উত্তর : সূদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম। যদিও দায়িত্বটা সূদের লেনদেনের সাথে জড়িত নাও হয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫)। জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, লেখক এবং সূদের সাক্ষীর উপর প্রতি লা‘নত করেছেন। তিনি আরো বলেন যে, পাপের দিক দিয়ে তারা সকলেই সমান (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, ‘কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম সূদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন পাপ হবে (আহমাদ, হা/২২০০৭; সনদ ছহীহ)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, ‘সূদের ৭০টি পাপের স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ পাপ হচ্ছে কেউ যেন তার মায়ের সাথে যেনায় লিপ্ত হল’ (ইবনে মাজাহ, হা/২২৭৪; সনদ ছহীহ)।
শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘চালক বা প্রহরী হয়েও সূদ ভিত্তিক সংস্থার পক্ষে কাজ করা বৈধ নয়। কারণ সূদ ভিত্তিক সংস্থার সাথে চাকরি গ্রহণের অর্থ এই যে, আপনি তাদের অনুমোদন করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি কোনও কিছুকে নিন্দা করে, সে তার পক্ষে কাজ করতে পারে না। যদি সে তা করে তবে তাতে তার অনুমোদন রয়েছে বলেই ধরা হবে। অতএব যে ব্যক্তি হারামের কোন কাজ অনুমোদন করে, সে তার গুনাহের অংশীদার হয়। আর যারা সরাসরি লেনদেন লেখা-লেখি, অর্থ লেনদেন ইত্যাদির সাথে জড়িত, তারা নিঃসন্দেহে হারামের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত (ফাতাওয়া ইসলামিয়া, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০১; ফাতাওয়া ইসলাম সাওয়াল ও জওয়াব, প্রশ্ন নং-২১১১৩;)।
ব্যাংকের নাইট গার্ড হিসাবে কাজ করা যাবে কি-না মর্মে সৌদি আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে, তারা জবাবে বলেন, ‘সূদী ব্যাংকে নাইট গার্ড বা দারওয়ান হিসাবে কোন মুসলিমের কাজ করা বৈধ নয়। কারণ এটি পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতার শামিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করবে না’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ২; ফাতাওয়া লাজনাহ আ- দায়েমাহ, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ২৮৫)।
প্রশ্নকারী : আতাউর রহমান, নাটোর।