বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত দু‘আ রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পড়েছেন মর্মে প্রচার করা হলেও এর কোন সনদ পাওয়া যায় না (তাখরীজু আহাদীছিল ইহইয়া হা/৮৭৩)। অতএব নির্দিষ্টভাবে মানুষের বানানো দু‘আ পড়া যাবে না। বরং হাদীছে বর্ণিত দু‘আ পাঠ করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিম্নের দু‘আ পাঠ করতেন-

سُبْحَانَكَ  وَبِحَمْدِكَ لَا إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা ওয়া বিহাম্দিকা লা ইলা-হা ইল্লা আংতা আস্তাগ্ফিরুকা ওয়া আতূবু ইলায়কা।
অর্থ : ‘পবিত্রতা সহ আপনার প্রশংসা বর্ণনা করছি। আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করছি’ (ইমাম নাসাঈ, আল-কুবরা হা/১০১৪০; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ হা/৩০৮, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩১৬৪; দ্রঃ নাসাঈ (বৈরুত : দারুল মা‘আরিফাহ ১৯৯৭), হা/১৩৪৪-এর টীকা দ্রঃ, পৃঃ ৩/৮১)।

উল্লেখ্য, কুরআন তেলাওয়াত শেষে ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ (صَدَقَ اللهُ الْعَظِيْمُ) বলার যে প্রথা সমাজে প্রচলিত আছে, তার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। মুহাদ্দিছ উলামায়ে কেরাম এই প্রথাকে বিদ‘আত বলেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/১৪৯ পৃঃ, ফৎওয়া নং ৩৩০৩; ফাতাওয়া উছায়মীন ৩৯/১-৬ পৃ.)।

অনুরূপ কুরআন মাজীদ খতম করার পর সূরা ফাহিতা ও বাক্বারার শুরু থেকে ‘মুফলিহূন’ পর্যন্ত পড়ার যে নিয়ম চালু আছে, তারও ছহীহ কোন দলীল নেই (তিরমিযী হা/২৯৪৮; ই‘লামুল মুয়ক্কেঈন, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৯)। সেই সাথে কুরআন মাজীদের শেষে ‘দু‘আউ খতমিল কুরআন’ নামে যে সমস্ত নির্দিষ্ট দু‘আ কুরআনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোরও কোন ভিত্তি নেই (গুনইয়াতুত ত্বালেবীন ৩/২৯৬-৩১৫ পৃঃ; সিলসিলাহ যঈফাহ হা/৬১৩৫)। এ সমস্ত বিদ‘আতী দু‘আ পাঠ করা যাবে না (ফাতাওয়া শায়খ বিন বায ৬/২৯৪)। অনুরূপ মৃত ব্যক্তি বা অন্য কারো উপর বখশানোরও কোন দলীল নেই। এটাও একটি বিদ‘আতী প্রথা।

মোটকথা হল, কুরআন খতমের পর আনুষ্ঠানিক কোন দু‘আ বা আয়োজন সম্পর্কে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আমল পাওয়া যায় না। কোন কোন ছাহাবী থেকে দু‘আ করার কথা পাওয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট কোন দু‘আ নয় (শু‘আবুল ঈমান হা/১৯০৭)। তাই কুরআন মাজীদ খতমের পর সৎ আমল হিসাবে অসীলা করে আল্লাহ্র কাছে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং মুসলিম উম্মাহ্র দু‘আ করতে পারে, রহমত ও ক্ষমা চাইতে পারে (ছহীহ বুখারী হা/৫৯৭৪; রওযাতুল মুহাদ্দিছীন হা/৪৬৬১)। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতা, আয়োজন বা বখশানোর কোন সুযোগ নেই।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম, উত্তরা, ঢাকা।




প্রশ্ন (১৯) : ‘ষাট বছরের জীবনে কেউ এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দিলেও সে কাফের’। সালাফদের থেকে এরকম কোন বক্তব্য পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ত্বালাক্বপ্রাপ্তা স্ত্রীকে অন্যের কাছে রেখে হালালা করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : হিন্দুদের শাখা ধোয়া পানি খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : কোন্ ধরণের ইমামের পিছনে ছালাত হবে না? পাড়ার ইমাম আমলগত বিদ‘আত করে এমন ইমামের বেতন ভাতার জন্য দান করা করা যাবে কি? আবার বাইরে কোথাও গেলে আমি ইমামের আক্বীদা সম্পর্কে জানি না, তখন কী করব? একাই ছালাত আদায় করব, না-কি জামা‘আতে ঐ ইমামের সাথে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৩) : কোন্ কোন্ সময় সালাম দেয়া নিষিদ্ধ এবং অপসন্দনীয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : ছিয়াম ভঙ্গের কারণগুলো কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : মানুষ বা পশু-পাখির কার্টুন ব্যবহার করে কোন শিক্ষা প্রদান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জুমু‘আর খুৎবাহ বসে বসে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : প্রত্যেক রফউল ইয়াদাইনে ১০টি করে নেকী লাভ হয় সংক্রান্ত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ছেলে যদি তার টাকা বা স্ত্রীর স্বর্ণালংকারের উপর যাকাত না দেয়, তাহলে বাবাকে কি তাদের পক্ষ থেকে যাকাত দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা কি হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ