অন্যকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন
-খত্বীব : শাইখ ড. হুসাইন আলে শায়খ
-অনুবাদ : হারুনুর রশীদ ত্রিশালী আল-মাদানী*
[২৬ রবি. আখের. ১৪৪২ হি. মোতাবেক ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখের মসজিদে নববী, মদীনাতুল মুনাওয়ারা’-এর জুমু‘আর খুত্ববার বঙ্গানুবাদ]
আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা, শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ছালাত ও সালাম এবং ছাহাবীদের মর্যাদা বর্ণনা করার পর মুহতারাম শায়খ বলেন, আল্লাহর বান্দারা! মানুষের সবচেয়ে জঘন্যতম আচরণ হচ্ছে অন্যায়ভাবে অন্যদেরকে কষ্ট দেয়া ও তাদের কষ্টের কারণ হওয়া। এটা শয়তানী পন্থা, যা শত্রুতামূলক বিরোধিতা, হানাহানি ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফলে করা হয়ে থাকে। তাতে নূন্যতম দয়া, সহানুভূতি ও মমতাবোধও দেখানো হয় না। এভাবে মানুষকে কষ্ট দেয়া নিন্দনীয় কাজ। এতে বিভিন্ন অপরাধমূলক ও ধ্বংসাত্মক আচরণ প্রকাশ পায়। কাউকে কথা বা কাজের মাধ্যমে কষ্ট দেয়ার জন্য নিজের নফসের লাগাম ছেড়ে দেয়া দুর্বল ঈমান ও প্রবৃত্তির অনুসরণকারী ব্যক্তির কাজ; যাকে অন্যায় এবং নফসে আম্মারা তথা খারাপ ও বেহায়াপনার প্রতি আহ্বানকারী আত্মা পরিচালনা করে।
অতএব হে মুসলিম! আপনি অন্যকে কষ্ট দেয়া হতে নিজেকে সংযত রাখুন, অন্যায় থেকে নিজের প্রবৃত্তিকে বারণ করুন; তবেই দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা ও সাফল্য লাভ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ بِغَیۡرِ مَا اکۡتَسَبُوۡا فَقَدِ احۡتَمَلُوۡا بُہۡتَانًا وَّ اِثۡمًا مُّبِیۡنًا
‘আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় যা তারা করেনি তার জন্য; নিশ্চয় তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করল’ (আল-আহযাব : ৫৮)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَ مَنۡ یَّکۡسِبۡ خَطِیۡٓىـَٔۃً اَوۡ اِثۡمًا ثُمَّ یَرۡمِ بِہٖ بَرِیۡٓــًٔا فَقَدِ احۡتَمَلَ بُہۡتَانًا وَّ اِثۡمًا مُّبِیۡنًا
‘আর যে ব্যক্তি কোন দোষ বা পাপ করল, অতঃপর তা কোন নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি আরোপ করল; সে তো মিথ্যা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করল’ (সূরা আন-নিসা : ১১২)।
আর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রবের কিতাব ও তাঁর বাণীর ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি উক্ত আয়াতটিরও সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন; যা নিরবচ্ছিন্নভাবে বহু বর্ণনার মাধ্যমে সুস্পষ্ট যে, তিনি অন্যদেরকে কষ্ট দেয়া, তাদের প্রতি যুলুম করা এবং তাদের ক্ষতি সাধন ও আক্রমণ করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়েছেন ও বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لَا يَظْلِمُهُ وَلَا يَخْذُلُهُ وَلَا يَحْقِرُهُ ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কাজেই তার প্রতি অত্যাচার করবে না, তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করবে না এবং তাকে তুচ্ছ মনে করবে না’।[১] এমনকি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পথে-রাস্তায় বসতে নিষেধ করেছেন, তবে যদি কেউ বসতে চায় তাকে অবশ্যই জনদুর্ভোগ এড়িয়ে বসতে হবে।[২]
হে মুসলিম! আপনি সৎকাজ ও নেক আমলের প্রতি যত্নশীল হোন, আপনার দ্বীনকে হেফাযত করুন এবং অন্যকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকুন। আপনি তেমনটি হওয়ার চেষ্টা করুন যেমনটি ফুযাইল ইবনু ‘ইয়ায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,لا يحلّ لك أن تؤذيَ كلبًا أو خنزيرًا بغير حقّ فكيف بمن هو أكرم مخلوق؟ ‘আপনার জন্য কুকুর বা শুকুরকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া বৈধ নয়। তাহলে ভেবে দেখুন সৃষ্টির সেরা মানুষের প্রতি আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত?’ [৩]
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলিমদেরকে কষ্ট দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন,
يَا مَعْشَرَ مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يُفْضِ الْإِيْمَانُ إِلَى قَلْبِهِ لَا تُؤْذُوْا الْمُسْلِمِيْنَ وَلَا تُعَيِّرُوْهُمْ وَلَا تَتَّبِعُوْا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ يَتَّبِعْ عَوْرَةَ أَخِيْهِ الْمُسْلِمِ يَتَّبِعِ اللهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْ فِي جَوْفِ رَحْلِهِ
‘হে ঐ সকল লোক! যারা মুখে ঈমান এনেছ, অথচ তার ঈমান অন্তরে পৌঁছেনি। তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিও না, তাদেরকে লজ্জা দিও না এবং তাদের গোপন দোষ উদ্ঘাটন কর না। কেননা যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের দোষ উদ্ঘাটন করবে, আল্লাহ তার দোষ উদ্ঘাটন করবেন। আর আল্লাহ যার দোষ উদ্ঘাটন করবেন, তাকে অপমান করবেন যদিও সে তার ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।[৪]
ক্বাতাদা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, إيّاكم وأذى المؤمن فإنّ الله يحوطه ويغضب له ‘কোন মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়া থেকে আপনারা সাবধান থাকুন। কেননা আল্লাহই তো তাকে রক্ষা করবেন, আর তাকে কষ্ট দেয়ার কারণে ক্রোধান্বিত হবেন’।[৫]
হে আল্লাহর বান্দা! কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যের উপর আক্রমণ করা হতে নিজেকে সংযত রাখুন। তবেই লাঞ্ছনা ও প্রবঞ্চনা হতে নিরাপত্তা পাবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُوْنَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ ‘প্রকৃত মুসলিম সেই, যার কথা ও হাত হতে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ থাকে’।[৬] তিনি আরো বলেন,مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلَا يُؤْذِىْ جَارَهُ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়’।[৭] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ ‘সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না’।[৮]
মুসলিম ভাই সকল! বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ’; যেগুলো অনেকেই ব্যবহার করেন মুসলিমদের কষ্ট দিতে, তাদের শাসকবর্গ, ‘আলেম ‘উলামা এমনকি ব্যক্তি ও পরিবারের সম্মানহানি করতে! অথচ তাদের জানা থাকা দরকার যে, তাদের প্রত্যেক বাজে কথা ও কমেন্টস এবং অপপ্রচার ও গুজবসমূহের বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন এবং ভাল-মন্দ সব কর্মই তাদের আমলনামায় হিসাব রাখা হচ্ছে, আর সে অনুযায়ীই তিনি সকলকে প্রতিদান ও শাস্তি দিবেন। অতএব মহান প্রভুর সাথে নিঃস্ব অবস্থায় সাক্ষাৎ করা থেকে তারা যেন সতর্ক হয়। আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
হে আল্লাহর বান্দারা! ‘মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয়া হরাম’ এই বিষয়টি শুধু ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়ার সাথে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সাধারণ জনগণ ও জনকল্যাণমূলক- যেমন সরকারী সম্পত্তির সাথেও সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে ইসলামের একটি মূলনীতি আছে যা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ ‘কেউ অন্যের ক্ষতি করবে না এবং কেউ নিজের ক্ষতির সমর্থনও করবে না’।[৯] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দু’টি অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকবে। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অভিশাপ দু’টি কী? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, الَّذِيْ يَتَخَلَّى فِىْ طَرِيْقِ النَّاسِ أَوْ فِىْ ظِلِّهِمْ ‘যে মানুষের চলার পথে অথবা ছায়াস্থলে পায়খানা করে।[১০] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেন, مَنْ آذَى الْمُسْلِمِيْنَ فِيْ طُرُقِهِمْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ لَعْنَتُهُمْ ‘যে ব্যক্তি মুসলিমদেরকে তাদের চলাচলের রাস্তায় কষ্ট দেয়, তার উপর তাদের লা‘নত আবশ্যক হয়ে যায়’।[১১]
ছানী খুত্ববাহ
মুসলিম ভাই! আপনি আপনার নিজের নিরাপত্তার জন্য মানুষকে কষ্ট দেয়া থেকে নিজের নফসকে বিশুদ্ধ রাখুন এবং অন্যের প্রতি প্রকাশ্য ও গোপনে সব ধরণের যুলুম করা থেকে পবিত্র রাখুন। আর জেনে রাখুন যে, নাজাতের অন্যতম উপায় ও জান্নাতীদের একটি গুণ হল- যাবতীয় শিরক-বিদ‘আত, হিংসা-বিদ্বেষ, খেয়ানত, অশ্লীলতা ও মানুষের প্রতি যুলুম করা হতে স্বীয় অন্তরকে মুক্ত রাখা। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দা ও বন্ধু ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর দু‘আ উল্লেখ করে বলেন,
وَ لَا تُخۡزِنِیۡ یَوۡمَ یُبۡعَثُوۡنَ - یَوۡمَ لَا یَنۡفَعُ مَالٌ وَّ لَا بَنُوۡنَ - اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰہَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ
‘আর আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না পুনরুত্থান দিবসে; যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি কোন কাজে আসবে না। সেদিন উপকৃত হবে শুধু সে, যে আল্লাহর কাছে আসবে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে’ (সূরা আশ-শু‘আরা : ৮৭-৮৯)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَ نَزَعۡنَا مَا فِیۡ صُدُوۡرِ ہِمۡ مِّنۡ غِلٍّ اِخۡوَانًا عَلٰی سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیۡنَ
‘আর আমরা তাদের অন্তর হতে বিদ্বেষ দূর করব; তারা ভাইয়ের মত পরস্পর মুখোমুখি হয়ে আসনে অবস্থান করবে’ (সূরা আল হিজর : ৪৭)।
মুসলিমদের প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ ও ঐচ্ছিক কষ্ট প্রদান করা হতে অন্তরকে পরিষ্কার রাখার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বহু বিশুদ্ধ হাদীছ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জনৈক আনছারী ব্যক্তির ঘটনা, যার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জান্নাতের সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সম্পর্কে জানার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার সাথে তিনটি রাত্রি যাপন করলেন। তার সৎ আমলের মধ্যে এটা দেখতে পেলেন না যে, তিনি রাতে জেগে তাহাজ্জুদ পড়ছেন! তবে তিনি বিছানায় এদিক সেদিক নড়াচড়া করলেই আল্লাহর নাম নিতেন এবং তাকবীর দিতেন, এভাবে ফজর হলে ছালাতের জন্য উঠে যেতেন। তারপরে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সম্পর্কে যা বলেছেন তা আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁকে বললে তিনি বললেন, আপনি যেমনটি দেখেছেন আমি তো এমনই আমল করি, তবে কোন মুসলিমের উপর আমি কোন দাবি রাখি না এবং যাকে আল্লাহ কোন কল্যাণ দিয়েছেন তার প্রতি আমি কোন বিদ্বেষ পোষণ করি না। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন, তোমার এই অভ্যাসই তোমাকে এই সম্মানে পৌঁছিয়েছে, আর এটাতেই আমরা অক্ষম।[১২]
পরিশেষে সম্মানিত খত্বীব আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ পাঠ করেন। সকল মুসলিমের জন্য দু‘আ ও ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে খুত্ববাহ সমাপ্ত করেন।
তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৪; মিশকাত, হা/৪৯৫৯।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/২৪৬৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২১।
[৩]. মাওসূ‘আতু খুত্বাবিল মিনবর, পৃ. ২৮৭১।
[৪]. তিরমিযী, হা/২০৩২, সনদ হাসান ছহীহ; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৭৬৩; মিশকাত, হা/৫০৪৪।
[৫]. মাওসূ‘আতু খুত্বাবিল মিনবর, পৃ. ২৮৭১।
[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১০; ছহীহ মুসলিম, হা/৪১, ৪০।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৫১৮৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৭।
[৮]. মুসলিম, হা/৪৬ ; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১২১; মিশকাত, হা/৪৯৬৩।
[৯]. ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০; মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/২৭৫৮, সনদ ছহীহ।
[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯; মিশকাত, হা/৩৩৯।
[১১]. ত্বাবারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/২৯৭৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২২৯৪, সনদ হাসান।
[১২]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৭২০, সনদ ছহীহ।