রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন
উত্তর : কুরবানীদাতার জন্য সুন্নাত হল- তিনি নিজে খাবেন, আত্মীয়-স্বজনকে হাদিয়া দেবেন এবং গরীব মিসকীনদেরকে ছাদাক্বাহ করবেন। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, فَكُلُوْا مِنْهَا وَ اَطْعِمُوا الْبَآىِٕسَ الْفَقِيْر ‘অতঃপর তোমরা তা হতে ভক্ষণ কর এবং নিঃস্ব অভাবগ্রস্তদেরকে ভক্ষণ করাও’ (সূরা আল-হজ্জ: ২৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, فَكُلُوْا مِنْهَا وَ اَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَ الْمُعْتَرَّ ‘অতঃপর তোমরা তা হতে আহার কর এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও যাাাকারী অভাবগ্রস্তকে’ (সূরা আল-হজ্জ: ৩৬)। জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, প্রথমদিকে নবী (ﷺ) তিনদিনের পরেও কুরবানীর গোশত খেতে বারণ করেছিলেন। অতঃপর পরবর্তীকালে তিনি বলেছেন, এখন তোমরা খেতে পার, পাথেয় হিসাবে ব্যবহার করতে পার এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৭২)।

উপরিউক্ত আয়াত বা হাদীছে কিন্তু খাওয়া, হাদিয়া করা ও দান করার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ বিবৃত হয়নি। এখানে শুধু বলা হয়েছে, ‘কুরবানীর গোশত তিন শ্রেণীর ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টিত হবে। তবে অধিকাংশ আলেম মনে করেন যে, সমস্ত গোশতকে তিন ভাগ করে এক ভাগ খাওয়া, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে হাদিয়া করা এবং এক ভাগ গরীবদেরকে দান করা উত্তম। প্রয়োজনে ভাগে কম-বেশী করা যাবে। কিংবা সবটুকু ছাদাক্বাহ্ করলেও কোন দোষ নেই’ (মির‘আত, ৫/১২০ পৃ.; আল-মুগনী, ১১/১০৮-০৯ পৃ.)। সুতরাং কেউ চাইলে সে তার কুরবানীর সমস্ত গোশতকে বিতরণ করে দিতে পারে। আর তা করলে উক্ত আয়াতের বিরোধিতা হবে না। কারণ, ঐ আয়াতে নিজে খাওয়ার আদেশ হল মুস্তাহাব বা সুন্নাত। সে যুগের মুশরিকরা তাদের কুরবানীর মাংস খেত না বলে মহান আল্লাহ উক্ত আদেশ দিয়ে মুসলিমদেরকে তা খাবার অনুমতি দিয়েছেন। অবশ্য কেউ কেউ খাওয়া ওয়াজিবও বলেছেন (তাফসীরে ইবনে কাছীর, ৩/২৯২-৩০০; আল-মুগনী, ১৩/৩৮০; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৭/৫২৫ পৃ.)।

কুরবানীর গোশত হতে কাফিরদেরকে দেয়া বৈধ। আর তা ইসলামের এক মহানুভবতা (আল-মুগনী, ১৩/ ৩৮১; ফাৎহুল বারী, ১০/৪৪২ পৃ.)। উল্লেখ্য, তিনদিনের অধিক কুরবানীর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ হওয়া সংক্রান্ত হাদীছটি মানসুখ (রহিত) হলেও যেখানে দুর্ভিক্ষ থাকে, সেখানে তিন দিনের অধিক গোশত জমা রাখা বৈধ নয় (ফাৎহুল বারী, ১০/২৮; আল-ইনসাফ, ৪/১০৭ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : তারিক হাসান, মোহনপুর, রাজশাহী।





প্রশ্ন (২২) : সিজদাতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা’-এর জায়গায় ভুলে বা বেখেয়ালিতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম’ বললে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ইক্বামতের সময় মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়্যা আলাছ ছালাহ’ বলবে তখন মুক্তাদী কী বলবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মসজিদের ছাদের উপরে ফ্লাট বাড়ীর মত দু’টি রুম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ইমাম ছাহেব স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকবেন। উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করলে ছালাত শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং প্রত্যেক বছরই কুরবানী করেছেন। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যমযমের পানি পানের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : মুসলিম হয়েও যারা মসজিদ ভাঙ্গে কিংবা পুড়িয়ে দেয়, তাদের জন্য বদ-দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : কোন্ কোন্ অপরাধের কারণে মুসলিমের ব্যক্তির জানাযা পড়া যাবে না। অর্থাৎ ইমাম বা পরহেযগার ব্যক্তি জানাযা পড়তে পারবে না? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১): ইসলামী রাষ্ট্রে বা ইসলামী (এনজিও) সংস্থার অধীনে যে সমস্ত ওয়াক্বফের সম্পত্তি একত্রিত হয়, পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি থেকে বিনিয়োগ করা হলে তাতে কি যাকাত ওয়াজিব হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : সাত দিনের পূর্বে সন্তান মারা গেলে আক্বীক্বা দেয়া লাগবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জনৈক যুবক ভাই ফাসেকী জীবন ছেড়ে দ্বীনের পথ অবলম্বন করেছেন। প্রশ্ন হল- দ্বীনের পথে অবিচল থাকার জন্য ঐ যুবকের প্রতি কী উপদেশ দেয়া যেতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : জনৈক ব্যক্তি বলেছেন, বক্তব্যে অতিরঞ্জিত কথা বলা শয়তানের বমি করার শামিল। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : পাইরেটেড কিংবা ক্র‍্যাক করা সফটওয়্যার ব্যবহারে শারঈ বিধান কী? পেইড সফটওয়্যারসমূহ ক্র‍্যাক করে অনেকে বিনামূল্যে বা কম মূল্যে বিক্রি করে, যা সফটওয়্যারগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট শর্তের লংঘন। এমন পাইরেটেড বা ক্র‍্যাক করা সফটওয়্যার ক্রয় কিংবা বিক্রয় করা জায়েয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ