মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুনিয়াবিমুখতা
-আল ইখলাছ ডেস্ক
(৩য় কিস্তি)
য্হ্দু-২১ : এক ছাহাবীর জামার দীর্ঘ হাতা কেটে দেন।
২৫. ‘আলী ইবনু যায়েদ (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত,
أَنّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى عَلَى الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ قَمِيْصًا قَطَرِيًّا طَوِيْلَ الْكُمَّيْنِ فَدَعَا بِشَفْرَةٍ فَقَطَعَهُ مِنْ أَطْرَافٍ
‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর গায়ে একটি কাতারি জামা দেখতে পান, যার দু’টি হাত ছিল অনেক দীর্ঘ। ফলে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি কাঁচি আনার নির্দেশ দেন; তারপর আঙ্গুলের প্রান্তভাগ থেকে আস্তিন দু’টিকে কেটে দেন’।[১]
তাহক্বীক্ব : হাদীছটির সনদ যঈফ। এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ নামক একজন দুর্বল রাবী রয়েছেন।[২]
যুহ্দ-২২ : তিনি যেসব পোশাক পরতেন না।
২৬. ‘ইমরান ইবনু হুছাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
لَا أَرْكَبُ الْأُرْجُوَانَ وَلَا أَلْبَسُ الْمُعَصْفَرَ وَلَا أَلْبَسُ الْقَمِيْصَ الْمُكَفَّفَ بِالْحَرِيْرِ قَالَ وَأَوْمَأَ الْحَسَنُ إِلَى جَيْبِ قَمِيْصِهِ وَقَالَ أَلَا وَطِيْبُ الرِّجَالِ رِيْحٌ لَا لَوْنَ لَهُ أَلَا وَطِيْبُ النِّسَاءِ لَوْنٌ لَا رِيْحَ لَهُ
‘আমি রক্তবর্ণ ও হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করি না; আর এমন জামাও গায়ে দিই না, যার মধ্যে রেশম লাগানো হয়েছে। হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) তার জামার বুক পকেটের দিকে ইশারা করে বলেন, মনে রাখবে! পুরুষের প্রসাধনী হল রংবিহীন সুগন্ধি, আর নারীর প্রসাধনী হল ঘ্রাণবিহীন রং’।[৩]
যুহ্দ-২৩ : ইন্তেকালের সময় রেখে যাওয়া সম্পদ।
২৭. ‘আমর ইবনু মুহাজির (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَي عَلَيْهِ بَيْتٌ يَخْلُوْ فِيْهِ فِيْ ذَلِكَ الْبَيْتِ مَا تَرَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا سَرِيْرٌ مَرْمُوْلٌ بِشَرِيْطٍ وَقَعْبٌ يُشْرَبُ فِيْهِ الْمَاءُ وَجَرَّةٌ مَكْسُوْرَةُ الرَّأْسِ يُجْعَلُ فِيْهَا الشَّيْءُ وَوِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ مَحْشُوَّةٌ بِلِيْفٍ وَقَطِيْفَةٌ غَبْرَاءُ كَأَنَّهَا مِنْ هَذِهِ الْقُطُفِ الْجُرْمُقَانِيَّةِ فِيْهَا مِنْ وَسَخِ شَعْرِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَقُوْلُ يَا قُرَيْشُ هَذَا تُرَاثُ مَنْ أَكْرَمَكُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ وَأَعَزَّكُمْ يَخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا عَلَى مَا تَرَوْنَ
‘উমার ইবনু আব্দুল ‘আযীয (রাহিমাহুল্লাহ)-এর একটি ঘর ছিল, যেখানে তিনি প্রায়শ নির্জন সময় কাটাতেন। ঘরটিতে ছিল রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছেড়ে যাওয়া কিছু জিনিসপত্র। সেখানে ছিল খেজুর পাতার বিছানা সহ একটি খাট। কাঠের একটি অমসৃণ পাত্র, যা থেকে তিনি পানি পান করতেন। একটি ভগ্ন-মাথা মাটির পাত্র, যা থেকে তিনি বিভিন্ন জিনিস রাখতেন, আর একটি চামড়ার বালিশ, যার ভেতর ছিল খেজুর গাছের আঁশ কিংবা রাবারসদৃশ ধুলামলিন সস্তা মখ্মল। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে বালিশটিতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুলের ছাপ লেগে আছে। (কুরাইশদেরকে এগুলো দেখিয়ে) ‘উমার ইবনু আব্দুল ‘আযীয (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হে কুরাইশ! এ উত্তরাধিকার তো সেই ব্যক্তি, যার বদৌলতে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তির অধিকারী বানিয়েছেন! তোমরা যা দেখতে পাচ্ছ তা রেখেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন!’[৪]
যুহদ-২৪ : ছবি-সজ্জিত ঘরে তিনি প্রবেশ করেননি।
২৮. সাফীনা (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত,
أَنَّ رَجُلًا ضَافَ عَلِيًّا فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَقَالَتْ فَاطِمَةُ رِضْوَانُ اللهِ عَلَيْهَا لَوْ دَعَوْنَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَنَا فَدَعَوْهُ فَجَاءَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى عِضَادَتَيِ الْبَابِ فَرَأَى قِرَامًا فِيْ نَاحِيَةِ الْبَيْتِ عَلَيْهِ صُوْرَةٌ فَرَجَعَ فَقَالَتْ فَاطِمَةُ أَلْحَقُهُ فَأَسْأَلُهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ لَيْسَ لِيْ أَوْ لِنَبِيٍّ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتًا مُزَوَّقًا
‘জনৈক ব্যক্তি ‘আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে দাওয়াত দিয়ে কিছু খাবারের আয়োজন করেন। ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত দিলে তিনি আমাদের সাথে খেতে পারতেন! ফলে তারা তাঁকে দাওয়াত দেন। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে দরজার কাঠে হাত রেখে দেখতে পান, ঘরের কোণে একটি পর্দার উপর ছবি রয়েছে। ফলে তিনি ফিরে যান। তখন ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস কর [এরূপ করার কারণ কী?] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘ছবি-সজ্জিত কোন ঘরে প্রবেশ করা আমার জন্য অথবা কোন নবীর জন্য শোভনীয় নয়’।[৫]
যুহ্দ-২৫ : পোশাকে বিনয় ঈমানের অংশ।
২৯. আবূ উমামা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
اَلْبَذَاذَةُ مِنَ الْإِيْمَانِ الْبَذَاذَةُ مِنَ الْإِيْمَانِ الْبَذَاذَةُ مِنَ الْإِيْمَانِ قَالَ عَبْدُ اللهِ هَذَا أَبُوْ أُمَامَةَ الْحَارِثِيُّ قَالَ عَبْدُ اللهِ سَأَلْتُ أَبِيْ قُلْتُ مَا الْبَذَاذَةُ قَالَ التَّوَاضُعُ فِي اللِّبَاسِ
‘জীর্ণতা ঈমানের অংশ, জীর্ণতা ঈমানের অংশ, জীর্ণতা ঈমানের অংশ’।[৬] বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, জীর্ণতা কী? তিনি বললেন, জীর্ণতা হল পোশাকে বিনয়’।[৭] অন্য বর্ণনায় এসেছে, الْبَذَاذَةُ الْقَشَافَةُ يَعْنِى التَّقَشُّفَ ‘বিলাস-ব্যসন ত্যাগ করা বা সাদামাটা জীবন-যাপন করা’।[৮]
যুহ্দ-২৬ : তাঁর স্ত্রীগণ উলের বস্ত্র পরিধান করতেন।
৩০. আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, مُرُوْطُهُنَّ يَوْمَئِذٍ الصُّوْفُ ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদের পরিধেয় বস্ত্রসমূহ ছিল উলের’।[৯]
যুহ্দ-২৭ : আহলুছ ছুফ্ফার ছাহাবীদের কাপড়ের টানাপড়েন।
৩১. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
رَأَيْتُ سَبْعِيْنَ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ يُصَلُّوْنَ فِيْ ثَوْبٍ فَمِنْهُمْ مَنْ يَبْلُغُ رُكْبَتَيْهِ ومِنْهُمْ مَنْ هُوَ أَسْفَلُ مِنْ ذَلِكَ فَإِذَا رَكَعَ قَبَضَ عَلَيْهِ مَخَافَةَ أَنْ تبْدُوَ عَوْرَتُهُ
‘আমি আহলুছ ছুফ্ফার সত্তরজন ব্যক্তিকে দেখেছি, যারা একটিমাত্র কাপড় পরিধান করে ছালাত আদায় করেছেন। তাদের কারো কাপড় ছিল হাঁটু পর্যন্ত, আর কারো ছিল হাঁটুর একটু নীচ পর্যন্ত। যখন তাদের কেউ রুকূ‘তে যেত, তখন সতর প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কাপড় টেনে ধরে রাখতেন’।[১০]
যুহ্দ-২৮ : সফরে কয়েকজন ছিয়ামহীন ছাহাবীর প্রশংসা।
৩২. আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كُنَّا مَعَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فِى السَّفَرِ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ قَالَ فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا فِىْ يَوْمٍ حَارٍّ أَكْثَرُنَا ظِلًّا صَاحِبُ الْكِسَاءِ وَمِنَّا مَنْ يَتَّقِى الشَّمْسَ بِيَدِهِ قَالَ فَسَقَطَ الصُّوَّامُ وَقَامَ الْمُفْطِرُوْنَ فَضَرَبُوا الْأَبْنِيَةَ وَسَقَوُا الرِّكَابَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَهَبَ الْمُفْطِرُوْنَ الْيَوْمَ بِالْأَجْرِ
‘একদা আমরা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সফরে বের হলাম। আমাদের মধ্যে একদল ছিয়াম পালন করছিলেন; অপরদল ছিলেন ছিয়ামহীন। প্রচণ্ড গরমের একদিন আমরা যাত্রাবিরতী দিলাম। আমাদের মধ্যে তারাই ছিলেন সবচেয়ে বেশি ছায়া লাভকারী, যারা কাপড় দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে পেরেছিলেন! আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজের হাত দিয়ে সূর্যের উত্তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। ছিয়াম পালনকারীরা নেতিয়ে পড়লেন; আর ছিয়ামহীন ব্যক্তিরা তাঁবু টানানো, উটগুলোকে পানি পান করানোসহ নানা কাজ আঞ্জাম দিতে থাকলেন। (এ দৃশ্য দেখে) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আজ তো ছওয়াব ছিয়ামহীন লোকেরাই নিয়ে গেল!’[১১]
যুহ্দ-২৯ : প্রতিদিন একশ’বার ক্ষমা প্রার্থনা ও অনুশোচনা।
৩৩. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
إِنِّيْ لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ كُلَّ يَوْمٍ مِئَةَ مَرَّةٍ
‘আমি প্রত্যেক দিন আল্লাহ তা‘আলার নিকট একশ’বার ক্ষমা প্রার্থনা ও অনুশোচনা করি’।[১২]
যুহ্দ-৩০ : দুনিয়ার জীবন গ্রীষ্মকালীন সফরের কিছু বিরতীর চেয়ে বেশী কিছু নয়।
৩৪. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَا لِيْ وَلِلدُّنْيَا إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ الدُّنْيَا كَمَثَلِ رَاكِبٍ قَالَ فِيْ ظِلِّ شَجَرَةٍ فِيْ يَوْمٍ صَائِفٍ ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا
‘এ দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক? এ দুনিয়ার সাথে আমার দৃষ্টান্ত হল- এমন এক অশ্বারোহীর ন্যায় যে প্রচণ্ড গরমের একদিন একটি গাছের ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেল, তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল’।[১৩]
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
তথ্যসূত্র :
১. আবূ আব্দুল্লাহ আল-বুছীরী আয-যুহরী, আত-ত্বাবাক্বাতুল কুবরা (বৈরূত : দারু ছাদর, তা.বি.), ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৬১।
২. ইবনু হাজার ‘আসক্বালানী, তালখীছুল হাবীর ফী তাখরীজি আহাদীছির রাফি‘ইল কাবীর (দারুল কুতুবিল ‘ইলমিয়্যাহ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.), ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২৮, টীকা-৩।
৩. আবু দাঊদ, হা/৪০৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৯৮৯; হাকিম, হা/৭৪০০; মিশকাত, হা/৪৩৫৪; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামে‘, হা/৭১৬৭।
৪. আল-আছারুল ওয়ারিদাতু আন ‘উমর ইবনি আব্দুল ‘আযীয ফিল আক্বীদাতি জাম‘আন ও দিরাসাতান, ১২ তম অংশ, পৃ. ৩৭; আবু নু‘আইম আহমাদ ইবনু আব্দুল্লাহ আল-ইস্পাহানী, হিলইয়াতুল আওলিয়া ওয়া ত্বাবাক্বাতুল আছফিয়া (বৈরূত : দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ৪র্থ সংস্করণ, ১৪০৫ হি.), ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩২৬-৩২৭ ।
৫. আবু দাঊদ, হা/৩৭৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৯৮৩; হাকিম, হা/২৭৫৮; সনদ হাসান, ছহীহুল জামে‘, হা/২৪১১ ।
৬. আবু দাঊদ, হা/৪১৬১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৭৪; হাকিম, হা/১৮, সনদ ছহীহ।
৭. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল, কিতাবুয যুহ্দ, হা/২৯।
৮. ইবনু মাজাহ, হা/৪১১৮, সনদ ছহীহ।
৯. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৩০৭, শু‘আইব আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, এই শব্দে হাদীছ যঈফ।
১০. মুছান্নাফে ইবনু আবী শাইবাহ, হা/৩২১১; যায়নুদ্দীন ইবনু শিহাবুদ্দীন ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী (দাম্মাম : দারুল ইবনিল জাওযী, ২য় সংস্করণ, ১৪২২ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৩; হিলইয়াতুল আউলিয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪১; সনদ ছহীহ, মুহাম্মাদ আলী ইবনু মুহাম্মাদ ‘ইলান ইবনু ইবরাহীম আল-বিকরী আশ-শাফেঈ, দালীলিল ফালিহীন লিতুরুক্বী রিয়াযিছ ছালেহীন, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৬৪।
১১. ছহীহ বুখারী, হা/২৮৯০; ছহীহ মুসলিম, হা/১১১৯, শব্দ ছহীহ মুসলিমের; নাসাঈ, হা/২২৮৩; মিশকাত, হা/২০২২ ।
১২. মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৮০৬, শব্দ তার; ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৭; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮১৫; মিশকাত, হা/২৩২৩, সনদ ছহীহ।
১৩. মুসনাদে আহমাদ, হা/৪২০৮, শব্দ তার; শু‘আইব আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, হাদীছটির সনদ হাসান; মুছান্নাফে ইবনু আবী শাইবাহ, হা/৩৫৪৪৪; হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৩৪।
প্রসঙ্গসমূহ »:
বিবিধ