উত্তর : ইসলাম শর্তসাপেক্ষে কিছু খেলাকে জায়েয করেছে। ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন প্রত্যেক খেলা-ধূলা, যা শারীরিকভাবে কোন ক্ষতিসাধন করে না এবং ধর্মীয় কাজেও কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, তা বৈধ’ (আল-মুগনী, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ১৫৭)। এই অনুমতি শুধু সাময়িক বৈধ বিনোদনের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যদি কেউ খেলা-ধূলাকেই বা বিনোদনকেই জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানিয়ে নেয় এবং এটাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে, তখন তা হালাল বা বৈধ থেকে হারাম বা মাকরূহের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যেমন নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
وَكُلُّ شَيْءٍ يَلْهُوْ بِهِ الرَّجُلُ بَاطِلٌ إِلَّا رَمْيَهُ بِقَوْسِهِ وَتَأْدِيْبَهُ فَرَسَهُ وَمُلَاعَبَتَهُ امْرَأَتَهُ.
‘এমন প্রত্যেক জিনিস যা মানুষকে উদাসীন ও দ্বীন বিমুখ করে তোলে, তা পরিত্যাজ্য। শুধু তীরন্দাজী করা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং নিজ স্ত্রীর সাথে প্রেম বিনিময় করা ব্যতীত’ (দারিমী, হা/২৪৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩০০,১৭৩৩৭ ‘শুআইব আল-আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, সমস্ত তথ্য ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই হাদীছটি হাসান পর্যায়ের)।
ইমাম শাত্বিবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন খেলা-ধূলা, যা নিষিদ্ধের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নিষিদ্ধকরণের কোন কারণও সংঘঠিত হয়নি, তা মুবাহ বা অনুমোদনযোগ্য। কিন্তু এটি নিন্দিত কাজ। আলেমগণ এর উপর সন্তুষ্ট নন। বরং তাঁরা এটা অপসন্দ করেন যে ‘কোন একজন ব্যক্তি সামাজিক ও মানবিক সংস্কারমূলক কাজে নিয়োজিত না হয়ে, তার মূল্যবান সময় এমন একটি কাজে ব্যয় করে, যার মধ্যে ইহকাল ও পরকালের জন্য কোন কল্যাণ নেই’ (আল-মুওয়াফাক্বাত, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৪-২০৫)। সুতরাং কোন মুসলিমের জন্য এটা কখনই শোভনীয় নয় যে, সে তার অমূল্য ও বহুমুখী জীবনটাকে শুধু খেলা-ধূলার মাধ্যমে বিনষ্ট করে ফেলবে।
অতএব স্পোর্ট ডিপার্টমেন্টে কিছু সুবিধা থাকলেও একে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। কেননা তা নিন্দিত ও সন্দেহযুক্ত।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, গাজীপুর।