বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শানে আপত্তিকর কটুক্তি ও আমাদের করণীয়

-হাসিবুর রহমান বুখারী*


মুখবন্ধ

বিগত ২৬শে মে ২০২২-এ, নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল বিজেপির দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দলের দিল্লি ইউনিটের মিডিয়া হেড নবীন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে গোটা বিশ্ব উত্তাল। এই বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গর্জে উঠেছে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ। এ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres)। তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, ‘ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল সমস্ত ধর্মকেই সম্মান করেন’। পাকিস্তান মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাঁকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এ নিয়ে দুজারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত ধর্মকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করি ও তাঁদের প্রতি সহনশীল। আমরা খবরটা দেখেছি। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য দেখিনি’। বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা তার টিভিশোতে নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার কয়েক সপ্তাহ পরে, ‘টাইমস নাও’-এর সংবাদ উপস্থাপক নাভিকা কুমারকে ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্ষুব্ধ করার অভিপ্রায়ের অভিযোগে একটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদনে (FIR) নাম দেয়া হয়েছিল। চ্যানেলটি নূপুর শর্মার মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে বলেছিল, ‘আমরা আমাদের বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংযম বজায় রাখার জন্য এবং সহযোগী প্যানেলিস্টদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় ভাষায় লিপ্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি’।

নবী (ﷺ)-কে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে উত্তাল কানপুর। ইতিমধ্যেই চাপের মুখে বিজেপি তথা দেশ। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয় একাধিক। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি হাই-কমান্ড। ১লা জুন ২০২২-এ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের পুনেতে কোন্ধওয়া পুলিশ রাজ্যে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ‘পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের’ (পিএমসি) প্রাক্তন কর্পোরেটর আব্দুল গফুর পাঠান এফআইআর দায়ের করেছেন। মুম্বাই পুলিশ শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআরও পেয়েছে। এমনকি বিজেপি দল এই অভিযোগেই ৫ই জুন ২০২২ নূপুর শর্মাকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। রাজা একাডেমীর একটি অভিযোগ দায়ের করার পরে শর্মাকে ধারা ২৯৫A (ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে কাজ), ১৫৩A (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ৫০৫ই IPC (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বা জনসাধারণের শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ করতে প্ররোচিত করা) এর অধীনেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সঊদী আরব, কাতার, আরব আমিরশাহি, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, বাহরাইন এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সঊদী আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কুয়েতের দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।

আরব দেশগুলো প্রায় একযোগে প্রকাশ্যে ভারতকে এমনভাবে নিশানা করল কেন?

‘এনডি টিভি’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক কূটনীতিক কেসি সিং বলেন, ‘এটি বছরের পর বছর ধরে বিজেপির মুসলিম এবং ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতির পাল্টা প্রতিক্রিয়া। এমন দুর্ঘটনা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল’। তিনি বলেন, ‘আপনি আপনার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি একটি গুদামে সুরক্ষিত করে রাখবেন, বিভক্তির রাজনীতি, উদ্ধত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদর্শন করতে থাকবেন। তারপর অন্য দেশে গিয়ে জাতীয় নেতার মত ভাব করবেন, তাদের নেতাদের সাথে কোলাকুলি করবেন এবং আশা করবেন বাস্তবতার খাতিরে তারা সবাই সব মেনে নেবে - সেটা বেশিদিন চলে না’। সাবেক এই কূটনীতিক মনে করেন, ‘ভারতে মুসলিমদের নিয়ে কী হচ্ছে, ইসলামী দেশগুলো তা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছিল। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, মুসলিম দেশগুলো বোকা-গাধা। একটি স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষা ছিল মাত্র। আপনি যখন নবীকে আক্রমণ করবেন, তখন তা একটি বা দু’টি মুসলিম দেশ নয়, বরং এটি পুরো মুসলিম উম্মার উপর আক্রমণ’। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির নূপুর শর্মা সেই স্ফুলিঙ্গ হাতে তুলে দিয়েছে।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি সচেতনভাবে ধর্মীয় বিভেদ এবং মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী বিভিন্ন ন্যারেটিভ চালু করে সেগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে চলেছে। কেন্দ্রে এবং রাজ্য পর্যায়ে বিজেপি এবং দলের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা ক্রমাগতভাবে মুসলিম এবং তাদের ধর্মবিশ্বাস, জীবন-জীবিকা টার্গেট করে বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে চলেছে, যার জেরে গত আট বছরে বহু সহিংসতা-হত্যাকা- ঘটেছে।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচে’র এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মে মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র আড়াই বছরে গরু রক্ষার নামে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় ভারতে কমপক্ষে ৪৪ জন মারা গেছে, যাদের ৩৬ জনই মুসলিম। এসব হত্যাকা-ের বিচার-আচারও তেমন এগোয়নি বললেই চলে এবং বিজেপি নেতারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব হামলার পক্ষে সাফাই গেয়েছে। ভারতে গত বছরগুলোতে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা এবং গোশত বহনের সন্দেহে পিটিয়ে মারার বহু ঘটনা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করার মত ঘটনা নিয়ে আরব বিশ্বের মানুষজন তাদের সরকারের ভয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ না করলেও, সোশ্যাল মিডিয়াতে অসন্তোষ চেপে রাখেনি।

দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক এবং কলামিস্ট স্মিতা গুপ্তাও মনে করেন যে, মুসলিম দেশগুলোর এই প্রতিক্রিয়া এক রকম অবধারিতই ছিল। গত আট বছর ধরে ক্রমাগতভাবে মুসলিম এবং ইসলামকে আঘাত করতে দু’বার ভাবেনি বিজেপি। ‘মানুষ মারা গেছে’ প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে এসবের বিরুদ্ধে কখনো কোন কথা বলেনি, ঠেকানোর চেষ্টা করেনি এবং তার পরিণতিতেই এই পরিস্থিতি। স্মিতা গুপ্তা, যিনি ইংরেজি ‘দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া’র রাজনৈতিক সম্পাদক ছিলেন, তিনি ‘বিবিসি বাংলা’কে বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ, সম্প্রদায় এবং সমাজের একটা রেড লাইন থাকে। নূপুর শর্মা সেই রেড লাইন ভেঙেছে’। আমেরিকাসহ কিছু পশ্চিমা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিজেপি সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি।

স্মিতা গুপ্তা মনে করেন, ‘এই ঘটনার ফলে সরকার খানিকটা হলেও ঝাঁকি খেয়েছে। কথাবার্তা এবং কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে বিজেপি এবং সরকার কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। গত আট বছরে যে বিজেপি কোনরকম অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশের ধার ধারেনি, তারাই নূপুর শর্মাকে সরিয়ে দিয়েছে’।

অপবাদের প্রধান ইস্যু ও তার মোক্ষম জবাব

পৃথিবীর বুকে কয়েক লক্ষ্য গ্রন্থ কেবল সেই মহামানবকে আক্রমণ করার জন্য রচিত হয়েছে, যাঁকে আল্লাহ তা‘আলা সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। এমন একজন মহান ব্যক্তির চরিত্রকে দু’চার কথায় কলমের আঁচড়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ বলেছেন, وَ مَاۤ  اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً  لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ‘(হে মুহাম্মাদ) আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া : ১০৭)। তাঁকে আল্লাহ তা‘আলা উত্তম চরিত্রের নমুনা হিসাবে পাঠিয়েছেন। তিনি তাঁর চরিত্রের সনদ প্রদান করে বলেন, وَ  اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ ‘অবশ্যই আপনি মহোত্তম চরিত্রের অধিকারী’ (সূরা আল-ক্বলম : ৪)। আমরা জানি মহোত্তম চরিত্রের মানুষ ঐ ব্যক্তি, যিনি তার মন ও চরিত্রে, অভ্যাস ও আচরণে পূর্ণ ভারসাম্য রাখেন, যা অন্যকে দুঃখ-কষ্ট, অপবাদ অথবা নির্যাতন করার অনেক ঊর্ধ্বে। ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে এর বিকল্প নেই। তাই মহান আল্লাহ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ  فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ  اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ  ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’ (সূরা আল-আহযাব : ২১)। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ তাদের শেষ নবী (ﷺ)-কে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। এটাই ঈমানের শর্ত। এই ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে দিতে ইসলাম বিরোধী শক্তি বারংবার নবীর (ﷺ)-এর সম্মানে আঘাত করে থাকে।

এই আঘাতের সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হল, নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) কেন ছয় বছর বয়সী আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিবাহ করেছিলেন?

এটা প্রমাণিত সত্য যে, নবী (ﷺ) ছয় বছর বয়সী আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিবাহ করেছিলেন এবং নিজের নয় বছর বয়সকালে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) নবী (ﷺ)-এর বাড়িতে সাংসারিক দায়িত্ব পালনের জন্য চলে আসেন।[১] প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বৈবাহিক জীবনে একমাত্র কুমারী স্ত্রী ছিলেন আম্মা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)। এছাড়া অন্য সকল বিবাহ বিধবা অথবা ডিভোর্সি মহিলাদের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।

জবাব (১) : বিবাহের জন্য প্রধান শর্ত হল, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই দৈহিকভাবে এবং শারীরিকভাবে (Physically and Mentally) প্রস্তুত হওয়া। বিবাহের জন্য কোন বয়স নির্ধারিত নয়। মূল কথা হচ্ছে, তারা কোন্ এলাকায় এবং কোন্ যুগে বসবাস করেন। দৈহিকভাবে প্রস্তুত বলতে বুঝায়, Menstrual blooding বা মাসিক ঋতুস্রাব হতে লাগা। বর্তমানে কোন মেয়ে যদি নয় বছর বয়সে ঋতুবতী হয়, তাহলে কোন ডাক্তারের কাছে তা মোটেও আশ্চর্যের বিষয় নয়। তাছাড়া বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যে সমস্ত এলাকা বিষুবরেখার (Equator) নিকটবর্তী সে সমস্ত অঞ্চলের মেয়েরা তাড়াতাড়ি দৈহিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যায় অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে যায়। আর সঊদী আরব বিষুবরেখার অতি নিকটবর্তী। প্রকৃতপক্ষে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই। এটা বিভিন্ন দেশের জলবায়ুর উপর নির্ভরশীল।‌ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের ছেলেমেয়েরা, তুলনামূলকভাবে শীতপ্রধান দেশের চেয়ে অনেক আগেই বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে গিয়ে থাকে। যেমন নাইজেরিয়ার মেয়েরা মাত্র দশ বছর বয়সে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যেতে সক্ষম, সেদেশে এগারো বছরের মহিলাকে বিবাহ করা বৈধ। অ্যাঙ্গোলা ও ফিলিপাইনে বারো বছর বয়সে এবং জাপানে মাত্র তেরো বছর বয়সে একজন মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে গিয়ে থাকে। যদি আজকের আধুনিক যুগেও নাইজেরিয়ায় ১১ বছর বয়সী মেয়ে সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা হয়ে ওঠে, তাহলে বিবেচনা করে দেখুন ১৪৫০ বছর আগে উত্তপ্ত মরুভূমি বেষ্টিত অঞ্চল আরবের মহিলাদের ৯ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠা অস্বাভাবিক হতে পারে কি?

আম্মা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) নিজেই বর্ননা করে বলেন, তিনি ৬ বছর বয়সে বিবাহ করেন এবং ৯ বছর বয়সে সংসার করতে নবী (ﷺ)-এর বাড়িতে আগমন করেন।[২] অতঃপর তিনি নিজেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বলেন, إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ ‏ ‘কোন বালিকা নয় বছরে পদার্পণ করলে সে মহিলা হিসেবে বিবেচিত হবে’।[৩]

সুধী পাঠক! আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর উপরিউক্ত মন্তব্য থেকে এ কথা দিবালোকের ন্যায় পরিস্ফুটিত হয় যে, উষ্ণ জলবায়ু এবং মরুভূমির দেশ আরবে তৎকালীন সময় একজন মেয়ে কেবল ৯ বছর বয়সেই সম্পূর্ণ নারী হয়ে উঠতেন।

আল-কুরআনের আইন অপরিবর্তিত। সকল সময়ে সকল ক্ষেত্রে সমান আইন প্রযোজ্য। এজন্যই কুরআনে বিবাহের জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়সকে নির্ধারিত করা হয়নি। আমাদের দেশেও বহুবার বিবাহের বয়স পরিবর্তন করতে হয়েছে। ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ১৮৬০’ অনুযায়ী একজন মেয়েকে ১০ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিবাহযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হত। সময়ের সাথে সাথে আইন পরিবর্তন হতে থাকে। ১৮৯১ অনুযায়ী ১২ বছর, ১৯২৫ অনুযায়ী ১৪ বছর, ১৯৪০ অনুযায়ী ১৬ বছর এবং সর্বশেষ ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সী মহিলা সরকারিভাবে বিবাহযোগ্য হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে।

প্রাচীন কালের ইতিহাস দেখলে খুব সহজেই বুঝা যাবে যে, অল্পবয়সী বিবাহ একটা সাধারণ ঘটনার অন্তর্গত ছিল। ‘মনু-স্মৃতি’ অনুযায়ী, ‘একজন ৩০ বছর বয়সী পুরুষের ১২ বছরের মেয়েকে বিবাহ করা উচিত। ২৪ বছর বয়সী পুরুষের উচিত ৮ বছর বয়সী মেয়েকে বিবাহ করা’।[৪] অনুরূপভাবে বিষ্ণু-পুরাণে লেখা রয়েছে, ‘তোমারা (পুরুষ) তোমাদের চেয়ে এক তৃতীয়াংশ কম বয়সী অবিবাহিত কন্যাকে বিবাহ কর’।[৫] ‘মহাভারত’ অনুযায়ী ৩০ বছর বয়সী পুরুষের উচিত ১০ বছর বয়সী কন্যাকে এবং ২১ বছর বয়সী পুরুষের উচিত ৭ বছর বয়সী কন্যাকে বিবাহ করা’।[৬] ‘বাল্মীকি রামায়ণ’ অনুযায়ী শ্রীরাম চন্দ্র যখন সীতাকে বিবাহ করেন, তখন সীতার বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। এছাড়া শ্রীকৃষ্ণ যখন রুক্মিনীকে বিবাহ করেন, রুক্মিনীর বয়স তখন মাত্র ৮ বছর। মহাদেব ৮ বছরের পার্বতীকে বিবাহ করেন। হয়তো তখনকার দিনে এটাই ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। হতে পারে তৎকালীন সময়ের জলবায়ুর নিরিখে একজন ভারতীয় কন্যা, মাত্র ৬ অথবা ৮ বছর বয়সেই পরিপূর্ণ নারী হয়ে যেতে পারেন’।[৭] লিনা মেদিনা ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্টা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়। দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭ বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন।

জবাব (২) : বিবাহের ক্ষেত্রে Voting Age বা ভোটাধিকার বয়সের কোন গুরুত্ব নেই। ১৮ বছর হলে তবেই বিয়ে করতে পারবে, আর না হলে পারবে না বিষয়টি এমন নয়। কেননা বিভিন্ন দেশে ভোটের ও বিবাহের বয়স ভিন্ন ভিন্ন। মোটকথা বিবাহের জন্য যরূরী হল শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যাওয়া। একজন নারী বা পুরুষ কত বছর বয়সে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার আইনি সম্মতিপ্রাপ্ত হয়? যৌন কার্যকলাপ ২০২১/২০২২ অনুযায়ী, সম্মতির আইনি বয়স দেশভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সারা বিশ্বে ৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। আরব বিশ্বের কিছু দেশে, সম্মতির কোন আইনি বয়স নেই তবে বিবাহের বাইরে সমস্ত যৌন সম্পর্ক হারাম বা নিষিদ্ধ। আইনগুলো কিশোর-কিশোরীদের চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের বিচার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্মতির বয়স ১৬ থেকে ১৮ এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। এশিয়া মহাদেশে যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য সম্মতির আইনি বয়স বিচারক্ষেত্র অনুসারে ৯ থেকে ২১ এর মধ্যে পরিবর্তিত হতে থাকে। ইউরোপ মহাদেশে সম্মতির বয়স এখতিয়ার অনুসারে ১৪ থেকে ১৮ এর মধ্যে পরিবর্তিত হতে থাকে। আফ্রিকা মহাদেশে যৌন কার্যকলাপের জন্য সম্মতির আইনি বয়স ১৩ থেকে ২১ এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। উত্তর আমেরিকায় যৌন কার্যকলাপ সম্পর্কিত সম্মতির আইনি বয়স এখতিয়ার অনুসারে পরিবর্তিত ১৬ থেকে ১৮ এর মধ্যে হয়ে থাকে। দক্ষিণ আমেরিকায় সম্মতির বয়স বিচারব্যবস্থার দ্বারা ১৪ থেকে ১৮ এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়।

দেশ অনুযায়ী সম্মতির বয়স

আফগানিস্তানে ১৬ বছর, আলবেনিয়ায় ১৪ বছর, আলজেরিয়ায় ১৬ বছর, আমেরিকান সামোয়া ওশেনিয়া ১৬ বছর, এন্ডোরায় ১৬ বছর, অ্যাঙ্গোলায় ১২ বছর, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডায় ১৬ বছর, আর্জেন্টিনায় ১৮ বছর, আর্মেনিয়ায় ১৬ বছর, আরুবায় ১৫ বছর, অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়া ১৬ বছর, অস্ট্রিয়ায় ১৪ বছর, আজারবাইজান ১৬ বছর, বাহামাস ১৬ বছর, বাহরাইন ২১ বছর, বাংলাদেশ ১৪ বছর, বার্বাডোজ ১৬ বছর, বেলারুশ ১৬ বছর, বেলজিয়াম ১৬ বছর, বেলিজ ১৬ বছর, বেনিন ১৮ বছর, ভুটান ১৮ বছর, বলিভিয়া ১৪ বছর, বসনিয়া এবং হেরেগোভিনা ১৪ বছর, বতসোয়ানা ১৬ বছর, ব্রাজিল ১৪ বছর, ব্রুনাই ১৬ বছর, বুলগেরিয়া ১৪ বছর, বুর্কিনা ফাসো ১৩ বছর, বুরুন্ডি ১৮ বছর, কম্বোডিয়া ১৫ বছর, ক্যামেরুন ১৬ বছর, কানাডা ১৬ বছর, কেপভার্দে ১৪ বছর, ক্যারিবিয়ান নেদারল্যান্ডস ১৬ বছর, চাদ আফ্রিকা ১৪ বছর, চীন ১৪ বছর, কলম্বিয়া ১৪ বছর, কমোরোস ১৩ বছর, কোস্টারিকা এবং ক্রোয়েশিয়া ১৫ বছর, কিউবা ১৬, সাইপ্রাস ১৭, ডেনমার্ক ১৫, পূর্ব তিমুর ১৪, ইকুয়েডর ১৪, মিশর ১৮, এস্তোনিয়া ১৪, ফিনল্যান্ড ১৬, ফ্রান্স ১৫, জার্মানি ১৪, গ্রীস ১৫, গিনি ১৫, হন্ডুরাস ১৫, হাঙ্গেরি ১৪, আইসল্যান্ড ১৫, ভারত ১৮, ইন্দোনেশিয়া ১৬, ইতালি ১৪, জাপান ১৩, কুয়েত ১৫, মালয়েশিয়া ১৬, মালদ্বীপ ৯, মরিশাস ১৪, মেক্সিকো ১২, মায়ানমার ১৪, নেপাল ১৬, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড ১৬, ওমান এবং পাকিস্তান ১৮, ফিলিপাইন ১২, পোল্যান্ড ১৫, পর্তুগাল ১৪, কাতার ১৬, সঊদী আরব ১৫, সিঙ্গাপুর ১৬, দক্ষিন আফ্রিকা ১৬, দক্ষিণ কোরিয়া ১৬, দক্ষিণ সুদান ১২, স্পেন ১৬, শ্রীলংকা ১৬, সুদান ১২, সুইডেন ১৫, সুইজারল্যান্ড ১৬, সিরিয়া ১৫, থাইল্যান্ড ১৫, যুক্তরাষ্ট্র ১৬, উত্তর আমেরিকা ১৬, ভ্যাটিকান সিটি ১৮, ভিয়েতনাম ১৮।

জবাব (৩) : এটা ঠিক যে, অপরিপক্ক বয়সে বিয়ে হলে, মেয়েরা আত্মগ্লানিতে ভোগেন এবং স্বামীর প্রতি ততটা অনুরক্ত হন না। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সাথে কি এমনটা হয়েছিল? এটি বাল্য বিবাহ হলে আম্মা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেন। তিনি কিন্তু ভেঙে পড়েননি বরং উম্মতের অর্ধেক জ্ঞান তাঁর কাছেই সংরক্ষিত ছিল। এটি তাঁর মতের বিরুদ্ধে হলে তাঁর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বন্ধ হয়ে যেত এবং এর জন্য সাইকোলজিক্যাল থেরাপির প্রয়োজন হত। তাঁর বাকি স্ত্রীগণ বিবাহিতা বা বিধবা ছিলেন। নবী (ﷺ)-এর শত্রুরা শুধু আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে নিয়ে সমালোচনা করে, বাকি স্ত্রীদের বেলায় তাদের চোখে কি ছানী পড়ে যায়?

তাঁর অন্যান্য স্ত্রীদের যখন তিনি বিয়ে করেছিলেন, তখন তাঁদের সকলেই ছিলেন ত্বালাক্বপ্রাপ্তা অথবা স্বামীহারা। একমাত্র আম্মা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বয়স ছিল দশের নিচে। যারা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বয়স দেখে খুশিতে-‘ÔYes, we got it. All moslems are pedophile’ বলে চিৎকার করে উঠেন তারা অবশ্য খাদিজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা), উম্মে হাবীবাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ও সাওদাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বয়স দেখলে যথাক্রমে বাকশক্তিহীন, মুখ, বধির ও অন্ধ হয়ে যান! বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যারা pedophilia-তে ভোগেন তাদের আইকিউ (IQ) লেভেল এবং স্মৃতিশক্তি অনেক কম থাকে। যিনি পুরো কুরআন মুখস্থ বলে যেতে পারতেন তাঁকে কক্ষনোই আমরা স্মৃতিশক্তির দোষে দুষ্ট বলতে পারি না। আর মেধার প্রয়োগ এবং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনি যে বিশেষ দক্ষ ছিলেন তা পাশ্চাত্যের অনেক লেখকই স্বীকার করেছেন।[৮]

Pedophilia-তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রধান যেসব উপসর্গে ভোগেন তার কোনটাই তাঁর মধ্যে প্রকট ছিল না। উইকিপিডিয়াতে pedophilia-এর সংজ্ঞা হিসাবে বলা হয়েছে, ‘পেডোফিলিয়া হল, একটি মানসিক ব্যাধি, যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক বা বয়স্ক মানুষ সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত শিশুদের প্রতি প্রাথমিক বা একচেটিয়া যৌন আকর্ষণ অনুভব করে’। ম্যানুয়াল এটিকে একটি প্যারাফিলিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে, যার মধ্যে সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত শিশুদের প্রতি তীব্র এবং বারংবার যৌন আকাক্সক্ষা এবং কল্পনা করা হয়। যদিও মেয়েরা সাধারণত ১০ বা ১১ বছর বয়সে বয়ঃসন্ধির প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ছেলেরা ১১ বা ১২ বছর বয়সে।[৯] এখানে pubescents বা বয়ঃপ্রাপ্তির বিষয়টা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় একেক অঞ্চলের মেয়েরা একেকসময় বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। যেমন মরুভূমি অঞ্চলের মেয়েরা শীতপ্রধান অঞ্চলের মেয়েদের চেয়ে দ্রুত বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। মরুভূমির মেয়েরা যেখানে ১০ বছর বয়সে বয়ঃপ্রাপ্তি লাভ করে সেখানে অনেক শীতপ্রধান অঞ্চলের মেয়েরা ১৩-১৫ বছর হয়ে গেলেও বয়ঃপ্রাপ্ত হয় না। ফ্রেঞ্চ ফিলোসফার Montesqueu তার ‘Spirit of Laws’ Book-16, page 264 বইটিতে উল্লেখ করেছেন, ‘উষ্ণ অঞ্চলে মেয়েরা ৮-৯-১০ বছর বয়সেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। বিশ বছর বয়সে তাদেরকে বিয়ের জন্য বৃদ্ধ ভাবা হয়। ‘Spirit of Laws’ বইটি আমেরিকার সংবিধান তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো, ১৮৮০ সালের দিকে অধিকাংশ জায়গায় বিয়ের জন্য অনুমোদিত বয়স ছিল ১০-১২ এর মধ্যে। আমরা যদি ইতিহাসে আরো পেছনে যেতে পারি, তাহলে আরো কম বয়স লক্ষ্য করতে পারব। আবার যত সামনে এগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, অনুমোদিত বয়সের সীমা ক্রমাগত বাড়ছে। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আজ থেকে ২০০ বছর আগে মেয়েরা ১০ বছর বয়সে বিয়ের জন্য উপযুক্ত হলে তা মেনে নিতে যদি আমাদের আপত্তি না থাকে, তাহলে ১৪৫০ বছর আগে একজন নারীর নয় বছর বয়সে সংসার করা নিয়ে অভিযোগ তোলা কি দ্বিচারিতা নয়?

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* মুর্শিদাবাদ, ভারত।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫১৫৮।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৮৯৪, ৫১৩৩, ৫১৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২২; আবূ দাঊদ, হা/২১২১, ৪৯৩৩-৪৯৩৫।
[৩]. তিরমিযী, হা/১১০৯, সনদ হাসান ছহীহ।
[৪]. মনু-স্মৃতি, অধ্যায় ৯, শ্লোক ৯৪।
[৫]. বিষ্ণু-পুরাণ, পুস্তক ৩, অধ্যায় ১০, পৃ. ২৯৯।
[৬]. মহাভারত, অধ্যায় ৪৪, পৃ. ১৮।
[৭]. অযোধ্যা কা-, ১১৮/৩৪, বালকা- ৬৬/১৫।
[৮]. Michael Hart in 'The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,' New York, 1978. Sir George Bernard Shaw in 'The Genuine Islam,' Vol. 1, No. 8, 1936.|
[৯]. উইকিপিডিয়া, https://en.wikipedia.org/wiki/Pedophilia.




ক্যাসিনো : মদ্যপ, জুয়াড়ি ও যৌনাচারের আখড়া - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শানে আপত্তিকর কটুক্তি ও আমাদের করণীয় - হাসিবুর রহমান বুখারী
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও প্রতিকার : একটি পর্যালোচনা - মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম
মানব বিধ্বংসী এনার্জি ড্রিংকস - এহসান বিন মুজাহির
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শানে আপত্তিকর কটুক্তি ও আমাদের করণীয় (শেষ কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
করোনা ভাইরাস - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শানে আপত্তিকর কটুক্তি ও আমাদের করণীয় (২য় কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
ধর্ষন : বিকৃত মানসিকতার ভয়ংকর আক্রমণ - আব্দুল্লাহ আল-মামুন
ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক - তানযীল আহমাদ
নির্যাতিত মানুষের আর্তচীৎকার ও আল্লাহর সাহায্য - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
কাশ্মীর দখল : মুসলিমমুক্ত করার নীলনকশা - মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম
ইহুদী ও পশ্চিমা পরাশক্তির ধূর্তামি এবং ফিলিস্তিনের পরিণতি - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম

ফেসবুক পেজ