উত্তর : মেজবান যদি হারাম উপার্জনকারী হন, তাহলে মেহমানের জন্য তা হারাম হবে না। রাসূল (ﷺ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৬১৫-১৮; মিশকাত, হা/৫৯৩১)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে, যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে পতিত হবে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/১৪৬৭৫; ইমাম আহমাদ আছারটি ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামিঊল উলূম ওয়াল হিকাম, পৃ. ২০১)। তবে উক্ত ব্যক্তির সংশোধন বা তাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে যদি কেউ সাময়িকভাবে দাওয়াত গ্রহণ না করে, তবে সেটাই উত্তম হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ২৮/২০৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : সাব্বির, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।