উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত ‘মেলা-মেশা’র দু’টি অবস্থা। একটি হল- বন্ধুত্বসুলভ মেলামেশা, যোগাযোগ রক্ষা করা, কথা-বার্তা চালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। শরী‘আতের দৃষ্টিতে যা স্পষ্ট হারাম (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৬১; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামে‘, হা/৬৬০)। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে খালেছ অন্তরে তওবাহ করতে হবে (সূরা আল-ফুরকান : ৭১) এবং শরী‘আতের দৃষ্টিতে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করা স্বামীর দায়িত্ব। (সূরা আন-নিসা : ৩৪; ছহীহ বুখারী, হা/৮৯৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৩৩; মিশকাত, হা/৩৬৩৮)। কেননা এভাবে অবৈধ মেলামেশা যেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয় অবস্থা হল- শারীরিকভাবে মেলামেশা। এটাও হারাম। এ জন্য ইসলামী সরকার স্ত্রীর প্রতি হদ্দ কায়েম করবে। অর্থাৎ তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে (ছহীহ বুখারী, হা/৬৬৩৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯৭)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রশীদ, যশোর।