শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার
- শায়খ ড. ছালেহ ইবনু ফাওযান আল-ফাওযান*
- অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ**
[সঊদী আরবের জেদ্দায় অবস্থিত ‘জামে‘ খাদেমুল হারামাইন আশ-শারীফাইন’-এ হিজরী ২০/৮/১৪৩০ তারিখে শায়খ ড. ছালেহ ইবনু ফাওযান আল-ফাওযান দ্বীনের ইলম অর্জনকারীদের উদ্দেশ্যে ‘শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার’ (من آداب طالب العلم) শিরোনামে একটি অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য পেশ করেন। সম্মানিত শায়খের অনুমতি নিয়ে শায়খ ফাহাদ ইবনু ইবরাহীম উক্ত বক্তব্য প্রকাশ করেন বই আকারে। মাসিক আল-ইখলাছ-এর পাঠকদের সৌজন্যে সেই বইয়ের অনুবাদ করেছে দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স-এর ছানাবিয়া ১ম বর্ষের ছাত্র জাহিদ বিন মাসঊদ]
الحمد لله رب العالمين خلق الانسان علمه البيان علم بالقلم علم الانسان مالم يعلم ارسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله وكفى بالله شهيدا. اما بعد
যাবতীয় প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করে ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে কলমের মাধ্যমে শিখিয়েছেন। মানুষকে এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানত না। তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রেরণ করেছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে, যেন তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। অতঃপর..... কর্ম সম্পাদনের পূর্বে একজন ব্যক্তির প্রথম কর্তব্য জ্ঞান অন্বেষণ করা। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فاعلم انه لا اله الا الله واستغفر لذنبك وللمؤمنين والمؤمنات
‘আপনি জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই। আর ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আপনার ত্রুটির জন্য এবং মুমিন নর-নারীর জন্য’ (সূরা মুহাম্মাদ ১৯)। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর গ্রন্থে এ মর্মে অধ্যায় রচনা করে বলেন ‘কথা এবং কাজের পূর্বে জ্ঞান অন্বেষণ করা’। অতঃপর উক্ত আয়াত পেশ করেছেন। মহান আল্লাহ কথা ও কাজের প্রারম্ভে জ্ঞান অন্বেষণ করার কথা বলেছেন। কারণ জ্ঞানই মূল যার উপর কথা ও কর্ম প্রতিষ্ঠিত। কাজেই জ্ঞান অন্বেষণ ছাড়া কেবল কর্মসম্পাদন যেমন ভ্রষ্টতা, তেমনি কর্মসম্পাদন ব্যতীত শুধু জ্ঞানই অন্বেষণ করা ভ্রান্তিকর আর ক্রোধভাজন। পথভ্রষ্ট ঐ আলেম যে তার জ্ঞানমাফিক কর্ম সম্পাদন করে না। মহান আল্লাহ সূরা ফাতিহার শেষে তাঁর বান্দাকে শিক্ষা দিয়ে বলেন, ‘আপনি আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, তাদের পথ যাদের উপর আপনি সন্তুষ্ট, তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট আর অভিশপ্ত’। সুতরাং তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট যারা উপকারী জ্ঞান অর্জন করে সৎকর্ম সম্পাদনে সক্ষম হয়েছে। আর রোষানলে পতিত তারাই, যারা কর্মকে পরিত্যাগ করে কেবল জ্ঞান অর্জন করেছে। আর পথভ্রষ্ট তারাই, যারা জ্ঞানার্জনকে বাদ দিয়ে কেবল কর্ম সম্পাদনে ব্যতিব্যস্ত হয়েছে। যখনই তুমি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে তখন প্রতি রাক‘আতে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করবে, যেন তিনি তোমাকে নবীগণ, সত্যবাদী, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের পথে পরিচালিত করেন এবং যেন তিনি দূরে রাখেন রোষানলে পতিত সেসব আলেমদের থেকে, যারা তাদের জ্ঞানানুযায়ী কর্ম সম্পাদন করে না এবং ঐ সমস্ত পথভ্রষ্ট আলেমদের থেকে, যারা জ্ঞান অর্জন করা ছাড়াই কেবল কর্ম সম্পাদন করে। আর এই কারণেই মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন, ارسل رسوله بالهدى ودين الحق ‘তিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেন’ (সূরা ছফফ ৯)।
কাজেই হেদায়াত হল উপকারী জ্ঞান আর সত্য দ্বীন হল সৎকর্ম। আর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপকারী জ্ঞান ও সৎকর্ম উভয়টি নিয়েই প্রেরিত হয়েছেন। কাজেই এই দু’টি পরস্পর যুক্ত, আলাদা বা একটি অপরটির থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এই জন্য মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জ্ঞানান্বেষণ ও দিন বুঝার প্রতি উৎসাহিত বা উদ্বুদ্ধ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ مَا کَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِیَنۡفِرُوۡا کَآفَّۃً فَلَوۡ لَا نَفَرَ مِنۡ کُلِّ فِرۡقَۃٍ مِّنۡہُمۡ طَآئِفَۃٌ لِّیَتَفَقَّہُوۡا فِی الدِّیۡنِ وَ لِیُنۡذِرُوۡا قَوۡمَہُمۡ اِذَا رَجَعُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ لَعَلَّہُمۡ یَحۡذَرُوۡنَ
‘আর মুমিনদের জন্য এটাও সমীচীন নয় যে, তারা সকলে একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে তাদের প্রত্যেকটি বড় দল হতে এক একটি ছোট দল বেরিয়ে পড়বে, যাতে তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে ভীতি প্রদর্শন করতে পারে। যখন তারা তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, তখন যেন তারা সতর্ক করতে পারে’ (সূরা তওবা ১২২)।
(فلولا نفر)? কোন সম্প্রদায় বের হয় না কেন। এটা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাদের প্রতি উৎসাহ ব্যঞ্জক বক্তব্য, যাতে একটি সম্প্রদায় জ্ঞান অন্বেষণের জন্য বেরিয়ে পড়ে এবং আল্লাহর দ্বীন বুঝতে পারে। তারা সর্বত্র জ্ঞান অর্জন করবে। ইলমের জন্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে ভ্রমণ করবে যেখানেই জ্ঞানের সন্ধান পাবে । তারা আল্লাহর দ্বীন উপলব্ধি করবে। আর তারা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুসংবাদ লাভ ধন্য হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين ‘আল্লাহ যার মঙ্গল কামনা করেন তাকেই দ্বীনের বুঝ দান করেন’।[১]
কাজেই আল্লাহ তাআলা এই শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই তাদেরকে অনুগ্রহ করেছেন যে, তারা জ্ঞান অন্বেষণের জন্য স্ব-স্থান হতে বিজ্ঞজনদের নিকট ভ্রমণ করবে এবং আল্লাহর দ্বীন উপলব্ধি করবে। অধিকন্তু আল্লাহর দ্বীন বুঝার পর তারা তাদের শহর এবং সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে এসে তারাই তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করবে এবং অর্জিত জ্ঞান তাদেরকে শিক্ষা দিবে এবং দূরদর্শিতার সাথে তারা আল্লাহর পথে আহ্বান করবে, তাদের ইলম অনুযায়ী আমল করবে এবং আল্লাহ্ পথে দাওয়াত দিবে। আর এটাই নাজাত ও কল্যাণের পথ।
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا الى الجنه ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হয়, আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন’।[২] অন্য হাদীছে এসেছে, وان الملائكه لتضع اجنحتها رضا لطالب العلم ‘আর ফেরেশতাগণ ইলম অনুসন্ধানকারীদের জন্য তাদের পথে তাদের পাখা বিছিয়ে দেন’।[৩]
তাই যে জ্ঞান অন্বেষণের জন্য প্রচেষ্টা করে এবং সেই পথে চলে মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। এটাই দুনিয়া ও আখেরাতে গৌরব ও সম্মানের জন্য যথেষ্ট। বরং রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ان العلماء ورثه الانبياء ان الانبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما انما ورثوا العلم فمن اخذ به فقد اخذ بحظ وافر ‘নিশ্চয়ই আলেমগণ হচ্ছে নবীগণের উত্তরাধিকারী। আর নবীগণ দিনার বা দিরহাম উত্তরাধিকারী হিসাবে রেখে যাননি, তারা উত্তরাধিকারী হিসাবে শুধু ইলমই রেখে গেছেন’।[৪]
তাই যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করেছে সে পূর্ণ অংশগ্রহণ করেছে। অন্বেষণ বা পরিশ্রম ছাড়া জ্ঞান আপনাআপনি অর্জিত হয় না। আবশ্যক হল জ্ঞান অন্বেষণে পরিশ্রম করা। তাই মানুষ সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে না অথবা তার কাছে ইলহামও করা হয় না অথবা স্বয়ংক্রিয়ভাবেও অর্জিত হয় না। যেমন ছূফীরা বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান অর্জনের জন্য চেষ্টা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় এবং তা শিক্ষার জন্য ধৈর্য্য-এর প্রয়োজন হয়। অনুরূপ জ্ঞান কেবল বই থেকে অর্জিত হয় না এবং ঐ সকল ছাত্র যারা আল্লাহর দ্বীন বোঝে না তাদের থেকেও অর্জন করা যায় না। কারণ তাদের উদ্দেশই হল বই পড়া ও মূল পাঠের কিছু অংশ মুখস্থ করা অথচ যথার্থভাবে অর্থ বুঝা বা বিজ্ঞজনদের থেকে জ্ঞান অর্জন করা উদ্দেশ্য নয়। আর এটি বাতিল পদ্ধতি। কেননা জ্ঞান কেবল বিজ্ঞজনদের থেকে অর্জন করতে হয়। আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যুগের পর যুগ বিজ্ঞ আলেমদের থেকেই জ্ঞান অর্জন করা হয়। শিক্ষার মূল নীতি হলো, ইলম এমন ধার্মিক ও বিদগ্ধ আলেমদের থেকে গ্রহণ করা যারা তাদের শিক্ষকদের থেকে গ্রহণ করেছেন এবং তারা এই জ্ঞানকে ছাত্রদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন। আর এভাবে পরস্পর জ্ঞানকে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করতেই থাকবে। আর এটাই শিক্ষার মূলনীতি। একজন ছাত্র জ্ঞান অর্জনের নিমিত্তে আলেমদের নিকট গমন করবে তারা যে প্রান্তেই থাকুন না কেন। আর এটাই সেই পথ, যে এই পথে চলবে মহান আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করবেন।
শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হল যে, শীর্ষ ও সর্বোচ্চ স্তর থেকে জ্ঞান অর্জন শুরু না করা। বস্তুত তার মূল থেকে জ্ঞান অর্জন শুরু করা। সে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটি বিষয় মুখস্থ ও বিজ্ঞ আলেমদের কাছে তা যথাযথভাবে উপলব্ধি করার মাধ্যমে ইলম অর্জন করবে। সে পড়ালেখা দীর্ঘ আলোচনা সম্পন্ন গ্রন্থ থেকে আরম্ভ করবে না। অনুরূপ সে বিরোধপূর্ণ মন্তব্য রয়েছে এমন গ্রন্থ এবং মতভেদ ভর্তি এমন গ্রন্থ থেকেও জ্ঞান অর্জন শুরু করবে না। বস্তুত সে একটু একটু করে জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হবে। কেননা জ্ঞান এমন জিনিস যা একবারে সব অর্জন করা সম্ভব নয়। জ্ঞানার্জনের আরেকটি মূলনীতি হল যে, একজন শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে ক্ষান্ত না থাকা। যেমন কারো শুধু ফিক্বহ, হাদীছ কিংবা তাফসীরের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকা। প্রকৃতপক্ষে সে উপকারী সংক্ষিপ্ত সকল জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট থাকবে। কেননা সকল জ্ঞানই একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বা সম্বন্ধযুক্ত।
কাজেই একজন শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য হলো, কুরআন মুখস্থ করা। অথবা মুখস্থ করা ছাড়াও সর্বপ্রথম তার তেলাওয়াতকে সুন্দর করা। কেননা আল্লাহর কিতাবই (কুরআন) হলো মূল। তারপর আয়াতগুলোকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করার জন্য কুরআনের সহজ একটি তাফসীর পড়া। তবে সেটা সে নিজে নিজে পড়বে না, বরং কোনো যোগ্য আলেম বা তাফসীর বিশারদদের কাছেই পড়বে। এই এভাবেই সে কোন সুপরিচিত মুফাসসিরের কাছে তাফসীরের জ্ঞান অর্জন করবে। অধিকন্তু তার হাদীছ মুখস্থ করা ও বিজ্ঞ কোন মুহাদ্দিছের কাছে যথাযথভাবে তা অনুধাবন করা। অতঃপর তার উচিত হল ফিক্বহ তথা কুরআন-সুন্নাহ থেকে গবেষণালব্ধ শারঈ বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন করা। এছাড়াও তার আরবি ব্যাকরণের বইগুলো পড়া। কেননা কুরআন আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। কাজেই কুরআন-সুন্নাহর অর্থগুলো যথার্থভাবে অনুধাবনের জন্য আরবী ব্যাকরণ অধ্যয়ন করা অতি আবশ্যক। অনুরূপ তার ভাষাগত দিক থেকে বাক্যের নীতিমালাগুলোও আয়ত্ত করা, যাতে সে ভাষাগত ভুলভ্রান্তি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। কেননা ইলমে নাহু বা ব্যাকরণগত জ্ঞান মূলপাঠকে বুঝতে সাহায্য করে। তদ্রুপ প্রতিটি বিদ্যার কিছু নিজস্ব নিয়ম বা নীতিমালা রয়েছে। যেমন হাদীছের ক্ষেত্রে মুছত্বালাহুল হাদীছ বা হাদীছের পরিভাষা। তাই জাল, যঈফ ও হাসান হাদীছ থেকে ছহীহ হাদীছকে পার্থক্য করার নীতিমালাগুলো আয়ত্ত করা আবশ্যক। সুতরাং সংক্ষিপ্তভাবে হলেও তার মুছত্বালাহুল হাদীছ বা হাদীছের পরিভাষাগুলো যথার্থভাবে শিখে নেয়া।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
* সদস্য, সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ এবং স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড, সঊদী আরব।
** অধ্যয়নরত : ছানাবিয়াহ ১ম বর্ষ, দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স, বাউসা হেদাতীপাড়া, বাঘা, রাজশাহী।
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১।
[২]. ছহীহ মুসলিম হা/২৬৯৯।
[৩]. তিরমিযী, হা/২৬৮২; আবুদাঊদ, হা/৩৬৪১, সনদ ছহীহ।।
[৪]. আবুদাঊদ, হা/৩৬৪১, সনদ ছহীহ।