মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলাম শর্তসাপেক্ষে কিছু খেলাকে জায়েয করেছে। ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন প্রত্যেক খেলা-ধূলা, যা শারীরিকভাবে কোন ক্ষতিসাধন  করে না এবং ধর্মীয় কাজেও কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, তা বৈধ’ (আল-মুগনী, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ১৫৭)। এই অনুমতি শুধু সাময়িক বৈধ বিনোদনের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যদি কেউ খেলা-ধূলাকেই বা বিনোদনকেই জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানিয়ে নেয় এবং এটাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে, তখন তা হালাল বা বৈধ থেকে হারাম বা মাকরূহের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যেমন নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

وَكُلُّ شَيْءٍ يَلْهُوْ بِهِ الرَّجُلُ بَاطِلٌ إِلَّا رَمْيَهُ بِقَوْسِهِ وَتَأْدِيْبَهُ فَرَسَهُ وَمُلَاعَبَتَهُ امْرَأَتَهُ.

‘এমন প্রত্যেক জিনিস যা মানুষকে উদাসীন ও দ্বীন বিমুখ করে তোলে, তা পরিত্যাজ্য। শুধু তীরন্দাজী করা, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং নিজ স্ত্রীর সাথে প্রেম বিনিময় করা ব্যতীত’ (দারিমী, হা/২৪৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩০০,১৭৩৩৭ ‘শুআইব আল-আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, সমস্ত তথ্য ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই হাদীছটি হাসান পর্যায়ের)। 

ইমাম শাত্বিবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন খেলা-ধূলা, যা নিষিদ্ধের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নিষিদ্ধকরণের কোন কারণও সংঘঠিত হয়নি, তা মুবাহ বা অনুমোদনযোগ্য। কিন্তু এটি নিন্দিত কাজ। আলেমগণ এর উপর সন্তুষ্ট নন। বরং তাঁরা এটা অপসন্দ করেন যে ‘কোন একজন ব্যক্তি সামাজিক ও মানবিক সংস্কারমূলক কাজে নিয়োজিত না হয়ে, তার মূল্যবান সময় এমন একটি কাজে ব্যয় করে, যার মধ্যে ইহকাল ও পরকালের জন্য কোন কল্যাণ নেই’ (আল-মুওয়াফাক্বাত, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৪-২০৫)। সুতরাং কোন মুসলিমের জন্য এটা কখনই শোভনীয় নয় যে, সে তার অমূল্য ও বহুমুখী জীবনটাকে শুধু খেলা-ধূলার মাধ্যমে বিনষ্ট করে ফেলবে।

অতএব স্পোর্ট ডিপার্টমেন্টে কিছু সুবিধা থাকলেও একে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। কেননা তা নিন্দিত ও সন্দেহযুক্ত।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, গাজীপুর।





প্রশ্ন (২৪) : কুরআনে বলা আছে, যারা জাহান্নামে যাবে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। কিন্তু ছহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, আল্লাহ এক সময় মুসলিম জাহান্নামীদেরকে মাফ করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তাহলে কি এই হাদীছটি কুরআনের ঐ আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : সকাল ও বিকালে যে ১০০ বার সুবহানাল্লা-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহী পাঠ করবে তাকে আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়া হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মহিলা চোখের ভ্রƒ উঠাতে ও কাটতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : মসজিদে প্রবেশের সময় এবং বের হওয়ার সময় উচ্চৈঃস্বরে সালাম দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কোন কাপড়ে ধর্মীয় প্রতীক বা মন্দিরের ত্রিভুজ আকৃতির ডিজাইন দেয়া কাপড়ের ব্যবসা করা হালাল হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছালাত অবস্থায় ওযূ নষ্ট হলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : দাজ্জালের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য জানিয়ে বাধিত করবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : জুমু‘আহ মসজিদে প্রথম জামা‘আতের পর আর জামা‘আত করা যাবে কি? পরের জামা‘আতে ইক্বামত দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৪) : কোন ব্যক্তির মেহমানের সঙ্গে বাড়ীর দরজা পর্যন্ত বের হওয়া কি সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : শরী‘আতের আলোকে ট্রাফিক আইন মেনে চলা কি যরূরী। বিশেষ করে সিগন্যালের বাতি যখন লাল থাকে এবং অপর দিকে কোন গাড়ি না থাকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : মহিলারা যদি তারাবীহর ছালাতে ইমামতি করে, তাহলে সরবে ক্বিরাআত পড়তে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : ‘হজ্জ ওমরাহকারী কিংবা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধকারী ছাড়া কেউ যেন সমুদ্রে ভ্রমণ না করে। কারণ সাগরের নীচে আগুন আছে। আর আগুনের নীচে সাগর আছে’। উক্ত হাদীছ কি ছহীহ? সফর করা সম্পর্কে ইসলামে কী বলা হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ