বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
কোথায় আজ বিশ্ব মানবতা?
-সাখাওয়াত হুসাইন*

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এমন হাজারো বাণী প্রচার করা হয় বিশ্বব্যাপী। শোনানো হয় মানবতার মহান সব দৃষ্টান্তের ইতিহাস। বলা হয়ে থাকে মানবতা ছাড়া বিশ্ব অচল। কিন্তু আজ! আজ সেই মানবতার যেন বড্ড অভাব। যে অভাবে জর্জরিত বিশ্ববাসী। সারাবিশ্বে যখন মুসলিমদের উপর একের পর এক যুলম-অত্যাচারের রোলার চলছে, মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আঁকা হচ্ছে নীল নকশা, তাদেরকে বানানো হচ্ছে করুণার পাত্র; তখন সারা বিশ্ব যেন নিস্তব্ধ। আজ ফিলিস্তীনে গুলি চললে যেমন তাদের টনক নড়ে না, কাশ্মীরের মা-বোনদের আহাজারি যেমন তাদের কর্ণকুহরে পৌঁছে না, স্বাধীনতাকামী বসনিয়বাসী মুসলিমদের বহমান রক্তস্রোতে যেমন তারা উল্টো নৌকা বইছে, ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানে হামলা হলে যেমন সেটা তাদের কাছে স্বাভাবিক বিষয় মনে হয়; তেমনই মায়ানমারের লাখো মুসলিমের চোখের পানিও যেন আজ তাদের কাছে মূল্যহীন। আজ মায়ানমারের মাটি যখন হাজারো মুসলিম ভাই-বোনের রক্তে সিক্ত, তখনো যেন বিশ্ব মানবতা চেতনাহীন জড়বন্তুর অভিনয়েই ব্যস্ত। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নেত্রীর হাতে যখন অহসায় মানুষগুলো নির্যাতিত, তখনো তার প্রতিবাদ না করার পক্ষেই যেন সংখ্যালঘু। এই কি মানবতা! না, তবে এর কারণ কী? কারণ একটাই- ইসলাম।

আজ বিশ্ব মানবতার মিথ্যা হাহাকারের আশায় বেঁচে নেই এই ১০ লক্ষ মুসলিম রোহিঙ্গা। তারা এখনো একমাত্র মহান আল্লাহ্র করুণায় নিঃশ্বাস নিচ্ছে। অত্যাচারের নির্মম পাশবিকতায় তাদের ঈমান বিন্দুমাত্র টলেনি। মাথা নত করেনি তারা মানুষ নামের সেইসব ঘৃণ্য প্রাণীর কাছে। ভরসা রেখেছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপরেই; করুণা ভিক্ষা চায়নি এই বিকলাঙ্গ মানবতার কাছে। এই বিশ্ব মানবতা তখনো ছিল, যখন ফিলিস্তীনের মুসলিমদের উপর বর্বরতার এক নির্মম দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছিল। যখন ইউরোপীয় ইহুদী-খ্রিষ্টানদের নযর পড়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদের পবিত্র ভূমির উপর। অটোম্যান সা¤্রাজ্যের অধিনে থাকা সত্ত্বেও রেহাই পাইনি এই মুসলিম অধ্যুষিত দেশটি। সুপরিকল্পিত চক্রান্ত নিয়েই ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণা দিয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ইহুদীদের জন্য একটি জাতীয় বাসস্থান স্থাপন করা। এরপর অতিক্রান্ত হয়েছে প্রায় একটি শতাব্দী। এই দীর্ঘ সময়ের মাঝে ফিলিস্তীন নামটা যেমন রূপান্তরিত হয়েছে ইসরাঈল নামে, তেমনই তার অধিবাসীরাও বাস্তুচ্যুত হয়েছে নিজ আবাসভূমি থেকে। সমস্যা সমাধানের জন্য একবার নয়; বহুবার যুদ্ধ ঘটেছে। ১৯২০, ’২১, ’২৮, ’২৯ ও ’৩৬ সালে আরবদের সঙ্গে ইহুদীদের ভয়ংকর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু তার ফলাফল শূণ্যতেই দাঁড়িয়েছে।

১৯৩৩ সালে এ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় এলে সেখানকার ইহুদীরা ফিলিস্তীনে চলে আসে। ফিলিস্তীনে তাদের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। ব্রিটিশ শাসন ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে ১৯৩৬-১৯৩৯ সালে সংঘটিত হয় আরব বিদ্রোহ। যে বিদ্রোহ দমন করা হয়, নিহত হয় পাঁচ হাজার আরব। মিত্রদের আশকারায় ধীরে ধীরে ইহুদীরা আরো বেশি অত্যাচার শুরু করে। আরব ইসরাইলের মধ্যে ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে সংগটিত হয় আরো তিনটি বড় যুদ্ধ। কিন্তু এরপরেও ফিলিস্তীনিদের ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই জোটেনি।[১]

এই মানবতা তখনো ছিল, যখন কাশ্মীর সমস্যা শুরু হয়েছিল। যার মূল নেপথ্যেও ছিল বৃটিশ সরকারের ভূমিকা। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশকে স্বাধীনতা দিয়ে বিদায় নেয়ার সময় আদি হতে মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য এই কাশ্মীরকে চাইলেই বৃটিশ সরকার আলাদা স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করে যেতে পারত। কিন্তু তা না করে তারা সংকটের ঘূর্ণাবর্তে ফেলে যায় এই রাজ্যকে। ফলে শুরু হয় লোলুপদের অত্যাচার। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে অনেক দেশ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কেউ কখনো চাইনি এই রাজ্য মুসলিম রাজ্য হিসাবে স্বাধীনতা লাভ করুক। সবাই শুধু নিজের স্বার্থ নিয়েই তৃপ্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই রাজ্যকে ঘিরে তিনটি দেশ লিপ্ত হয়েছে অনাচারের ঘৃণ্য খেলায়। ভারত, পাকিস্তান আর চীন প্রত্যেকে চেয়েছে যে কোন মূল্যে কাশ্মীরকে দখল করতে। কাশ্মীরের ৪৩ শতাংশ ভারত, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তান আর বাকি ২০ শতাংশ দখল করে রেখেছে চীন। ১৯৭৪, ১৯৬২, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে এই তিনটি দেশের মাঝে সংগঠিত হয়েছে ভয়াবহ যুদ্ধ। যুদ্ধে যে যার মত শক্তি প্রয়োগ করে নিজ এলাকা বৃদ্ধির চিন্তাই শুধু করেছে। অথচ এই রাজ্যের জনগণের কথা কেউ কখনো ভাবেনি। ভাবেনি যুদ্ধে নিহত মুসলিমদের কথা। বরং স্বাধীনতাকামী এই মুসলিমদের মুক্তির সংগ্রামকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করছে ভারত। যার ফলে এখন এই স্বাধীনতা সংগ্রাম ধীরে ধীরে চাপা পড়ে যাচ্ছে।

এই স্বাধীনতা সংগ্রাম আজকের নয়, পার হয়েছে অর্ধ শতাব্দী। এখন পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি এই স্বার্থান্বেষী সমস্যার। এ সমস্যা কি এখনো বিশ্ব মানবতার শিরায় অনুভূত হয়নি? কখনো কি মনে হয়নি এই সমস্যায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিরা নির্দোষ, তাদের স্বাধীনতার দাবী পূর্ণ যৌক্তিক? না-কি দেখেও না দেখার ভান? বিশ্ব মানবতা নামের বোবা এই কলঙ্ক কি চাইলেই পারত না এ সমস্যা সমাধান করতে? এই সমস্যা কি এতটাই জটিল, না-কি মূল সমস্যা মুসলিম বলে? ১৯৪৮ সালে প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধের পর ভারত বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৪৮ সালের ২১ এপ্রিল কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৪৭ নং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং উভয় পক্ষকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানায়। পুরো সঙ্কটের পর্যালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভারত বা পাকিস্তান নয়- ‘কাশ্মীরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কাশ্মীরের জনগণের’ বলে মত দেয় এবং গণভোটের মাধ্যমে সে মতামতের ভিত্তিতে সঙ্কট নিরসনের সিদ্ধান্ত জানায়। ভারত ও পাকিস্তান এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয় এবং ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে অস্ত্রবিরতি দেয়। কিন্ত জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণভোট গ্রহণ এবং সেই মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ আজ অবধি সম্ভব হয়নি। যার অন্যতম অন্তরায় ছিল ভারতের অনীহা। পরবর্তীতে জাতিসংঘ গণভোটের মূল সিদ্ধান্তের আলোকে আরো কিছু উপসিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু সেগুলো ‘কাগুজে বাঘ’ এর মত তর্জন গর্জন ছাড়া সমস্যার সমাধানে কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি।[২]

আজও কাশ্মীরে ঝরে চলেছে মুসলিমদের রক্তের অঝোর ধারা। কান্নার রোল বেজে চলেছে প্রতিটি প্রান্তরে। অপূর্ব রাজ্য আজ পরিণত হয়েছে জ্বলন্ত, অগ্নিগর্ভ-স্বাধীনতার রণক্ষেত্র; কিন্তু বিশ্ব মানবতার টনক আজও নড়েনি।
এই মানবতা তখনো ছিল যখন বসনিয়ার মুসলিমদের উপর গণহত্যা আর নির্যাতনের এক নির্মম ¯্রােত বইতে শুরু করেছিল। যার ধারা এখনো বহমান। এই নির্মমতার উদ্দেশ্য শুধু লাখ খানেক মুসলিমকে নির্মূল করাই ছিল না বরং তা ছিল গোটা মুসলিম জাতিকে ধ্বংসের ঘৃণ্য চক্রান্তের একাংশ। ভূতপূর্ব যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্রে বাস করত কয়েকটি জাতি। এদের মধ্যে সার্ব (গোঁড়া খ্রিষ্টান) ৩৬.৫%, ক্রোট (রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান) ১৯.৭%, মুসলিম ৮.৯% এবং বাকীরা অন্যান্য জাতি। জনসংখ্যার দিক দিয়ে এই এলাকায় সার্ব ও ক্রোটরাই বেশি। এই দুই জাতির প্রধান আবাসস্থল সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে বসনিয়া। যেখানকার মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম ৪৩%, বসনীয় সার্ব ৩৩% এবং বসনীয় ক্রোট ১৭%। বসনিয়াতে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি হলেও সমগ্র পূর্ব যুগোস্লাভ এলাকার সার্ব ও ক্রোটদের তুলনায় অনেক কম। ফলে ইউরোপের বুকে মুসলিম নামক একটি জনগোষ্ঠীকে তারা মেনে নিতে পারেনি।

ষাট ও সত্তর দশকের দিকে বসনিয়ার মুসলিমরা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করেছিল। এ সময় তাদের মধ্যে ইসলামী পুণর্জাগরণও ঘটেছিল। মার্শাল টিটোর জোটনিরপেক্ষ নীতির সুবাদে বসনিয়ার মুসলিমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পায়। ফলে তাদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা বেড়ে যায়। ১৯৭৭ সালে সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু হয়। ১৯৮০ সালে মারা যান টিটো। কিন্তু সার্বরা বসনিয়ার ও কোসোভোর মুসলিমদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী বা ইসলামী মনোভাবের বিস্তার কোনোটাকেই সহ্য করতে পারছিল না। এটাই বসনীয়বাসী মুসলিমদের দুর্ভাগ্যের একমাত্র কারণ ছিল।

এই হিংসুক মনোভাবের কারণেই শুরু হয় সার্বদের অত্যাচার। যার অগ্নিকুণ্ডে আজও জ্বলছে বসনিয়ার মুসলিমরা। ১৯১২-১৩ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে ১৩০০০ মুসলিমকে জোরপূর্বক খ্রিস্টান হতে বাধ্য করা হয়। যারা পরবর্তীতে আবার ইসলামে ফিরে আসে। ১৯১৪ সালে বসনিয়ার এক গ্রামে জঘন্যতম হত্যাকা- সংঘটিত হলে এক রাত্রেই ৬০০ শিশু ও মহিলা হত্যা করা হয়। ১৯৪৪-৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা যা করে তা ছিল বসনিয়ার ২৫০ বছরের সবচেয়ে জঘন্য পরিকল্পিত ঘটনা। তারা ১ লাখ ২০ হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। তারা এতেই ক্ষান্ত হয়নি, মুসলিম নারীদের পর্দাকে ব্যঙ্গ করে তারা বহু মুসলিম নারীর মুখের চামড়া উঠিয়ে নেয়। নারী ও শিশুদের হত্যা করে তারা মুসলিমদের এটা বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তোমাদের পালাবার কোন পথ নেই। এ তো গেল প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা। অত্যাচারীদের হিংসার রেষ যেন তখনো কাটেনি। ৯০ এর দশকের পরের ঘটনাগুলোও কম পীড়াদায়ক নয়। সেব্রেনিসার অতীত ইতিহাস বড়ই করুণ ও মর্মন্তুদ। যদিও সেব্রেনিসার গণহত্যা ছিল বসনিয়ার গণহত্যাগুলোর একটি অংশ মাত্র। জাতিসংঘ যে গণহত্যাকে ‘বংশ নিধনযোজ্ঞ বা জাতিগত শুদ্ধি’ অভিযান হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ার যুদ্ধে প্রায় দুই লাখ বসনিয় মুসলিম নিহত ও প্রায় বিশ লাখ শরণার্থী হয়েছে। যার মূল হোতা ছিল উগ্র সার্ব জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্মদাতা স্লোবোদন মেলোসেভিচ। হত্যাকা-ের সাথে সাথে মুসলিমদের সাথে ঘটে ছিল নারকীয় বিশ্বাসঘাতকতা।

১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ বসনিয়বাসী মুসলিমদের জন্য পাঁচটি শহরকে নিরাপদ হিসাবে ঘোষণা করে। যেই শহরগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল হল্যাল্ডের সেনারা। সার্বদের অত্যাচার আর হত্যাকা-ে অতিষ্ট বসনিয়ার লাখো মুসলিম নিরাপত্তার তাকীদে সেইসব শহরে গিয়ে আশ্রয় নিতে থাকে। এমতাবস্থায় উগ্র জঙ্গিরা হল্যান্ডীয় ১৪ জন সেনাকে আটক করে। তাদেরকে মুক্তির বিনিময়ে মুসলিম আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য শর্ত করে দেয়। হল্যান্ডবাসীরা চাইলে জাতিসংঘ বা ন্যাটোর সাহায্য চাইতে পারত কিন্তু তারা তা না করে জঙ্গীদের শর্তে রাজি হয়ে যায়। এই জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতায় জড়িতরা বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত হয়নি বরং তাদেরকে করা হয়েছে পুরস্কৃত। পরবর্তীতে এই জঘন্য বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে আরো সব অভিনয়।
এই সমস্ত ঘটনার পরেও বসনিয়া সমস্যা যেন বিশ্ববাসীর নযর এড়িয়ে গেছে। যার সমাধানে হাত বাড়ানোর নামে চলেছে সব মিথ্যা নাটক। কিন্তু আজ পর্যন্ত বসনিয়ার মুসলিমরা সৌভাগ্যের মুখ দেখেনি।

সুধী পাঠক! গুটি কয়েক ঘটনার উল্লেখ করেছি মাত্র। যা বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের উপর চলা অত্যাচারের কিছু ছিটেফোঁটা। আমেরিকা এবং ইউরোপের খ্রিষ্টান, ইসরাইলের ইহুদী, ভারতের হিন্দু, থাইল্যান্ড-মায়ানমারের বৌদ্ধ, রাশিয়ার নাস্তিক সকলেই সমানভাবে মুসলিম নির্যাতনে আজ সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তীন, কাশ্মীর, বসনিয়া, চেচনিয়া, মিশর, সিরিয়া, চীন, সুদান, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, আজারবাইজান, পাকিস্তান, লেবানন এবং আরো বহু দেশে প্রতিদিন মুসলিমদের রক্ত ঝরছে। বাস্তুহারা হচ্ছে নিজ আবাসভূমি থেকে। স্বজনহারা হচ্ছে হাজারো অসহায়। কিন্তু এতেও যেন বিশ্ব মানবতার অস্তিত্বে কোন ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে না। সাহায্যের হাত তো দূরে থাক মুসলিমদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টাও কেউ করছে না। কারণ একটাই; তারা মুসলিম।

তথ্যসূত্র :
[১]. প্রবন্ধ : ‘ফিলিস্তীনের রক্তঝরা ইতিহাস’, দৈনিক প্রথম আলো, অনলাইন সংস্করণ, ২৩/০৭/১৪।
[২]. প্রবন্ধ : ‘কাশ্মির সমস্যা ও সমাধান’, দৈনিক সংগ্রাম, ২৯/০৫/১৭ ।




শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৫ম কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
এ্যাপস যামানা - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
যেমন ছিল সালাফদের রামাযান - মাযহারুল ইসলাম
কোথায় আজ বিশ্ব মানবতা? - সাখাওয়াত হোসাইন
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
হে যুবক! আদর্শিক চেতনায় জাগ্রত হও - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
অপসংস্কৃতির কবলে মুসলিম সমাজ - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
মসজিদে করণীয় ও বর্জনীয় কাজসমূহ - মুহাম্মাদ ফাহিমুল ইসলাম
মসজিদে করণীয় ও বর্জনীয় কাজসমূহ (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ ফাহিমুল ইসলাম

ফেসবুক পেজ