ডিপ্রেশন : একটি মানসিক পঙ্গুত্ব
-আব্দুল্লাহ আল-মামুন *
আজ পরীক্ষা, কাল অফিস, সন্তান-সন্ততি লালন-পালন, জমি-ক্ষেত দেখাশোনা, নিজের জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা।* এর যেন কোন শেষই নেই। ‘দুশ্চিন্তা’ নামক বস্তুটি যেন কোন মতেই পিছু ছাড়তে চায় না। ঘাপটি মেরে মনস্পটে জেঁকে বসে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই অযাচিত বস্তুটি আমাদের উপকারে আসতে পারে, তবে তার পরিমাণ অতি নগণ্য। কতটুকু উপকারে আসবে না, সেটা গণনার চেয়ে কতটুকু উপকারে আসবে, তা গণনা করাই সহজ। তবে উপকার যতটুকু নিয়ে আসে তার পিছনে ঐ একটি শব্দই প্রযোজ্য। আর তাহল ‘মাত্রাযোগ্য দুশ্চিন্তা’। মাত্রার সাথে ‘যোগ্য’ শব্দটি যোগ করলে ঠিক আছে। কিন্তু যখনই আপনি মাত্রার সাথে ‘অতিরিক্ত’ শব্দটি যুক্ত করবেন (মাত্রাতিরিক্ত), ঠিক তখনই মানুষের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা দুশ্চিন্তার গরম তেলে পুড়ে ছারখার হতে বাধ্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক কাউন্সিলর মরিয়ম সুলতানা। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের কাউন্সিলর হিসাবে। ‘মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা’র কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা একটি স্বাভাবিক বিষয়। সবার ক্ষেত্রেই কম বেশি এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে তখন, যখন কেউ সামান্য কারণেই চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে’।[১]
প্রতিটি মানুষের আবেগ অনুভূতি বিদ্যমান। আবেগহীন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড় দায়। আবেগের সাথে অত্যন্ত নিগূঢ় সম্পর্ক যুক্ত বিষয়গুলো হল ভয়, লজ্জা, রাগ, উৎকণ্ঠা, দুঃখ, অভিমান, অপরাধ ইত্যাদি। এসবের যেকোন একটি বিষয় মানুষের হৃদয়পটে একসেস করে দুশ্চিন্তা আকারে রিলিজ হয়। আর সেটাকেই আমরা নির্দ্বিধায় আবেগ বলে নামকরণ করেছি। আবেগ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কোন অংশেই প্রকাশ করা যায় না। আমাদের আবেগকে নিয়ে আমরা কখনই কাউকে বাজে কথা বলতে দেব না। আমাদের আবেগ আমাদের কাছে অনেক দামী। হাত-পা হৃৎপি-কে যেমন দেহের অংশ হিসাবে ভালবাসি ঠিক তেমনি আবেগকে ভালবাসি। কিন্তু ঐ যে, আবেগের বশবর্তী হয়ে মাত্রাতিরিক্ততার কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগছি! দুশ্চিন্তাকে মাত্রার ভিতরেই রাখুন। প্রকৃতির সকল আবেগগুলোর মাঝে কিছু না কিছু আবেগ প্রতিটি মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কিন্তু ব্যক্তি যখন প্রাত্যহিক জীবনের স্বাভাবিক কর্ম চঞ্চলতার গতি হারিয়ে ফেলে তখনই তার আবেগ তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঠিক তখনি সে দুশ্চিন্তার করাল গ্রাসে পতিত হয়। দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হলে একটি মানুষের মনস্পটে চলতে থাকে রাগ-অভিমান, প্রচ- যন্ত্রণা, অপরাধবোধ, বিরক্তি, উদ্বিগ্নতার মত অস্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ। উক্ত দুশ্চিন্তা শুধু একটি রোগই নয়, বরং তা নানা রোগের উপসর্গ হিসাবে মানব শরীরে দম্ভভরে স্থান দখল করে থাকে। এই দুশ্চিন্তা নামক অস্পষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে একটু স্পষ্ট হওয়া যাক।
দুশ্চিন্তাকে চিনতে হলে অবশ্যই মনকে চিনতে হবে। আর এই মনকে কি আমরা জানি বা চিনি? প্রতিটি মানুষের দেহকে চালন করে মন। হাত ভাঙ্গলে, পা ভাঙ্গলে, চোখ নষ্ট হলে ডাক্তারের কাছে যেতে ঠেলা দেয় এই মন। অথচ আমরা সর্বদা চোখ কান হাত পায়ের যত্ন নিলেও মনের যত্ন নিতে খুবই পিছপা। মূলত মনের মাঝেই আবেগ উৎকণ্ঠার বসবাস। আর এই আবেগ উৎকণ্ঠা থেকেই তো দুশ্চিন্তার সৃষ্টি। কিন্তু আমরা এই মন, আবেগ, বিষণœতা, কিংবা দুশ্চিন্তাকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকি। হেয় প্রতিপন্ন করতে সদা প্রস্তুত। এ বিষয়ে চরম অজ্ঞতায় পতিত আমরা। প্রখ্যাত একজন লেখক বলেছেন, ‘কষ্টের কথা কি বলিব! কষ্ট কাকে বলে? কষ্ট হলে মনের আগুন বুকের মধ্যে জ্বলে’। অর্থাৎ মনটা ব্রেনেই থাকে। আর কষ্টটা উপলব্ধি করি বুকের মাঝে। বুক ভেঙ্গে যায়, পুড়ে যায়, জ্বলে যায়। কষ্ট পেলে আমরা কান্না করি, মনের মধ্যে হাহাকার করে, শূন্যতা অনুভব করি, চোখ টলমল করে, বিষাদে আমরা ডুবে যায়। এগুলোর কেন্দ্রস্থল কিন্তু ঐ মন। কিন্তু আমরা মনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
দুশ্চিন্তা দুই ধরনের। একটি হল সাধারণ মন খারাপ। যাকে আমরা Sadness হিসাবে চিনি। আরেকটি হল Depression অর্থাৎ দুশ্চিন্তা। যা আবেগের রোগ, মনের রোগ। আবেগ বলতে বোঝায়- মহান আল্লাহর সৃষ্টি হতে নান্দনিক কোন সৃষ্টি হঠাৎই আপনি দেখলেন। আপনার মনে গেঁথে গেল সেই নান্দনিক দৃশ্যের অবতারণা। অন্যপক্ষে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হলে বিপরীতটা ঘটে যায়। কোন নান্দনিক দৃশ্য ভাল লেগেছে এটা আবেগ। কোন অদ্ভুত জঘন্য বস্তু খারাপ লেগেছে এটা আবেগ। কোন কিছুর জন্য অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করলেন এটিও আবেগ। আর রাগে ক্ষোভে যন্ত্রণায় ফেইসবুকের ওয়ালে তা নিক্ষেপ করলাম এটি হল সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে যুব সমাজের আবেগের প্রকাশ মাধ্যম হল ফেইসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম।
‘অস্থিরতা’ দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত ব্যক্তির বড় একটি লক্ষণ। ‘অস্থিরতা’ নামক প্রলেপটি মানুষের মনে বসে থাকে। কোন ঠুনকো কাজ বা ঘটনার বিপরীতে অস্থিরতা যেন চিরাচরিত একটি বিষয়। যে কোন ঘটনা নিয়ে স্থির থাকা আমাদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং স্থিরতা নেই বললেই চলে। উল্টো দিকে অস্থিরতা তার সচল গতিকে মনের মানসিক অবস্থার এস্পার-ওস্পার করে ফেলে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ কখনো স্থির থাকতে পারে না। স্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হওয়া যেন তার বারণ।
দুশ্চিন্তায় পতিত মানুষ সর্বদা মনোযোগহীন হয়ে থাকে। মনোযোগহীনতা যেন দুশ্চিন্তারই প্রতিচ্ছবি। দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত মানুষ সকল কাজে অমনোযোগী হয়ে থাকে। কোন কাজের প্রতি তাকে মনোযোগী পাওয়া বড়ই দুষ্কর। ফলে সে স্বাভাবিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। এমনকি সে চাই না তার দ্বারা স্বাভাবিক কর্মকা- সচল থাকুক।
আধুনিক প্রেম-পিরিতি আর ডেটিং-চ্যাটিংয়ের প্রকোপে দুশ্চিন্তা প্রতিনিয়ত কেনা-বেচা হয়। আজকাল মোবাইল আর ইন্টারনেটের বদৌলতে দুশ্চিন্তা হাতের মুঠোয় বিদ্যমান। এসব যন্ত্র-তন্ত্রের আকর্ষণে দুশ্চিন্তার দোরগোড়ায় পা দিয়ে তরুণ ও যুব সমাজ আজ তার মেধা ও মননকে ঠেলে দিচ্ছে অমনোযোগিতার অচল ডিব্বায়। যা কোনক্রমেই কাম্য নয়। দুরাভাস যন্ত্রের সাহায্যে ৫০০ কিলোমিটার দূরের ছেলে-মেয়েটি একাকার হয়ে যাচ্ছে নীরবে-নিভৃতে। যেন এর চেয়ে আর কাছে আসা যায় না! রাত যত গভীর হয় তাদের কথার ফুলঝুড়ি যেন ততই ঢেলে সাজানো হয়। ঠিক তখনি কোন পক্ষের একটি কটু কথায় রাগান্বিত হচ্ছে তরুণ-তরুণী। অমনি ফোন কল কেটে দুশ্চিন্তা নামক অচল বস্তুটির সান্নিধ্য পেতে ব্যতিব্যস্ত। সৃষ্টি হচ্ছে রাগ, ক্ষোভ আর হতাশা। যেগুলো আবেগের সামনের সারির কয়েকটি প্রকারও বটে। ছুড়ে ফেলছে হাতের মুঠো ফোনটি, কেটে দিচ্ছে হাতের শিরা উপশিরা, হয়ে যাচ্ছে দিশেহারা। কেউবা রাগ নিয়ন্ত্রণ করার নানা পন্থা অবলম্বন করছে প্রতিনিয়ত। এই রাগ থেকেই শুরু হয় দুশ্চিন্তা। আর দুশ্চিন্তা থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে মানসিক পঙ্গুত্ব।
যেকোন অনাকাক্সিক্ষত বিষয় নিয়ে অন্যায় পন্থায় কোন কিছু ভাবাই যেন এখন চিরাচরিত কাণ্ড। এসব কাণ্ডের অত্যন্ত ভয়াবহতা দেখেই প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় মানুষের সমাগম। দুশ্চিন্তা যেন একটি রাজ্য। যেখানে রাজা হওয়ার দৌড়ে আমরা সবাই আগুয়ান। পারিবারিক কোন ঠুনকো বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তার রাজ্যে দুশ্চিন্তার একাউন্ট খোলা হচ্ছে। পরিত্রাণের উপায় না খুঁজে প্রতিদিন আষ্টেপৃষ্ঠে ঐ রাজ্যকে ধারণ করছি বুকের মাঝে। ফলে আল্লাহর দেয়া নে‘মত ঘুম থেকে মাহরূম হচ্ছি। বিছানায় শুয়ে কোন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ স্বাভাবিক থাকতে পারছি না। এপাশ ওপাশ করে পুরো রাতটি কাটিয়ে দিচ্ছি নির্দ্বিধায়। অবশেষে একটি সময় ঘুম আসলেও দুশ্চিন্তায় ঘুমের দেশেও দিচ্ছে দুঃস্বপ্নের হাতছানি।
যেকোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা সার-সংক্ষেপ ফলাফল তৈরি করে ফেলি। যা অবশ্যই নেতিবাচক। নেতিবাচক সেই ফলাফল থেকে মনের মাঝে স্থান দিয়ে বসি দুশ্চিন্তাকে। পরিস্থিতিকে সামাল দেয়াই যেখানে বাঞ্ছনীয়, সেখানে নেতিবাচক দিকগুলো যেন মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ ইতিবাচক নানান দিক ছিল যেগুলো নিয়ে সুচিন্তা করলে হয়তো এই দুশ্চিন্তা নামক মহাপ্রলয়ে পিষ্ট হতাম না। স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক দিকগুলোই শরীর, মন ও মননে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ফলে হয়ে যাচ্ছি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
কথায় আছে ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু’। আর আমরা শুরুতেই মনস্থির করে ফেলি আমার দ্বারা হবে না, আমার দ্বারা সম্ভব না, আমি পারব না ইত্যাদি হাজার থেকে সহস্র অজুহাত। যদি শুরুতেই ভেবে নেন আপনি পারবেন না, আপনার দ্বারা হবে না, তাহলে তো সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনা নিমিষেই ছারখার হয়ে যাবে। স্বাভাবিক জীবন-যাপন নষ্ট হয়ে যাবে। সকল কাজের প্রতি বিশ্বাস হারালে আপনি স্বভাবতই সামনের যেকোন কাজের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে যাবেন। ‘বিশ্বাস’ নামক শব্দটি আপনার কাছে ঘৃণার শব্দে রূপ নেবে। আর বিশ্বাসী না হতে পারলে সব দিক থেকে দুশ্চিন্তা ধেয়ে আসবে। এমনকি তীরের মত আঘাত হানবে আপনার মানসিকতায়। আপনিও ঐ দুশ্চিন্তা রাজ্যের রাজা বনে যাবেন। যতই পরিত্রাণ হাতড়াবেন ততই অতল গহ্বরে পড়বেন।
যখন মন আবেগে আক্রান্ত হয় তখনি দুশ্চিন্তার ধ্বংস রাজ্যের রাজা বনে যায়। ফলে সেখান থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে না পেয়ে সে আত্মহত্যার মত মহাপাপকে স্মরণীয়ভাবে বরণ করে নেয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে ৩০ কোটিরও অধিক মানুষ দুশ্চিন্তায় ভুগছে। দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে প্রায় ৮ কোটি মানুষ আত্মহত্যায় লিপ্ত হচ্ছে। আত্মহত্যা করেই কি তার প্রতিক্রিয়ার অবসান ঘটছে? ঠিক তা নয়। বরং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া গিয়ে পড়ছে পরিবারের উপর। যা পরিবারকে ধ্বংসের দোড়গোড়ায় পতিত করছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত WHO এর একটি স্ট্যাডিজে উঠে এসেছে ‘এই দুশ্চিন্তার প্রকোপ ৫০% বেড়ে গেছে’।[২]
বর্তমান টিনএজারদের দিকে দেখলে দেখা যায়, তাদের জন্য কমন বিষয় হল সময়ের অপব্যবহার। এই অপব্যবহারের কারণে তারা ঝুঁকে পড়ছে মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেইসবুক টুইটারের মধ্যে। এখানে মানুষ একটি ছেলে বা মেয়ের সাথে মিলিত হচ্ছে। খারাপ আবেগের তাড়নায় তার ভাল আবেগগুলো পাকাপোক্ত হচ্ছে না। যার ফলে তারা মানসিকভাবে আঘাত পাচ্ছে। সাথে সাথে তারা হচ্ছে দুশ্চিন্তার রাজ্যের রাজা। তরুণদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের চাহিদা পূরণ হয় না। খুব অদম্য স্বপ্ন পাবলিক ভার্সিটিতে পড়বে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে ইত্যাদি। এখান থেকে চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে তরুণ-তরুণী হতাশায় পর্যবসিত হচ্ছে।
আর বয়স্কদের দিকে তাকালে দেখা যায়, পরিবার, সন্তান-সন্ততি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষেত-খামার নিয়েই তাদের যতসব দুশ্চিন্তা।
নেশাদারদ্রব্য আর মাদকতার করাল গ্রাসে সমাজ আজ কলুষিত। মাদককে সানন্দে বরণ করে নিচ্ছে যুবক থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকলেই। ফলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ। এই মাদকতা থেকে পরিত্রাণ খুঁজতে সমাজের মানুষ আজ মহাব্যস্ত। পরিত্রাণের উপায় না পেয়ে অত্যন্ত সানন্দে ভোগ করছে দুশ্চিন্তা নামক বস্তুটিকে।
আল্লাহ তা‘আলা সকল রোগের সমাধান দিয়েছেন। প্রতিটি রোগের বিপরীতে আল্লাহর অনুপম করুণার দ্বারা আমরা পেয়েছি সমাধান। মানসিক এই রোগ দুশ্চিন্তারও বৈজ্ঞানিক সমাধান রয়েছে। সকল মানসিক রোগগুলোর যথাসম্ভব সমাধান করুন। সকল দুশ্চিন্তা রোধে আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত ভয়াবহ দুশ্চিন্তা নামক মানসিক রোগের সমাধান বের করুন। আল্লাহ তাওফীক্ব দান করুন-আমীন!!
* অধ্যয়নরত, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।
তথ্যসূত্র :
[১]. দৈনিক প্রথম আলো ক্রোড়পত্র অধুনা, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার।
[২]. নাগরিক টিভির সাক্ষাৎকারে ডা. মোহিত কামাল, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯।