বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মুসলিমদের প্রথম ক্বিবলাও কা‘বা, শেষ ক্বিবলাও কা‘বা। পরবর্তীতে ইয়াহুদীরা বিদ্বেষবশত বাইতুল মাক্বদিসের দিকে এবং খ্রিস্টানরা পূর্ব দিকে পরিবর্তন করে ফেলে, যেমন: তারা তাদের ধর্মের অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটিয়েছে (শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন- তাফসীরুল কুুরআনিল কারীম, সূরাতুল বাক্বারাহ ২৮, https://www.alathar.net/home/esound/index.php?op=codevi&coid=91750)।

সালাফে ছালিহীনও জানতেন কা‘বাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সহ সমস্ত নবী রাসূলের ক্বিবলা। যেমন ইমাম সুদ্দী, ক্বাতাদাহ, রাবীঈ, যাহ্হাক এবং ইবনু জারীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

بأن القبلة (الكعبة) هي قبلة إبراهيم، وقبلة الأنبياء من بعده، وأهل الكتاب يعرفون هذا، ومع هذا أحدثوا قبلة أخرى، كما سبق

‘কা‘বা হল- ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর ক্বিবলাহ এবং তাঁর পরবর্তী নবীগণেরও, আহলে কিতাবরা এটি জানত, তার পরও তারা অন্য ক্বিবলাহ তৈরি করেছিল’ (তাফসীরুত্ব ত্বাবারী, ৩/১৮৭-১৮৮; তাফসীরে ইবনু কাছীর, ১/৪৬২ পৃ.)। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আহলে কিতাবদের ক্বিবলাহ পরিবর্তন করার বিষয়টি অহীর বিধান বা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ অনুযায়ী হয়নি। বরং তারা নিজেরাই পরামর্শ করে করেছে। আল্লাহ তা‘আলা কখনো ইঞ্জিল বা অন্য কোথাও খ্রিষ্টানদেরকে পূর্ব দিকে ক্বিবলাহ নির্ধারণ করার আদেশ দেননি। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা তাওরাত বা অন্য কোথাও ইয়াহুদীদেরকে ছাখরাহ আল-বাত্তাহ-এর দিকে ক্বিবলাহ নির্ধারণ করার আদেশ দেননি। বরং তারা নিজেরাই সেদিকে মুখমণ্ডল করে ছালাত আদায় করত (আল-বাদাঈয়ু ওয়াল ফাওয়াঈদ, ৪/১৬০৫ পৃ.)। শায়খ ত্বাহির ইবনু ‘আশূর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘জেনে রাখুন, ইয়াহুদীরা বাইতুল মাক্বদিসকে নিজেদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী ক্বিবলাহ বানিয়েছে। তাদের দ্বীনে এ সম্পর্কে কোন নির্দেশনা নেই। তাওরাতের কোন খণ্ডে এর প্রমাণ পাওয়া যায় না (আত-তাহরীর ওয়াত তানভীর, ২/৯-১০ পৃ.)।

অনুরূপভাবে রাসূল (ﷺ)-এর ক্বিবলাও কা‘বা। শুধু পরীক্ষা স্বরূপ ১৬/১৭ মাস বাইতুল মাক্বদিসের দিকে মুখমণ্ডল করে ছালাত আদায় করেছেন। বারআ ইবনু আযিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) মদীনায় আসার পর হতে ১৬ অথবা ১৭ মাস বাইতুল মাক্বদিসকে ক্বিবলা করে ছালাত আদায় করলেন। রাসূল (ﷺ)-এর আন্তরিক বাসনা ছিল কা‘বার দিকে ফিরে ছালাত আদায় করা। তারপর মহান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন, ‘আপনার বারবার আকাশের দিকে মুখ করে তাকানোকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনার আকাক্সিক্ষত ক্বিবলার দিকে আমরা তোমার মুখ ফিরিয়ে দিচ্ছি। এখন হতে মসজিদে হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৪৪)। তিনি কা‘বার দিকে মুখ ফিরালেন, আর তিনি এটাই চাচ্ছিলেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭২৫২; তিরমিযী, হা/৩৪০; ইবনু মাজাহ, হা/১০১০; আহমাদ, হা/১৮৭০৭)।

অতএব বায়তুল মাক্বদেস মুসলিমদের প্রথম ক্বিবলা এটা ঐতিহাসিক মিথ্যাচার এবং ইহুদীদের তৈরি করা কথা। কোন মুসলিম এ ধরনের কথা বলতে পারে না।


প্রশ্নকারী : নাজমুল হুসাইন, চাটমোহর, পাবনা।





প্রশ্ন (৩৩) : মহিলার দেহ থেকে লোম তুলে ফেলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : যক্ষা রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি ছিয়াম রাখতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : ফিতরার পরিমাণ কতটুকু? অর্ধ ছা‘ ফিতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : রামাযান মাসে একই রাত্রিতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : তাবলীগ জামা‘আতের ‘ফাযায়েলে আমল’ বইয়ে বর্ণিত আছে যে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের ছালাত একই ওযূ দ্বারা পড়েছেন (ঐ, (বাংলা), পৃ. ১৬০; (উর্দূ), পৃ. ৬৮)। উক্ত বিষয়টি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বিয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত কী কী? স্বামীর আক্বীদা ছহীহ না হলে বিবাহ দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : আল্লাহর যেমন হাত, পা, চেহারা আছে, তেমন আল্লাহর রূহু আছে কি? অর্থাৎ এরকম কোন বর্ণনা আছে কুরআন ও হাদীছে আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রামাযানের ছুটে যাওয়া ছিয়াম ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে, না-কি বিচ্ছিন্নভাবে আদায় করলেও চলবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : পরিবারের উপার্জিত হারাম টাকা দিয়ে যদি কোন ব্যবসা করি, তাহলে তা হারাম হবে কী? যদিও উক্ত ব্যবসা হালাল। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের সফরে গিয়ে ওমরাহ আদায় করে মদীনা বা মীক্বাতের বাইরে কোন স্থানে সফর করে, তবে তিনি কি মক্কায় আগমনের সময় পুনরায় ওমরাহ করতে পারবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : একদিন মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তার নাতি হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি বড় না আপনি বড়? তখন নবী (ﷺ) বললেন যে, ‘তিনি বড়’। তখন হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘না, আমি বড়’। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে? তিনি বললেন, ‘আপনার পিতার নাম কী?’ নবী (ﷺ) বললেন, আব্দুল্লাহ। হোসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘আমার বাবা আলী, যাকে আল্লাহর সিংহ বলা হয়েছে’। ...পরিশেষে নবী (ﷺ) বলেন, ‘হোসাইন তুমিই বড়’। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জিনরাও কি মৃত্যুবরণ করে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ