সনদেই দ্বীন
- মোহাম্মদ মাযহারুল ইসলাম*
সনদ বলতে হাদীছ বর্ণনার ‘সূত্র’-কে বুঝায়। রাসূল (ﷺ) থেকে ছাহাবী, তাবেঈ ও তৎ পরবর্তীদের হাদীছ বর্ণনার ধারাবাহিক লাগাতার ‘সূত্র’কে সহজেই বুঝাতে ‘সনদ’ শব্দটি উছূলে হাদীছের পরিভাষায় ব্যবহার করা হয়। ইসলামী শরী‘আতের মৌলিক উৎসের অন্যতম দ্বিতীয় উৎস আল-হাদীছ। শরী‘আত জানা, মানা এবং বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন শরী‘আতের উৎস সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকবে; নচেৎ বিভ্রান্তের স্বীকার হয়ে গোমরাহের পথে পা বাড়াবে। ইসলামী শরী‘আতে হাদীছ সংরক্ষণ, হেফাযত, এর মান-মর্যাদাকে চির অক্ষুণ্ন রাখার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে অনেক ব্যক্তির আগমন হয়েছে, যারা তাঁদের জীবনকে ‘ইলমে নবাবী তথা হাদীছের খেদমতে উৎসর্গ করেছেন। খেয়ে না খেয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে, বিভিন্ন দেশ, স্থান সফর করে অসংখ্য জাল, যঈফ, অগ্রহণ যোগ্য, ত্রুটিপূর্ণ হাদীছ সমূহ থেকে বিশুদ্ধ হাদীছকে পৃথককরণ এবং সেইসাথে হাদীছ সম্ভারকে ক্বিয়ামত অবধি পর্যন্ত সংরক্ষণ, হেফাযতের লক্ষ্যে বেশ কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁদের রেখে যাওয়া নীতিমালা ও কর্মের উপর নির্ভর করে আমাদের অনায়াসে ছহীহ ও যঈফ সম্পর্কে বিনা পরিশ্রমে জানতে পারি, পড়তে পারি এবং সেই সকল ত্রুটিপূর্ণ হাদীছ থেকে বিরত থাকতে পারি।*
হাদীছ শাস্ত্র সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় বুনিয়াদি শক্তিই হলো সনদ। কেননা হাদীছের সূত্রেই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে ঐ হাদীছে সমস্যা থাকবেই আর এটাই স্বাভাবিক। এজন্য মুহাদ্দিছগণ সনদের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস ছিলেন। কোন কিছুই গ্রহণ করতেন না যতক্ষণ না সনদ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা সুস্পষ্ট না হত। কেননা সনদেই হলো দ্বীন। সনদ বিহীন দ্বীন কলুষিত। সনদ আছে বলেই দ্বীনের বিশুদ্ধ রূপ অক্ষুণ্ন আছে। শরী‘আতকে যাবতীয় কলুষতা মুক্ত রাখার জন্য মহান আল্লাহ প্রত্যেক যুগেই এমন কিছু ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়েছেন, যাঁদের সামনে অসৎ উদ্দেশ্য ধারণকারী ধরাশায়ী হয়েছে এবং ইসলামী শরী‘আতের উৎস হাদীছ শাস্ত্র কলুষতা মুক্ত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। সনদেই একমাত্র বস্তু যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীর সম্মান, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বকে অন্যান্য জাতির উপর সমুন্নত করেছেন এবং উম্মতে মুহাম্মাদীকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। এটা মহান আল্লাহর পক্ষ উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর বিশেষ দয়া। সনদেই একমাত্র মাপকাঠি হক এবং বিদ‘আতী, প্রবৃত্তির অনুসারী, গোমরাহ থেকে পার্থক্য মানদণ্ড। যেমনিভাবে মহান আল্লাহ পৃথিবীর সকল জাতির উপর উম্মতে মুহাম্মাদীকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন সনদের মাধ্যমে ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত’-কে বিদ‘আতী, প্রবৃত্তির অনুসারী, গোমরাহ থেকে সনদের গুরুত্বারোপ ও তাঁর সূক্ষ্মতার প্রতি মনোনিবেশ দেয়ার কারণে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।[১]
ইলমুল ইসনাদ তথা সনদের জ্ঞানকে আবার উছূলে হাদীছের পরিভাষায় ইলমুর রিজালও বলা হয়। ইসলামী শরী‘আতে এই বিদ্যার জ্ঞান অর্জন করা মানেই প্রকারন্তরে হাদীছের অর্ধেক জ্ঞান অর্জন করা। কেননা ইলমুর রিজাল হলো ইলমে হাদীছের জ্ঞানের অর্ধেক। তাই যুগে যুগে মুহাদ্দিছগণ এই জ্ঞানের শাখায় খুবই গুরুত্বারোপ পেশ করেছেন এবং সেই সাথে তাঁরা এই শাখায় জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা, যাচাই-বাছাই, পর্যালোচনা গভীর মনোযোগে নিরূপণ করেছেন। কেননা যদি তাঁরা এই জ্ঞানের শাখায় এত বেশি সতর্কতা অবলম্বন না করত এবং নীতিমালা প্রণয়ন না করত, তাহলে যে কেউ নিজের ইচ্ছে মত যা ইচ্ছা তাই বলে বেড়াত এবং শরী‘আতকে বিকৃতি করত। তাঁদের এমন অধিক সতর্কতা ও খোঁজ-খবর, যাচাই-বাছাই করার দরুন মনে হত যেন কোন বিয়ের খোঁজ-খবর নিচ্ছে। প্রখ্যাত পণ্ডিত হাসান বিন ছালেহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, كنا إذا أردنا أن نكتب عن رجل سألنا حتى يقال لنا : أتريدون أن تزوجوه ‘আমরা যখন কোন ব্যক্তি হতে লেখার ইচ্ছা পোষণ করতাম, তখন আমরা জিজ্ঞেস করতাম। এমনকি তখন আমাদেরকে বলা হত: তোমরা তাঁকে বিয়ে দিতে চাও (অধিক খোঁজ-খবর ও যাচাই-বাছাই করার কারণে)’।[২]
তাঁরা শরী‘আতকে যাবতীয় কলুষতা, মিথ্যার কদর্যতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য নির্দ্বিধায় স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছেন। কোন কথা কার পক্ষে গেল আর কার বিপক্ষে গেল না সেগুলো বিবেচনা না করে শরী‘আতের যথার্থ আমানতকে সবচেয়ে বড় আমানত হিসাবে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট ছিল। যেমন যায়েদ ইবনু আনিসা (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ভাই ইয়াহইয়া সম্পর্কে বলেন, ‘সে মিথ্যা বলে (অতএব তাঁর থেকে হাদীছ নেয়া যাবে না)’।[৩] প্রখ্যাত পণ্ডিত জারীর ইবনু আব্দুল হুমাইদ-কে তাঁর ভাই আনাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘সে হিশাম ইবনু উরওয়া থেকে শুনেছে কিন্তু সে মানুষের সাথে কথা বললে মিথ্যা বলে। অতএব তাঁর থেকে হাদীছ লিখো না’।[৪] আবূ দাঊদ (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ সম্পর্কে বলেন, ‘আমার ছেলে আব্দুল্লাহ সে মিথ্যা বলে (অতএব হাদীছের ক্ষেত্রে তাঁর থেকে সতর্ক থাকবে)’।[৫]
ইলমুল ইসনাদ তথা সনদের জ্ঞান দ্বীনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই তো হাফেয মুহাম্মদ ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) বিনা বাক্যে বলেছেন, إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ ‘নিশ্চয় এটা তথা রিজাল শাস্ত্রের জ্ঞান দ্বীনের অন্যতম অংশ। অতএব তোমরা লক্ষ্য করো তোমরা কাদের থেকে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছ’।[৬] তাবেঈগণ ফিতনা আবির্ভাবের পূর্বে তেমন বেশি খোঁজ-খবর যাচাই-বাছাই ছাড়াই হাদীছ বর্ণনা ও বর্ণনাকৃত হাদীছ গ্রহণ করত। কিন্তু যখন ফিতনা আবির্ভাবের যুগে হাদীছের উপর বিভিন্ন ধরনের সন্দেহের ইঁদুর অনুপ্রবেশ ঘটানোর দূরভিসন্ধি শুরু করল বিভিন্ন মহল এবং সেইসাথে তারা সমাজে হাদীছের উপর বিভিন্ন অভিযোগ, মিথ্যাচার, জাল ও যঈফ হাদীছ রটনা শুরু করল; তখন তাবেঈগণ এই বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করল, যা ইবনী সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর বক্তব্যে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘(মানুষেরা) হাদীছের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করত না কিন্তু যখন ফিতনার আবির্ভাব হল তখন (তাঁরা) হাদীছ বর্ণনাকারীদের বলত- তোমাদের মধ্যে যারা হাদীছ বর্ণনা করেছে তাঁদের নাম বলো। অতঃপর লক্ষ্য করা হয় যদি তাঁরা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের তথা সুন্নাহপন্থী হত, তাহলে তাঁদের হাদীছ গ্রহণ করা হত আর যদি বিদ‘আতী হয়, তাহলে তাদের হাদীছ গ্রহণ করা হত না’।[৭]
ইলমুল ইসনাদ হলো শরী‘আত জানার নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত মাধ্যম। শরী‘আত জানার সিঁড়ি। সিঁড়ি ছাড়া যেমন কেউ ছাদে আরোহণ করতে পারে না ঠিক সনদ ছাড়াও কেউ শরী‘আতের মাকছাদে বিশস্ত, নির্ভরযোগ্য সূত্রে পৌঁছাতে পারবে না। পক্ষান্তরে সনদকে একজন মুমিনের জন্য অস্ত্রও বলা যেতে পারে। কেননা অস্ত্র বিহীন যোদ্ধা যেমন নিজেকে আত্মরক্ষা করতে পারে না ঠিক সনদ বিহীন যে কোন ব্যক্তি শরী‘আত গ্রহণের নিরাপত্তা, বিশ্বস্ততা থেকে নিজেকে হেফাযত করতে সক্ষম হবে না। যোদ্ধার যেমন অস্ত্র মোকাবেলার সম্বল একজন মুমিনের ইলমুল ইসনাদের জ্ঞান যোদ্ধার অস্ত্র সমতুল্য। সুফিয়ান ছাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, الإسناد سلاح المؤمن إذا لم يكن معه سلاح فبأى شيء يقاتل ‘ইসনাদ তথা ইলমুল রিজাল হলো মুমিনের অস্ত্র, যদি তাঁর অস্ত্র না থাকে তাহলে সে কী দ্বারা লড়াই করবে?’[৮] আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, الإِسْنَادُ مِنَ الدِّيْنِ وَلَوْلَا الإِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَا شَاءَ ‘সনদ দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। যদি সনদ না থাকত তাহলে মানুষ যা ইচ্ছা তাই বলে বেড়াত’।[৯] তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি সনদ ছাড়া দ্বীনের কোন বিষয় জানতে চায় সে যেন ঐ ব্যক্তির মত যে সিঁড়ি ছাড়া ছাদে আরোহণ করে’।[১০]
ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সনদ ছাড়া হাদীছ অনুসন্ধান করে সেই ব্যক্তির উদাহরণ তাঁর মত যে রাতের অন্ধকারে লাকড়ির বোঝা বহন করে অথচ এমতাবস্থায় তার লাকড়ির বোঝায় বিষধর সাপ রয়েছে যা সে জানে না’।[১১] ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল-হানযালী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সনদ ছাড়া হাদীছ বর্ণনা করা রাফেযাীদের কাজ। নিশ্চয় হাদীছের সনদ উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ কারামত’।[১২] প্রখ্যাত পণ্ডিত মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আবূ হাতেম আর-রাজী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আদম (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি অবধি এই উম্মতের মত এমন কোন উম্মত নেই যারা তাঁদের নবী ও তাঁদের পূর্ববর্তীদের ধারা হেফাযত করে’।[১৩] ইয়াযীদ ইবনু যুরাইহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রত্যেক দ্বীনের জন্য অশ্বারোহী (যোদ্ধা) ছিল আর এই দ্বীনের অশ্বারোহী (যোদ্ধা) হলো সনদের অধিকারীগণ (সনদ নিয়ে যারা যাচাই-বাছাই করেন)’।[১৪]
ইলমুল ইসনাদ এতই গুরুত্বের দাবি রাখে যে, এটা ব্যতিরেকে হাদীছের মানদণ্ড তথা হাদীছ ছহীহ-যঈফ নির্ণয় অসম্ভব। আর যদি হাদীছ ছহীহ যঈফ পার্থক্য নির্ধারণ সম্ভব না হয়, তাহলে প্রকারন্তে ঈমান ও আমলের শুদ্ধতা-অশুদ্ধতা ও ইবাদত গ্রহণযোগ্যতার দোলাচলে পড়ার অধিক বেশি সম্ভবনা রয়েছে। আর যেহেতু ফিতনা আবির্ভাবের পর থেকেই ইসলামের শত্রুরা শরী‘আতের দ্বিতীয় উৎস হাদীছ শাস্ত্রের উপর মিথ্যা, সন্দেহের চাদরে আবৃত করার হীন প্রচেষ্টা করেছে। ফলশ্রুতিতে মুহাদ্দিছগণ তাদের এই নোংরা অপচেষ্টাকে রুখতে এবং ইসলামী শরী‘আতের উৎস হাদীছ শাস্ত্রকে পরিষ্কার, পরিস্ফুটিত রাখতে ইলমুল ইসনাদ বা ইলমুল রিজালকে মৌলিক নীতিমালা ও বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছেন এবং সেইসাথে তাঁরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্যকে শক্ত হাতে দমন করেছেন। এজন্য এই শাস্ত্রের উপর যুগে যুগে মুহাদ্দিছগণ গভীর মনোযোগ সহকারে কাজ করেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাচাই-বাছাই করে এই শাস্ত্র সংরক্ষণের উপর জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বলতে পারি- এই শাস্ত্র ব্যতীত হাদীছ শাস্ত্র কিংবা ইসলামী শরী‘আতের উপর আমল করা অপূর্ণতা থেকে যায়। কেননা সনদেই দ্বীন অন্যতম অংশ। তাই বিশুদ্ধ ইসলাম অনুসরণে ইলমুল ইসনাদ ইসলামী শরী‘আতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আল্লাহ আমাদের এই বিষয়ে যথার্থ বুৎপত্তি অর্জন করার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!!
* শিক্ষক, হোসেনপুর দারুল হুদা সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসা খানসামা, দিনাজপুর।
[১]. আল-খুলাছাতু ফী ঊছূলিল হাদীছ, পৃ. ৩০।
[২]. আল-কিফায়া, পৃ. ৯৩।
[৩]. তাহযীবুত তাহযীব, ১১শ খণ্ড, পৃ. ১৮৪।
[৪]. লিসানুল মীযান, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৬৯।
[৫]. লিসানুল মীযান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৯।
[৬]. মুকাদ্দামা ছহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৪।
[৭]. মুকাদ্দামা ছহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৪।
[৮]. মুকাদ্দামাতু আল-মাজরূহীন, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৭।
[৯]. মুকাদ্দামা ছহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৪।
[১০]. তাদরীবুর রাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬০।
[১১]. ফাৎহুল মুগীছ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪।
[১২]. ফাৎহুল মুগীছ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩৯৩।
[১৩]. শারহুল মাওয়াহেব, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩৯৪।
[১৪]. তাবাকাতুশ শাফিঈয়াহ আল-কুবরা, ১ম সংখ্যা, পৃ. ১৬৭।
প্রসঙ্গসমূহ »:
শিশু-কিশোর