بِسْمِ ا للّٰہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ وَحْدَهُ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلَى مَنْ لَّا نَبِيَّ بَعْدَهُ
আল-ইখলাছ
‘আল-ইখলাছ’ আরবী শব্দ। এর অর্থ কোন বস্তুকে বিশেষভাবে পরিষ্কার করা, স্বচ্ছ করা কিংবা খাঁটি করা। এছাড়া বিশ্বস্ত হওয়া, একনিষ্ঠ হওয়া, নিবেদিত হওয়া ও আন্তরিক হওয়াও বুঝায়। মূলত ইবাদতের মাধ্যমে কেবল আল্লাহকে সংকল্প করাকে ‘ইখলাছ’ বলে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সে যেন তাঁর প্রভুর ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক না করে’ (সূরা আল-কাহফ : ১১০)।
ইখলাছ ও তাক্বওয়া ইবাদতের প্রাণ বা রূহ। রূহ বিহীন দেহ যেমন অন্তঃসারশূন্য, তেমনি ইখলাছ বিহীন ইবাদতও মূল্যহীন। তাই ইখলাছ ইবাদতের মূল ভূষণ। ইখলাছ বিহীন ইবাদত করে কোন লাভ নেই। এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা ইখলাছের সাথে ইবাদত করার নির্দেশ দান করেছেন।
আল্লাহ বলেন, وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ حُنَفَآءَ ‘তারা আদিষ্ট হয়েছে যে, আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করবে’ (সূরা আল-বাইয়েনাহ : ৫)।
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘বলুন! আমি তো আদিষ্ট হয়েছি আল্লাহর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর ইবাদত করতে’ (সূরা আয-যুমার : ১১)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং আপনি আল্লাহর ইবাদত করুন তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে। জেনে রাখুন! অবিমিশ্র আনুগত্য কেবল আল্লাহরই প্রাপ্য’ (সূরা আয-যুমার : ২-৩)।
অনুরূপ রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا وَابْتُغِىَ بِهِ وَجْهُهُ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা কোন আমল কবুল করবেন না, যতক্ষণ তা তাঁর জন্য খালেছ হৃদয়ে এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য না হবে’ (নাসাঈ, হা/৩১৪০, সনদ ছহীহ)।
বিদায় হজ্জের ভাষণে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘এমন তিনটি বিষয় রয়েছে, যা মুমিনের অন্তর প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। ইখলাছের সাথে আল্লাহর জন্য আমল করা, মুসলিম উম্মাহর শাসকদের জন্য কল্যাণ কামনা করা এবং মুসলিম জাতির জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরা’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৩০, সনদ ছহীহ)।
ইখলাছের সাথে আমল না করলে আমল যে বাতিল হয়ে যাবে সেটাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, وَ قَدِمۡنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوۡا مِنۡ عَمَلٍ فَجَعَلۡنٰہُ ہَبَآءً مَّنۡثُوۡرًا ‘তারা যে আমল করেছে তা দেখার জন্য আমরা অগ্রগামী হব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ২৩)।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইখলাছ বিহীন আমল ঐ মুসাফিরের ন্যায়, যে ব্যাগভর্তি বালি বহন করে, অথচ সেটা তার কোন উপকারে আসে না’ (আল-ফাওয়ায়েদ, পৃ. ৪৯)।
নিয়তকে খালেছ করা মুমিন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে বড় কর্তব্য। এই স্তরে সফল হলে মুমিন জীবন নিঃসন্দেহে ধন্য হবে। কারণ যাবতীয় আমল নিয়তের খুলূছিয়াতের উপর নির্ভর করে।
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لِاِمْرِئٍ مَا نَوَى ‘প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। মানুষ তা-ই পায়, যার জন্য সে নিয়ত করে’ (বুখারী, হা/১, ৬৬৮৯)।
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, فَمَنْ خَلُصَتْ نِيَّتُهُ فِي الْحَقِّ وَلَوْ كَانَ عَلَى نَفْسِهِ كَفَاهُ اللهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاس ‘যে ব্যক্তি হক্বের ক্ষেত্রে তার নিয়তকে খালেছ করতে সক্ষম হয়, যদিও স্বয়ং হক্বটি তার মনের বিপক্ষে হয়, তবুও তার এবং মানুষের মাঝের বিষয়াদির ক্ষেত্রে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হন’ (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/২১০৪২)।
সুফিয়ান ছাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, مَا عَالَجْتُ شَيْئًا أَشَدُّ عَلَيَّ مِنْ نِيَّتِي إِنَّهَا تَقَلَّبُ عَلَيَّ ‘আমার নিয়তের চেয়ে কঠিন কোন বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করিনি। কারণ তা আমার বিপরীত হয়’ (আল-জামি‘ঊ লিআখলাক্বির রাবী ওয়া আদাবিস সামি‘, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩১৭ )।
ইমাম ইবনু তায়মিয়া(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যখন কেউ তার রবের জন্য ইখলাছ করে, তখন তার রব তাকে পসন্দ করেন। অতঃপর তার অন্তরকে পুনরুজ্জীবিত করে দেন। তখন সে তার রবের প্রতি ঝুঁকে পড়ে এবং আল্লাহ তার থেকে সব ধরনের অন্যায় অশ্লীলতা ফিরিয়ে দেন। এই অন্তরটি ঐ অন্তরের বিপরীত, যে অন্তরে আল্লাহর ইখলাছ নেই। সেই অন্তর শুধু (দুনিয়ার) সন্ধানে এবং সাধারণ ভালবাসায় লিপ্ত থাকে, কখনো হারামের দিকে ধাবিত হয়। সে শুধু তার মনের পূজা করে, যার ফলে সে মানুষের নিকট শত্রু এবং সমালোচনার পাত্র হয়ে যায়’ (মাজমূ‘ঊল ফাতাওয়া, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ৩৩২)।
ইখলাছকে ধ্বংস করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল ‘রিয়া’ বা লৌকিকতা, যা আমলের মধ্যে শিরকের জন্ম দেয়। আমল, ইবাদত, দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম অন্যকে দেখানো বা শুনানোর জন্য সম্পাদন করলে সবই বিনাশ হয়ে যাবে। বহু মানুষ এর খপ্পরে পড়ে পথভ্রষ্ট হচ্ছে। তাই লৌকিকতা ইখলাছের সবচেয়ে বড় শত্রু। যারা লৌকিকতাকে অগ্রাধিকার দেয় তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا وَ زِیۡنَتَہَا نُوَفِّ اِلَیۡہِمۡ اَعۡمَالَہُمۡ فِیۡہَا وَ ہُمۡ فِیۡہَا لَا یُبۡخَسُوۡنَ – اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَیۡسَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ اِلَّا النَّارُ وَ حَبِطَ مَا صَنَعُوۡا فِیۡہَا وَ بٰطِلٌ مَّا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
‘যে কেউ পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে, দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণফল দান করব এবং সেথায় তাদেরকে কম দেয়া হবে না। তাদের জন্য আখেরাতে আগুন ব্যতীত অন্য কিছুই নেই এবং তারা যা সম্পাদন করে আখেরাতে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক’ (সূরা হূদ : ১৫-১৬)।
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা যখন ক্বিয়ামতের দিন- যে দিনের আগমনে কোন সন্দেহ নেই, পূর্বের ও পরের সকল মানুষকে একত্র করবেন, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা দিবেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে গিয়ে এর মধ্যে কাউকে শরীক করেছে, সে যেন গায়রুল্লাহর নিকট নিজের ছওয়াব চেয়ে নেয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা শরীকদের শিরক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪২০৩, সনদ হাসান)।
ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা কোন আমল গ্রহণ করেন না, যতক্ষণ না এ দু’টি রুকন তাতে বিদ্যমান থাকে। যথা- (১) শরী‘আতের পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া এবং (২) শিরক মুক্ত হওয়া (তাফসীর ইবনু কাছীর, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪০৩)।
ইউসুফ ইবনুল হুসায়ন আল-রাযী (১৮৮২-১৯২৭ খ্রি.) বলেন, أَعَزُّ شَيْءٍ فِي الدُّنْيَا الْإِخْلَاصُ وَكَمْ أَجْتَهِدُ فِي إِسْقَاطِ الرِّيَاءِ عَنْ قَلْبِي وَكَأَنَّهُ يَنْبُتُ فِيْهِ عَلَى لَوْنٍ آخَرَ ‘পৃথিবীর বুকে সর্বোৎকৃষ্ট বস্তু হল ইখলাছ, আমি কতই না চেষ্টা করেছি আমার অন্তর থেকে রিয়াকে ঝেড়ে ফেলতে। কিন্তু তা যেন অন্য রঙে আবার উদ্গত হয়’ (জামি‘ঊল ‘ঊলূম ওয়াল হিকাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৮৪)।
ইউসুফ ইবনু আসবাত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, تَخْلِيْصُ النِّيَّةِ مِنْ فَسَادِهَا أَشَدُّ عَلَى الْعَامِلِيْنَ مِنْ طُوْلِ الْاِجْتِهَادِ ‘নিয়তকে তার বিভ্রান্তি থেকে স্বচ্ছ রাখা দীর্ঘ পরিশ্রমের চেয়েও বড় কঠিন’ (ঐ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৭০)। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুর্তারাফ বলেন, تَخْلِيْصُ الْنِّيَّةِ أَشَدُّ مِنْ تَخْلِيْصِ الْعَمَلِ ‘নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা আমল পরিশুদ্ধ করার চেয়ে অধিক কঠিন’ (হিলইয়াতুল আওলিয়া, ১০ম খণ্ড, পৃ. ১২১)।
ইবাদতকে আল্লাহর জন্য খালেছ করার লক্ষ্যে নিয়তকে নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। অন্যথা সকল পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যাবে। নাফস বা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারলে নিয়ত যাবতীয় কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকবে। কারণ মুখলিছ বান্দাকে শয়তান ধোঁকা দিতে পারে না (সূরা আল-হিজর : ৩৯-৪০; ছোয়াদ : ৮২-৮৩; ইউসুফ : ২৪)।
আবু সুলায়মান আদ-দারানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,إِذَا أَخْلَصَ الْعَبْدُ انْقَطَعَتْ عَنْهُ كَثْرَةُ الْوَسَاوِسِ وَالرِّيَاءِ ‘বান্দা যখন ইখলাছের সাথে আমল করে, তখন তার থেকে যাবতীয় কুমন্ত্রণা ও রিয়া দূরীভূত হয়’ (মাদারিজুস সালেকীন, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯২ পৃ.)। এ জন্য ইখলাছের জ্ঞান অর্জন করাও যরূরী।
ইয়াহইয়া ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, تَعَلَّمُوا النِّيَّةَ فَإِنَّهَا أَبْلَغُ مِنَ الْعَمَلِ ‘তোমরা নিয়তের জ্ঞানার্জন কর, কেননা তা আমলের পরিপূরক’ (হিলইয়াতুল আওলিয়া, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৭০)। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, رُبَّ عَمَلٍ صَغِيْرٍ تُكَثِّرُهُ النِّيَّةُ وَرُبَّ عَمَلٍ كَثِيْرٍ تُصَغِّرُهُ النِّيَّةُ ‘অনেক ছোট আমল আছে, নিয়ত যাকে বৃদ্ধি করে দেয়। আর অনেক বেশী আমল আছে, নিয়ত যাকে কমিয়ে দেয়’ (সিয়ারু ‘আলামিন নুবালা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪০০)।
তাছাড়া অন্তরে ইখলাছ থাকলে দুনিয়ার মোহ গ্রাস করতে পারে না। তখন বান্দা আল্লাহর সাহায্য লাভে ধন্য হয়। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘পার্থিব চিন্তা যাকে মোহগ্রস্ত করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার কাজকর্মে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, দরিদ্রতাকে তার নিত্য সঙ্গী করা হবে এবং পার্থিব স্বার্থ ততটুকুই লাভ করতে পারবে, যতটুকু তার তাক্বদীরে লিপিবদ্ধ আছে। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখেরাত, আল্লাহ তার সব কিছু সুষ্ঠু করে দিবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করবেন এবং দুনিয়া স্বয়ং তার সামনে এসে হাযির হবে’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪১০৫, সনদ ছহীহ)।
ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার আমলের মাধ্যমে মানুষের নিকট মান-সম্মান কামনা করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে না, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সমালোচনার পাত্র হয়ে যায়। সে তার মর্যাদা মানুষের নিকট চায় এবং পরকালে তার জন্য কোন ছওয়াব নেই’ (ফাৎহুল বারী, ১১ তম খণ্ড, পৃ. ৩৪৪)।
অতএব আমল, ইবাদত, কথা, কর্ম, পরিশ্রম সকল ক্ষেত্রে ইখলাছ অবলম্বন করা বান্দার জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য। এগুলো ইখলাছশূন্য হলে রিয়া ভিত্তিক শিরকে পরিণত হবে। তাই সবাইকে ইখলাছের জ্ঞান অর্জন করা এবং এ ব্যাপারে সচেতন থাকা কর্তব্য।
‘আল-ইখলাছ’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলা ভাষা-ভাষী দ্বীনি ভাইয়েরা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করছি। সেই সাথে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমাদের দেশেও প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফালিল্লা-হিল হামদ।
শিরক, বিদ‘আত, ত্বাগূত, কুসংস্কার ও নব্য জাহেলিয়াতের হিংস্র থাবায় মুসলিম সমাজ বিপর্যস্ত। উক্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নির্ভেজাল দাওয়াতের বিকল্প নেই। তাই সাধারণ মানুষের মাঝে পরিচ্ছন্ন ইখলাছ সৃষ্টি ও তাওহীদী দাওয়াতের কার্যকরী প্রভাব বিস্তারের জন্যই ‘মাসিক আল-ইখলাছ’-এর অগ্রযাত্রা শুরু হল। আল্লাহর কাছে দু‘আ করছি, তিনি যেন এই গবেষণা পত্রিকাকে কবুল করেন এবং এর অগ্রযাত্রায় প্রভূত বরকত দান করেন। যাদের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় এই কাঙ্ক্ষিত পত্রিকা প্রকাশিত হল আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাঊসের সদস্য মনোনীত করুন। সেই সাথে এর লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন- আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ