বললেন, যে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে এসেছ চাইলে তোমাদেরকে আমি তা বলে দিতে পারি। আর চাইলে আমি বিরত থাকি, তোমরাই আমাকে জিজ্ঞেস কর। তারা বলল, আপনিই বলে দিন হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! ছাক্বাফী লোকটি আনছারী লোকটিকে বলল, তুমি প্রশ্ন কর, সে বলল, আপনি আমাকে বলুন হে আল্লাহর রাসূল! (আমি আপনাকে কী জিজ্ঞেস করতে এসেছি)। তিনি বললেন, আমাকে জিজ্ঞেস করতে এসেছ, গৃহ থেকে তোমার বায়তুল হারামের উদ্দেশ্যে বের হওয়া এবং এতে তোমার কী ছওয়াব রয়েছে সে সম্পর্কে। ত্বাওয়াফের পর তোমার দু’রাক‘আত ছালাত ও তার ছাওয়াব সম্পর্কে। ছাফা-মারওয়ার সাঈ ও তার ছাওয়াব সম্পর্কে। ‘আরাফাত দিবসের বিকালে সেখানে (‘আরাফাতের মাঠে) অবস্থান ও তার ছাওয়াব সম্পর্কে। জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ ও তার ছওয়াব সম্পর্কে। তোমার কুরবানী ও তার ছাওয়াব সম্পর্কে এবং ত্বাওয়াফে ইফাযার (ছাওয়াব) সম্পর্কে। লোকটি বলল, শপথ সেই সত্তার যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, নিশ্চয় এগুলো সম্পর্কেই আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করতে এসেছি। তিনি বললেন, বায়তুল হারামের উদ্দেশ্যে গৃহ থেকে যখন তুমি বের হবে, তখন তোমাকে বহনকারী উটনী যখনই একটি পা রাখবে এবং অপর পা উঠাবে, তখনই বিনিময়ে আল্লাহ তোমার জন্য একটি নেকী লিখে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মোচন করবেন। ত্বাওয়াফের পর তোমার দু’রাক‘আত ছালাতের ছাওয়াব ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম)-এর বংশের একটি কৃতদাস মুক্তির সমপরিমাণ। ছাফা-মারওয়ায় সাঈর ছাওয়াব সত্তরজন কৃতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ।

‘আরাফার ময়দানে তোমার ঐ দিন বিকালে অবস্থান করা; তখন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, অতঃপর তোমাদেরকে নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব প্রকাশ করতে থাকেন। তিনি বলেন, আমার বান্দারা এলোকেশে দূর-দূরান্তর থেকে আমার কাছে আগমন করেছে। ওরা আমার রহমত পাওয়ার আশা করে। তোমাদের পাপরাশী যদি (মরুভূমির) বালুর সংখ্যা পরিমাণ হয় অথবা বৃষ্টির ফোটা পরিমাণ হয় অথবা সাগরের ফেনা পরিমাণ হয়, তবু আমি তা ক্ষমা করে দিব। হে আমার বান্দাগণ! তোমরা প্রস্থান কর, তোমাদেরকে এবং তোমরা যাদের জন্য সুপারিশ করবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে।

তোমার কঙ্কর নিক্ষেপে; প্রত্যেকটি কঙ্করের বিনিময়ে একটি করে ধ্বংসাত্মক কাবীরা গুনাহের কাফফারা হবে। তোমার পশু কুরবানী; পালনকর্তার নিকট তা সঞ্চিত সম্পদরূপে সংরক্ষিত হবে। তোমার মাথা মুণ্ডনে, প্রত্যেকটি চুলের বিনিময়ে একটি নেকী দেয়া হবে এবং একটি গুনাহ মোচন করা হবে। এরপর তোমার কা‘বা গৃহের ত্বাওয়াফে, যখন তুমি ত্বাওয়াফে ইফাযা করবে তোমার কোন পাপই অবশিষ্ট থাকবে না। একজন ফেরেশতা এসে তোমার দু’স্কন্ধের মধ্যবর্তী স্থানে হাত রেখে বলবে, ভবিষ্যতের জন্য আমল কর, পূর্ববর্তী তোমার সকল কিছু ক্ষমা করা হয়েছে’।[৭]
-----

 وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ خَرَجَ حَاجًّا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْحَاجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ خَرَجَ مُعْتَمِرًا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْمُعْتَمِرِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ خَرَجَ غَازِيًا فَمَاتَ كُتِبَ لَهُ أَجْرَ الْغَازِيْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ

৭. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মৃত্যুবরণ করে, ক্বিয়ামতের দিন তাকে হজ্জের ছাওয়াব দান করা হবে। যে ব্যক্তি ওমরার নিয়তে বের হয়ে মৃত্যুবরণ করে, ক্বিয়ামতের দিন তাকে ওমরার ছাওয়াব দান করা হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের নিয়তে বের হয়ে ঐ পথে মৃত্যুবরণ করে, তাকে গাজী হওয়ার নেকি প্রদান করা হবে।[৮]
-----

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ بَيْنَا رَجُلٌ وَاقِفٌ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ إِذْ وَقَعَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَأَقْعَصَتْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اغْسِلُوْهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوْهُ فِيْ ثَوْبَيْهِ وَلَا تُخَمِّرُوْا رَأْسَهُ وَلَا تُحَنِّطُوْهُ فَإِنَّهُ يَبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيًا.

৮. ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি (হজ্জের সফরে) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিল। সে তার উটনী থেকে পড়ে গেল, ফলে সে ঘাড় মটকে (ইহরাম অবস্থায়) মারা গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে বরই পাতার কশ দেয়া পানিতে গোসল দাও এবং তার ইহরামের কাপড় দু’টি দ্বারা তাকে কাফন দাও। তার মাথা ঢেক না এবং তার গায়ে সুগন্ধি দিও না। কেননা সে ক্বিয়ামতের দিন এভাবেই ‘লাব্বাইকা’ বলতে বলতে উঠবে।[৯]
-----

হজ্জ ও ওমরাহতে খরচ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ  وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا وَ  بَشِّرِ  الۡمُخۡبِتِیۡنَ- الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ  اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَ الصّٰبِرِیۡنَ عَلٰی مَاۤ  اَصَابَہُمۡ وَ الۡمُقِیۡمِی الصَّلٰوۃِ وَ  مِمَّا  رَزَقۡنٰہُمۡ  یُنۡفِقُوۡنَ

‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিযিক হিসাবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহতো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা ছালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে’ (সূরা আল-হজ্জ : ৩৪-৩৫)।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا فِيْ عُمْرَتِهَا وَلَكِنَّهَا عَلَى قَدْرِ نَصَبِكِ أَوْ قَالَ نَفَقَتِكِ

৯. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে তাঁর ওমরার বিষয়ে বলেছেন, বরং তোমার পরিশ্রম অথবা খরচ অনুযায়ী (এ ওমরার ছাওয়াব পাবে)।[১০]
-----

وَعَنْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّفَقَةُ فِي الْحَجِّ كَالنَّفَقَةِ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ بِسَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ

১০. বুরায়দাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হজ্জে খরচ করা আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদে) খরচ করার চেয়ে সাতশ’ গুণ বেশি নেকী’।[১১]

রামাযান মাসে ওমরাহ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ

‘রামাযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়াতস্বরূপ ও হেদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৫)।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّتِهِ قَالَ لِأُمِّ سِنَانٍ الْأَنْصَارِيَّةِ مَا مَنَعَكِ مِنَ الْحَجِّ؟ قَالَتْ أَبُوْ فُلَانٍ تَعْنِيْ زَوْجَهَا كَانَ لَهُ نَاضِحَانِ حَجَّ عَلَى أَحَدِهِمَا وَالْآخَرُ يَسْقِيْ أَرْضًا لَنَا قَالَ فَإِنَّ عُمْرَةً فِيْ رَمَضَانَ تَقْضِيْ حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِيْ

১১. ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ হতে ফিরে এসে উম্মে সিনান (রাযিয়াল্লাহু আনহা) নাম্নী এক আনছারী মহিলাকে বললেন, হজ্জ আদায় করাতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বললেন, অমুকের আব্বা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, কারণ পানি টানার জন্য আমাদের মাত্র দু’টি উট আছে। একটিতে সাওয়ার হয়ে তিনি হজ্জ আদায় করতে গিয়েছেন। আর অন্যটি আমাদের জমিতে পানি সিঞ্চনের কাজ করছে। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, রামাযান মাসে একটি ওমরাহ আদায় করা একটি ফরয হজ্জ আদায় করার সমান অথবা বলেছেন, আমার সাথে একটি হজ্জ আদায় করার সমান।[১২]
----

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ السَّائِبِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ أُصَلِّيْ بِالنَّاسِ فِيْ رَمَضَانَ فَبَيْنَا أَنَا أُصَلِّيْ إِذْ سَمِعْتُ تَكْبِيْرَ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ قَدِمَ مُعْتَمِرًا فَدَخَلَ فَصَلَّى خَلْفِيْ

১২. আব্দুল্লাহ ইবনুস সাইব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রামাযানে লোকদের ছালাতে ইমামতি করছিলাম। আমি ছালাত আদায় করা অবস্থায় মসজিদের দরজা থেকে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর তাকবীর পাঠের আওয়াজ শুনতে পেলাম। তিনি ওমরাহ অবস্থায় আগমন করেছিলেন এবং মসজিদে প্রবেশ করে আমার পিছনে ছালাত আদায় করেন।[১৩]

হজ্জে বিনয়-নম্রতা প্রকাশের ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ  یَاۡتُوۡکَ  رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ

‘এবং মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’ (সূরা আল-হজ্জ : ২৭)।

عَنْ ثُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ حَجَّ أَنَسٌ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَلَى رَحْلٍ وَلَمْ يَكُنْ شَحِيْحًا وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ

১৩. ছুমামা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হাওদায় আরোহণ অবস্থায় হজ্জে গমন করেছেন অথচ তিনি কৃপণ ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, নবী করীম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন করেন এবং সেই উটটিই তাঁর মালের বাহন ছিল।[১৪]
-----

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللهَ يُبَاهِيْ بِأَهْلِ عَرَفَاتٍ مَلَائِكَةَ السَّمَاءِ فَيَقُوْلُ انْظُرُوْا إِلَى عِبَادِيْ هَؤُلَاءِ جَاءُوْنِيْ شُعْثًا غُبْرًا

১৪. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ‘আরাফাতে অবস্থানকারী (হাজীদের) নিয়ে আকাশের ফেরেশতাদের সামনে গর্ব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তোমরা দেখ আমার এই বান্দাদের প্রতি। ওরা এলোকেশে ধুলোমলিন অবস্থায় আমার নিকট আগমন করেছে।[১৫]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

*এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/২৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৩; মিশকাত, হা/২৫০৬।
[২]. ছহীহ বুখারী; হা/১৫২১, ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৫০; মিশকাত, হা/২৫০৭।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৭৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪৯; মিশকাত, হা/২৫০৮।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১; মিশকাত, হা/২৮।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫২০।
[৬]. তিরমিযী, হা/৮১০; নাসাঈ, হা/২৬৩০; মিশকাত, হা/২৫২৪, সনদ হাসান ছহীহ।
[৭]. মুসনাদে বাযযার, হা/৬১৭৭; ত্বাবারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১৩৫৬৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৮৮৭; সনদ হাসান লি গাইরিহী, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১১১২।
[৮]. মুসনাদু আবী ই‘আলা, হা/৬৩৫৭; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪১০০; মিশকাত, হা/২৫৩৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৫৫৩।
[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/১২০৬; মিশকাত, হা/১৬৩৭।
[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১১।
[১১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩০০০, সনদ হাসান লি গাইরিহী।
[১২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৬৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১২৫৬।
[১৩]. মুছান্নাফে ইবনু আবী শায়বাহ, হা/৭৭২০, সনদ ছহীহ।
[১৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫১৭।
[১৫]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৪৭; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৩৮৫২; সনদ ছহীহ, ছহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১১৩২।




প্রসঙ্গসমূহ »: হজ্জ ও ওমরাহ আমল
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে রামাযান - মুহাম্মাদ আবূ সাঈদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (৫ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৩তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১২ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক

ফেসবুক পেজ