শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

 শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার

- শায়খ ড. ছালেহ ইবনু ফাওযান আল-ফাওযান

- অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ*



(৩য় কিস্তি)

ইলমে দ্বীন অর্জনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর প্রথম কর্তব্য  নিয়তকে বিশুদ্ধ করা। যাবতীয় লৌকিকতা পরিহার করা বা সুনাম সুখ্যাতি অর্জন অথবা লোকমুখে তাকে আলেম বলে সম্বোধন করা হবে এই উদ্দেশ্যকে লালন করা এবং দুনিয়া লাভের আশায় কিংবা ইহলৌকিক স্বার্থকে কেন্দ্র করে জ্ঞানার্জনে বিরত থাকা। কেবল আল্লাহ্র সন্তুষ্টির নিমিত্তেই ইলমে দ্বীন হাছিল করা। কেননা জ্ঞান অন্বেষণ একটি মহৎ কাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

‏ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى

‘যাবতীয় আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক মানুষের জন্য তাই-ই রয়েছে, যার জন্য সে সংকল্প করেছে’।[১]

সুতরাং দ্বীনের ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা অত্যাবশ্যক। কিন্তু সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের নিমিত্তে যদি কেউ জ্ঞান অন্বেষণ করে তাহলে তার শাস্তি সম্পর্কে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ জ্ঞানী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবেন, দুনিয়াতে তুমি এত বড় নে‘মত অর্থাৎ ইলমে দ্বীন পেয়ে বিনিময়ে কী করেছিলে? উত্তর সে বলবে, আমি জ্ঞানার্জন করেছি এবং তা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছি। উত্তরে মহান আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। তুমি তো জ্ঞান অর্জন করেছিলে এজন্য যে, যাতে লোকেরা তোমাকে জ্ঞানী বলে। আর তোমাকে তা-ই বলা হয়েছে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়া হলে উপুড় করে হেঁচড়িয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। والعياذ بالله অর্থাৎ আল্লাহ্র কাছে পরিত্রাণ ভিক্ষা করছি।

কাজেই একজন শিক্ষার্থীর উচিত ইহকালীন স্বার্থকে কুরবানী দিয়ে কেবল নেকি বা প্রতিদান অর্জনের নিমিত্তে জ্ঞানার্জন করা। সেক্ষেত্রে সে নিজে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও উপকৃত করতে সক্ষম হবে। পক্ষান্তরে যদি কেউ ইহলৌকিক স্বার্থে সম্পদ অর্জনের জন্য জ্ঞান হাছিল করে তবে তার শাস্তি সম্বন্ধে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,

‘যারা শুধু পার্থিব জীবন এবং এর প্রাচুর্য কামনা করে, আমি তাদের কৃতকর্মগুলোর ফল দুনিয়াতেই দিয়ে দিই, তাদের জন্য কিছুই কম করা হয় না। এরা এমন লোক যে, তাদের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই নেই; আর তারা যা কিছু করছে তাও বিফল যাবে’ (সূরা হূদ : ১৫-১৬)।

আর এই ইলমে দ্বীন এমন একটি বস্তু যাকে সমগ্র পৃথিবীর চেয়েও মর্যাদাপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়। সুতরাং অজ্ঞতাকে দূর করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি ও কর্মে বাস্তবায়নের নিমিত্তে জ্ঞানার্জন করা অপরিহার্য।

অনুরূপ দ্বীনের ইলম অর্জনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হল- একজন শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার পর আক্বীদা ও তাওহীদের জ্ঞানার্জনে সচেষ্ট থাকবে। যথাযথভাবে সে তাওহীদ ও শিরকের জ্ঞান অর্জন করবে। আমলকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহীদের জ্ঞানের বিকল্প কিছুই নেই। তদ্রƒপ শিরকের মতো ভয়াবহ পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য সে শিরক বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করবে। এজন্যই একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবনের প্রারম্ভে বিশুদ্ধ আক্বীদার জ্ঞান অন্বেষণে গুরুত্ব দিবে। যাতে সে বিশুদ্ধ আক্বীদাকে লালন করে যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করতে পারে এবং তারই উপর অবিচল থাকতে পারে। অধিকন্তু সে জেনে বুঝে বিশুদ্ধ আক্বীদার প্রতি মানুষকে আহ্বান করতে পারে। যেন মানুষ আক্বীদার  গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্বন্ধে অবগত হতে পারে। আমরা বলছি না যে,  কেবল আক্বীদার জ্ঞানার্জনেই সে ক্ষান্ত থাকবে, বরং সে জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বিশুদ্ধ আক্বীদার জ্ঞানই অর্জন করবে। কেননা আক্বীদাই হল বুনিয়াদ, যার উপর একজন ব্যক্তির যাবতীয় কর্ম প্রতিষ্ঠিত। কাজেই তার উচিত হল তাওহীদের প্রতি বিশ্বাস এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক মনে করার পাশাপাশি আক্বীদা বিরোধী যে সমস্ত কর্ম করলে একজন মুসলিমের শিরকে আকবার এবং শিরকে আছগার অথবা নিফাকে নিপতিত হওয়ার আশংকা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানার্জন করবে। যাতে করে বিশুদ্ধ কাঠামোর ওপর তার জ্ঞান সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং সঠিক পদ্ধতিতে কর্মসমূহ সম্পাদিত হয়।

এগুলোই হল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার প্রকৃত পদ্ধতি। অতএব একজন শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক হল, জ্ঞানার্জনে এই পদ্ধতিগুলো যথাযথভাবে মেনে চলা ও এগুলোর প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া। অনুরূপ আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, একজন শিক্ষার্থীর এটা শোভনীয় নয় যে, সে অপরিচিত কারো কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করবে। বস্তুত সে তাক্বওয়াবান সুপরিচিত ও বিদগ্ধ আলেমগণ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। সালাফদের অনেকেই বলেছেন, إن هذا العلم دين فانظروا عمن تأخذون دينكم ‘নিশ্চয়ই এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছ’।[২]

তাই জ্ঞানার্জনে কেবল সেই আলেমগণকে নির্বাচন করো, যারা অধিক তাক্বওয়াশীল ও আল্লাহ সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত। কেননা তারাই তোমাকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারেন। আর কখনো কোন মূর্খ পথভ্রষ্ট ও বিদ‘আতির নিকট থেকে জ্ঞান শিখবে না। বরং তাক্বওয়াশীল সৎ ও যোগ্য আলেমগনের থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করবে। আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে তাক্বওয়াশীল ও যোগ্য আলেমগনের সংখ্যা অনেক। যদি তারা ভিন্ন দেশেও অবস্থান করে তথাপি ভ্রমণ করে হলেও তাদের থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করো এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখ।

আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত ও সহজবোধ্য যে, নিমিশেই কাঙ্খিত ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করা সম্ভব। তাই শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের আর কোন অলসতার অজুহাত বা কৈফিয়ৎ পেশ করা সমীচীন নয়। কেননা মহান আল্লাহ আমাদের জন্য জ্ঞানার্জনের সকল পথই সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের উচিত হল ইলমে দ্বীন অর্জনে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা।

কেননা বর্তমানে আমরা কঠিন নৈরাজ্য ও অরাজকতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি। ভবিষ্যতে এই নৈরাজ্য ও অরাজকতা আরো প্রকোট আকার ধারণ করবে। যেমনটার ভবিষ্যৎবাণী রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক পূর্বেই করে গেছেন। সুতরাং দ্বীনের মধ্যে অরাজকতা, সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনে অরাজকতা মোটকথা সবকিছুতেই নৈরাজ্য ও অরাজকতার বিষাক্ত ছোবল হানা দিয়েছে।

অতএব এগুলো থেকে উত্তরণের একটাই পথ তাহল, কুরআন ও হাদীছের বিশুদ্ধ জ্ঞান আহরণে সচেষ্ট থাকা। রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাহাবীগনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাহ্গণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! (দ্বীনের মধ্যে) প্রতিটি নবাবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নবাবিষ্কার হল বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আতই হল ভ্রষ্টতা।[৩] অন্য বর্ণনাতে আছে, রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, وَكُلَّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ ‘প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নাম’।[৪]

কাজেই আল্লাহ্র সাহায্য ও হেদায়াত এবং কুরআন-সুন্নাহ থেকে প্রাপ্ত উপকারী জ্ঞান ছাড়া এই নৈরাজ্য ও অরাজকতা থেকে নিষ্কৃতির কোন উপায় নেই। অন্যথা যদি তুমি অজ্ঞ হও অথবা সামাজিক এই নৈরাজ্য এবং অরাজকতা তোমাকে পাকড়াও করে তাহলে কস্মিনকালেও সেখান থেকে উত্তরণের কোনো পথ খুঁজে পাবে না। পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ যদি তোমাকে তাওফীক্ব ও উপকারী জ্ঞান দান করেন সাথে সাথে সৎকর্ম সম্পাদন ও তাঁর রজ্জু আঁকড়ে ধরার মতো সক্ষমতা দান করেন তবেই তোমার পক্ষে সম্ভব হবে। কেননা মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এ পথই আমার সরল পথ, সুতরাং তোমরা এ পথেরই অনুসরণ কর। এ পথ ছাড়া অন্যান্য কোন পথের অনুসরণ করো না, অন্যথায় তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দেবে’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৫৩)।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّينَ ‘তোমরা আমার সুন্নাতকে এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে’।[৫]

আলহামদুলিল্লাহ এই নৈরাজ্য ও অরাজকতা থেকে নিষ্কৃতির উপায় আমাদের হাতেই রয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে ও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সুতরাং এক্ষণে আমাদের করণীয় হল কুরআন-সুন্নাহ বা ছাহাবা, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈন এবং হেদায়েতপ্রাপ্ত ইমামগণের শ্রেষ্ঠ যুগকে আঁকড়ে ধরা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে সালাফে ছালেহীনের মানহাজ অনুসরণ করা।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যেসব মুহাজির ও আনছার (ঈমান আনয়নে) অগ্রবর্তী এবং প্রথম, আর যেসব লোক একান্ত নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুগামী, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, আর আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন যার তলদেশে নহরসমূহ বইতে থাকবে, যার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, তা হচ্ছে বিরাট কৃতকার্যতা’ (সূরা আত-তওবা : ১০০)।

وَالَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡہُمۡ  অর্থাৎ যারা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছাহাবা, মুহাজির ও আনছারদের অনুসরণ করে। اتَّبَعُوۡہُمۡ بِاِحۡسَانٍ অর্থাৎ তাদেরকে তারা সঠিকভাবে অনুসরণ করে। কাজেই ততক্ষণ তোমার সালাফগণকে অনুসরণ করা সঠিকভাবে হবে না যতক্ষণ না তুমি তাদের মানহাজ সম্পর্কে যথাযথ ভাবে অবগত হতে পারো। সেজন্য কেবল সম্পৃক্ততায় যথেষ্ট নয় অর্থাৎ তুমি শুধু মুখেই বল, আমি সালাফী অথবা আমি সালাফদের পদাংক অনুসরণ করি অথচ তুমি তাদের মানহাজ, মূলনীতি ও আদর্শ সম্পর্কে কিছুই জানো না। অতএব তোমার শুধুমাত্র সালাফী পরিচয় দেয়াই যথেষ্ট নয়। আবশ্যক হল তাদের মূলনীতি, মানহাজ ও জীবনচরিত যথাযথভাবে জানার পরই সঠিকভাবে অনুসরণ করা।

আর আমরা আল্লাহ্র কাছে এটাই প্রার্থনা করি যেন তিনি তোমাদের সাথে আমাদেরকেও উপকারী জ্ঞান অর্জন ও সৎকর্ম সম্পাদনের তাওফীক্ব দান করেন-আমীন!!

 (ইনশাআল্লাহ চলবে)

* অধ্যয়নরত : ছানাবিয়াহ ১ম বর্ষ, দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স, বাউসা হেদাতীপাড়া, বাঘা, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/১।
[২]. ছহীহ মুসলিম, ভূমিকা দ্র.; মিশকাত, হা/২৭৩; দারেমী, হা/৪২৪।
[৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৮৫; দারেমী, হা/৯৫।
[৪]. নাসাঈ, হা/১৫৭৮।
[৫]. আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭, ‘সুন্নাহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৬; মিশকাত, হা/১৬৫।  




প্রসঙ্গসমূহ »: শিক্ষা-সংস্কৃতি
মসজিদে করণীয় ও বর্জনীয় কাজসমূহ (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ ফাহিমুল ইসলাম
কোথায় আজ বিশ্ব মানবতা? - সাখাওয়াত হোসাইন
ডিপ্রেশন : একটি মানসিক পঙ্গুত্ব - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
সমকামিতা ও ট্রান্স জেন্ডার: সাম্রাজ্যবাদীদের নীল নকশা - মাযহারুল ইসলাম
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
এ্যাপস যামানা - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
আতিথেয়তা - রাফিউল ইসলাম
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ
হে যুবক! আদর্শিক চেতনায় জাগ্রত হও - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
শিক্ষার্থীর শিষ্টাচার (৫ম কিস্তি) - অনুবাদ : জাহিদ বিন মাসঊদ

ফেসবুক পেজ