উত্তর : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের সকল আলিমের ইজমা‘ ও ঐকমত্যানুসারে শী‘আরা কাফির, মুশরিক এবং ইসলাম বহির্ভূত। কারণ তারা অসংখ্য ভ্রান্ত আক্বীদায় লিপ্ত। যেমন-
(১) তারা ইহুদী, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য মুশরিকের মত আল্লাহর সাথে শিরক করে। (নাউযুবিল্লাহ)। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াকূব আল-কুলাইনী ‘উছূলুল কাফী’ গ্রন্থের মধ্যে বলেন, ‘গোটা পৃথিবীর মালিক শী‘আ ইমামগণ’। অথচ আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্টরূপে বলেন, اِنَّ الۡاَرۡضَ لِلّٰہِ ۟ۙ یُوۡرِثُہَا مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖ ‘নিশ্চয় ভূমণ্ডল তো আল্লাহরই। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার উত্তরাধিকারী করেন’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ১২৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সার্বভৌম ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহরই’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৮৯)।
(২) তারা ১২ ইমামের নিষ্পাপ হওয়ার আক্বীদা পোষণ করে, যা খতমে নবুওয়াতের আক্বীদার পরিপন্থী।
(৩) তারা আক্বীদা পোষণ করে যে, কুরআন বিকৃত ও পরিবর্তিত অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে এবং তাতে বেশি ও কম করা হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)। আর এটা তাদের জঘন্য মিথ্যাচার ও নিকৃষ্ট আক্বীদাসমূহের অন্যতম, যা তাদেরকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়াকে আবশ্যক করে তোলে।
(৪) তারা মুমিনদের জননী, নবী (ﷺ)-এর স্ত্রীদের এবং তাঁর প্রাণপ্রিয় কন্যাদের ও ছাহাবীদের গালাগালি ও অসম্মান করার আক্বীদা পোষণ করে।
(৫) তারা খুলাফায়ে রাশিদীন, মুহাজির ও আনছার ছাহাবীগণ, আহলে বাইত তথা নবী পরিবার-পরিজনদের, আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু), ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও আকিল (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-দের অপমান করার আক্বীদা পোষণ করে।
(৬) তারা ‘তাক্বিয়া’ অর্থাৎ নির্ভেজাল মিথ্যা অথবা সুস্পষ্ট মুনাফিক্বী বৈধ হওয়ার আক্বীদা রাখে।
(৭) নিকাহে মুত‘আহ (Temporary marriage) অর্থাৎ সাময়িক বিবাহকে হালাল মনে করে।
(৮) মহিলাদের যৌনাঙ্গ ধার বা ভাড়া করা অর্থাৎ বেশ্যাবৃত্তি বৈধতার আক্বীদায় বিশ্বাসী।
(৯) নারীদের পায়ুপথে বা মলদ্বারে সঙ্গম (Anal sex) বৈধতার আক্বীদা।
(১০) তারা রাজ‘আহ (الرجعة) বা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী।
(১১) মৃত্তিকার আক্বীদায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ তারা বিশ্বাস করে যে, সৎ মানুষ জান্নাতের মাটি থেকে তৈরি আর অসৎ মানুষ জাহান্নামের মাটি থেকে তৈরি (বিস্তারিত দ্র. : উছূলুল কাফী, পৃ. ২৫৯; রিজালু কাশী, পৃ. ১৩৮; তরজমাতু মাকবুল আহমাদ, পৃ. ৩৩৯; নাহজুল বালাগাহ, ১/১৮৩ পৃ.; ফাছলুল খিতাব, পৃ. ১৮০)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, দিনাজপুর।