প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান
- মূল : আব্দুল আযীয ইবনু রাইস আল-রাইস
- অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক্ব বিন আব্দুল ক্বাদির*
(৪র্থ কিস্তি)
তাবলীগ অনুসারীদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত বিজ্ঞ আলেমগণের ফাতাওয়াসমূহ
১). শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম (রাহিমাহুল্লাহ) : তাকে তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
وأَعرض لسموكم أَن هذه جمعية لا خير فيها، فانها جمعية بدعة وضلالة. وبقرائة الكتيبات المرفقة بخطابهم وجدناها تشتمل على الضلال والبدعة والدعوة إلى عبادة القبور والشرك الأَمر الذي لا يسع السكوت عنه. ولذا فسنقوم إن شاءَ الله بالرد عليها بما يكشف ضلالها ويدفع باطلها. ونسأَل الله أَن ينصر دينه ويعلي كلمته. والسلام عليكم ورحمة الله
‘আমি আপনাদের সমীপে উপস্থাপন করছি যে, উক্ত সংগঠনটির মাঝে কোন কল্যাণ নেই। কেননা ইহা একটি বিদ‘আত ও ভ্রষ্ট সংগঠন। আমরা তাদের বক্তৃতা সংযুক্ত বইগুলো পড়েছি। তাতে পেয়েছি যে, সেই বইগুলো ভ্রান্তি ও বিদ‘আতী বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করছে। তাছাড়াও তাতে কবর পূজা ও শিরকের দিকে আহ্বান করার বিষয়ও রয়েছে। ইহা এমন ব্যাপার যে, তার ব্যাপারে নীরব থাকার কোন সুযোগ নেই। এই কারণে ইনশাআল্লাহ আমরা অচিরেই এমনভাবে তার প্রতিবাদ করব যে, তার গোমরাহী ফাঁস করে দিবে এবং তার মিথ্যাকে প্রতিহত করব। আল্লাহর নিকট তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করা ও তার কালেমাকে সমুন্নত করার জন্য প্রার্থনা করছি। ওয়াস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’।[১]
জ্ঞাতব্য : শাইখ হামুদ আত-তুয়াইজুরী (রাহিমাহুল্লাহ) অবহিত করেছেন যে, তাবলীগ অনুসারীরা হল সত্যকে সন্দেহ পূর্ণকারী ও প্রতারক দল। কারণ তারা শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট তাদের বিষয়টি গোপন করে। তখন তিনি তাদের সমর্থনে ফৎওয়া প্রদান স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। তখন তিনি তাদেরকে বিদ‘আত ও গোমরাহপন্থী বলে আখ্যা দেন। আহলে ইমামগণের সাথে এই হল তাদের অবস্থা তবে এই পন্থায় তারা সফল ও সক্ষম হয়নি।[২] শাইখ হামুদ (রাহিমাহুল্লাহ) তিনি সত্যবাদী। তিনি সত্য তথ্য প্রদান করেছেন।
মুহাম্মাদ শারকাবী (রাহিমাহুল্লাহ) এই বিষয়টিকে আরো পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ‘আলেমগণের সাথে বিশেষভাবে সাক্ষাৎ করা তাবলীগ অনুসারীদের কার্যক্রমের মধ্যে শামীল। সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত ‘আলেমের সামনে তারা নিজেদেরকে এই ভাবে উপস্থাপন করে যে, তিনি নির্দেশ করলে তারা তার নির্দেশ পালন করে। ফলে তিনি তাদের প্রতি আস্থাশীল হন এবং পরবর্তীতে তিনি তাদের সমর্থক হয়ে যান। আর তাদের সম্পর্কে অবগত নন এমন কিছু ‘আলেম ও শিক্ষার্থীদের নিকট তাদের কার্যকলাপের প্রতারণার গোপন রহস্য ধরা পড়ে গেছে। সুতরাং সাবধান থাকুন’।[৩]
২). শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) : তাকে তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
وجماعة التبليغ عندهم جهل وعندهم عدم بصيرة وإلا عندهم تحمس. ثم قال : ما عندهم بصيرة في العقيدة، ولا ينبغي الانضمام إليهم إلا إنسان عنده علم ينضم إليهم ليوجههم، وليكون معهم في إيضاح الحق أما عامة الناس، لا
‘তাবলীগ জামা‘আতের মাঝে অজ্ঞতা রয়েছে, বুদ্ধিমত্তা নেই। তবে তারা অনেক উৎসাহী। তিনি বলেন, আক্বীদা সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই। সুতরাং তাদের নিকট সত্য প্রকাশের জন্য বা বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য শুধু জ্ঞানী ব্যক্তিই তাদের সাথে মিলিত হতে পারবেন। নতুবা আম সাধারণ তাদের সাথে মিলিত হওয়া উচিত নয়। তিনি আরো বলেন,
وإلا عندهم حماس وصبر، ونفع الله بهم في أشياء، وأسلم على أيديهم أناس، وإلا ما عندهم بصيرة في العقيدة، ثم أمر بتعلم العلم للموثوقين كابن كثير وابن تيمية وابن القيم وابن رجب وأئمة الدعوة والدرر السنية وفتح المجيد، ثم نهى عن الانضمام لجماعة التبليغ والإخوان المسلمين. ثم ذكر أنه ليس عند جماعة التبليغ دعوة للعقيدة لذا كثر أتباعهم
‘তাদের দাওয়াতী কাজে বেশ আগ্রহ ও ধৈর্য রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা অনেক কিছুতে তাদের মাধ্যমে কল্যাণ সাধন করেছেন। তাদের হাতে অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণও করেছেন। তবে সমস্যা হল তাদের নিকট আক্বীদা সম্পর্কে জ্ঞান নেই। অতঃপর তিনি নির্ভরযোগ্য আলেমগণের ইলম শিক্ষার জন্য নির্দেশ দেন। যেমন ইবনু কাছীর, ইবনু তাইমিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, ইবনু রজব এবং অন্যান্য দা‘ওয়াত দানে বিজ্ঞ ইমামগণের কাছ থেকে। সাথে সাথে আদ্-দুরারুস সানিয়্যা ও ফাৎহুল মাজীদ কিতাবদ্বয় পড়ার কথা উল্লেখ করেন এবং তিনি তাবলীগ জামা‘আত ও ইখওয়ানুল মুসলিমীন এই দু’টি দলের সদস্য হওয়া থেকে নিষেধ করেন। অতঃপর তিনি আরো একটি তথ্য উল্লেখ করেছেন যে, তাবলীগ জামা‘আত আক্বীদার দাওয়াত না দেয়ার কারণেই তাদের অনুসারী বেশী হয়’।[৪] তিনি আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন,
لا يصح التعصب والتحزب لجماعة التبليغ ولا الإخوان المسلمين. أما الانتساب إليهم، لا، ولكن زيارتهم للصلح بينهم والدعوة إلى الخير وتوجيههم للخير ونصيحنهم لا بأس
‘তাবলীগ জামা‘আত ও ইখওয়ানুল মুসলিমদের পক্ষাবলম্বন করা বা দল গঠন করা সঠিক নয়। নিজেকে তাদের দিকে সম্বন্ধ করাও উচিত নয়। তবে বিবাদ-মিমাংসা, তাদেরকে কল্যাণের দিক-নির্দেশনা দেয়া এবং দা‘ওয়াত ও নছীহাতের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করাই কোন দোষ নেই’।
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী, سَتَفْتَرِقُ أُمَّتِىْ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِيْنَ فِرْقَةً كُلُّهَا فِى النَّارِ إِلَّا وَاحِدَةً ‘আমার উম্মত অচিরেই তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে তাদের সবগুলোই জাহান্নামে যাবে। তবে একটি দল নয়’।[৫] এই হাদীছের আলোকে উম্মতের বিভক্তির ব্যাপারে শাইখ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তাবলীগ জামা‘আতের মাঝে অনেক শিরক ও বিদ‘আত বিদ্যমান আছে এবং ইখওয়ানুল মুসলিমীন দলটির মাঝে দলীয়করণ, শাসকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি ও তাদের আনুগত্য না করার নীতি বিদ্যমান আছে। সুতরাং এই দু’টি দল কি ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই ফের্ক্বার অন্তর্ভুক্ত হবে? তিনি উত্তরে বলেন,
تدخل في الثنتين والسبعين، من خالف عقيدة أهل السنة دخل في الثنتين والسبعين، المراد "امتي" أي أمة الإجابة، أي استجابوا له وأظهروا اتباعهم له، ثلاث وسبعين فرقة : الناجية السليمة التي اتبعته واستقامت على دينة، واثنتان وسبعون فرقة: فيهم الكافر، وفيهم العاصي، وفيهم المبتدع، أقسام
‘তারা বায়াত্তর ফের্ক্বার মাঝে অন্তর্ভুক্ত হবে। যে কেউ আহলুস সুন্নাহ এর আক্বীদার বিরোধিতা করবে সেই বায়াত্তর ফের্ক্বার অন্তর্ভুক্ত হবে। হাদীছের মাঝে (أُمَّتِىْ) শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হল- তার ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং নিজেদেরকে তার অনুসারী হিসাবে প্রকাশ করে তারাই তিয়াত্তরটি দল হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত সঠিক দলটি হল যা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করে ও তাঁর দ্বীনের উপর অবিচল থাকে। পক্ষান্তরে বায়াত্তর দল তাদের মাঝে কাফের, অবাধ্য, বিদ‘আতপন্থী ও আরো বহু প্রকার রয়েছে’।
অতঃপর প্রশ্নকারী বললেন, তবে কি এই দু’টি দল বায়াত্তর দলের আওতাভুক্ত? তখন তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ বায়াত্তর দলের অন্তর্ভুক্ত। মুরজিয়া, খারিজিয়া ও আরো অনেকেই। কোন কোন বিদ্যান মনে করলেও বায়াত্তর দলের মাঝে অন্তর্ভুক্ত মনে করে।
জ্ঞাতব্য : শাইখ বায (রাহিমাহুল্লাহ)-এর পূর্বের ফৎওয়াগুলোর মাঝে তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে প্রশংসামূলক আলোচনা ছিল। অতঃপর পরবর্তীতে তিনি আর কখনো তাদের প্রশংসা করেননি। তার পরবর্তী ফৎওয়াগুলোর মাঝে তিনি তাদের থেকে সাবধান করেছেন এবং আক্বীদা বিষয়ে তাদের অজ্ঞতা রয়েছে তিনি তা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের দা‘ওয়াত দেয়ার জন্য ও তাদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে বের হওয়ার জন্য তিনি উপদেশ দেন। উক্ত বিষয়টি তার ছাত্র শাইখ আব্দুল আযীয আস-সুদহান (হাফিযাহুল্লাহ) অবহিত করেছেন।
৩). ফিকহ বিশারদ ও নীতিমালাবিধ শায়খ আব্দুর রাযযাক আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ) : আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব, সম্মান ও মর্যাদার বিষয়ে মানুষকে উপদেশ দেয়ার উদ্দেশ্যে তাবলীগ জামা‘আতের বহিরগমণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
الواقع أنهم مبتدعة ومحرفون وأصحاب طرق قادرية وغيرهم، وخروجهم ليس في سبيل الله لكنه في سبيل إليس، هم لا يدعون إلي الكتاب والسنة ولكن يدعون إلي إليس شيخهم في بنجلاديش، أما الخروج بقصد الدعوة إلى الإسلام فهو جهاد في سبيل الله، وليس هذا هو خروج جماعة التبليغ، وأنا أعرف التبليغ من زمان قديم، وهم المبتدعة في أي مكان كانوا هم في مصر وإسرائيل، وأمريكا، والسعودية. وكلهم مرتبطون بشيخهم إلياس
‘প্রকৃত অবস্থা এই যে, তারা মূলত বিদ‘আতপন্থী শরী‘আত বিকৃতকারী ক্বাদিরিয়া ও অন্যান্যদের অনুসারী। দা‘ওয়াতের জন্য তাদের বের হওয়া আল্লাহর পথে নয় বরং তা (তাবলীগ জামা‘আতের প্রতিষ্ঠাতা) ইলিয়াসের পথে। তারা কিতাব ও সুন্নার দিকে আহ্বান করে না বরং তাদের মুরুব্বী ইলিয়াসের দিকে আহ্বান করে। তবে ইসলামের দিকে আহ্বান করার উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানে আল্লাহর পথে জিহাদ করার শামীল। কিন্তু তাবলীগ জামা‘আতের বের হওয়া এরূপ নয়। আমি তাবলীগ জামা‘আতকে আগে থেকেই চিনি। তারা মিসর, ইজরাঈল, আমেরিকা, ও সঊদী আরব তথা পৃথিবীর যেখানেই থাক না কেন তারা বিদ‘আতের অনুসারী এবং তারা সকলেই তাদের মুরুব্বী ইলিয়াসের মাধ্যমে সম্পর্ক যুক্ত’।[৬]
৪). শায়খ আল্লামা হামূদ ইবনু আব্দুল্লাহ আত-তুওয়াজারী (রাহিমাহুল্লাহ) : তিনি তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র বই রচনা করেছেন। তাদের ব্যাপারে তার একটি বড় ফৎওয়া রয়েছে যা তার রচিত গ্রন্থ (আল-কাউলুল বালীগ) কিতাবের প্রথমেই ছাপা হয়েছে। প্রয়োজনে তা পড়া যেতে পারে। তার ফৎওয়ার বাণীটি এইরূপ ছিলে যে,
أما جماعة التبليغ، فإنهم جماعة بدعة وضلالة، وليسوا على الأمر الذي كان عليه رسول الله وأصحابه والتابعون لهم بإحسان، وإنما هم على بعض طرق الصوفية ومناهجهم المبتدعة
‘তাবলীগ জামা‘আত তারা একটি বিদ‘আত ও পথভ্রষ্ট দল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম সহ তাবেঈগণ যে কার্যক্রমের উপর ছিলেন তারা তার উপর বিদ্যমান নয়। তারা কিছু ছূফী তরীকা ও তাদের বিদ‘আতী পন্থার উপর বিদ্যমান’।
তাকে একজন প্রশ্নকারী এভাবে প্রশ্ন করেছিল যে, তিনি তাকে তাবলীগ অনুসারীদের সাথে সঊদীর ভিতরে বা বাইরে কোথাও বের হওয়ার পরামর্শ দেন কী না? সে ক্ষেত্রে তার উত্তর ছিল যে, ‘প্রশ্নকারী সহ অন্যান্য ব্যক্তি যারা তাদের দ্বীনকে শিরক করা ও শরী‘আতের মাঝে বাড়াবাড়ি করা, বিদ‘আত করা ও বিভিন্ন কুসংস্কারের ময়লা থেকে কলুষমুক্ত রাখতে আগ্রহী, আমি তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি যে, তারা যেন তাবলীগ অনুসারীদের সাথে মিলিত না হয় এবং সঊদীর ভিতরে বা বাইরে কোথাও যেন তাদের সাথে কখনো বের না হয়’।
শায়খ হামূদ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর উপরিউক্ত বাণীর মাঝে স্পষ্টভাবে ঐ ব্যক্তির জবাব বিদ্যমান আছে, যে ব্যক্তি বলে যে, শায়খ হামূদ (রাহিমাহুল্লাহ) শুধু সঊদীর বাইরে অবস্থিত তাবলীগ অনুসারীদের কেই উদ্দেশ্যে করেছেন। তিনি সঊদীর ভিতরে অবস্থিত তাবলীগীদের উদ্দেশ্য করেননি। সুতরাং বিষয়টি লক্ষ্য করুন।[৭]
৫). তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন হাদীছবিশারদ আল্লামা শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) : তিনি বলেন,
الذي أعتقده أن دعوة التبليغ هي صوفية عصرية لا تقوم على كتاب الله وسنة رسوله، ثم قال إن من عجبي أنهم بخرجون للتبليغ وهم يعترفون أنهم ليسوا أهلا للتبليغ، والتبليغ إنها يقوم به أهل العلم كما كان رسول الله يفعل حينما كان يرسل الرسل من أصحابه من أفاضل أصحابه من علمائهم وفقهائهم ليعلموا الناس الدين والإسلام
‘আমি বিশ্বাস করি যে, তাবলীগী দা‘ওয়াত উহা একটি আধুনিক ছূফীবাদ যা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। অতঃপর তিনি বলেন আমি আশ্চর্যবোধ করি যে, তারা দা‘ওয়াত ও তাবলীগের জন্য বের হয়। অথচ তারা নিজেই স্বীকার করে যে, তারা মুলত তাবলীগের উপযুক্ত নয়। আর দা‘ওয়াত ও তাবলীগের কাজ তো শুধু ‘আলেমগণই করতে পারেন। যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাঁর ছাহাবীগণের মধ্য হতে কাউকে দূত হিসাবে পাঠাতেন, তখন তাঁর ছাহাবীগণের মধ্যে যারা আলেম ও বুদ্ধিমান তাদেরকেই পাঠাতেন। যাতে করে তারা মানুষদেরকে দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দিতে পারেন’।[৮]
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
* মুহাদ্দিছ, দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স, বাউসা হেদাতীপাড়া, বাঘা, রাজশাহী।
তথ্যসূত্র :
[১]. ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল সামাহাতুশ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬৮
[২]. আল-ক্বওলুল বালীগ, পৃ. ২৮৮।
[৩]. আস-সিফাতুস-সিত্তাহ, পৃ. ৯২-৯৩।
[৪]. মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতি মুতানাব্বিয়া লিশ শাইখ আব্দুল আযীয, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৩৩১।
[৫]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৯৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৯৭৯; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৪৪৩।
[৬]. ফাতাওয়া ও রাসায়েল শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪।
[৭]. আল কাউলুল বালীগ, পৃ. ৭, ৩০।
[৮]. আল কাউলুল বালীগ, পৃ. ৭, ৩০।