উত্তর : বন্দকী বলতে সাধারণত দু’ধরনের পদ্ধতিকে বুঝায়। প্রথমতঃ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও অর্থের বিনিময়ে জমি গ্রহণ করে তাতে চাষাবাদ করে জমি মালিককে ফিরত দেয়া। দ্বিতীয়তঃ জমির মালিক কারো কাছে জমি রেখে পরিমাণমত টাকা নেয়। জমির মালিক ঋণকৃত সম্পূর্ণ টাকা ফিরত দিলে মালিককে জমি ফেরত দেয়া হয়। এর মাঝে কেটে যাওয়া সময়ে টাকার মালিক জমিটা ভোগ করে, যা সূদের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং এটা বৈধ নয়, বরং হারাম। তবে গ্রামে-গঞ্জে চালু থাকা প্রথম প্রকার জায়েযের ব্যাপারে আলেমদের মাঝে কোন দ্বিমত নেই, যাকে অনেকে খাই-খালাসী বলে থাকে। ইবনু কুদামা আল-মাক্বদেসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যদিও ঋণগ্রহীতা ঋণদাতাকে জমি চাষের ব্যাপারে অনুমতি দেয় আর তা যদি ঋণের জন্যই হয়ে থাকে, তাহলে ঋণদাতা চাষাবাদ করতে পারবে না। কারণ ঋণের উপর সে চলমান কোন উপকার নিচ্ছে- যা স্পষ্ট হারাম (আল-মুগনী, ৯ম খণ্ড, পৃ. ২৪৩)।
প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, দিনাজপুর।