সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন

ফাযায়েলে জিহাদ

-মূল : শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু ছালিহ আল-‘উবাইলান
-অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ*


(শেষ কিস্তি) 

আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত কামনা করার ফযীলত

وَلَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتًا بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ

‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদেরকে তুমি মৃত মনে কর না, বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত। তাদেরকে রিযক দেয়া হয়’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৬৯)।

ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, اَللهم ارْزُقْنِيْ شَهَادَةً فِيْ بَلَدِ رَسُوْلِكَ ‘হে আল্লাহ! আপনার রাসূলের শহরে আমাকে শাহাদত বরণ করার তাওফীক্ব দান করুন’।[১]

 عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُوْلُ وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوْلَا أَنَّ رِجَالًا مِنَ الْمُؤْمِيْنَ لَا تَطِيْبُ أَنْفُسُهُمْ أَنْ يَتَخَلَّفُوْا عَنِّيْ وَلَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُهُمْ عَلَيْهِ مَا تَخَلَّفْتُ عَنْ سَرِيَّةٍ تَغْزُوْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنِّيْ أُقتَلُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ

৩৯. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কিছুসংখ্যক মুমিন এমন না হত, যারা আমার সঙ্গে জিহাদে অংশ গ্রহণ করতে না পারা আদৌ পসন্দ করবে না, অথচ তাদের সকলকে আমি সওয়ারী জন্তুও সরবরাহ করতে পারছি না, এই অবস্থা না হলে আল্লাহর পথে যুদ্ধরত কোন ক্ষুদ্র সেনাদল হতেও আমি দূরে থাকতাম না। সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় বস্তু হল, আমি আল্লাহর পথে নিহত হই অতঃপর জীবন লাভ করি। আবার নিহত হই, আবার জীবন লাভ করি এবং আবার নিহত হই, তারপরও পনুরায় জীবন লাভ করি। পরে পুনরায় নিহত হই।[২]
------
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ سَأَلَ اللهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ بَلَّغَهُ اللهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ

৪০. সাহল ইবনু হুনায়েফ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি একান্ত নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর কাছে শাহাদতের মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।[৩]
------
وَعَنْ أَنَسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ طَلَبَ الشَّهَادَةَ صَادِقًا أُعْطِيَهَا وَلَوْ لَمْ تُصِبْهُ

৪১. আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শাহাদতের আকাঙ্ক্ষা করে আল্লাহ তাকে তা (শহীদের মর্যাদা) দিয়ে থাকেন, যদিও সে (প্রত্যক্ষ) শাহাদত লাভের সুযোগ না পায়।[৪]
------
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ قَاتَلَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَمَنْ سَأَلَ اللهَ الْقَتْلَ مِنْ نَفْسِهِ صَادِقًا ثُمَّ مَاتَ أَوْ قُتِلَ فَإِنَّ لَهُ أَجْرَ شَهِيْدٍ وَمَنْ جُرِحَ جُرْحًا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ أَوْ نُكِبَ نَكْبَةً فَإِنَّهَا تَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَغْزَرِ مَا كَانَتْ لَوْنُهَا لَوْنُ الزَّعْفَرَانِ وَرِيْحُهَا رِيْحُ الْمِسْكِ

৪২. মু‘আয ইবনু জাবাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একটি উটের দু’ বেলা দুধ দোহানের মধ্যবর্তী ফাঁকের সময়টুকুও যুদ্ধে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়। আর যে ব্যক্তি সত্যিকারভাবে আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর নিকট নিজের জান কুরবান করার প্রার্থনা জানায়, তারপর সে ঘরেই মারা যায় বা নিহত হয়, তার জন্য একজন শহীদের ছওয়াব অবধারিত এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে গিয়ে শত্রুর আঘাতে আহত হল অথবা অন্য কোন দুর্ঘটনার শিকার হল, তবে ক্বিয়ামতের দিন উক্ত ক্ষতস্থান জাফরানের রংয়ের মত উজ্জ্বল রং ধারণ করবে এবং সেখান হতে মিশক আম্বরের সুগন্ধি ছড়াতে থাকবে।[৫]

আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ ও তা চালানোর প্রশিক্ষণ নেয়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّ مِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَ عَدُوَّکُمۡ  وَ اٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ  فِیۡ  سَبِیۡلِ  اللّٰہِ  یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ  وَ  اَنۡتُمۡ  لَا  تُظۡلَمُوۡنَ

‘আর তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ওখ অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর, তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ব্যতীত অন্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন। আর তোমারা আল্লাহর রাস্তায় যা খরচ কর, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণ দেয়া হবে, আর তোমাদেরকে যুলম করা হবে না’ (সূরা আল-আনফাল : ৬০)।

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُوْلُ "وَأَعِدُّوْا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ قُوَّةٍ" أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ

৪৩. উক্ববা ইবনু ‘আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলেছেন, তোমরা তোমাদের শত্রুদের জন্য যথাসাধ্য শক্তি অর্জন কর। জেনে রাখ, নিশ্চয় যুদ্ধের শক্তিই হল তীর নিক্ষেপ করা, নিশ্চয় খযুদ্ধের শক্তিই হল তীর নিক্ষেপ করা, নিশ্চয় যুদ্ধের শক্তিই হল তীর নিক্ষেপ করা।[৬]
-----
وَعَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ﷺ عَلَى قَوْمٍ يَنْتَصِلُوْنَ فَقَالَ اِرْمُوْا بَنِيْ إِسْمَاعِيْلَ فَإِنَّ أَبَاكُمْ كَانَ رَامِيًا ارْمُوْا وَأَنَا مَعَ بَنِيْ فُلَانٍ فَأَمْسَكَ أَحَدُ الْفَرِيْقَيْنِ بِأَيْدِيْهِمْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا لَكُمْ لَا تَرْمُوْنَ؟ قَالُوْا كَيْفَ نَرْمِيْ وَأَنْتَ مَعَهُمْ؟ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ اِرْمُوْا وَأَنَا مَعَكُمْ كُلِّكُمْ

৪৪. সালামা ইবনু আকওয়া‘ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা নবী (ﷺ) একদল লোকের নিকট গমন করলেন, তখন তারা তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা করছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে বললেন, হে ইসমাঈলের বংশধর! তোমরা তীর নিক্ষেপ কর। কেননা তোমাদের পিতামহ তীরন্দাজ ছিলেন। (আর তিনি উভয়দলের একদলের সাথে মিশে) বললেন, তোমরা তীর নিক্ষেপ কর, আমি অমুক দলের পক্ষে আছি। এরপর অপর দল তীর নিক্ষেপ বন্ধ করে দিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কী হল যে, তোমরা তীর নিক্ষেপে বিরত থাকলে? উত্তরে তারা বলল, আমরা কেমন করে তীর ছুঁড়তে পারি, আপনি যে অমুক দলের পক্ষে রয়েছেন? এবার নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা তীর চালাতে থাক, আমি তোমাদের সকলের সঙ্গেই আছি।[৭]
------
 وَعَنْ سَعْدٍ بْنِ أَبِيْ وَقَّاصٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ رَفَعَهُ قَالَ عَلَيْكُمْ بِالرَّمْيِ فَإِنَّهُ خَيْرٌ أَوْ مِنْ خَيْرِ لَهْوِكُمْ.

৪৫. সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তীর নিক্ষেপ কর, নিশ্চয় তা কল্যাণকর। অথবা তোমাদের খেলাধুলা সামগ্রীর মধ্যে এটি সর্বোত্তম।[৮] ত্বাবারাণীর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,عَلَيْكُمْ بِالرَّمْيِ فَإِنَّهُ خَيْرُ لَعْبِكُمْ‘তোমরা তীর নিক্ষেপ কর, কেননা তোমাদের খেলাধুলার মধ্যে এটি সর্বোত্তম।[৯]

৪৬. وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِيْ رَبَاحٍ رَحِمَهُ الله قَالَ رَأَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَجَابِرَ بْنَ عُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيَّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا يَرْمِيَانِ فَمَلَّ أَحَدُهُمَا فَجَلَسَ فَقَالَ لَهُ الْآخَرُ كَسِلْتَ؟ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ كُلُّ شَيْءٍ لَيْسَ مِنْ ذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَهُوَ لَهُوٌ أَوْ سَهْوٌ إِلَّا أَرْبَعَ خِصَالٍ مَشْيُ الرَّجُلِ بَيْنَ الْغَرَضَيْنِ وَتَأْدِيبُهُ فَرَسَهُ وَمُلَاعَبَتُهُ أَهْلَهُ وَتَعَلُّمُ السِّبَاحَةِ.

৪৬. ‘আত্বা ইবনু আবি রাবাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি জাবির ইবনু আব্দিল্লাহ ও জাবির ইবনু ওমাইর আনছারী (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে দেখলাম তারা তীর নিক্ষেপ করছিল। তাদের একজন ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লে অপরজন বলল তুমি অলসতা করে বসে পড়লে? আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, প্রত্যেক সেই জিনিস (খেলা) যা আল্লাহর স্মরণের পর্যায়ভুক্ত নয়, তা অসার ভ্রান্তি ও বাতিল। অবশ্য চারটি কর্ম এরূপ নয়; হাতের নিশানা ঠিক করার উদ্দেশ্যে তীর খেলা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেয়া, নিজ স্ত্রীর সাথে প্রেমখেলা করা এবং সাঁতার শিক্ষা করা।[১০]

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ سَتُفْتَحُ عَلَيْكُمْ أَرَضُوْنَ وَيَكْفِيْكُمُ اللهُ فَلَا يَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَلْهُوَ بِأَسْهُمِهِ

৪৭. উক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, অচিরেই অনেক ভূ-খণ্ড তোমাদের পদানত হবে। আর শত্রুদের মোকাবেলায় আল্লাহই তোমাদের জন্য যথেষ্ট হবেন। তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন তীর দ্বারা খেলার (তীরন্দাযীর) অভ্যাস ত্যাগ না করে।[১১]
------
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ بَلَغَ الْعَدُوَّ بِسَهْمٍ رَفَعَهُ اللهُ لَهُ دَرَجَةً فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ النَّحَّامِ وَمَا الدَّرَجَةُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ؟ قَالَ أَمَا إِنَّهَا لَيْسَتْ بِعَتَبَةِ أُمِّكَ مَا بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ مِائَةُ عَامٍ.

৪৮. কা‘ব ইবনু মুররা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি শত্রুর প্রতি একটি তীর নিক্ষেপ করেছে, আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা বর্ধিত করবেন। ইবনু নাহহাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মর্যাদা কিরূপ? তিনি বললেন, তা তোমার মায়ের ঘরের চৌকাঠ নয়। ইহা এমন দু’টি স্তর, যার মধ্যে পার্থক্য হবে একশ’ বছরের।[১২]
------
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً

৪৯. কা‘ব ইবনু মুররা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করে, সে যেন একটি গোলাম আযাদ করল।[১৩]
-----
وَعَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِيْ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيْ نَجِيْحٍ السُّلَمِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ حَاصَرْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ الطَّائِفَ فَسَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ )مَنْ بَلَغَ بِسَهْمٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فَهُوَ لَهُ دَرَجَةٌ فِيْ الْجَنَّةِ( قَالَ فَبَلَغَتْ يَوْمَئِذٍ سِتَّةَ عَشَرَ سَهْمًا

৫০. মা‘দান ইবনু আবূ ত্বালহা হতে বর্ণিত, তিনি আবূ নাজীহ আস-সুলামী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করে বলেন, তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ত্বায়েফে উপস্থিত হলাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনলাম, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কাফিরদের দিকে একটি তীর নিক্ষেপ করল, এটি তার জন্য জান্নাতে একটি মর্যাদা লাভের কারণ হবে। অতঃপর সেদিন আমার নিক্ষিপ্ত তীরের সংখ্যা ষোলতে পৌঁছেছিল।[১৪]
-----
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ عَلِمَ الرَّمْيَ ثُمَّ تَرَكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا.

৫১. উক্ববা ইবনু ‘আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তীর পরিচালনা শিক্ষার পর তা বর্জন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।[১৫]

সারিবদ্ধ অবস্থায় ও যুদ্ধের সময় দু‘আ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

وَ لَمَّا بَرَزُوۡا لِجَالُوۡتَ وَ جُنُوۡدِہٖ قَالُوۡا رَبَّنَاۤ  اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّ ثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَ انۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ

‘আর যখন তারা জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হল, তারা বলল, হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৫০)। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مَا کَانَ قَوۡلَہُمۡ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡا رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ اِسۡرَافَنَا فِیۡۤ  اَمۡرِنَا وَ ثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَ انۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ

‘আর তাদের কথা শুধু এই ছিল যে, তারা বলল, হে আমাদের রব! আমাদের পাপ এবং আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙ্ঘন ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পাসমূহকে, আর কাফির ক্বওমের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৪৭)।

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَاعَتَانِ تُفْتَحُ فِيْهِمَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَقَلَّمَا تُرَدُّ عَلَى دَاعٍ دَعَوَتُهُ عِنْدَ حُضُوْرِ النِّدَاءِ وَالصَّفِّ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ. وَفِيْ لَفْظٍ-  ثِنْتَانِ لَا تُرَدَّانِ أَوْ قَالَ مَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأْسِ حِيْنَ يُلْحِمُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا

৫২. সাহল ইবনু সা‘দ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুই সময় আসমানের দরজা খোলা হয়। আর কোন দু‘আকারী যদি আযানের সময় ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের কাতারে থেকে দু‘আ করে তবে তা খুব কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, দুই সময়ের দু‘আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না অথবা বলেছেন, কমই ফিরিয়ে দেয়া হয় আযানের সময়ের দু‘আ এবং যুদ্ধের সময়ের দু‘আ। যখন পরস্পর গোশত কাটাকাটি আরম্ভ হয়ে যায়।[১৬]
------
وَعَنِ النُّعْمَانِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ انْتَظَرَ حَتَّى تَهُبَّ الأَرْوَاحُ وَتَحْضُرَ الصَّلَوَاتُ

৫৩. নু‘মান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিয়ম ছিল, যদি তিনি দিনের প্রথম ভাগে যুদ্ধ শুরু না করতেন, তবে স্নিগ্ধ বায়ু প্রবাহিত হওয়া পর্যন্ত এবং ছালাতের ওয়াক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন।[১৭]

সমুদ্রপথে জিহাদ করার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْفُلْكَ تَجْرِي فِيْ الْبَحْرِ بِنِعْمَتِ اللهِ لِيُرِيَكُمْ مِنْ آيَاتِهِ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ

‘তুমি কি দেখনি যে, নৌযানগুলো আল্লাহর অনুগ্রহে সমুদ্রে চলাচল করে, যাতে তিনি তাঁর কিছু নিদর্শন তোমাদের দেখাতে পারেন? নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে’ (সূরা লুক্বমান : ৩১)।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ وَكَانَتْ أُمُّ حَرَامٍ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ فَدَخَلَ عَلَيْهَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَأَطْعَمَتْهُ ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِيْ رَأْسَهُ فَنَامَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ مَا يُضْحِكُكَ؟ قَالَ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِيْ عُرِضُوْا عَلَيَّ غُزَاةً فِيْ سَبِيْلِ اللهِ يَرْكَبُوْنَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مُلُوْكًا عَلَى الْأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلَ الْمُلُوْكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ادْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِيْ مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ؟ قَالَ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِيْ عُرِضُوْا عَلَيَّ غُزَاةً فِيْ سَبِيْلِ اللهِ كَمَا قَالَ فِيْ الْأُوْلَى قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ادْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِيْ مِنْهُمْ قَالَ أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِيْنَ فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الْبَحْرَ فِيْ زَمَنِ مُعَاوِيَةَ فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِيْنَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ

৫৪. আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ঘরে যেতেন। তিনি তাকে আপ্যায়ন করতেন। উম্মু হারাম (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ছিলেন, উবাদাহ ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর স্ত্রী। একদা তিনি তার ঘরে গেলেন এবং তিনি তাকে (চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী) আপ্যায়ন করলেন। তারপর তিনি তাঁর (ﷺ) মাথার উকুন দেখতে বসলেন এবং এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি যখন জাগ্রত হলেন তখন তিনি হাসছিলেন। উম্মু হারাম (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার হাসির কারণ কী? তিনি বললেন, আমার উম্মতের এমন কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হল, যারা আল্লাহর রাস্তায় যোদ্ধারূপে সগরের বুকে আরোহণ করবে, তারা যেন সিংহাসনে আসীন রাজা-বাদশাহ। অথবা বলেছেন, রাজা-বাদশাহর মত সিংহাসনে আসীন হবে। উম্মু হারাম (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন যেন তিনি আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য দু‘আ করলেন। এরপর তিনি মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। আবার জেগে হাসতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে? তিনি বললেন, আমার উম্মাতের কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হয়, আল্লাহর পথের যোদ্ধারূপে... পূর্বের বাক্যের অনুরূপ কথা বললেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন! তিনি যেন আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তিনি বললেন, তুমি হবে তাদের প্রথম সারির একজন। তারপর উম্মু হারাম বিনতু মিলহান মু‘আবিয়াহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমলে (সত্যি সত্যি) সমুদ্রপৃষ্ঠে (সাইপ্রাসের যুদ্ধ উপলক্ষে) আরোহণ করেন এবং সমুদ্র থেকে বের হওয়ার কালে সওয়ার থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[১৮]

 (ইনশাআল্লাহ চলবে)

* এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, ‘জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার’ অধ্যায়, ‘পুরুষ এবং নারীর জন্য জিহাদ করার ও শাহাদত লাভের দু‘আ’ অনুচ্ছেদ।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/২৭৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৭৬।
[৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯০৯।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯০৮।
[৫]. আবূ দাঊদ, হা/২৫৪১; তিরমিযী, হা/১৬৫৭; নাসাঈ, হা/৩১৪১; ইবনু মাজাহ, হা/২৭৯২; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪৬১৮, সনদ ছহীহ।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১৭।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭৩।
[৮]. মুসনাদে বাযযার, হা/১১৪৬; সনদ ছহীহ, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪০৪৬।
[৯]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/২০৪৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৬২৮।
[১০]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/২০৪৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩১৫; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১২৮২।
[১১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১৮।
[১২]. নাসাঈ, হা/৩১৪৪; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪৬১৬, সনদ ছহীহ।
[১৩]. ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪৬১৪, সনদ ছহীহ।
[১৪]. নাসাঈ, হা/৩১৪৩, সনদ ছহীহ।
[১৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১৯।
[১৬]. আবূ দাঊদ, হা/২৫৪০; দারেমী, হা/১২০০, সনদ ছহীহ।
[১৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৩১৬০।
[১৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১২।




প্রসঙ্গসমূহ »: আমল দাওয়াত ও জিহাদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১১ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : আহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
আত্মীয়তার সম্পর্ক, সদাচরণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে জিহাদ - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
যিলহজ্জ মাসের আমল ও ফযীলত - মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম
ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ছালাত (১৫তম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে ত্বাহারাত (১০ম কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
ফাযায়েলে আমল : ফাযায়েলে তাওহীদ (২য় কিস্তি) - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ফাযায়েলে আমল : ক্রয়-বিক্রয়ের ফযীলত - অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ