উত্তর : পুরুষের জন্য প্রয়োজনে ক্রিম, লোশন, মাখন, তৈল বা অন্যান্য রূপচর্চার উপকরণ ব্যবহার করা জায়েয। তবে সেটা যেন মহিলাদের সাদৃশ্য আনয়নের উদ্দেশ্য না হয় (দ্র. : ইবনু বা‘য (রাহিমাহুল্লাহ)-এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইট)। স্ক্রিন বা ত্বককে অনিষ্টকর জিনিস থেকে রক্ষার্থে ক্রিম ব্যবহার করা দোষণীয় নয়। তবে তা যেন ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক না হয় (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩৭০০৯, ১৬৩৭১৯)।
উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সামান্য সময়ের জন্য ক্রিম বা মেকআপের মাধ্যমে নিজের মুখমণ্ডলকে ফর্সা করে তোলা যায়, যা ধৌত করার পর চেহারা পরিষ্কার হয়ে যায়। অনুরূপভাবে মুখমণ্ডলের কালো দাগ ও ত্রুটিগুলোকে অন্তর্হিত করার জন্য চিকিৎসাস্বরূপ এমন সবকিছুই ব্যবহার করা জায়েয, যা মুখমণ্ডলকে ত্রুটিমুক্ত করে তুলবে। কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে মুখমণ্ডলের রঙকে পরিবর্তন করা জায়েয নয়। কেননা মানবজাতির সৃষ্টিগত শারীরিক অবয়বের সৌন্দর্যকে বিকৃত করে কৃত্রিমভাবে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটি শয়তানী কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত।
অতএব আমাদের সকলের জন্যই এ সমস্ত শয়তানী কর্মপ্রবাহ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। শয়তান নিজে বলছে যে, وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ ‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’ (সূরা আন-নিসা : ১১৯)। যেহেতু আমরা আল্লাহর দাস, তাই শয়তানের গোলামী বন্ধ করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা লা‘নত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অঙ্কন করে, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু প্লাক করে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮৮৬, ৫৯৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৫; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৭০-৭১)।
প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেজ, রাজশাহী।