উত্তর : যে ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কারণে অথবা সফরে থাকার কারণে ছিয়াম ক্বাযা করেছে এবং সে সুস্থ হয়ে ক্বাযা আদায় করার সময় পাওয়ার পূর্বেই মারা গেছে। এমতাবস্থায় তার উপর কিছুই নেই এবং তার পক্ষ থেকে মিসকীনও খাওয়াতে হবে না। কারণ তার উপর ক্বাযা আদায় ফরয হওয়ার আগেই সে মারা গিয়েছে (বাদায়িউছ ছানায়ী, ২/১০৩; আল-কাফী, ১/৩৩৯; আল-মাজমূঊ, ৬/৩৭২; আল-মুগনী, ৩/১৫২ পৃ.)। কিন্তু কেউ যদি সুস্থ হওয়ার পর ক্বাযা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও দেরি করেছে। আর সেই অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়েছে, এক্ষেত্রে ওয়ারিছদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্বাযা আদায় করতে হবে। আর যদি তা সম্ভবপর না হয় সেক্ষেত্রে প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে একজন করে মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবে (আল-মাজমূঊ, ৬/৩৬৯; মুগনীউল মুহতাজ, ১/৪৩৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/৩৭২; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/৪৫১ পৃ.)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘ছিয়ামের ক্বাযা যিম্মায় রেখে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে তার অভিভাবক তার পক্ষ হতে ছিয়াম আদায় করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫২; ছহীহ মুসলিম হা/১১৪৭)।
প্রশ্নকারী : আহসানুল্লাহ, উত্তরা, ঢাকা।