উত্তর : ‘মাযহাব’ আরবী শব্দ। এর অর্থ চলার পথ। শরী‘আতে ‘মাযহাব’ একটিই। সেটা হল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পথ, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ (সূরা আল-আন‘আম : ১৫৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১৪২; মিশকাত, হা/১৬৬ ও ১৬৫, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ, সনদ হাসান)। এছাড়া দ্বিতীয় কোন মাযহাব নেই। যে সমস্ত মাযহাব মুসলিম সমাজে প্রচলিত আছে তার সবই স্বর্ণ যুগের বহু পরে সৃষ্ট। যেমন- শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (১১১৪-১১৭৬ হি./১৭০৩-১৭৬২ খ্রি.) (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা’র মধ্যে লিখেছেন, ‘৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বে কোন মুসলিম নির্দিষ্টভাবে কোন একজন বিদ্বানের মাযহাবের তাক্বলীদের উপরে সংঘবদ্ধ ছিল না’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ, ১/১৫২-৫৩, ‘চতুর্থ শতাব্দী ও তার পরের লোকদের অবস্থা বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ)। মাযহাব না মানলে কেউ কাফের হবে না, বরং এ সমস্ত মাযহাব প্রত্যাখ্যান করার জন্যই রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬০৬; মিশকাত, হা/৫৩৪২)। মুসলিম মাত্রই স্বাধীনভাবে কেবল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর আমল করবে। এছাড়া কোন মাযহাব বা তন্ত্রের অনুসরণ করতে পারে না। যেমন ৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বের কোন মানুষ মাযহাবের অনুসারী ছিলেন না। প্রসিদ্ধ মাযহাব ৪টি। তবে আরও অসংখ্য মাযহাব রয়েছে।
প্রশ্নকারী : মুত্তালিব, সিরাজগঞ্জ।