এ্যাপস যামানা
-আব্দুল্লাহ আল-মামুন*
‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’। অন্তর থেকে জগতে আসতে না আসতেই তার জয়জয়কার শুরু। বছরটা পার না হতেই সেই শিশুর হাতে উঠছে স্মার্ট ফোন নামক আধুনিক যন্ত্র। ঠিক কয়েক মাস পেরিয়ে পরিচিত হচ্ছে সেই স্মার্ট ফোনে সংযুক্ত এ্যাপসগুলোর সাথে। হরহামেশাই এ্যাপসগুলোর ব্যবহারে লিপ্ত হচ্ছে সেই শিশু। প্রতিটি অ্যাপসের সাথে মাত্রাতিরিক্ত সময়জুড়ে যুক্ত থাকছে আমার আপনার শিশু। আরেকটু বড় হলে তো কথাই নেয়। স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদির সামনে বসেই খাওয়া-দাওয়ার পর্বটাও সেরে নেই। পণ্ডিত মশাইয়ের যেন সময়ের বড়ই অভাব। আমরা বাবা-মায়েরা ভাবছি সন্তান আমার মস্ত বড় হয়েছে। ডিভাইস সম্পর্কে অনেক জান্তা। কিন্তু বাবা-মা সন্তানদের কার্যক্রম সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজান্তা। ফলে আধুনিক আর উন্নততর মায়েরা ভাতের চামচ নিয়ে শিশুর পিছন পিছন দৌড়াচ্ছে আর বলছে বাবা খেয়ে নাও, খেয়ে নাও। খেয়েই আবার ডিভাইসের সামনে যাও। আরেকটু উন্নততর মা তো বলছে, তুমি ফোনের সামনে থাকো আমি তোমায় খাইয়ে দেয়। এই হল আমাদের বর্তমান উন্নত সমাজের এ্যাপস যামানার আধুনিক মানসিকতা।
প্রচলিত একটি কথা কানাকানি হয়ে থাকে। তাহল ‘জাহেলি যুগ’। যাকে অনেকেই বলে ‘জাহেলি যামানা’। আমাদের জেনারেশন থেকে কয়েকটি জেনারেশন পূর্বের লোকদের বলে থাকি আগের যামানার লোক। আর বর্তমানে বসবাস করছি আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক যামানায়। অত্যাধুনিকতাকে ছাড়িয়ে বর্তমানে আমরা ‘এ্যাপস যামানায়’ দণ্ডায়মান। প্রতিটি জিনিসের ভাল-মন্দ দু’টি দিক থাকে। আধুনিক এই ডিভাইসের মাধ্যমে ভাল কিছু গ্রহণ করতে পারেন আবার চাইলে খারাপটিও গ্রহণ করতে পারেন। আর ইন্টারনেট প্রযুক্তির বদৌলতে আজ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সিংহভাগ সময় আচ্ছন্ন রয়ে যায় ডিভাইসগুলোর পর্দায়। সংবাদ, তথ্য, যোগাযোগ, কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বিনোদন ইত্যাদি অনেক কিছুর জন্য মানুষ এখন ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। এমন কিছু নেই যা এ্যাপসে ক্লিক করে আমরা পায় না। হাতের মুঠোফোনটা অপেন করলেই বাহারি এ্যাপসের ছড়াছড়ি। এ্যাপসের ছড়াছড়ি না থাকলেও মুঠোফোনের ম্যাসেজগুলোতে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় নানা রকম এ্যাপসের প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপন। বর্তমান তরুণদের ফোনের স্টোরেজে অধিকাংশ স্পেস খেয়ে আছে অ্যাপসেই। বন্ধুরা মিলে থিয়েটার, জালসায় না গিয়ে এক ক্লিকেই পাচ্ছেন মনের কাক্সিক্ষত চাওয়া। ফলে বর্তমান অতি অত্যাধুনিক যামানাকে আমরা ‘এ্যাপস যামানা’ বলতেই পারি।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে অতি পরিচিত, আর জমকালো অসংখ্য এ্যাপসের ভিড়ে সবার প্রথমে অবশ্যই স্থান করে নিয়েছে ফেইসবুক। রাতের আধারে ঘুম ঘুম চোখে এই এ্যাপসের মাধ্যমে গভীর থেকে গভীরে যেতে তরুণ সমাজ কারো পরোয়া করে না। ফলে ক্রমেই ফেইসবুক তরুণ সমাজের বৃহৎ একটি অংশকে ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ভাবছেন কেন বললাম ইন্টারনেট আসক্তি? আসলে ফেইসবুক ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখন পর্যন্ত নানা সংস্কারের মধ্য দিয়ে দম্ভভরে বর্তমান সমাজে বিচরণ করছে। সংস্করণের বড় একটি সংস্কার হল Off Line-এ এটির ব্যবহার। অর্থাৎ On Line-এ থেকেও Off Line. কোন MB বা অর্থ খরচ লাগে না। এখানেই নানা প্রকার কমেন্ট, ম্যাসেজ আর শেয়ারের প্রলোভনে তরুণরা যাচ্ছে আরেকটি এ্যাপসে। এভাবেই ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ একটির পর আরেকটির মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছে।
বর্তমানে অনেকেই বলছেন যে, মাদকের পরিবর্তিত সংস্করণ হচ্ছে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বা ইন্টারনেটে অকারণে অতিমাত্রায় আসক্তি। মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যারা শেয়ার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুদের সমবেদনা দিয়ে থাকেন এ ব্যাপারে উভয়ই অতিমাত্রায় ফেইসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসক্ত। মাদক ছাড়া যেমন একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ থাকতে পারে না, ঠিক তেমনি এই এ্যাপসগুলো ছাড়া বর্তমান তরুণরা থাকতে পারে না। নেট সমস্যা বা কিছু সময়ের জন্য এসব এ্যাপস যদি অচল থাকে, তাহলে হতাশা আর রি-অ্যাকশন দিয়ে অন্যকে জানিয়ে দেয় আমি বিরক্ত ছিলাম এই অল্প সময়টুকু। কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, কমেন্ট আর মনোভাবগুলো দিয়েই ফেইসবুকের ওয়ালটি সেজে উঠে। দেখা যায় খেলাধুলা, প্রেম-লীলা বা অন্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কমেন্ট বক্সে যথারীতি শুরু হয়ে যায় অশ্লীল তর্ক-বিতর্ক। যেখানে নিজের কোন লাভ নেই। শুধু একটি গালিগালাজ চর্চার কেন্দ্রে উপস্থিতি থাকা যায় আর কি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ‘কাজ নেই তো খই ভাজ’।
এসব কুরুচিপূর্ণ অবস্থা আমাদের দেশেই বেশি দেখা যায়। এমনকি বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই রকম বাজে অবস্থা কিন্তু উন্নত বিশ্বে নেই। বাংলাদেশ, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর এ ব্যাপারে যাচ্ছে তাই অবস্থা। একে ইন্টারনেট বা অ্যাপসের অপব্যবহার বলা যেতেই পারে।
আজ থেকে দশ-বিশ বছর আগে আমাদের বাপ-চাচারা ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তির লোক। তারা তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান ব্যবহার করে প্রযুক্তির সাথে কম্পিউটারে যুক্ত থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকতেন। বর্তমানে নেট দুনিয়া আর এ্যাপস সফটওয়ারের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ কম্পিউটার, ফোন, ট্যাব ইত্যাদিতে সময় কাটায় এবং এর জন্য তাকে নির্দিষ্ট একটি অর্থ পরিশোধ করতে হয়। বাপ-চাচারা অর্থ পেয়েছে আর এখন ভাই-বোনেরা দিচ্ছে।
ইন্টারনেটকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। ইন্টারনেটে কী আছে? এ প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে কী নেই তার উত্তর দেয়াই অনেক সহজ। কিন্তু কেউ যখন এর প্রতি আসক্ত হয়, তখনই ঘটে সমস্যা। ১৯৯৭ সালে Cinarati Case এর মাধ্যমে ইন্টারনেট আসক্তি ব্যাপারটি প্রথম মনোবিজ্ঞানীদের নজরে আসে। Sandra Tacker নামে একজন মহিলা তার তিনটি শিশু সন্তানকে অবহেলা করে নির্জন কামরায় আবদ্ধ রেখে দৈনিক ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ইন্টারনেটে অতিবাহিত করাতেন। এই মহিলাকে পর্যবেক্ষণ করে মনোবিজ্ঞানীদের অনেকেই সম্মত হলেন যে, সিগারেট, মদ ও ড্রাগের মত ইন্টারনেটেরও Compulsive ক্ষমতা আছে অর্থাৎ যা একটি পর্যায়ে এসে মানুষ ইচ্ছার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করে থাকে। সেই ধারণা থেকে Internet Addiction কথাটির সৃষ্টি।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটেরও পরিবর্তন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন ফিচার, ফাংশন, কনসেপ্ট সম্বলিত এ্যাপস। ফলে আসক্তির সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই আছে। যারা বিষণ্নতায়, একাকিত্বে ভুগছে, ড্রাগ, জুয়াখেলা, বিকৃত যৌন রুচি ও মানসিকতার সাথে জড়িত, টিন এজার- যারা রোমাঞ্চপ্রিয় ও সব কিছুতেই অতি উৎসাহী, শারীরিকভাবে যারা অলস ও ঘরকুনো ইত্যাদি ধরনের লোকদের ইন্টারনেট আসক্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
এ্যাপস যামানায় এসে তরুণ সমাজের বড় একটি অংশ ব্যাপক উৎসাহের সাথে Play Store থেকে নানা প্রকার রসালো এ্যাপস Install করছে আর বিভিন্ন সাইটে উঁকি মারছে। পসন্দ অনুযায়ী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাচ্ছে এ্যাপসের মাঝে ডুবে থেকে। ইউটিউবের মত এ্যাপসগুলোতে ঢুকে নানা প্রকার সত্য-মিথ্যা তথ্যসহ জাকজমকপূর্ণ Thembonile দেখে ক্লিক করে প্রবেশ করছে গভীর থেকে আরো গভীরে। ব্লগ, ফোরাম, চার্টরুম, হোটসঅ্যাপ, ইমো, ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সট্রগ্রাম, ইন্ ইত্যাদি এ্যাপসের মাধ্যমে একজনের সাথে পরিচয় হচ্ছে আরেকজনের। যতদিন যাচ্ছে ভার্চুয়াল বন্ধু-বান্ধবরা ততই নতুন এ্যাপস Install দিতে হুমড়ি খাচ্ছে। আবার অনেকেই ডেটিং, ফ্রেন্ডশীপ, জাস্ট ফ্রেন্ড ইত্যাদি সাইটের নিয়মিত ভিজিটার বা সদস্য। যারা জীবনসঙ্গী, যৌনসঙ্গী, প্রেমিক-প্রেমিকার সন্ধানে বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট হাতড়াচ্ছে। যেটুকু সময় অফলাইনে থাকে সেটুকু সময় চিন্তায় মগ্ন থাকে কী আইডিয়া শেয়ার করে ভাইরাল হওয়া যায়, অথবা মেগাবাইট কেনার পয়সা জোগাড়ের ঘৃণিত চিন্তায় মগ্ন থাকে।
একটা সময় সমাজের মানুষরা গ্রামের কোন এক স্থানে জমায়েত হয়ে নানারকম কথাবার্তা বলতেন, ইসলামের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতেন, বন্ধু-বান্ধবরা সশরীরে জমায়েত হয়ে তাদের কথাবার্তা শেয়ার করতেন, ওয়াজ মাহফিল আর সম্মেলনে যেতেন দলবেধেঁ। ইন্টারনেট আর এ্যাপসের কারণে নতুন মানসিক রোগ/সমস্যা সুয়া (SUA) Status Update Anxiety-তে ভুগছি আমরা। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার পরিবার থেকে দূরে থাকছে তো বটেই, বাস্তব জীবনের বন্ধু-বান্ধব থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। কেননা তার ধ্যান ধারণা আর ভাবনায় রয়েছে ঐ চ্যাটরুম, কমেন্ট বক্স, নিউজ গ্রুপ, May Day, Bed Post ইত্যাদির সুবাদে প্রাপ্ত ভার্চুয়াল জগতের নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধব। তারা দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ধাপের তাৎক্ষণিক কার্যকলাপ এ্যাপসে প্রকাশ করতে ব্যস্ত এবং অন্যদের কমেন্ট বা Replay পেতে অস্থির। ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তি যেমন ধূমপান করতে না পারলে অস্থির চঞ্চল বিষণ্ন অথবা উত্তেজিত হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারলে এদের অবস্থাও একই হয়।
এ্যাপস যামানার ভয়ানক পরিস্থিতি হতে আপনার সন্তানকে রক্ষা করতে হবে। নচেৎ আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ না হয়ে, হয়ে উঠবে অন্ধকার রাজ্যের মাফিয়া। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ইন্টারনেট আসক্তি, আজকের এই এ্যাপস যামানার একটি অত্যন্ত জটিল সমস্যা ও অভিশাপ। এই অভিশাপকে কেন্দ্র করে আপনার আমার সন্তান বিভিন্ন মানসিক রোগ, মিথ্যা বলা, অসহনশীল ও অসামাজিক হওয়া, বুদ্ধি বিকাশে বাধা, সৃজনশীলতা নষ্ট হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদিতে আক্রান্ত। সন্তানদের এই এ্যাপসগুলোর আসক্তি কমাতে পিতা-মাতাই সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সন্তানকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। সন্তান কখন কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, কার সাথে বন্ধুত্ব করছে সে ব্যাপারে সচেতনভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বাবা-মা নিজেও যদি এসব আসক্তিতে লিপ্ত থাকেন তবে ছেড়ে দিন। সন্তানকে এ্যাপসের মাঝে না রেখে খেলার মাঠে যাওয়ার সুযোগ দিন। বই পত্রিকা পড়তে উৎসাহ দিন। তরুণ বয়সের সন্তানদের ব্যবহৃত বিভিন্ন এ্যাপসের পাসওয়ার্ডটি জেনে রাখুন। তবে লুকিয়ে নয়, তাকে জানিয়েই তার নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ডটি জেনে রাখুন। বাড়ির কম্পিউটারটি প্রকাশ্য স্থানে (কমন এরিয়ায়) রাখুন।
টিন-এজারদের কম্পিউটার আসক্তির কারণে অনেক বাবা-মা সন্তানকে কম্পিউটার কিনে দেয়ার পর আফসোস করেন। অনেকেই বাসায় নেট কানেকশন নিতে চান না। ফলে আপনার সন্তান বঞ্চিত হচ্ছে ইন্টারনেটের সুফল থেকে।
এ্যাপস যামানার এই যুগে এসেও জ্ঞান ভা-ার বা শিক্ষা দিক্ষার পাথেয় হতে পারে এমন নানা রকমের এ্যাপস Play Store-এ বিদ্যমান। সেই সব এ্যাপস Install করে আপনার সন্তানের চলার পথকে গতিময় ও মসৃণ করে তুলুন। এ্যাপস যামানার এ্যাপসসমূহকে সঠিকভাবে সঠিক শাখায় ব্যবহার করতে উৎসাহ দিন। তাকে বোঝান, যামানা ঠিকই আছে আমরাই তার বিকৃত ব্যবহার করছি। আপনার সচেতনতা, ইচ্ছা, চেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় পারে আজকের শিশুকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ করে গড়ে তুলতে। এ্যাপস যামানা আমাদের সার্বিক জীবনে অভিশাপ নয়, বরং কল্যাণময় হোক- এটুকুই প্রত্যাশা। সকলের মন, প্রাণ, মানসিকতা সুশোভিত হোক সত্য ও সুন্দরের ক্ষণে ক্ষণে। তরুণদের প্রতিটি সময় হোক নিত্য নতুন সাফল্যের স্বর্ণালোকে উদ্ভাসিত। সমস্ত কিছুর একমাত্র পরিচালক আল্লাহ যেন আমাদের তরুণ ও যুব সমাজসহ সকলকেই সরল-সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেন-আমীন!!
* অধ্যায়নরত, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।