উত্তর : ইচ্ছাকৃত ছালাত পরিত্যাগ করা নিঃসন্দেহে কুফুরী। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছাহাবীগণ আমল সমূহের মধ্যে কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফুরী বলতেন না, ছালাত ব্যতীত (তিরমিযী হা/২৬২২, ২/৯০ পৃ.; মিশকাত হা/৫৭৯, পৃ. ৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩২, ২/১৬৪ পৃ., সনদ ছহীহ)। অলসতা ও অবহেলায় কোন মুসলিম নামধারী যদি ছালাত আদায় না করে, তাহলে উক্ত অপরাধের কারণে জাহান্নামে যাবে। শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহর দয়ায় কালেমা ত্বাইয়েবার বরকতে মুক্তি পাবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে (ইবনু মাজাহ হা/৬০, পৃ. ৭, সনদ ছহীহ)। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত ছেড়ে দিলে বা অস্বীকার করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে (শায়খ আলবানী, হুকমু তারিকিছ ছালাহ, পৃৃ. ৬)। দীর্ঘদিন ছালাত পরিত্যাগকারীর জন্য করণীয় হল- দ্রুত খালেছ অন্তরে তওবাহ করতে হবে এবং আমলে মনোযোগী হতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবাহ কবুল করবেন, যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবাহ করে; এরাই হল সেসব লোক, যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে। এমনকি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে, আমি এখন তওবাহ করছি’ (সূরা আন-নিসা : ১৭-১৮)। এখানে ‘অজ্ঞতাবশত’ বলতে এমন নয় যে, এটা যে গুনাহের কাজ সে জানতই, বরং এর অর্থ হল- সে হারাম জানার পরেও ‘ভুলক্রমে’ কাজটি করে ফেলেছে (সূরা ইউসুফ : ৮৯, ৩৩; তাফসীর ইবনু কাছীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৫; রওয়া‘ঈ তাফসীরে ইবনে রজব, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২১)।
উল্লেখ্য যে, উমরী ক্বাযা নামে জীবনের না পড়া ছালাতগুলো পুনরায় পড়ার যে পদ্ধতি সমাজে চালু আছে তা কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়; বরং এটি একটি বিদ‘আতী প্রথা।
প্রশ্নকারী : আবুল হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।