শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

-তামান্না তাসনীম*


(২য় কিস্তি)

৬). স্ত্রীর পরিবার ও বান্ধবীদেরকে ভালোবাসা

স্বামীর পরিবার ও প্রিয়জনকে আদর আপ্যায়ন ও ভালোবাসা যেমন স্ত্রীর দায়িত্ব, তেমনিভাবে স্ত্রীর পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবকে উত্তমরূপে আতিথেয়তা ও আদর-যতœ করাও স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্ত্রীর নিকট তার মাতৃলয়ের প্রশংসা করবে। সময় মত তাকে সেখানে নিয়ে যাবে বা যেতে-আসতে দেবে। স্ত্রীর পরিপূর্ণ ভালোবাসা ও সম্মান পাওয়ার জন্য তার (স্ত্রী) মা-বাবা ও পরিবার-পরিজনকে নিজের মা-বাবার মত গুরুত্ব দেয়া অতিব যরূরী, নচেৎ ঐ স্বামী তার স্ত্রীর সম্মান ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবে। হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বান্ধবীর খোঁজ-খবর নিতেন ও তার জন্য খাবার পাঠাতেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

مَا غِرْتُ عَلَى نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا عَلَى خَدِيْجَةَ وَإِنِّيْ لَمْ أُدْرِكْهَا قَالَتْ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَبَحَ الشَّاةَ فَيَقُوْلُ أَرْسِلُوْا بِهَا إِلَى أَصْدِقَاءِ خَدِيجَةَ قَالَتْ فَأَغْضَبْتُهُ يَوْمًا فَقُلْتُ خَدِيْجَةَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّيْ قَدْ رُزِقْتُ حُبَّهَا

‘আমি খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ছাড়া নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পতœীদের আর কাউকে ঈর্ষা করিনি, যদিও আমি তাঁকে পাইনি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বকরী যব্হ করতেন তখন বলতেন, এর গোশত খাদীজার বান্ধবীদের পাঠিয়ে দাও। একদিন আমি তাঁকে রাগান্বিত করলাম, আর বললাম, খাদীজাকে এতই ভালোবাসেন? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাঁর ভালোবাসা আমার অন্তরে গেঁথে দেয়া হয়েছে’।[১]

৭). সন্তানের প্রতি যত্ন নেয়া

আপনি তখনই একজন প্রিয় স্বামী হবেন, যখন সন্তানদের যথাযথ যতœ নিবেন এবং স্ত্রীকে সন্তানদের লালন-পালনের কাজে সহযোগিতা করবেন। আপনি সারা রাত নাক ডেকে ঘুমাবেন আর আপনার স্ত্রী একটু পর পর বাচ্চার ভিজা কাপড় পাল্টাবে, এভাবে হলে আপনার স্ত্রী আপনাকে একজন স্বার্থপর ভাববেন। তাই আপনিও তার কাজে যতটুকু পারেন সহযোগিতা করেন। কারণ সন্তান শুধু স্ত্রীর না। বরং সন্তান বাবার পরিচয়েই পরিচিত হয় এটাই শারঈ বিধান। তাই সন্তানদের প্রতি যতœ নিবেন এবং তাদেরকে ভালোবাসবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাচ্চাদেরকে খুব ভালোবাসতেন এবং তাদের যতেœর ব্যাপারে খেয়াল রাখতেন।

‘আমর ইবনু সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাইতে সন্তানের প্রতি অত্যধিক স্নেহ-মমতা পোষণকারী আর কাউকেও দেখিনি। তাঁর পুত্র ইবরাহীম মদীনার উঁচু প্রান্তে ধাত্রী মায়ের কাছে দুধ পান করতেন, তিনি সেখানে গমন করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে গমন করতাম। তিনি উক্ত গৃহে প্রবেশ করতেন অথচ সেই গৃহটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকত। কারণ ইবরাহীমের ধাত্রী মায়ের স্বামী ছিল একজন কর্মকার। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইবরাহীমকে কোলে তুলে নিতেন এবং আদর করে চুমু দিতেন। অতঃপর ফিরে আসতেন। বর্ণনাকারী ‘আমর বলেন, যখন ইবরাহীম মৃত্যুবরণ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ ابْنِيْ وَإِنَّهُ مَاتَ فِي الثَّدْيِ وَإِنَّ لَهُ لَظِئْرَيْنِ تُكْمِلَانِ رَضَاعَهُ فِي الْجَنَّةِ ‘ইবরাহীম আমার পুত্র, সে দুধ পান করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। অবশ্যই সে জান্নাতে তাঁর দুগ্ধ পানের মুদ্দত পূর্ণ করবে’।[২]  

শিশুদের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যত্ন ও দায়িত্ববোধ এতটাই ছিল যে, তিনি যখন কোন শিশুর ক্রন্দন শুনতেন, তখন তার মা উদ্বিগ্ন হওয়ার আশঙ্কায় ছালাত সংক্ষেপ করতেন।[৩] মৌসুমের প্রথম ফল রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হাদিয়া দেয়া হত। তিনি তখন ফলটি তাঁর নিকট উপস্থিত সবচেয়ে ছোট শিশুকে দিয়ে দিতেন’।[৪] শিশুরা তাঁর সামনে উপস্থিত হলে তিনি প্রতিটি শিশুর গালে হাত বুলিয়ে দিতেন।[৫]

৮). স্ত্রীর অধিকার সংরক্ষণ করা ও তার প্রতি ন্যায়বিচার করা

স্বামীর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য হল স্ত্রীর অধিকার যথাযথ সংরক্ষণ করা এবং তার প্রতি ন্যায়বিচার করা। হাকীম ইবনু মু‘আবিয়া কুশাইরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তাঁর পিতা বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের স্ত্রীদের প্রতি কী কর্তব্য রয়েছে? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,

أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ وَلَا تُقَبِّحْ وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِيْ الْبَيْتِ

‘তুমি যখন খাবে তাকেও খাওয়াবে এবং তুমি যখন কাপড় পরিধান করবে, তাকেও পরিধান করাবে। তার মুখে মারবে না, তাকে কটুকথা বলবে না, আর তাকে তোমার বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও থাকতে সুযোগ দিবে না’।[৬] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন, ‘তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ আল্লাহর আমানত হিসাবে এবং আল্লাহর নির্দেশে তাদের গুপ্ত অঙ্গকে হালাল করেছ। তোমাদের উপর তাদের হক্ব হল, তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের অন্ন ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে’।[৭] অন্য বর্ণনাতে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক্ব রয়েছে’।[৮] অর্থাৎ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার হক্ব।[৯]

সমাজে দেখা য়ায়, অনেক স্বামী আছে যারা স্ত্রীদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করে না এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করে না। আবার কারো কারো একাধিক স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হল- তারা স্ত্রীদের মধ্য থেকে একজনের অধিকার সংরক্ষণ ও তার প্রতি ন্যায়বিচার করলেও অন্য স্ত্রীদের অধিকার সংরক্ষণ করে না। অন্ন ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করলেও তাদের সঙ্গে রাত্রী যাপন (স্ত্রী সহবাস) করতে আগ্রহী হয় না। অথচ তারা আল্লাহর নির্দেশেই তাদের লজ্জাস্থানকে হালাল করে নিয়েছে। এ কারণে স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করে ইবাদত করতেও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আব্দুল্লাহ! আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, তুমি সারা দিন ছিয়াম রাখ এবং সারা রাত ছালাত আদায় কর? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এরূপ কর না। ছিয়াম রাখ আর ছিয়াম ছাড়। ছালাত আদায় কর এবং ঘুমও পাড়। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার চোখেরও হক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক্ব রয়েছে।[১০]

স্ত্রীর হক্ব আদায়ের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হল, একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে পালা বণ্টন করা। হাদীছে এসেছে, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قُبِضَ عَنْ تِسْعِ نِسْوَةٍ وَكَانَ يَقْسِمُ مِنْهُنَّ لِثَمَانٍ ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নয়জন স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তিনি আট স্ত্রীর মধ্যে পালা বণ্টন করতেন’।[১১] এক স্ত্রীর ঘরে একদিন অবস্থান করলে অন্য স্ত্রীর ঘরেও একদিন অবস্থান করতে হবে।

আবূ বকর ইবনু আব্দুর রহমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন উম্মু সালামাকে বিবাহ করলেন এবং উম্মু সালামা তাঁর নিকট রাত্রি যাপন করে সকালে উঠলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন,

لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ عِنْدَكِ وَسَبَّعْتُ عِنْدَهُنَّ وَإِنْ شِئْتِ ثَلَّثْتُ عِنْدَكِ وَدُرْتُ قَالَتْ ثَلِّثْ

‘তোমার কারণে বংশের অমর্যাদা হবে না। তুমি যদি চাও তোমার নিকট আমি সাত রাত থাকব এবং অন্যদের নিকটও সাত রাত থাকব। আর যদি চাও তোমার নিকট তিন রাত থাকব, পরে তাদের নিকটও তিন রাত থাকব। উম্মু সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, তিন রাতই থাকুন’।[১২]

এক স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করে অন্য স্ত্রীকে বঞ্চিত করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীকে সে ব্যাপারে অনুমতি না দেয়। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْأَلُ فِيْ مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيْهِ أَيْنَ أَنَا غَدًا؟ أَيْنَ أَنَا غَدًا؟ يُرِيْدُ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأَذِنَ لَهُ أَزْوَاجُهُ يَكُوْنُ حَيْثُ شَاءَ فَكَانَ فِيْ بَيْتِ عَائِشَةَ حَتَّى مَاتَ عِنْدَهَا

‘যে রোগে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুবরণ করেছেন, সে রোগে তিনি বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন, আগামীকাল আমি কার ঘরে থাকব? আগামীকাল আমি কার ঘরে থাকব? তিনি ইচ্ছা করছিলেন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ঘরে। সুতরাং তাঁর বিবিগণ তাঁকে অনুমতি দিলেন, যে ঘরে ইচ্ছা তিনি থাকতে পারেন। অতঃপর তিনি আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ঘরে অবস্থান করেন। এমনকি তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।[১৩]

আর যে ব্যক্তি একাধিক স্ত্রীর অধিকারের ব্যাপারে উপরিউক্ত নীতি অবলম্বন করবে না এবং তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করবে না, ক্বিয়ামতের দিন তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ سَاقِطٌ.

‘যদি কোন ব্যক্তির কাছে দু’জন স্ত্রী থাকে আর সে তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার না করে, তাহলে ক্বিয়ামতের দিন সে এক অঙ্গহীন অবস্থায় উঠবে।[১৪]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

* বি. এ অনার্স (দ্বিতীয় বর্ষ)  ইংরেজি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

তথ্যসূত্র : 
[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৩৫।
[২]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৩১৬; মিশকাত, হা/৫৮৩১।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৭০৮; মিশকাত, হা/১১২৯।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৭৩।
[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৩২৯; মিশকাত, হা/৫৭৮৯।
[৬]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২০০২৭; আবূ দাঊদ, হা/২১৪২; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৫০, সনদ হাসান ছহীহ।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮।
[৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৫১৯৯, ‘নিকাহ’ অধ্যায়, ‘তোমার স্ত্রীর তোমার ওপর অধিকার আছে’ অনুচ্ছেদ।
[৯]. ইবনু বাত্বাল, শারহু ছহীহিল বুখারী (রিয়াদ : মাকতাবাতুর রুশদ্, ২য় সংস্করণ, ১৪২৩ হি.), ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩২০।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৫১৯৯, ‘নিকাহ’ অধ্যায়,  তোমার স্ত্রীর তোমার ওপর অধিকার আছে’ অনুচ্ছেদ।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০৬৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৫৬।
[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬০।
[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৫০, ৫২১৭।
[১৪]. তিরমিযী, হা/১১৪১; আবূ দাঊদ, হা/২১৩৩; নাসাঈ, হা/৩৯৪২; ইবনু মাজাহ, হা/১৯৬৯; দারেমী, হা/২২০৬, সনদ ছহীহ।





প্রসঙ্গসমূহ »: জীবন কথা নারীমঞ্চ
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (৭ম কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (শেষ কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (৬ষ্ঠ কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যের রূপরেখা - গুলশান আখতার
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
আল-কুরআনে নারী কেন্দ্রিক আলোচনা ও শিক্ষনীয় বিষয়সমূহ - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (৯ম কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য (শেষ কিস্তি) - তামান্না তাসনীম
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (৫ম কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (২য় কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
শারঈ পর্দা : একটি পর্যালোচনা (৩য় কিস্তি) - ওবাইদুল্লাহ আল-আমীন
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য - তামান্না তাসনীম

ফেসবুক পেজ