উত্তর : এরূপ অজ্ঞ লোকদেরকে ইমামতির জন্য নিয়োগ করা জায়েয নয়। কারণ অশুদ্ধ বা ভুল তিলাওয়াতকারীর ইমামতি ছহীহ নয়। তবে লক্ষণীয় বিষয় হল, মাখরাজ (অর্থাৎ উচ্চারণে), স্বরচিহ্নে অথবা অক্ষরে ভুলের কারণে যদি অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু তার ছালাত বাতিল হিসাবে পরিগণিত হবে এবং তার পিছনে ছালাত আদায় করাও জায়েয হবে না। তবে তার মত বা তার থেকে মূর্খ লোকদের ছালাত হয়ে যাবে। অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর পিছনে শুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর ছালাত হবে না। পক্ষান্তরে ভুলের বিষয়টি যদি সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য সূরাতে হয়, সেক্ষেত্রে ছালাত ত্রুটিপূর্ণ হলেও কিন্তু তার এবং তার পিছনের লোকেদের ছালাত হয়ে যাবে।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ, ‘যে ইমাম বা মুক্তাদী সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে মাখরাজে (অর্থাৎ উচ্চারণে) বা স্বরচিহ্নে অথবা অক্ষরে ভুল করে, যার ফলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, তার ছালাত অগ্রহণযোগ্য। কেননা সূরা ফাতিহা হল ছালাতের রুকন বা স্তম্ভ। তার জন্য তিলাওয়াত বিশুদ্ধ করা অপরিহার্য, বিশেষ করে সূরা ফাতিহা। এর জন্য তাকে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করতে হবে, কিন্তু কঠোর প্রচেষ্টা করার পরেও যদি শিখতে না পারে, সেক্ষেত্রে এটি ‘আল্লাহ কাউকেও তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না’-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু সে যদি ইমাম হয় তাহলে তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না। এজন্যই যোগ্য, তীক্ষ্ম স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ ও বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ইমাম নিযুক্ত করা অতীব যরূরী। তবে তার মতই অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী কিংবা তার থেকেও অধম লোকেদের ছালাত হয়ে যাবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ২/৫২৭; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১২/৯৮-৯৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৭০২৭০)।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন সরকার, চারঘাট, রাজশাহী।