উত্তর : বন্ধক রাখার ছহীহ পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়। যথা : (১) ঋণ প্রদান করা ও বন্ধকী জিনিস গ্রহণ করার সময় ঋণ পরিশোধের দিন নির্ধারণ করতে হবে। (২) প্রকৃতপক্ষে বন্ধকী জিনিস বন্ধকগ্রহীতার নিকট এক প্রকার আমানত। বন্ধকদাতা সীমালংঘন অথবা ঋণ আদায়ে শৈথিল্য প্রদর্শন না করা পর্যন্ত কাউকে তার জামিনদার করা যাবে না। (৩) বন্ধকী জিনিসের দেখাশোনা ও ব্যয়ভার বন্ধকগ্রহীতার উপর এবং খরচ অনুপাতে সে তার উপর আরোহণ করতে পারবে এবং তার দুধ পান করতে পারবে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘বাহনের পশু বন্ধক থাকলে তার খরচের পরিমাণে তার উপর আরোহণ করতে পারবে। তদ্রƒপ দুধেল প্রাণী বন্ধক থাকলে তার খরচের পরিমাণে দুধ পান করতে পারবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৫১১)। আর খরচের বেশি ব্যবহার করলে বা দুধ পান করলে তা সূদের আওতায় পড়বে। (৪) বন্ধকগ্রহীতার অনুমতি ব্যতীত বন্ধকদাতার জন্য বন্ধককৃত মাল বিক্রয় করা যাবে না। অনুমতি ব্যতীত বিক্রয় করলে তা বাতিল হিসাবে গণ্য হবে (আল-মাউসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ, ২/৪৩২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৮৩৩২১, ১৪০০৭৮, ১০৫৪৫৭)। উল্লেখ্য, ঋণের নিরাপত্তা স্বরূপ জমি বন্ধক রাখা জায়েয। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে জমি বন্ধক রাখা এবং তার দ্বারা উপকৃত হওয়া জায়েয নয়, বরং তা হারাম ও সূদী ঋণের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নকারী : ছিয়াম আনোয়ার, কুমিল্লা।