রামাযানের মাসআলা
-আল-ইখলাছ ডেস্ক
>> নিয়ত : নিয়ত অর্থ, মনন করা বা সংকল্প করা। তাই মনে মনে ছিয়ামের নিয়ত করবে।[১] মুখে আরবীতে নিয়ত পড়ার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পড়া বিদ‘আত।
>> সাহারীর আযান :
(ক) রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘বেলাল রাত্রে আযান দিলে তোমরা খানাপিনা কর, যতক্ষণ ইবনু উম্মে মাকতূম ফজরের আযান না দেয়’।[২] সাহারীর সময় জাগানোর জন্য আযান ব্যতীত মাইকে ইসলামী গযল, জাগরণী, কুরআন তেলাওয়াত, বক্তব্য, সাইরেন বাজানো কোনকিছুই জায়েয নয়। এগুলো সবই বিদ‘আত।[৩]
(খ) রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘খাদ্য বা পানির পাত্র হাতে থাকা অবস্থায় তোমাদের মধ্যে যদি কেউ আযান শুনে, তবে সে যেন প্রয়োজন পূরণ না করে পাত্র না রেখে দেয়’।[৪]
(গ) অপবিত্র ব্যক্তি সাহারীর পূর্বে গোসল করতে না পারলেও সাহারী খাবে এবং ছিয়াম রাখবে। পরে গোসল করবে এবং ফজরের ছালাত আদায় করবে।[৫]
(ঘ) অনেকে সাহারী খাওয়ার পরই ফজরের ছালাত পড়ে ঘুমিয়ে যায়। অথচ ফজরের সময় হওয়ার পূর্বে ছালাত পড়া যাবে না।[৬] সাহারীর সময় শেষ হওয়ার পর ছালাত আদায় করতে হবে।
>> ইফতার :
(ক) ইফতারের শুরুতে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন দু‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তাই সাধারণ দু‘আ হিসাবে ইফতারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে।[৭] আর ‘আল্লা-হুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা আফতারতু’ মর্মে প্রসিদ্ধ দু‘আটি যঈফ।[৮] অনুরূপ ‘আল্লা-হুম্মা ছুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু ‘আলা রিযক্বিকা… নামে প্রচলিত দু‘আটি ভিত্তিহীন। আর ইফতার শেষে বলবে, ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ ا للّٰہُ উচ্চারণ : ‘যাহাবায যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ’। অর্থ : ‘পিপাসা দূরীভূত হল, শিরাগুলো সঞ্জীবিত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কার নির্ধারিত হল’।[৯] তবে সাধারণ দু‘আ হিসাবে শেষে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ও বলা যাবে।[১০]
(খ) রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ مِنْ هَاهُنَا وَأَدْبَرَ النَّهَارُ مِنْ هَاهُنَا وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ ‘পূর্ব দিক থেকে যখন রাত এসে যাবে ও পশ্চিম দিক থেকে যখন দিন চলে যাবে এবং সূর্য ডুবে যাবে, তখন ছায়েম ইফতার করবে’।[১১] রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘দ্বীন চিরদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা ইফতার তাড়াতাড়ি করবে। কারণ ইহুদী-খ্রিস্টানরা ইফতার দেরীতে করে’।[১২]
(গ) ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত করার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। এটি বিদ‘আতী প্রথা। বরং প্রত্যেক ছায়েম নিজ নিজ দু‘আ করবে।[১৩] সেই সাথে একজন দু‘আ পড়বে আর অন্যরা আমীন আমীন বলবে এরও কোন দলীল নেই। ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দু‘আ কবুল হয় মর্মে যে হাদীছটি প্রচলিত আছে, তা যঈফ।[১৪] তবে এই অল্প সময় নয়, বরং ছুবহে ছাদিক্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরো সময়টাই ছিয়াম পালনকারীর জন্য দু‘আ কবুলের সময়।[১৫] তাই শুধু ইফতারের পূর্বমুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। সারাদিনই আল্লাহ কাছে দু‘আ করতে পারবে।
(ঘ) মৃত ব্যক্তির নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে না। কারণ মৃত ব্যক্তির নামে যেটা প্রদান করা হয়, তা ছাদাক্বা। আর ছাদাক্বা সবাই খেতে পারে না।[১৬] তাই অসহায়, মিসকীন, ইয়াতীম ও দরিদ্রদেরকে দিবে।
## সতর্কতা : অধিকাংশ সময়সূচীতে সূর্যাস্তের মূল সময়ের সাথে আরো অতিরিক্ত ৩ কিংবা ৪/৫ মিনিট বৃদ্ধি করা হয়। মূলত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এই কাজটি করে আবহাওয়া বিভাগের মাধ্যমে সারা দেশে প্রচার করে। আর সেই ত্রুটিপূর্ণ সময়ই রেডিও, টিভি, পেপার-পত্রিকা ও দেশের মসজিদগুলো অনুসরণ করে থাকে। এ জন্য পত্রিকাগুলোতে ইফতারের সময় আর সূর্যাস্তের সময় পৃথকভাবে দেয়া থাকে। অথচ সূর্যাস্তের সময়ই ইফতারের সময়।[১৭] তাই সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করবে এবং ত্রুটিপূর্ণ সময়সূচী বর্জন করবে।
>> ছালাতুত তারাবীহ :
(ক) ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ সকলেই ৮ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন। আবু সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একদা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রামাযানের রাতের[১৮] ছালাত কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বলেন, তিনি রামাযান মাসে এবং রামাযানের বাইরে ১১ রাক‘আতের বেশী ছালাত আদায় করতেন না। তিনি প্রথমে (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি (আবু সালামা) তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি তিন রাক‘আত পড়তেন।[১৯]
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ شَهْرِ رَمَضَانَ ثَمَانَ رَكْعَاتٍ وَأَوْتَرَ .. رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَابْنُ حِبَّانَ فِىْ صَحِيْحَيْهِمَا
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে আমাদের সাথে ৮ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন এবং বিতর পড়েছেন..।[২০]
(খ) ২০ রাক‘আত তারাবীহর পক্ষে যে বর্ণনা এসেছে, তা মুহাদ্দিছগণের নিকট যঈফ ও জাল। উক্ত বর্ণনায় ইবরাহীম ইবনু ওছমান নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী রয়েছে।[২১]
(গ) তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পৃথক ছালাত এবং তাহাজ্জুদ ৮ রাক‘আত, আর তারাবীহ ২০ রাক‘আত মর্মে যে কথা প্রচলিত আছে, তা সঠিক নয়। ২০ রাক‘আত তারাবীহকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য মাত্র কিছুদিন পূর্ব থেকে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী আলেম উক্ত উদ্ভট অপব্যাখ্যা করছেন। মূলত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই ছালাত। এ জন্য মুহাদ্দিছগণ একই হাদীছ তাহাজ্জুদ অধ্যায়েও বর্ণনা করেছেন, তারাবীহ অধ্যায়েও বর্ণনা করেছেন।[২২]
(ঘ) ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ২০ রাক‘আত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ২০ রাক‘আতের উপর ইজমা হয়েছে মর্মে সমাজে যে কথা প্রচলিত আছে, তাও ভিত্তিহীন ও উদ্ভট। কারণ তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের আলোকে ১১ রাক‘আতই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২৩] (বিস্তারিত দেখুন : ‘তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ বই)।
(ঙ) তারাবীহর ছালাত জামা‘আতের সাথে পড়া সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) তারাবীহর ছালাত জামা‘আতে পড়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।[২৪]
(চ) তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করার পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ ছালাতে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করতেন।[২৫] সমাজে যে পদ্ধতিতে ‘খতম তারাবীহ’ পড়া হয় তা বিদ‘আত। এতে কুরআন ও ছালাতের উপর অত্যাচার করা হয়।
ছিয়াম ভঙ্গের কারণ :
(১) ইচ্ছাকৃতভাবে খানা-পিনা করা, বমি করা, সূর্যাস্তের পূর্বেই হায়েয-নিফাস শুরু হওয়া। এমনটি হলে কেবল ক্বাযা ওয়াজিব হয়।
(২) ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রী সহবাস করা। এতে ক্বাযা ও কাফফারা দু’টিই ওয়াজিব হবে। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই কাফফারা স্বরূপ একটানা দু’মাস ছিয়াম পালন করতে হবে অথবা ষাট জন মিসকীনকে খানা খাওয়াতে হবে।[২৬]
(৩) অসুস্থতা ও সফরের কারণে ছিয়াম ভঙ্গ করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে (সে ছিয়াম ভঙ্গ করে), সে অন্য দিনে তার ক্বাযা আদায় করে নিবে’।[২৭]
(৪) গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী নারী নিজের বা শিশুর জীবনের আশংকা করলে ছিয়াম ভঙ্গ করবে। সক্ষম হলে পরে পূরণ করে নিবে, অন্যথা ফিদইয়া দিবে।[২৮]
(৫) আল্লাহর পথে জিহাদে থাকার সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখা কিংবা শক্তি বৃদ্ধির জন্য ছিয়াম ভঙ্গ করা।[২৯]
উল্লেখ্য যে, (ক) ভুল করে খেলে বা পান করলে, অনিচ্ছায় বমি হলে, দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে ছিয়াম নষ্ট হয় না।[৩০] (খ) ছিয়াম অবস্থায় যেকোন সময় মিসওয়াক করা যায়। মিসওয়াক করা যাবে না মর্মে সমাজে যে কথা প্রচলিত আছে, তা সঠিক নয়। বরং কাঁচা হোক কিংবা শুকনা হোক যেকোন ডাল অথবা পেস্টযুক্ত ব্রাশ দ্বারা ছিয়াম অবস্থায় মিসওয়াক করা যাবে।[৩১] (গ) কোনকিছুর আঘাতে শরীর থেকে রক্ত বের হলে বা কাউকে রক্ত দিলে এবং রক্ত পরীক্ষা করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না।[৩২] (ঘ) ছিয়াম অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে ইনহেইলার গ্রহণ করা যাবে।[৩৩] অনুরূপ ছিয়াম অবস্থায় ইনজেকশন এবং ইনসুলিনও নেওয়া যাবে।[৩৪] কারণ এগুলো খাদ্য নয়।
>> ই‘তিকাফ :
(ক) ২০ রামাযান মাগরিবের পর ই‘তিকাফের জন্য তৈরি করা জায়গায় প্রবেশ করবে। কারণ রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। আর শেষের দশক শুরু হয় ২০ রামাযানের সূর্য ডুবার পর থেকে।[৩৫] শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে মাগরিবের পর ই‘তিকাফ থেকে বের হবে।[৩৬] উল্লেখ্য, যে হাদীছে ২১ তারিখে ফজরের পর ই‘তিকাফের জায়গায় প্রবেশের কথা বলা হয়েছে[৩৭], তার অর্থ হল- জনগণ থেকে সম্পূর্ণ একাকী হওয়া।[৩৮]
(খ) ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ শর্ত।[৩৯] বাড়িতে ই‘তিকাফ করার শারঈ কোন বিধান নেই। মহিলারাও পর্দার মধ্যে থেকে মসজিদে ই‘তিকাফ করবে। নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ মসজিদেই ই‘তিকাফ করতেন।[৪০] ই‘তিকাফ অবস্থায় মহিলারা ঋতুবতী হলে ই‘তিকাফ বাতিল হবে।[৪১]
(গ) কোন কোন এলাকায় ই‘তিকাফকারী ব্যক্তিকে ঈদের দিন সকালে মুছল্লীরা স্বাগত জানিয়ে মসজিদ থেকে বের করে ঈদ মাঠে নিয়ে যায়। এটা বিদ‘আত। বরং শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে মাগরিবের পর ই‘তিকাফ থেকে বের হয়ে আসবে।[৪২]
(ঘ) প্রচলিত আছে যে, সমাজের কেউ ই‘তিকাফ না করলে সবাই পাপী হবে। এ কথা ঠিক নয়। কারণ ই‘তিকাফ একটি সুন্নাত ইবাদত, যা করলে ছাওয়াব আছে, না করলে গোনাহ নেই।[৪৩] এটাকে ‘ফরযে কেফায়াহ’ বলারও কোন দলীল নেই।
>> ক্বদর রাত্রি জাগরণ :
(ক) ক্বদরের রাত্রির জন্য বিশেষ কোন ছালাতের কথা হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তাই অন্যান্য রাতের মতই ছালাত আদায় করবে। তবে ক্বদরের রাত্রিগুলোতে ছালাতকে বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত ও তাসবীহ-তাহলীলের মাধ্যমে দীর্ঘ করবে।[৪৪] এই রাতে ১১ রাক‘আতের বাইরে বেশী বেশী ছালাত আদায়ের কোন সুযোগ নেই।[৪৫]
(খ) শুধু ২৭-এর রাত্রে নয়, বরং ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এই পাঁচ রাত্রিতেই ক্বদর তালাশ করা সুন্নাত।[৪৬] উল্লেখ্য যে, মুসলিমে বর্ণিত যে হাদীছে ২৭ রামাযানের কথা এসেছে, তা একজন ছাহাবীর দাবী ও বিশ্লেষণ।[৪৭]
(গ) ক্বদরের রাত্রির আলামত সম্পর্কে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পরের দিন সকালে সূর্য উঠবে, কিন্তু তার কিরণের তেজ থাকবে না।[৪৮]
(ঘ) ক্বদরের দু‘আ : اللّٰہُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ উচ্চারণ : ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুববুন তুহিববুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী’। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা পসন্দ করেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’।[৪৯]
(ঙ) রামাযানের শেষ দশকের রাত্রিগুলোতে বক্তব্য ও খানার আয়োজন করা জায়েয নয়। এই রাত্রিগুলোতে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরাম দীর্ঘ সময় ধরে ছালাত আদায় করে অতিবাহিত করতেন।[৫০] তিনি শেষ দশকে ইবাদতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন।[৫১] বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করতেন, দু‘আ করতেন।[৫২]
>> জুম‘আতুল বিদা : রামাযানের শেষে জুম‘আকে বিদায়ী জুম‘আ হিসাবে পালন করা হয়। এটা বিদ‘আতী প্রথা। এর শারঈ কোন ভিত্তি নেই। এর পক্ষে যে সমস্ত ফযীলত বর্ণনা করা হয় সেগুলো সবই জাল।[৫৩]
>> যাকাতুল ফিতর :
(ক) প্রত্যেকে মাথাপিছু এক ছা‘ পরিমাণ খাদ্যবস্তু দ্বারা ফিতরা আদায় করবে।[৫৪] উল্লেখ্য যে, এক ছা‘ বর্তমানের হিসাবে আড়াই কেজি চাউলের সমান অথবা প্রমাণ সাইজ হাতের পূর্ণ চার অঞ্জলী চাউল।
(খ) টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে না। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মুদ্রার প্রচলন থাকা সত্ত্বেও তিনি খাদ্যবস্তু দ্বারা ফিতরা আদায় করেছেন।[৫৫] ইমাম মালেক ও ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, টাকা দিয়ে ফিতরা দিলে ফিতরা আদায় হবে না।[৫৬] তাই খাদ্যবস্তু দ্বারা ফিতরা দেয়াই সুন্নাত।
(গ) গম দ্বারা অর্ধ ছা‘ ফিৎরা দেয়ার যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ।[৫৭] মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) গমের অর্ধ ছা‘ ফিৎরা দেয়ার মত প্রকাশ করলে ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরীসহ অন্যান্য ছাহাবী মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ইজতিহাদী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ ও প্রথম যুগের আমলের উপরেই কায়েম থাকেন।[৫৮] তাই ইরাকী ছা‘ অনুযায়ী গমের অর্ধ ছা‘ ফিৎরা দেয়া যাবে না।
(ঘ) ছাদাক্বাতুল ফিতর বণ্টনের খাত হিসাবে হাদীছে মিসকীন ও ফক্বীরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[৫৯] তাই মিসকীন ও ফকীরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঈদের একদিন বা দুইদিন পূর্ব থেকে ঈদগাহে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সমাজের দায়িত্বশীলের কাছে ফিতরা জমা করা যাবে।[৬০] অতঃপর সুবিধামত বন্টন করবে।[৬১]
ছালাতুল ঈদায়েন
(ক) ঈদুল ফিতরের দিন সকাল থেকে তাকবীর পাঠ করবে।[৬২] তাকবীর হল
اَللہُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ لَا إِ لٰہَ إِلَّا اللهَ وَ اللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ وَ لِلهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : ‘আল্ল-হু আকবার আল্লা-হু আকবার লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হাম্দ’।[৬৩]
(খ) ১২ তাকবীরে ঈদের ছালাত আদায় করবে।[৬৪] ৬ তাকবীরের পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সরাসরি কোন স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। এর পক্ষে যা কিছু বলা হয়, সবই বিভিন্ন ব্যক্তির অভিমত, অপব্যাখ্যা, যঈফ ও মুনকার বর্ণনা।[৬৫]
(গ) ঈদায়নের ছালাত শেষে দাঁড়িয়ে একটি খুৎবা প্রদান করতে হবে।[৬৬]
(ঘ) পৃথকভাবে মহিলারা ঈদের জামা‘আত করতে পারবে না। বরং নারী-পুরুষ সকলেই ঈদগাহে ঈদের জামা‘আতে শরীক হবে। কেবল ঋতুবতী মহিলাগণ খুৎবা ও দু‘আয় শরীক হবে, ছালাত আদায় করবে না।[৬৭] তবে ঈদগাহে জায়গা না থাকলে মহিলারা পর্দার সাথে পৃথক ঈদের জামা‘আত করতে পারবে। তখন একজন পুরুষ ব্যক্তি তাদের ছালাত পড়িয়ে দিবে।[৬৮]
(ঙ) ঈদগাহে আসার জন্য মানুষকে আহ্বান করা শরী‘আত সম্মত নয়। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।[৬৯]
(চ) ঈদ মাঠে বা ঈদের দিন পরস্পর কোলাকুলি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং পরস্পরের সাক্ষাতে ‘তাক্বাববালাল্ল-হু মিন্না ওয়া মিংকা’ বলবে।[৭০]
(ছ) ঈদুল ফিতরের ছালাত আদায়ের পর পরিবারের সবাই মিলে কবর যিয়ারত করা যায়েয নয়। বরং যেকোন সময়, যেকোন দিনে কবর যিয়ারত করবে।[৭১]
(জ) ঈদের মাঠ আলোকসজ্জা করা, আগরবাতী জ্বালানো এবং ঈদের দিন পটকা ফোটানো, বাঁশি বাজানো, মেলায় যাওয়া জায়েয নয়। এগুলো বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ।[৭২]
(ঝ) ঈদ মাঠে মিম্বার নিয়ে যাওয়া যাবে না। ঈদ মাঠে মিম্বার নিয়ে যাওয়ার কোন দলীল পাওয়া যায় না।[৭৩]
(ঞ) ঈদগাহে ছালাত শেষে মুছল্লীদের নিকট থেকে ইমামের জন্য টাকা উঠানো জায়েয।[৭৪]
(ট) ঈদের দিন গান-বাজনা কিংবা পরিবারের সদস্যগণ টিভি-সিনেমার পর্দায় নোংরা চলচ্চিত্র দর্শন করে সময় অতিবাহিত করে, এটা হারাম। তবে বৈধ পন্থায় আনন্দ উল্লাস করতে পারবে।[৭৫]
তথ্যসূত্র :
[১]. আবূ দাঊদ, হা/২৪৫৪; মিশকাত হা/১৯৮৭, সনদ ছহীহ।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯১৯,; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯২; মিশকাত হা/৬৮০।
[৩]. ফাৎহুল বারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩৬, হা/৬২১-এর ব্যাখ্যা দ্র.।
[৪]. আবূ দাউদ, হা/২৩৫০; মিশকাত, হা/১৯৮৮।
[৫]. ছহীহ বুখারী হা/১৯৩১, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘অপবিত্র অবস্থায় ছিয়াম পালনকারীর সকাল হওয়া’ অনুচ্ছেদ-২২।
[৬]. সূরা আন-নিসা : ১০৩; আবু দাঊদ, হা/৫৩২, সনদ ছহীহ।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; মিশকাত, হা/৪১৫৯।
[৮]. যঈফ আবূ দাঊদ, হা/২৩৫৮ ।
[৯]. আবুদাউদ হা/২৩৫৭, ১/৩২১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৯৯৩।
[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৩৪।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬১৩; মিশকাত হা/১৯৮৫।
[১২]. আবূ দাউদ, হা/২৩৫৩; মিশকাত, হা/১৯৯৫, সনদ হাসান।
[১৩]. ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫২।
[১৪]. যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫৩।
[১৫]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৬৬১৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহা, হা/১৭৯৭; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৫২।
[১৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪৯৬।
[১৭]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৪; ছহীহ মুসলিম হা/২৬১৩; মিশকাত হা/১৯৮৫।
[১৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৩৮, ১/২৫৫ পৃঃ।
[১৯]. ছহীহ বুখারী, হা/২০১৩,; ছহীহ মুসলিম, হা/৭১৮।
[২০]. ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১০৭০; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৪০১ ও ২৪০৬, সনদ ছহীহ; মুওয়াত্ত্বা ১/১১৫.; মিশকাত, হা/১৩০২।
[২১]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ, হা/৭৭৭৪; বায়হাক্বী হা/৪৬১৫।
[২২]. ছহীহ বুখারী হা/২০১৩, ১১৪৭, ৩৫৬৯।
[২৩]. মুওয়াত্ত্বা, হা/৩৭৯; মিশকাত, হা/১৩০২।
[২৪]. তিরমিযী, হা/৮০৬; আবূ দাঊদ, হা/১৩৭৫; ইবনু আবী শায়বাহ ২/২৮৬ পৃ.; ছালাতুত তারাবীহ, পৃ. ১৪।
[২৫]. মুওয়াত্ত্বা, হা/৩৭৯; মিশকাত, হা/১৩০২; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ ৪/১৮৬ পৃ.।
[২৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৩৬; মিশকাত, হা/২০০৪।
[২৭]. সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১২১; ইরওয়াউল গালীল, হা/৯১২।
[২৮]. আবূ দাউদ, হা/২৪০৮।
[২৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১২০।
[৩০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৩৩, ৬৬৬৯; মিশকাত, হা/২০০৩; আবূ দাঊদ, হা/৪৩৯৮; মিশকাত, হা/৩২৮৭।
[৩১]. ছহীহ বুখারী, ১/২৫৯ পৃঃ, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়-৩০, ‘ছিয়াম অবস্থায় কাঁচা বা শুকনা মিসওয়াক ব্যবহার করা’ অনুচ্ছেদ-২৭।
[৩২]. দারাকুৎনী, হা/৭; বায়হাক্বী-সুনানুল কুবরা, হা/৮০০৮৬, সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, হা/৯৩২, ৪/৭২ পৃ.; ফাতাওয়া লাজনা, ৫/১৫৬ পৃ.।
[৩৩]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ১৫৪।
[৩৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৩৮; ইরওয়াউল গালীল, হা/৯৩২, ৪/৭২ পৃঃ; দারাকুৎনী, হা/৭; বায়হাক্বী-সুনানুল কুবরা, হা/৮০০৮৬, সনদ ছহীহ।
[৩৫]. ছহীহ মুসলিম হা/১১৭২,; মির‘আত, হা/২১২৪-এর আলোচনা দ্র.; ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১২০।
[৩৬]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১৭০।
[৩৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭২; মিশকাত, হা/২১০৪।
[৩৮]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১৭০।
[৩৯]. আবূ দাঊদ, হা/২৪৭৩, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২১০৬।
[৪০]. আবূ দাঊদ, হা/২৪৭৬, সনদ ছহীহ ।
[৪১]. ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৬।
[৪২]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১৭০।
[৪৩]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১২৬।
[৪৪]. তিরমিযী, হা/৮০৬; মিশকাত, হা/১২৯৮।
[৪৫]. ছহীহ বুখারী, হা/২০১৩।
[৪৬]. ছহীহ বুখারী, হা/২০১৭।
[৪৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭২৬, ১১৬৯; মিশকাত, হা/২০৮৮।
[৪৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭২৬, ১১৬৯; মিশকাত, হা/২০৮৮।
[৪৯]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৫০; মিশকাত, হা/২০৯১; তিরমিযী, হা/৩৫১৩।
[৫০]. আবূ দাঊদ, হা/১৩৭৫; মুওয়াত্ত্বা, ১/১১৫ পৃ.; মিশকাত, হা/১৩০২।
[৫১]. ছহীহ বুখারী, হা/২০২৪; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৬৭।
[৫২]. ছহীহ বুখারী, হা/৬; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৫০; মিশকাত, হা/২০৯১।
[৫৩]. ড. মুযাফফর বিন মুহসিন, জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছালাত (রাজশাহী : আছ-ছিরাত প্রকাশনী, ২য় সংস্করণ, ২০১৩), পৃ. ৩৭৬।
[৫৪]. ছহীহ বুখারী হা/১৫০৩-৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩২৯; মিশকাত, হা/১৮১৫, ১৮১৬।
[৫৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫০৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩২৫; মিশকাত, হা/১৮১৫-১৮১৬।
[৫৬]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ১৮তম খণ্ড, পৃ. ২৭৯।
[৫৭]. যঈফ আবূ দাঊদ, হা/১৬১৭।
[৫৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৯৮৫।
[৫৯]. আবূ দাঊদ, হা/১৬০৯; ইবনু মাজাহ, হা/১৮২৭; ফাৎহুল বারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৭৬।
[৬০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫১১, ১৫০৩।
[৬১]. ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১।
[৬২]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল (বৈরূত : ১৪০৫ হি./১৯৮৫ খ্রি.), ৩য় খণ্ড, পৃ. ১২৫।
[৬৩]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৫৬৯৭; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১২৫।
[৬৪]. আবূ দাঊদ, হা/১১৫১; ইবনু মাজাহ, হা/১২৮০; সনদ হাসান।
[৬৫]. বিস্তারিত দেখুন : ‘ছহীহ হাদীছের কষ্টিপাথরে ঈদের তাকবীর’ শীর্ষক বই।
[৬৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৯৭৮, (ইফাবা হা/৯২৭, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২১৮-১৯); ছহীহ মুসলিম, হা/৮৮৫; মিশকাত, হা/১৪২৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩৪৫, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ২১০।
[৬৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৫১, (ইফাবা হা/৩৪০, ১ম খণ্ড, পৃঃ ২০৬); মিশকাত, হা/১৪৩১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩৪৭, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ২১০-১১।
[৬৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৯৮৭-এর অনুচ্ছেদ-২৫ দ্রঃ।
[৬৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৮৬; মিশকাত, হা/১৪৫১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩৬৭, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ২১৭।
[৭০]. ফাৎহুল বারী, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৫৬৭, হা/৯৫১-এর আলোচনা দ্রঃ; সনদ হাসান, আলবানী, তামামুল মিন্নাহ, ৩৫৪-৫৫।
[৭১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২২৫৫, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩১৩; মিশকাত, হা/১৭৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৬৭৫, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ১০৪-১০৫।
[৭২]. আবূ দাঊদ, মিশকাত, হা/৪৩৪৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৪২৫৩, ৮ম খণ্ড, পৃঃ ২০৬।
[৭৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৯৫৬, (ইফাবা হা/৯০৮, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২০৯)।
[৭৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৮৯; মিশকাত, হা/১৪৫২।
[৭৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৯৫২।