রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
উত্তর : গর্ভপাত বা miscarriage-এর পরে নারী কখন নাপাক (নিফাস) গণ্য হবে, তা নির্ভর করে গর্ভের বয়স ও বের হওয়া বস্তুর প্রকৃতির উপর। মূল নিয়ম হল, চার মাস (১২০ দিন) পূর্ণ হওয়ার আগে গর্ভপাত হলে, শিশুর মধ্যে রূহ-আত্মা ফুঁক দেয়া হয় না। অর্থাৎ সেটা রক্ত/গোশতের টুকরো হিসাবে ধরা হয়। চার মাস পূর্ণ হওয়ার পর গর্ভপাত হলে, সেটা মানবশিশু হিসাবে গণ্য হয়। এরপর বাচ্চা জন্মের পরের রক্ত নিফাস হিসাবে বিবেচিত হয়। নবী (ﷺ) বলেছেন,  ‘তোমাদের এক একজনকে মাতৃগর্ভে ৪০ দিন পর্যন্ত নুতফা (বীর্য/ডিম্বাণু) আকারে রাখা হয়, তারপর ৪০ দিন মুদগাহ (গোশতের টুকরো) আকারে, তারপর ৪০ দিন আলাক্ব (রক্তপিণ্ড) আকারে, তারপর ফেরেশতা এসে রূহ (আত্মা) ফুঁক দেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৪৩)। শাইখ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি গর্ভপাত চার মাসের কম বয়সে হয় এবং তাতে মানব আকার স্পষ্ট না হয়, তবে তা নিফাস নয়; বরং সাধারণ রক্ত। সেই রক্তে নারী ইসতিহাযা (অসুস্থতার রক্ত) হিসাবে গণ্য হবে এবং ছালাত-ছিয়াম আদায় করতে হবে’ (মাজমূঊ ফাতওয়া লিইবনি বায, ১০/২১৮ পৃ.)।

যেহেতু মাত্র দুই মাস বা ৬০ দিন পূর্ণ হয়েছে, অর্থাৎ ১২০ দিন হওয়ার পূর্বেই গর্ভপাত হয়েছে, তাই এই রক্ত নিফাসের রক্ত নয়। বরং এটা সাধারণ রক্ত; শরীর থেকে ক্ষরণ হওয়া রক্ত হিসাবে ধরা হবে, যা ইসতিহাযা (অসুস্থতার রক্ত)।  এমতাবস্থায় ছালাত ও ছিয়াম আদায় করতে হবে। শুধু সাধারণভাবে পাক-পবিত্রতা (ওযূ/গোসল) ঠিক রাখতে হবে। যদি রক্ত চলমান থাকে, তাহলে ইসতিহাযার নিয়মে প্রতি ওয়াক্ত ছালাতের জন্য ওযূ করতে হবে। কাপড় ও শরীর থেকে রক্ত পরিষ্কার রাখতে হবে।


প্রশ্নকারী : যয়নাব, কক্সবাজার।





প্রশ্ন (৩৭) : লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিকে মাফ করে দেয় বা কিছু হালকা করে দেয়, তাহলে আল্লাহ তাকে এর বিনিময়ে জান্নাত দান করবেন। এমন কোন হাদীছ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, মৃত স্বামী বা স্ত্রীকে দেখতে ও গোসল করতে দেয়া হয় না। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ছালাত কি ব্যক্তিগত ইবাদত? কারণ অনেককে ছালাতের জন্য ডাকলে তারা বলে, নামাজ পড়া না পড়া আমার ব্যাপার। এ ধরনের কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : আমাদের এলাকায় একটি হাদীছ প্রচলিত রয়েছে যে, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে তার কোন মুসলিম ভাইকে দেখতে যাবে, তাকে জাহান্নাম হতে ষাট বছরের পথ দূরে রাখা হবে’ (আবুদাঊদ, হা/৩০৯৭, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : জনৈক ব্যক্তি পীরের মুরীদ। তার বিশ্বাস হল- পীর সবকিছু করে দিবে। মুরীদ না হলে মৃত্যুর সময় শয়তান এসে ঈমান লুটে নিবে। উক্ত আক্বীদা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ইমামের কুরআন তেলওয়াত শুদ্ধ না হলে, মুক্তাদির ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : যে ব্যক্তি পূর্বে নিয়মিত ছালাত আদায় করত না, সে যদি শেষ জীবনে ছালাত আদায় করে এবং তওবা করে তাহলে তার পাপ ক্ষমা হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, যুবতী মেয়ে রেখে হজ্জে গেলে হজ্জ কবুল হবে না। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের রিংটোন হিসাবে দু‘আ বা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : প্রচলিত আছে যে, রাসূল (ﷺ)-এর যে নিয়মে চুল রাখতেন সেই নিয়মকে ‘বাবরী চুল’ বলা হয়। আসলে ‘বাবরী চুল’ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একবার দাবা খেলায় রত কিছু মানুষের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, এই মুর্তিগুলো কী, যাদের সামনে তোমরা বসে আছ? এগুলো স্পর্শ করার চেয়ে জলন্ত অঙ্গার নির্বাপিত হওয়া পর্যন্ত তাতে হাতে রেখে দেয়া ভাল (সুনানে কুবরা, বায়হাক্বী, ১০/২১২)। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে দাবা খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, সেটা ‘নারদ’ (নামক খেলা) থেকে নিকৃষ্ট (সুনানে কুবরা, বায়হাক্বী, ১০/২১২)। ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)-এর ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘দাবা খেলা, পাশা খেলা এবং এ জাতীয় খেলাগুলোতে কোন কল্যাণ নেই’। উপরিউক্ত দলীলের আলোকে লুডু, তাস, ক্যারাম ইত্যাদি খেলাকেও হারাম বলা হয়। প্রশ্ন হল, ছাহাবী বা তাবেঈ কি কোন জিনিস হারাম করতে পারেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : হায়েয অবস্থায় স্ত্রী তার মৃত স্বামীকে গোসল করাতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ