শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

আত্মসাতের পরিণাম

-ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর*


আত্মসাৎ হল প্রতারণামূলকভাবে কারো সম্পদ গোপন করা, ব্যবহার করা বা অন্যের সম্পদ নিজের কবলিত করা বা দখল করা। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গত ১৫ বছরে দেশ ও সাধারণ জনতার সম্পদ লুটপাট, চোরাচালান, দুর্নীতি, ঘুষ বানিজ্য, চাঁদাবাজি ও পাচারের মাধ্যমে যেভাবে আত্মসাতের ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে, তা পৃথিবীতে বিরল। অথচ কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা জঘন্য অপরাধ। আর যদি তা বায়তুল মাল বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ হয় তাহলে অপরাধের মাত্রা আরো বেশি। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী ইসলামের দৃষ্টিতে কবীরা গুনাহগার। যা সহজে ক্ষমা হয় না। সম্পদ আত্মসাৎ করার পরিণামও খুব ভয়াবহ। এরূপ খিয়ানতকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন না। তাকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন। এমর্মে এরশাদ হচ্ছে- اِنَّ اللّٰہَ  لَا یُحِبُّ الۡخَآئِنِیۡنَ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা খিয়ানতকারীদেরকে ভালোবাসেন না’ (সূরা আল-আনফাল: ৮/৫৮)। যাকে যে বিষয়ে দায়িত্বশীল নিয়োগ করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করা উচিত। স্বীয় দায়িত্বে কোনো প্রকার গাফলতি করা উচিত নয়। কেননা ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।*

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اَلآ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘মনে রেখো, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে’।[১]

যাকে যে কাজের জন্য দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছে সে সম্পর্কে তাকে বিচারের মাঠে জবাবদিহি করতে হবে। যেখানে কোনো রকম ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই স্ব স্ব দায়িত্ব আমানতদারিতার সাথে সঠিকভাবে পালন করা উচিত। যেন পরকালে জবাব দেয়া সহজ হয়।

ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা

ইসলামের দৃষ্টিতে ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা অনেক বেশি। বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ ثَلَاثَةٌ ذُوْ سُلْطَانٍ مُقْسِطٌ مُتَصَدِّقٌ مُوَفَّقٌ وَرَجُلٌ رَحِيْمٌ رَقِيْقُ الْقَلْبِ لِكُلِّ ذِىْ قُرْبَى وَمُسْلِمٍ وَعَفِيْفٌ مُتَعَفِّفٌ ذُوْ عِيَالٍ

ইয়ায ইবনু হিমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘জান্নাতী তিন প্রকার- (১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, যাকে ভাল কাজ করার তাওফীক্ব দেয়া হয়েছে। (২) ঐ ব্যক্তি যে প্রত্যেক আত্মীয়স্বজন ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু ও নম্র-হৃদয় এবং (৩) সেই ব্যক্তি যে বহু সন্তানের (গরীব) পিতা হওয়া সত্ত্বেও  হারাম ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূরে থাকে’।[২]

আরেক বর্ণনায় রয়েছে- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘হাশরের মাঠে আল্লাহ সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে স্বীয় আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন। তন্মধ্যে এক শ্রেণী হচ্ছে- ন্যায়পরায়ণ শাসক’।[৩]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ الْمُقْسِطِيْنَ عِنْدَ اللهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُوْرٍ عَنْ يَمِيْنِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ وَكِلْتَا يَدَيْهِ يَمِيْنٌ الَّذِيْنَ يَعْدِلُوْنَ فِىْ حُكْمِهِمْ وَأَهْلِيْهِمْ وَمَا وَلُوْا.

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘ন্যায় বিচারকগণ (ক্বিয়ামতের দিন) আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বারসমূহে মহা মহিমান্বিত দয়াময় প্রভুর ডানপার্শ্বে উপবিষ্ট থাকবেন। তাঁর উভয় হাতই ডান হাত (সমান মহিয়ান)। যারা তাদের শাসনকার্যে তাদের পরিবারের লোকদের ব্যাপারে এবং তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বসমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে’।[৪]

সঠিকভাবে স্বীয় দায়িত্ব পালনকারীর মর্যাদা অনেক বেশি। এমন ন্যায়পরায়ণ শাসক আরশের ছায়ায় স্থান পাবে। তাছাড়া জান্নাত লাভে ধন্য হবে। এমনকি বিচারের মাঠে আল্লাহর পাশে আসন লাভ করবে।

অত্যাচারী শাসক নিকৃষ্ট ব্যক্তি

জনগণের উপর অত্যাচারী শাসক খুবই নিকৃষ্ট। তাদের পরকালীন ফলাফলও অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এরূপ শাসককে আল্লাহ তা‘আলা ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন।

عَن عَبْدِ اللهِ بن عَمْرو رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই নিকৃষ্ট দায়িত্বশীল হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে অধীনস্ত জনগণের প্রতি অত্যাচার করে’।[৫] অপর এক হাদীছে বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عَائِشَةَ  رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اَللَّهُمَّ مَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِىْ شَيْئًا فَشَقَّ عَلَيْهِمْ فَاشْقُقْ عَلَيْهِ وَمَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِىْ شَيْئًا فَرَفَقَ بِهِمْ فَارْفُقْ بِهِ

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! কোনো ব্যক্তি যদি আমার উম্মতের সামান্য কাজের দায়িত্বশীল হয় তারপর সে অধীনস্ত লোকের প্রতি কঠোরতা করে তুমি তার উপর কঠোর হও। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের সামান্য কাজের দায়িত্বশীল হয়ে তাদের উপর নরম হয় তুমি তার উপর নরম হও’।[৬] আরেক বর্ণনায় রয়েছে-

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيْهِمْ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ شَيْخٌ زَانٍ وَمَلِكٌ كَذَّابٌ وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির সাথে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা কথা বলবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না। তাদের প্রতি তাকাবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (এরা হলো) বুড়ো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক বা রাষ্ট্রপ্রধান ও অহংকারী দরিদ্র ব্যক্তি’।[৭]

অধীনস্ত জনগণের উপর অত্যাচারকারী শাসক সর্বাধিক নিকৃষ্ট দায়িত্বশীল। এরূপ শাসকের উপর আল্লাহ তা‘আলা রহম করেন না। তার উপর কঠোরতা আরোপ করেন। তাদের সাথে তিনি বিচার দিবসে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, কথাও বলবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

আত্মসাৎকৃত বস্তু নিয়েই বিচারের মাঠে উঠবে

অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করা খুবই নোংরা স্বভাব। তারা মানসিকভাবে নীচু শ্রেণির ব্যক্তির মধ্যে গণ্য। কোনো রুচিশীল ভদ্র মানুষ এমন করতে পারে না। যে যা আত্মসাৎ করবে, তাই নিয়ে বিচারের মাঠে উপস্থিত হবে।

وَ مَا کَانَ لِنَبِیٍّ اَنۡ یَّغُلَّ ؕ وَ مَنۡ یَّغۡلُلۡ یَاۡتِ بِمَا غَلَّ  یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ۚ ثُمَّ  تُوَفّٰی کُلُّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ

‘কোনো নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানত করবেন। আর যে লোক খিয়ানত করবে সে ক্বিয়ামতের দিন সেই খিয়ানত করা বস্তু নিয়ে উপস্থিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই পরিপূর্ণভাবে পাবে যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না’ (সূরা আলে ইমরান: ৩/১৬১)।

عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ  رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمْنَا مِخْيَطًا فَمَا فَوْقَهُ كَانَ غُلُوْلًا يَأْتِيْ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আদী ইবনু আমিরা আল-কিনদী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোনো কাজের দায়িত্বশীল করি, অতঃপর সে সূচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। ক্বিয়ামাতের দিন সেই বস্তু নিয়ে সে উপস্থিত হবে’।[৮] অপর বর্ণনায় রয়েছে-

আবূ হুরায়রাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা নবী (ﷺ) আমাদের মাঝে বক্তব্য দেয়ার জন্য দাঁড়ালেন, তিনি খিয়ানত সম্পর্কে বক্তব্য দিলেন এবং খিয়ানতের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে পেশ করলেন। তারপর তিনি বললেন, ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের কাউকে আমি এমন অবস্থায় পাব যে, তার কাঁধের উপর উট চিৎকার করতে থাকবে। সে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে রক্ষা করুন। আমি বলব, আজ আল্লাহর সামনে তোমার জন্য সামান্য কিছু করার ক্ষমতা আমি রাখি না যা পূর্বেই বলেছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় পাব যে, তার কাঁধের উপর ঘোড়া চিৎকার করতে থাকবে। সে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে রক্ষা করেন, আমি বলব, আজ আল্লাহর সামনে তোমার জন্য সামান্য কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই যা আমি পূর্বেই বলেছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এই অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে কাঁধের উপর একটি ছাগল বহন করছে এবং আমাকে বলবে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব আমি কিছুই করতে পারব না। আমিতো তোমাকে আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি।

ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে না পাই যে সে নিজের কাঁধের উপর চিৎকার রত একটি মানুষ বহন করে নিয়ে আসবে আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব, আজ আমি তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না। আমি আল্লাহর বিধান তোমাকে পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে নিজের কাঁধের উপর একখন্ড কাপড় ইত্যাদির বহন করে নিয়ে আসছে। আর উহা ভীষণভাবে তার কাঁধের উপর দুলছে, তখন সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে সাহায্য করুন, আর আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না। ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে নিজের কাঁধের উপর অচেতন সম্পদ (সোনা-চাঁদি) বহন করে নিয়ে আসছে। আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব, আজ আমি তোমাকে কোনো সাহায্য করতে পারব না। আমি তো তোমাকে আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি।[৯]

যে ব্যক্তি অন্যের বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ হতে যে বস্তু আত্মসাৎ করবে হাশরের ময়দানে সেদিন তাই নিয়ে হাযির হবে। সেটা কোনো প্রাণী হোক, স্থাবর সম্পদ হোক অথবা কোনো বস্তু। যারা অন্যয়ভাবে মানুষের সম্পদ ভোগ করছে বা রাষ্ট্রের সম্পদ অত্মসাৎ করছে তাদের সেদিন অবস্থা হবে খুবই লজ্জাকর। যারা সাধারণ জনগণের মম্পদ, টাকা, সরকারী ত্রাণ, টাকা আত্মসাৎ ও চুরি করছে তাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত। যারা ত্রাণের টাকা, চাল, ডাল, তেল প্রভৃতি জিনিস আত্মসাৎ করছে তাদেরকে এসব জিনিস নিয়েই বিচারের মাঠে উপস্থিত হতে হবে। সেদিন সারা পৃথিবীর মানুষ আত্মসাৎকারীকে দেখে চিনতে পারবে। গোটা জাহানের মানুষের সামনে অপমান হতে বাঁচতে চাইলে এসব ফেরত দিয়ে তওবা করা উচিত।

আত্মসাৎকারীর জন্য জান্নাত হারাম

আত্মসাৎকারী ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করা হয়েছে। তারা জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। এমর্মে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ معْقِلَ بْنَ يَسَارٍ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىَّ ﷺ يَقُوْلُ مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِيْنَ فَيَمُوْتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلَّا حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ

মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘কোনো ব্যক্তি মুসলিমদের দায়িত্ব গ্রহণের পর খিয়ানত করা অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করেছেন’।[১০]

عَنْ معْقِلَ بْنَ يَسَارٍ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىَّ ﷺ يَقُوْلُ مَا مِنْ عَبْدٍ اسْتَرْعَاهُ اللهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يَحُطْهَا بِنَصِيْحَةٍ إِلَّا لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ

মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যার প্রতি আল্লাহ কোনো দায়িত্ব অর্পণ করেন, অতঃপর সে সুষ্ঠুভাবে তা পালন করে না, সে জান্নাতের গন্ধ পাবে না’।[১১]

عَنْ معْقِلَ بْنَ يَسَارٍ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَا مِنْ أَمِيْرٍ يَلِى أَمْرَ الْمُسْلِمِيْنَ ثُمَّ لَا يَجْهَدُ لَهُمْ وَيَنْصَحُ إِلَّا لَمْ يَدْخُلْ مَعَهُمُ الْجَنَّةَ

মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে কোনো আমীর (শাসক) মুসলিমদের দেখাশুনার দায়িত্ব নিল, অতঃপর সে তাদের (সমস্যা দূর করার) চেষ্টা করল না এবং তাদের হিতাকাক্সক্ষী না, সে তাদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে না’।[১২]

কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি খিয়ানত বা আত্মসাৎ করা অবস্থায় মারা গেলে তার জন্য জান্নাত হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ার পর সঠিকভাবে স্বীয় দায়িত্ব পালন না করলে জান্নাতের সুগন্ধিও লাভ করতে পারবে না। দায়িত্বশীলকে সদা-সর্বদা জনগণের সমস্যাবলী দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। নিজ দায়িত্বে কোনো অবহেলা করা যাবে না। মানুষের সাথে মিশুক হতে হবে। তাদের পাশে থাকতে হবে। অন্যথা এই দায়িত্বই তার জন্য ভয়াবহতায় রূপ নিবে।

আত্মসাৎকারীর বাসস্থান হবে জাহান্নাম

আত্মসাৎকারী ব্যক্তির জান্নাতে ঠায় হবে না। বিধায় তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নামে। আত্মসাতের সম্পদ দিয়ে দুনিয়ায় কিছুটা সুখ ভোগ করেছে। পরকালে তাকে এই সুখের মাসুল পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বুঝিয়ে দিতে হবে।

عَنْ خَوْلَةَ الأَنْصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُوْلُ إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُوْنَ فِيْ مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمْ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

খাওয়ালাহ আনছারী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘নিশ্চয় কিছু লোক আল্লাহর সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করবে। আর ক্বিয়ামতের দিন তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম’।[১৩]

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ هَذَا مِنْ غَنَائِمِكُمْ أَدُّوا الْخَيْطَ وَالْمِخْيَطَ فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ فَمَا دُوْنَ ذَلِكَ فَإِنَّ الْغُلُوْلَ عَارٌ عَلَى أَهْلِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشَنَارٌ وَنَارٌ

ওবাদাহ ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, হুনাইনের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের এক ক্ষুদ্র কণা পরিমাণ জিনিস হাতে করে বললেন, ‘হে উপস্থিত জনগণ! আমার হাতের এই ক্ষুদ্র অংশ তোমাদের গনীমতের মালের অন্তর্ভুক্ত। সুচ পরিমাণ বা তার চেয়ে কম-বেশি সম্পদ কারো নিকট থাকলে তা পেশ করো। নিশ্চয়ই খিয়ানত (আত্মসাৎ) ক্বিয়ামাতের দিন খিয়ানতকারীর জন্য অপমান-অপদস্ত ও জাহান্নামের কারণ হবে’।[১৪]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ صَحَابَةِ النَّبِيِّ ﷺ فَقَالُوْا فُلَانٌ شَهِيْدٌ فُلَانٌ شَهِيْدٌ حَتَّى مَرُّوْا عَلَى رَجُلٍ فَقَالُوْا فُلَانٌ شَهِيْدٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَلَّا إِنِّيْ رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ فِيْ بُرْدَةٍ غَلَّهَا أَوْ عَبَاءَةٍ

ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আমাকে বললেন, ‘খায়বারের যুদ্ধের দিন ছাহাবীগণের একটি দল বাড়ী ফিরে আসছিলেন। ঐ সময় ছাহাবীগণ বললেন, অমুক অমুক শহীদ, শেষ পর্যন্ত এমন এক ব্যক্তিকে ছাহাবীগণ শহীদ বললেন, যার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কখনো নয়, আমি তাকে জাহান্নামে দেখছি সে একটি চাদর অথবা আবায়া (এক ধরনের পোষাক) আত্মসাৎ করেছে’।[১৫]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو  رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ عَلَى ثَقَلِ النَّبِيِّ ﷺ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ كَرْكَرَةُ فَمَاتَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ هُوَ فِي النَّارِ فَذَهَبُوْا يَنْظُرُوْنَ إِلَيْهِ فَوَجَدُوْا عَبَاءَةً قَدْ غَلَّهَا

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গনীমতের মালের এক ব্যক্তি দায়িত্বশীল ছিল, যে কারকারা নামে পরিচিত। সে মারা গেলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জাহান্নামী বলে ঘোষণা করেন। ছাহাবীগণ তার নিকট গিয়ে দেখলেন সে একটি চাদর আত্মসাৎ করেছিল’।[১৬]

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ أَهْدَى رَجُلٌ لِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ غُلَامًا يُقَالُ لَهُ مِدْعَمَ فَبَيْنَمَا مِدْعَمٌ يَحُطُّ رَحْلًا لِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ إِذْ أَصَابَهُ سَهْمٌ عَائِرٌ فَقَتَلَهُ فَقَالَ النَّاسُ هَنِيئًا لَهُ الْجَنَّةُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَلَّا وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَخَذَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ مِنْ الْمَغَانِمِ لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ النَّاسُ جَاءَ رَجُلٌ بِشِرَاكٍ أَوْ شِرَاكَيْنِ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ شِرَاكٌ مِنْ نَارٍ أَوْ شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, মিদআম নামে একটি গোলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হাদিয়া দিয়েছিল। মিদআম এক সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উটের পিঠের হাওদা নামাচ্ছিল এমতাবস্থায় একটি তীর এসে তাকে লাগে এবং সে মারা যায়। ছাহাবীগণ বলেন, তার জন্য জান্নাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কখনই নয়। আল্লাহর কসম, নিশ্চয় ঐ চাদরটি যেটি সে খায়বারের গনীমত বণ্টন করার পূর্বে আত্মসাৎ করেছিল সে চাদরটি জাহান্নামের আগুন তার উপর উত্তেজিত করছে। এ কথা শুনে একজন লোক একটি জুতার ফিতা বা দু’টি জুতার ফিতা রাসূলের নিকট নিয়ে আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, একটি বা দু’টি জুতার ফিতা আত্মসাৎ করলেও জাহান্নামে যাবে’।[১৭]

আত্মসাৎকারীর শেষ পরিণতি হবে জাহান্নাম। রাষ্ট্রের/জনগণের সামান্য কোনো জিনিস আত্মসাৎ করলেও পরিণাম একই। সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের জন্য হাদীছগুলো দিক নির্দেশক। আত্মসাৎ হলেই পরিণতি খুব ভয়ংকর।

হাশরের মাঠে আত্মসাৎকারীকে উপস্থাপন করা হবে

আত্মসাৎ, খিয়ানত এবং বিশ্বাসঘাতকতা ভয়ংকর অপরাধ। যারা দুনিয়ায় এগুলোর সাথে জড়িত হবে, তাদেরকে বিচারের মাঠে সকলের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এমর্মে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে-

عَنِ ابْنِ عُمَرَ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ

ইবনু উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য এক একটি পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বলা হবে, ইহা উমুকের পুত্র উমুকের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক’।[১৮]

عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ  رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ عِنْدَ اسْتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের নিতম্ভের (পিছনে) নিকট তার বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা স্থাপন করা হবে’।[১৯] অপর এক বর্ণনায় রয়েছে-

لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرْفَعُ لَهُ بِقَدْرِ غَدْرِهِ أَلَا وَلَا غَادِرَ أَعْظَمُ غَدْرًا مِنْ أَمِيْرِ عَامَّةٍ

‘ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য তার বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুযায়ী পতাকা উত্তোলন করা হবে। সাবধান! প্রধান শাসকের বিশ্বাসঘাতকতার পতাকাই হবে সবচেয়ে বড়’।[২০]

ক্বিয়ামত দিবসে হাশরের মাঠে প্রত্যেক আত্মসাৎকারী ও বিশ্বাসঘাতকের অবস্থা হবে খুবই লজ্জাকর। তাদের আত্মসাতের পরিমাণ অনুযায়ী পিছনে পতাকা উড়তে থাকবে। যেখানে তাদের প্রত্যেকের পরিচয় উল্লেখ করা হবে। বিষয়টি কতটা নোংরা ও অপমানজনক তা আত্মসাৎকারীদের অনুধাবন করা প্রয়োজন। বিচারের মাঠে অপমান থেকে বাঁচতে চাইলে সকল প্রকার খিয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতা বর্জন করা অপরিহার্য কর্তব্য।

সুধি পাঠক! যারা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন বা করেছেন, তাদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ংকর। গভীরভাবে এ হাদীছগুলো তাদের ভাবা প্রয়োজন। সামান্য সুখ যেন আজীবনের কান্নায় রূপ না নেয়। আবূ হুরায়রাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لِأَحَدٍ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَىْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لَا يَكُوْنَ دِينَارٌ وَلَا دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

‘কেউ কারো প্রতি যদি সম্মানের ব্যাপারে বা কোনো কিছুর ব্যাপারে অত্যাচার করে থাকে তাহলে আজকেই সে যেন তা সমাধা করে নেয়, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন তার নিকট কোনো অর্থ-সম্পদ থাকবে না। ঐ দিন সৎ আমল থাকলে অন্যায় পরিমাণ নিয়ে নেয়া হবে। আর সৎ আমল না থাকলে তার পাপগুলো নিয়ে অপরাধীর উপর চাপিয়ে দেয়া হবে’।[২১]

মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা থেকে বিরত রাখুন এবং আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন-আমীন!


* পরিচালক, ইয়াসিন আলী সালাফী কমপ্লেক্স, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮২৮; আবূ দাউদ, হা/২৯২৮; তিরমিযী, হা/১৭০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১৬৭; মিশকাত, হা/৩৬৮৫।

[২]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৩৮৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৬৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৪৫৩; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৩৫৯; মিশকাত, হা/৪৯৬০।

[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; নাসাঈ, হা/৫৩৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; মিশকাত, হা/৭০১।

[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৪৯২; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৪৮৪; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৫১৬৯; মিশকাত, হা/৩৬৯০।

[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৩৮; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৫১১; মিশকাত, হা/৩৬৮৮।

[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮২৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৬৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৫৩; ত্বাবারাণী, মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/৯৪৪৯; মিশকাত, হা/৩৬৮৯।

[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০২৩২; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৮১৫৫; মুসনাদে আবু আওয়ানাহ, হা/১১৪; ছহীহুল জামে‘, হা/৩০৬৯; মিশকাত, হা/৫১০৯।

[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৪৮; আহমাদ, হা/১৭৭৫৯; ত্বাবারাণী কাবীর, হা/২৫৬; ছহীহুল জামে‘, হা/৬০২৪; ছহীহ আত-তারগীব, হা/৭৮১; মিশকাত, হা/১৭৮০।

[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০৭৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৯৯; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৮৪৭; বায়হাক্বী, হা/৪৩৩০; মিশকাত, হা/৩৯৯৬।

[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৩০৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৪৯৫; দারেমী, হা/২৭৯৬; মিশকাত, হা/৩৬৮৬।

[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১৫০; ছহীহ আত-তারগীব, হা/২২০৪; মিশকাত, হা/৩৬৮৭।

[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৩; ত্বাবারাণী কাবীর, হা/৫২৪; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৬৯৭৮; মুসনাদে আবী আওয়ানাহ, হা/৭০৪৩; ছহীহুল জামে‘, হা/৫৬৯৭।

[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৩১১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭৩৫৯; বুলুগুল মারাম, হা/১৪৯৩; ছহীহুল জামে‘, হা/২০৭৩; কানযুল উম্মাল, হা/১৬৭৫৭; মিশকাত, হা/৩৯৯৫।

[১৪]. ইবনু মাজাহ, হা/২৮৫০; মুসনাদে বাযযার, হা/২৭১৪; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৯৮৫, হাদীছ ছহীহ।

[১৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩২৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৩; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৮৫৭; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪০২২; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৩৪৬; মিশকাত, হা/৪০৩৪।

[১৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০৭৪; ইবনু মাজাহ, হা/২৮৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৪৯৩; বায়হাক্বী কুবরা, হা/১৭৯৮২; ছহীহ আত-তারগীব, হা/১৩৪৪; মিশকাত, হা/৩৯৯৮।

[১৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৭০৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৩২৫; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪৮৫১; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৩৪৯; মিশকাত, হা/৩৯৯৭।

[১৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৬১৭৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৬২৯; আবুদাউদ, হা/২৭৫৬; তিরমিযী, হা/১৫৮১; ইবনু মাজাহ, হা/২৮৭২; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৩৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫০৮৮; বায়হাক্বী কুবরা, হা/১৮৬২৬; মিশকাত, হা/৩৭২৫।

[১৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৬৩৫; ছহীহুল জামে‘, হা/৫১৬৭; মিশকাত, হা/৩৭২৭।

[২০]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৬৩৬; কানযুল উম্মাল, হা/৪৬৮৪; মিশকাত, হা/৩৭২৭।

[২১]. ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৫৮০; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৩৬১; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২২২; মিশকাত, হা/৫১২৬।





প্রসঙ্গসমূহ »: পাপ
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
বাউল মতবাদ - গোলাম রহমান
যাকাত বণ্টনে সমস্যা ও সমাধান - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ইসলামে ব্যবসায়িক মূলনীতি - ছাদীক মাহমূদ
প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
অহংকার করা ও তার পরিণাম (শেষ কিস্তি) - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
রামাযানের শেষ দশকের গুরুত্ব ও করণীয় - মাইনুল ইসলাম মঈন
ইসলামী তাবলীগ বনাম ইলিয়াসী তাবলীগ (৩য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
ইসলামী পুনর্জাগরণের প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায় (৭ম কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ব্যভিচার ও ধর্ষণ: সমাধান কোন্ পথে

ফেসবুক পেজ