উত্তর : ক্রেডিট কার্ড সাধারণত দু’ধরণের হয়ে থাকে। উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংকে একাউন্ট থাকা আবশ্যক। একটা হল- নিজ সুবিধা অনুযায়ী খরচ করা যায়। এমনকি এটিএম কার্ডের মাধ্যমে শপিংয়েও ব্যবহার করা যায়। আরেকটি হল- যা কোন ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাসিক কিছু ক্রেডিট বা টাকার এমাউন্ট নেয়া হয়। অন্যতম শর্ত হল- ব্যক্তির ইনকাম সোর্স যথারিতি আছে চাকরীর বেতনের মাধ্যমে অথবা ভাল বিজনেস এর মাধ্যমে। দু’টির একটিও যদি না থাকে, তাহলে দ্বিতীয় প্রকারের কার্ডের মালিক হতে পারে না। ব্যক্তি যদি মাসিক ১ লক্ষ টাকার বেতনভুক্ত হয় সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডধারী ২ লক্ষ টাকার ক্রেডিট পাবেন। অর্থাৎ অর্থের মালিক না হয়েও তিনি অতিরিক্ত লক্ষাধিক টাকা খরচের অনুমতি পেয়ে যান। যা একজন ব্যক্তি শপিং বা খরচের নেশায় মেতে উঠেন, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে অতিরিক্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে ব্যক্তি বিজনেসম্যান বা সার্ভিসহোল্ডার হওয়ার পরও পুরো জীবনটাই বড়ধরণের ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকেন। এভাবেই তার দিনাতিপাত হতে থাকে এবং একসময় তার সে মারা গেলেও ঋণমুক্ত হতে পারে না। তাই প্রথম প্রকারের ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারের ব্যাপারে আলেমদের মাঝে কোন মতভেদ নেই- তা ব্যবহার করা যাবে। আর আলেমগণ দ্বিতীয় প্রকারের মধ্যে ধোঁকা, সূদ, প্রলোভন ইত্যাদি স্পষ্ট থাকায় তা ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিয়েছেন (ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ, ফৎওয়া সংকলন, ফৎওয়া নং-১৭৩/৩৪০২)। শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, ক্রেডিট কার্ডের অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে না পারলে বাকী থাকায় তাকে সূদ দিতে হবে- এমন কার্ড ব্যবহার করা যাবে কি না? তিনি উত্তরে বলেন, এমন কার্ড ব্যবহার করা হারাম, কারণ এতে স্পষ্ট ঘোষণা সহ সূদ বিদ্যমান (ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ, ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ও জওয়াব, প্রশ্ন নং-১১১৭৯)।
প্রশ্নকারী : ওমর ফারূক রাসেল, পল্লবী, ঢাকা।