শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মসজিদে বা মসজিদের আঙ্গিনায় ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি খেলা জায়েয নয়। এতে মসজিদের সম্মান ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট হয়। আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) জনৈক বেদুঈন ব্যক্তিকে বলেছিলেন,

إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ، وَلَا الْقَذَرِ إِنَّمَا هِيَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَالصَّلَاةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ

‘এটা হল ‘মাসজিদ। এখানে পেশাব করা কিংবা ময়লা আবর্জনা ফেলা যায় না। বরং এ হল আল্লাহর যিকর করা, ছালাত আদায় করা এবং কুরআন পাঠ করার স্থান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৫)। ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘সুউচ্চ করার অর্থ আল্লাহ তা‘আলা মসজিদসমূহে অনর্থক কাজ ও কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেছেন। হাসান বসরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, رِفْعُ مَسَاجِدَ বলে মসজিদসমূহের সম্মান, ইযযত ও সেগুলোকে নাপাকী ও নোংরা বস্তু থেকে পবিত্র রাখা বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ত্বাবারী, ইবনু কাছীর, তাফসীরে কুরতুবী দ্রষ্টব্য.)।

উল্লেখ্য যে, হাবশার কয়েকজন ব্যক্তি ঈদের দিন মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় খেলাধুলা করেছেন মর্মে বর্ণিত হাদীছ (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯২) দ্বারা যারা মসজিদে খেলাধুলা করার বৈধতা প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তাদের বুঝটা সঠিক নয়। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘ঐ সমস্ত হাবশী যারা ঈদের দিন তাদের অস্ত্র দ্বারা রাসূল (ﷺ)-এর মসজিদে নববীতে যুদ্ধের কলাকৌশল দেখাচ্ছিলেন। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের যুদ্ধের কলাকৌশলে পারদর্শী এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছিলেন। নিঃসন্দেহে এটি উত্তম কাজ। কেননা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা, তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা, অস্ত্র চালনায় নিজেকে পারদর্শী করা এবং যখন জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বানকারী আহ্বান করবেন, তখন এর মাধ্যমে উপকৃত হওয়া অবশ্যই ইসলামের অপরিহার্য কর্মসমূহের মধ্যে একটি। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের মোকাবিলার) জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সুসজ্জিত অশ্ব প্রস্তুত রাখ এবং এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর শত্রু তথা তোমাদের শত্রুকে সন্ত্রস্ত করবে...’ (সূরা আল-আনফাল: ৬০)। পক্ষান্তরে নিছক খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বা আনন্দ-বিনোদনের জন্য মসজিদে কোন প্রকারের খেলাধুলা জায়েয নয়। কেননা এ ধরণের কোন খেলাধুলার প্রমাণ না রাসূল (ﷺ) থেকে পাওয়া যায়, আর না ছাহাবীদের থেকে (ফাতাওয়া আল-লাজনাস আদ-দায়িমাহ, ৬/৩০৮-৩১০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ ফিরোজ মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ।





প্রশ্ন (৯) : সিজদায় কুরআনে বর্ণিত দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : সমস্ত মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার মত কোন দু‘আ আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, মৃত স্বামী বা স্ত্রীকে দেখতে ও গোসল করতে দেয়া হয় না। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : তারাবীহ-এর জামা‘আতে বিতরের ছালাতে ইমামের সশব্দে দু‘আ কূনূত পাঠ করা এবং মুক্তাদীগণের আমীন বলার কি কোন প্রমাণ আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : এ্যানিমেশন কার্টুন দেখা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রাসূল (ﷺ) তাঁর মায়ের কবরের পার্শ্বে গিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করলে আল্লাহ তাকে জীবিত করে দেন। অতঃপর রাসূল (ﷺ)-এর উপরে ঈমান আনেন মর্মে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? অনুরূপভাবে নবীজীর ‘পিতা-মাতা’ উভয়ের ঈমান আনার যে বর্ণনা প্রচলিত আছে, সেগুলো ছহীহ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : আট বছর বয়সে শিশু মারা গেলে তার কি গোসল দিতে হবে ও তার জানাযার ছালাত পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : বিকাশ, রকেট, নগদ বা এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এইচ.আর কিংবা এজেন্ট হিসাবে কাজ করা জায়েয কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : এক ওয়াক্ত ছালাত ক্বাযা করলে এবং পরে পড়ে নিলেও ২ লক্ষ ৮৮ বছর জাহান্নামে থাকতে হবে (ফাযায়েলে নামায, পৃ. ১১৬)। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : খতম তারাবীহ কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭): গাযওয়াতুল হিন্দ কখন সংঘটিত হবে? না-কি সেটা সংঘটিত হয়ে গিয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আহলে কিতাবদের যব্হ করা খাবার খাওয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ