উত্তর : ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করার পরিণাম জাহান্নাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ اَمۡوَالَ الۡیَتٰمٰی ظُلۡمًا اِنَّمَا یَاۡکُلُوۡنَ فِیۡ بُطُوۡنِہِمۡ نَارًا ؕ وَ سَیَصۡلَوۡنَ سَعِیۡرًا .
‘যারা ইয়াতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করে এবং অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে’ (সূরা আন-নিসা : ১০)। অতএব তার সম্পদ লুটে খাওয়া বা তার প্রতি অন্যায় আচরণ করা খুবই গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ এবং জাহান্নামে প্রবেশের মাধ্যম।
কারও দায়িত্বে ইয়াতীম শিশু থাকলে সে যদি আর্থিকভাবে দুর্বল ও অভাবগ্রস্ত হয় তাহলে তার দেখাশোনা ও সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করার পারিশ্রমিক হিসাবে তার সম্পদ থেকে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য পন্থায় কিছু অর্থ গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর ইয়াতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নযর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ কর। ইয়াতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ কর না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেল না। যারা সচ্ছল তারা অবশ্যই ইয়াতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে ন্যায়সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ করবে, তখন সাক্ষী রাখবে এবং আল্লাহই হিসাব গ্রহণে যথেষ্ট’ (সূরা আন-নিসা : ৬)। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যখন কোন অভিভাবক ইয়াতীমের মাল থেকে তার কর্মের বিনিময় অথবা তার ব্যবসার লভ্যাংশ হিসাবে কিছু গ্রহণ করতে চায়, তবে এ ক্ষেত্রে শরী‘আত নির্ধারিত হাকিম বা বিচারকের মাধ্যমে লভ্যাংশ নির্ধারণ করে নিতে হবে’ (শায়খ বিন বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১০৩)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রশীদ, খুলনা।